রাজনীতি
জামায়াতের সমাবেশে যোগ দিলেন সারজিস

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটের দিকে সমাবেশে যোগ দেন তিনি।
এনসিপির এই নেতাকে মূল মঞ্চে জামায়াতের নেতাদের পাশে বসে থাকতে দেখা গেছে। কিছুক্ষণ পরেই বক্তব্য দেবেন তিনি।
এনসিপি ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে সমাবেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

রাজনীতি
আগামীর বাংলাদেশে আরও একটি লড়াই হবে: ডা. শফিক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশে আরও একটি লড়াই হবে। তিনি বলেন, “আমি বলতে চাই আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে? আমি বলব আরেকটা লড়াই হবে ইনশাআল্লাহ। একটা লড়াই হবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে।”
শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জাতীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “এই দুর্নীতির মূল উৎপাটনের জন্য যা করা দরকার, আমরা তারুণ্য ও যৌবনের শক্তিকে একত্র করে সেই লড়াইয়েও ইনশাআল্লাহ বিজয় লাভ করব।”
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, “জামায়াতে ইসলামী যে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ে তুলবে, তার প্রমাণ কী? সবাইকে নিয়েই তা গড়ে তুলব। আমরা কথা দিচ্ছি, মুক্তি অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই অব্যাহত থাকবে।”
বক্তব্য দিতে গিয়ে মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। এ সময় জামায়াতের চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি বসেই বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন এবং বলেন, “আল্লাহ আমার হায়াত যতক্ষণ রেখেছেন তার এক মিনিটও বেশি থাকতে পারব না আমি। সুতরাং এটা আপনারা কেউ বিচলিত হবেন না।”
শাসনক্ষমতায় গেলে কী করবেন, তা জানিয়ে তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামী যদি আল্লাহর ইচ্ছায় দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পায়, তাহলে মালিক হবে না, সেবক হবে ইনশাআল্লাহ।”
ঘোষণা দিয়ে আমিরে জামায়াত বলেন, “আজ আমি ঘোষণা দিচ্ছি, লাখো জনতাকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে যারা আগামীতে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করবেন, কোনো এমপি, কোনো মন্ত্রী সরকার থেকে কোনো প্লট গ্রহণ করবে না, ট্যাক্সবিহীন গাড়িতে চড়বে না, নিজের হাতে টাকা চালাচালি করবে না, নিজেদের নির্দিষ্ট কাজের জন্য যে বরাদ্দ পাবেন, কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১৮ কোটি মানুষের কাছে হিসাবের প্রতিবেদন তুলে ধরবেন।”
এ সময় তিনি সতর্ক করে বলেন, “চাঁদা আমরা নেব না, দুর্নীতি আমরা করব না। চাঁদা আমরা নিতে দেব না, দুর্নীতি আমরা সহ্য করব না।”
রাজনীতি
বক্তব্য দিতে গিয়ে অসুস্থবোধ, মঞ্চে বসে বক্তব্য শেষ করলেন জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় অসুস্থবোধ করায় দুবার মঞ্চে লুটিয়ে পড়েন। এরপর তিনি মঞ্চে বসেই তার বক্তব্য শেষ করেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আবু সাঈদরা বুক পেতে না দিলে এই বাংলাদেশ আমরা দেখতাম না। যাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীনতা পেয়েছি, আমরা যেন তাদেরকে অবজ্ঞা না করি।”
জামায়াতের এই মহাসমাবেশে অংশ নিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হয়েছিলেন। দলটির পক্ষ থেকে দেশের ডান ও ধর্মভিত্তিক ঘরানার একাধিক রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, ন্যাশনাল সিটিজেন্স পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, গণঅধিকার পরিষদসহ বেশ কয়েকটি দল সমাবেশে তাদের প্রতিনিধি পাঠিয়েছে।
রাজনীতি
নতুন সংবিধান লাগবে, জামায়াতের সমাবেশে সারজিস আলম

আমাদের নতুন সংবিধান লাগবে। গণপরিষদ নির্বাচন লাগবে। নারীদের অধিকার ও সংখ্যালঘু ভাই-বোনদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।
সারজিস বলেন, অভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে আমরা আরেক বছরে এসে উপস্থিত হয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে মুজিববাদীদের ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি। গোপালগঞ্জে মুজিববাদীদের আস্তানা গড়ে উঠেছে। মুজিববাদের সদস্যরা এখনো বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সক্রিয়। এই মুজিববাদ একটি আদর্শ। শুধু আইনিভাবেই মুজিববাদের মোকাবিলা করা যাবে না। আমাদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবেই মুজিববাদের কোমর ভেঙে দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু স্বৈরাচারের প্রশ্নে অভ্যুত্থানের সব শক্তি একসঙ্গে থাকতে হবে। এই বাংলাদেশে আবার নতুন করে মুজিববাদী ভারতপন্থি শক্তিগুলো এখন সক্রিয় হচ্ছে। আমাদের মতবিরোধ থাকতে পারে তবে এই বাংলাদেশে বাংলাদেশপন্থি ব্যতীত অন্য কোনো পন্থির জায়গা হবে না। এই বাংলাদেশে আর কোনো ভারতীয় আধিপত্যবাদের জায়গা হতে দেওয়া যাবে না। অন্য যে কোনো দেশের নামে বাংলাদেশ হতে দেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, হাজারের অধিক ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে। একটা আকাঙ্ক্ষা ছিল, জুলাই-আগস্টের ৫ তারিখ আমাদের যে স্বপ্ন ছিল আরেক ৫ আগস্ট আসতে চলেছে আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সুশীল সরকারের ভূমিকায় চাই না। এই বাংলাদেশে খুনি হাসিনার বিচারের রায় হতেই হবে।
সারজিস বলেন, এই বাংলাদেশের বিচার বিভাগে কোনো দলের বিচার বিভাগ হিসেবে আমরা দেখতে চাই না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ক্ষমতার তোষামদের বাহিনী হিসেবে দেখতে চাই না। কেউ চাঁদাবাজি করলে আমরা সেটা মুখের ওপর বলবো। কিন্তু স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে আমরা একতাবদ্ধ থাকবো।
রাজনীতি
জামায়াতের সমাবেশে দাওয়াত পায়নি বিএনপি

জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
শনিবার বিকেলে (১৯ জুলাই) দলের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জামায়াতের এই সমাবেশে বিএনপির কাউকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, পিআরের পক্ষে থাকা দলগুলোকে কেবল এই জাতীয় সমাবেশে আমন্ত্রণ করা হয়েছে।
রাজনীতি
কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে জামায়াতের সমাবেশ শুরু

সাত দফা দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশের মূল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুর ২টায় কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশের মূল কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে জাতীয় সমাবেশের প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সাইফুল্লাহ মানসুর। সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছে।
সাত দফা দাবিতে আয়োজিত জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে মানুষের ঢল নেমেছে। সমাবেশ শুরুর অনেক আগেই দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতিতে প্রায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। উদ্যানের বাইরেও অবস্থান করছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী।
নেতাকর্মীদের অনেকের হাতে তাদের দলীয় প্রতীক দাাঁড়িপাল্লা শোভা পাচ্ছে। দাঁড়িপাল্লা ও দলীয় মনোগ্রাম সম্বলিত টি-শার্ট ও পাঞ্জাবি পরে এসেছেন হাজারো নেতাকর্মী।
সাত দফা দাবিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, সব গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, ‘জুলাই সনদ’ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন ও এক কোটির বেশি প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো এককভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করছে দলটি।