ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইউজিসির নির্ধারিত গ্রেডিং পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করতে হাইকোর্টে রিট

বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) নির্ধারিত অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তবায়নের দাবিতে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। জনস্বার্থে দায়েরকৃত এ রিটে পিটিশনার হিসেবে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. গোলাম কিবরিয়া।
রোববার (২০ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে এ রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত আগামী রবিবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।
রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশের ১১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসির গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ না করে নিজেদের মতো করে ভিন্ন ভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ করছে, যা উচ্চশিক্ষার মানদণ্ডে একটি বড় বৈষম্য সৃষ্টি করছে। ইউজিসি কর্তৃক নির্ধারিত অভিন্ন গ্রেডিং স্কেল যথাযথভাবে অনুসরণ না করায় শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ও পেশাগত ক্ষেত্রে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
রিটে আরও বলা হয়, ইউজিসি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকলেও অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব নিয়মে গ্রেড প্রদান করছে, যা ইউজিসির নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ না করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো হলো: নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ওফ বাংলাদেশ (এআইইউবি), ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি ওফ বাংলাদেশ (আইইউবি), ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) এবং ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ওফ লিবারেল আর্টস (ইউলা)।
এই রিটের আদেশের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সমতা ও মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি নীতিগত দিকনির্দেশনা পাওয়া যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।
প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে ১১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম চলমান। অভিন্ন গ্রেডিং স্কেল না থাকায় একাডেমিক ও চাকরিক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীরা অনেক সময় তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে পড়ছে।
কাফি

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাকসু নির্বাচন: বিএনপি-ছাত্রদলের বিরুদ্ধে নিয়ম ভাঙার অভিযোগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে নিয়ম ভাঙার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১০ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টার মধ্যে প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলেও এ নির্দেশনা অমান্য করে নির্দ্বিধায় প্রবেশ করেছেন শাখা ছাত্রদলের সাবেক নেতাকর্মী ও বহিরাগতরা।
এদিকে মধ্যরাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠকে বসেন শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ও বিএনপি’র যুক্তরাজ্যের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. পারভেজ মল্লিক, জার্মান প্রবাসী সাবেক ছাত্রদল নেতা মারুফ মল্লিক এবং শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম অভি। এ ঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষার্থী ও প্রার্থীদের তোপের মুখে পড়েন তারা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও বহিরাগত ও প্রাক্তন নেতারা সহজেই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছেন। আগের রাতে ইসির সঙ্গে বৈঠকও করেন তারা। এতে নির্বাচনী পরিবেশ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে তারা মনে করেন।
তবে ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মশিউর রহমান রোজেন। তার দাবি, ছাত্রদল ঘোষিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। তাই নির্দেশনা মেনে নির্বাচনের দিনের অনুমতি পত্র আনতে সেখানে গিয়েছিলেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হল কেন্দ্রের ২২৪টি বুথে শুরু হয় এই ভোটগ্রহণ। যা টানা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
এর আগে, বুধবার দিবাগত রাতে প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স পৌঁছে দেওয়া হয় এবং সকালে প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যালট পোঁছে দেওয়া হয়।
এদিকে, ভোটকে কেন্দ্র করে পুরো ক্যাম্পাসে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ১৫০০ পুলিশ, ৭ প্ল্যাটুন বিজিবি ও ৫ প্ল্যাটুন আনসার ক্যাম্পাসের পরিসীমায় মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া, ক্যাম্পাসে যে কোনো অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মোকাবিলায় আনসার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ক্যাম্পাসে এবং ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছে।
এদিকে, মীর মশরারফ হোসেন হল-সংলগ্ন গেট এবং প্রান্তিক গেট ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল গেইট ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার ভাসমান দোকান, টারজান পয়েন্টের দোকান, পুরাতন পরিবহন চত্ত্বর-সংলগ্ন দোকান, নতুন কলা ভবন-সংলগ্ন মুরাদ চত্বরের দোকান, প্রান্তিক গেইটের উত্তর পাশের কাপড়ের মার্কেট ও গেইটের সকল দোকান এবং প্রধান গেইট সংলগ্ন সকল দোকান ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
সব আবাসিক হলের অভ্যন্তরে ক্যান্টিন ও দোকান খোলা রাখা এবং পর্যাপ্ত খাবার মজুদ রাখার জন্য বলা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টা হতে ১২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত জরুরি বিভাগ (নিরাপত্তা, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ইন্টারনেট) ব্যতীত সব ধরনের মোটরসাইকেল চলাচল নিষেধ করা হয়েছে। এই সময়ে শুধু মাত্র শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাকার স্টিকার এবং নির্বাচন কমিশনের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে। সব স্টাফ বাস প্রান্তিক গেট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবশে করবে।
এবারের জাকসু নির্বাচনে ২৫ পদে ১৭৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত ইবি ছাত্রশিবিরের

