ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৯তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, পদ ৬৮৩

সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষক পদে ৬৮৩ জন নিয়োগের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪৯তম (বিশেষ) বিসিএস-২০২৫। এ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
সোমবার (২১ জুলাই) পিএসসি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
সরকার শুধু শিক্ষা ক্যাডারের জন্য বিশেষ বিসিএসের আয়োজন করছে। এর মাধ্যমে সরকারি কলেজে বিভিন্ন বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে এন্ট্রি লেভেল পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা ক্যাডারের জন্য সর্বশেষ বিশেষ বিসিএস অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৬ সালে। ওই বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে ১ হাজার ৪৭ জন প্রভাষক নিয়োগ পেয়েছিলেন। এরপর সাধারণ বিসিএসের মাধ্যমেই শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হয়ে আসছিল। দীর্ঘদিন পর এবার শিক্ষার জন্য আলাদা বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার আয়োজন করা হচ্ছে।
বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ টাইপ) আগামী অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে। সুনির্দিষ্ট তারিখ ও সময় পরবর্তী সময়ে কমিশনের ওয়েবসাইটে এবং সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিটি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইট (www.bpsc.gov.bd)-এ অথবা টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইট (http://bpsc.teletalk.com.bd)-এ পাওয়া যাবে।
কাফি

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে: ঢাবি উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, ডাকসু নির্বাচনে স্বচ্ছতার ঘাটতি নেই। চারটার পরও যেসব শিক্ষার্থী লাইনে থাকবেন, তাদের ভোট নেওয়া হবে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, কার্জন হলে ভুলক্রমে একটি ছোট সমস্যা হয়েছে। তার জন্য আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি। তবুও এই ঘটনার আমরা পুনরায় তদন্ত করে কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচন এখন দেশের দাবিতে পরিণত হয়েছে। আশা করছি, যিনি জিতবেন এবং যিনি বিজেতা হবেন, সবাই ফলাফল মেনে নেবেন।
এদিকে, এবার ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে এবার লড়ছেন ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ৪৫, জিএসে ১৯ এবং এজিএসে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। পাঁচ ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯, আর ১৩ ছাত্র হলে এই সংখ্যা ২০ হাজার ৯১৫ জন।
নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত ‘আবিদ-হামীম-মায়েদ পরিষদ’ থেকে ভিপি পদে আবিদুল ইসলাম খান, জিএস পদে শেখ তানভীর বারী হামিম এবং এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ আলোচনায় আছেন।
ছাত্রদল-শিবির সমর্থিত প্যানেলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট থেকে ভিপি পদে আবু সাদিক কায়েম, জিএস পদে এসএম ফরহাদ এবং এজিএস প্রার্থী হিসেবে মহিউদ্দিন খান লড়ছেন।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল থেকে ভিপি পদে আবদুল কাদের এবং জিএস প্রার্থী হিসেবে আবু বাকের মজুমদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’ থেকে জিএস মাহিন সরকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। তবে তিনি জিএস পদে আবু বাকের মজুমদারকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
এ ছাড়া ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল থেকে ভিপি পদে উমামা ফাতেমা; ছাত্রঅধিকার পরিষদ থেকে ভিপি পদে বিন ইয়ামিন মোল্লা এবং বামপন্থী শিক্ষার্থীদের প্যানেল ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ থেকে ভিপি পদে শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি, জিএস পদে মেঘমল্লার বসু লড়ছেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
তিন ঘণ্টায় টিএসসি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রথম তিন ঘণ্টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ। এই কেন্দ্রে বেগম রোকেয়া হলের নারী শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে কেন্দ্র প্রধান অধ্যাপক নাসরিন সুলতানা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১১টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ৩৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। আমাদের কেন্দ্রে ১৯টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। প্রতিটি বুথে অন্তত ১২০ জন ভোট দিয়েছেন। এই হিসাবে তিন ঘণ্টায় প্রায় ২ হাজার ২৮০ ভোট পড়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে নির্ধারিত সময়ের আগেই কেন্দ্রটির ভোটগ্রহণ শেষ হয়ে যেতে পারে। প্রায় ৪০ হাজার ভোটারের এ নির্বাচনে টিএসসি কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৫ হাজার ৬৬৫ জন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। বিকেল ৪টার মধ্যে কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়ানো শিক্ষার্থীরাও ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। ডাকসু নির্বাচন ঘিরে সোমবার রাত ৮টা থেকে টানা ৩৪ ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রবেশপথ সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে, যা আগামী বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
অনিয়মের অভিযোগে পোলিং অফিসার প্রত্যাহার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। এতে অনিয়মের অভিযোগে এক পোলিং অফিসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে কার্জন হল পরীক্ষা কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা এ এম মহিউদ্দীন তাকে প্রত্যাহার করেন।
এর আগে, সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল কেন্দ্রে অমর একুশে হলের একটি বুথে ভোটারকে আগে থেকে পূরণকৃত ব্যালট সরবরাহ করার অভিযোগ ওঠে পোলিং অফিসার ও অমর একুশে হলের কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক ওই বুথ পরিদর্শন করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ সময় ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক জিয়াউর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়।
বিষয়টি স্বীকার করে পোলিং অফিসার জিয়াউর রহমান চৌধুরী বলেন, এটি একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২০ হাজার ৯১৫ জন এবং নারী ভোটার ১৮ হাজার ৯৫৯ জন।
এবার ডাকসু নির্বাচনে ২৮ পদের বিপরীতে লড়ছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে পুরুষ প্রার্থী ৪০৯ জন ও নারী প্রার্থী ৬২ জন। তবে বিভিন্ন পদের মধ্যে মূল আকর্ষণ সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ১৯ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ২৫ ও মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন প্রার্থী লড়ছেন।
এর বাইরে কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক ১১ জন এবং ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে ১৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ ছাড়া ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে সর্বোচ্চ ২১৭ জন লড়ছেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ডাকসু নির্বাচন: ভোট দিতে সব কেন্দ্রেই শিক্ষার্থীদের লম্বা লাইন

উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে একযোগে সবগুলো কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্যাম্পাসের নির্ধারিত ৮টি কেন্দ্রে (৮১০টি বুথ) শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন। প্রতিটি কেন্দ্রেই লম্বা লাইন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এসব লাইন আরও দীর্ঘ হচ্ছে। বিশেষ করে টিএসসিকেন্দ্রের লাইনটি চোখে পড়ার মতো। এখানকার লাইন টিএসসির প্রাঙ্গণ ছাড়িয়ে রাস্তায় চলে গেছে। তবে কারও মুখে নেই বিরক্তির ছাপ। সবার মাঝেই দেখা গেছে উৎসাহ-উদ্দীপনা।
লাইনে দাঁড়ানো সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাইমা বলেন, গত কয়েকদিন ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল। অনেক প্রার্থীর সঙ্গে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। অনেক যোগ্য প্রার্থী আছেন। আশা করি যোগ্য প্রার্থীরা বিজয়ী হয়ে ক্যাম্পাস সংস্কারের কাজ করবেন।
সাইকোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী তর্পিতা ইসলাম বলেন, এটা জীবনের প্রথম ভোট। তাই সকালেই চলে আসছি। আশা করি ভোট সুষ্ঠু হবে।
হিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষার্থী রিফা সানজিদা প্রিয়ন্তী বলেন, ডাকসু নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ চলছে। ভোট গ্রহণও শান্তিপূর্ণভাবেই হচ্ছে। আমরা রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চাই। আশা করি যোগ্য ব্যক্তি বিজয়ী হবেন এবং রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তাদের ইশতেহারগুলো বাস্তবায়ন করবেন।
এদিকে সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনের বের হয়েছেন প্রার্থীরা। উদয়ন স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে সকালেই উপস্থিত হন ভিপি পদে দুই হেভিওয়েট প্রার্থী ছাত্রদল প্যানেলের আবিদুল ইসলাম ও ছাত্রশিবির প্যানেলের আবু সাদিক কায়েম।
ভোট দিতে এসে শতভাগ জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামীম ও আবু বাকের মজুমদার।
আবু বাকের মজুমদার বলেন, আনন্দদায়ক পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন আমরা দেখতে পেয়েছি। আমরা আশাবাদী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা তাদের যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নেবেন।
আবিদুল ইসলাম বলেন, অনেক দীর্ঘ সময় পরে ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন করে গণতন্ত্রের দ্বার উন্মোচন হতে যাচ্ছে, ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আপনারা আপনাদের বিবেক খাটিয়ে যথাযথ নেতৃত্ব বেছে নিন।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২০ হাজার ৯১৫ জন এবং নারী ভোটার ১৮ হাজার ৯৫৯ জন।
প্রসঙ্গত, এবার ডাকসু নির্বাচনে ২৮ পদের বিপরীতে লড়ছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে পুরুষ প্রার্থী ৪০৯ জন ও নারী প্রার্থী ৬২ জন। তবে বিভিন্ন পদের মধ্যে মূল আকর্ষণ সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ১৯ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ২৫ ও মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন প্রার্থী লড়ছেন।
এর বাইরে কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক ১১ জন এবং ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে ১৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ ছাড়া ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে সর্বোচ্চ ২১৭ জন লড়ছেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ডাকসুর ভোটগ্রহণ শুরু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।
দীর্ঘবিরতির পর আয়োজিত ডাকসু নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২০ হাজার ৯১৫ জন এবং নারী ভোটার ১৮ হাজার ৯৫৯ জন।
ভোটাররা ডাকসুর ২৮টি পদ এবং প্রতিটি হল সংসদের ১৩টি পদে ভোট দেবেন। কেন্দ্রীয় সংসদের পদগুলোতে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে, হল সংসদের ১৮টি হল থেকে এক হাজার ৩৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। অর্থাৎ প্রতিটি ভোটার আজ মোট ৪১টি পদে ভোট দেবেন।
এদিকে ভোটকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে তিনস্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি ভোটগণনার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রগুলোতে এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি ফলাফল প্রদর্শনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে ক্যাম্পাসের প্রবেশপথগুলোতে সোমবার রাত থেকেই অবস্থান নিয়েছেন বিপুলসংখ্যক পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। এসব জায়গায় পুলিশের পাশাপাশি বিএনসিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছেন।
ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। টিএসসি এলাকায় পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে। এছাড়াও কাম্পাসে ডগ স্কোয়াড ও বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট নিয়োজিত করা রয়েছে।