ডাকসু নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের বিজয় উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর শহীদ আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রশিবির।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহীদ আবরার ফাহাদের পিতা বরকত উল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে কবর জিয়ারত করেন তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শাখা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য মু. মাহমুদুল হাসান, ইবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি ইউসুফ আলী, কুষ্টিয়া শহর সভাপতি আবু ইউসুফ, কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
কবর জিয়ারত শেষে নেতৃবৃন্দ জানান, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে প্রথম বীর শহীদ আবরার ফাহাদ। ২০১৯ সালে ৭ অক্টোবর আবরার ফাহাদকে শিবির ট্যাগ দিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা শহীদ করে। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। এর মাধ্যমে ভারতীয় আধিপত্যবাদের মসনদ ভেঙেচুরে তছনছ হয়ে যায়। তাই আজকে আমরা গভীরভাবে শহীদ আবরার ফাহাদকে স্মরণ করে আজকে তার কবর জিয়ারত করতে আসি। আল্লাহর কাছে দোয়া করছি আবরার ফাহাদের রক্তের বিনিময়ে এদেশ ভারতীয় আধিপত্যবাদ থেকে মুক্ত হবে এবং আল্লাহ তায়ালা শহীদ আবরার ফাহাদের শাহাদাতকে কবুল করুন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন আগামীকাল, লড়ছে ৮ প্যানেল

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১৭৭ জন প্রার্থী। নির্বাচনে বাম, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রদের সমর্থিত মিলিয়ে সর্বমোট আটটি প্যানেল অংশগ্রহণ করবে।
গত ২৮ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীদের প্রচারণার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছিল জাকসু নির্বাচন কমিশন। এতে স্বতন্ত্র ও দলবদ্ধভাবে প্যানেলের মাধ্যমে প্রচারণা করতে দেখা যায় প্রার্থীদের। এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্যানেল আটটি হলো গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’, ছাত্রশিবিরের ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’, ছাত্রদলের নিজস্ব প্যানেল, বামপন্থিদের তিনটি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দুটি প্যানেল।
শিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’
এবারের জাকসু নির্বাচনে সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছিল ইসলামী ছাত্রশিবির। নির্বাচনে শিবিরের সমর্থিত প্যানেলের নাম ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’। তাদের প্যানেলে ভিপি পদে রয়েছেন জাবি শাখা শিবিরের সদস্য আরিফুল্লাহ আদিব ও জিএস পদে মনোনয়ন পেয়েছে জাবি শাখা শিবিরের অফিস ও প্রচার সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ফেরদৌস আল হাসান ও নারী এজিএস পদে আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা। এই প্যানেলে স্থান পেয়েছেন ছয়জন নারী শিক্ষার্থী। রয়েছেন জাবিতে অধ্যয়নরত এক দম্পতি ও জুলাই আন্দোলনে আহত কয়েকজন শিক্ষার্থীও।
বাগছাস সমর্থিত ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’
নির্বাচনে অংশ নিতে ২৩ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) জাবি শাখা। ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ নামে গঠিত প্যানেলে ভিপি পদে রয়েছেন বাগছাসের জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল। জিএস পদে লড়বেন সংগঠনটির জাবি শাখার সদস্যসচিব আবু তৌহিদ মো. সিয়াম। এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে মালিহা নামলাহ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে জিয়া উদ্দিন আয়ান।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল
জাকসু নির্বাচনে জিএস পদে একজন নারী রেখে ২৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিয়েছে জাবি শাখা ছাত্রদল। এই প্যানেলে ভিপি পদে রয়েছেন ছাত্রদলের মীর মশাররফ হোসেন হলের সভাপতি মো. শেখ সাদী হাসান। জিএস পদে এবারের নির্বাচনের একমাত্র নারী প্রার্থী ও ১৩ নং ছাত্রী হল শাখা ছাত্রদলের সভাপতি তানজিলা হোসাইন বৈশাখী। এছাড়া এজিএস (পুরুষ) পদে মো. সাজ্জাদুল ইসলাম এবং এজিএস (নারী) পদে আঞ্জুমান আরা ইকরাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
‘সম্প্রীতির ঐক্য’
নির্বাচনে বামপন্থীদের হয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ও দুটি আংশিক প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও সাংস্কৃতিক জোটের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে থাকা বিভাজন এর পেছনে মূখ্য কারণ বলে জানা গেছে।
ভিপি প্রার্থিহীন হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে ছাত্র ইউনিয়নের (অদ্রি-অর্ক) একাংশের সমর্থনে গঠিত আংশিক পূর্ণাঙ্গ প্যানেল। ২৫ সদস্যের হয়ে গঠিত হলেও পর্বরতীতে ছাত্রত্ব না থাকায় বাতিল করা হয়েছে প্যানেলের ভিপি প্রার্থী অমর্ত্য রায়কে। ভিপিহীন এই প্যানেলের নাম ‘সম্প্রীতির ঐক্য’। যেখানে রয়েছে সর্বোচ্চ ১১ জন নারী প্রার্থী, সাতজন আদিবাসী, ছয়জন সনাতন ধর্মাবলম্বী, তিনজন বৌদ্ধ ও দুজন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী প্রার্থী। এই প্যানেলে জিএস পদে রয়েছেন নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শরন এহসান। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে নুর এ তামীম স্রোত ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ফারিয়া জামান নিকি।
‘সংশপ্তক পর্ষদ’
ছাত্র ইউনিয়ন (ইমন-তানজিম) ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (একাংশ) নিয়ে গঠিত বামপন্থীদের আরেক অংশ শুধুমাত্র পাঁচ সদস্যের প্যানেল ঘোষণা করেছে। ‘সংশপ্তক পর্ষদ’ নামে গঠিত এই প্যানেল ভিপি প্রার্থী ছাড়াই ঘোষণা করা হয়। এতে জিএস পদে রয়েছেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি (একাংশ) জাহিদুল ইসলাম ইমন। এই প্যানেলের বাকি সদস্যরা হলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সংগঠক সোহাগী সামিয়া জন্নাতুল ফেরদৌস, তথ্য-প্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে সৈয়দ তানজিম আহমেদ, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে তানজিল আহমেদ এবং সহ-সমাজসেবা ও মানব উন্নয়ন সম্পাদক (নারী) পদে সাদিয়া ইমরোজ ইলা।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (একাংশ) আংশিক প্যানেল
জাকসু নির্বাচনে জাবি শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (একাংশ) কৃর্তক ৩ সদস্যের আরও একটি আংশিক প্যানেল ঘোষণা করা হয়।যেখানে সহ-সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) প্রার্থী হিসেবে আছেন ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার একাংশের সংগঠক মো. সজিব আহম্মদ জেনিচ। এছাড়াও কার্যকরী সদস্য (নারী) পদে রোকেয়া আমিন অনুসূয়া এবং কার্যকরী সদস্য (পুরুষ) পদে মো. সুমন হোসেন রয়েছেন।
‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’
ক্রিয়াশীল সংগঠন ছাড়া এবারের জাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে আরও দুইটি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’ নামে গঠিত স্বতন্ত্রদের নিয়ে এই প্যানেলের ভিপি পদে লড়ছেন গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ জিতু, জিএস পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. শাকিল আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তৌহিদুল ইসলাম নিবিড় ভূঁঞা। এই প্যানেলে নারী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রাখা হয়নি কোনো প্রার্থীকে।
‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’ নামে স্বতন্ত্রদের আরও একটি আংশিক প্যানেল গঠন করা হয়েছে। এই প্যানেলে ভিপি পদে রয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের মুখপাত্র মো. মাহফুজুল ইসলাম মেঘ, সহ-সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বাগছাস থেকে বিদ্রোহ করা মো. নাজমুল ইসলাম। এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পুরুষ ও নারী পদে কোনো প্রার্থী দেওয়া হয়নি এই প্যানেলে।
প্রসঙ্গত, এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৮৯৭ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ৫, ৭২৮ জন ও ছাত্র ৬, ১১৫জন। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে নিজ নিজ হলেই হবে ভোটগ্রহণ। ছাত্রদের ১১টি ও ছাত্রীদের ১০ হল মিলে মোট ২১ ভোটকেন্দ্র ঠিক করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে ২২৪ টি বুথ।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৪১ হাজার শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় সুখবর

এমপিওভুক্ত ১৮ হাজার ৮৯৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৪১ হাজার ৬২৭ জন প্রার্থীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন এনটিআরসিএর সহকারী পরিচালক ফয়জার আহমেদ।
তিনি বলেন, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রার্থীর অনুকূলে নিয়োগপত্র প্রদান নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা টেলিটকের ওয়েবসাইট http://ngi.teletalk.com.bd ব্যবহার করে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে নিয়োগপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।
নিয়োগপত্র প্রদানের আগে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটি প্রার্থীর প্রাসঙ্গিক সনদ ও এনটিআরসিএর সুপারিশপত্র পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
যদি প্রার্থী নিয়োগ গ্রহণ করেন, তবে যোগদানের সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে ওয়েবসাইটের ‘Joining Status’ অপশনে ‘Yes’ ক্লিক করে তথ্য নিশ্চিত করতে হবে। প্রার্থী যোগদান না করলে, ‘No’ ক্লিক করে তার কারণ উল্লেখ করতে হবে।