অর্থনীতি
এনবিআরের ৫ যুগ্ম কমিশনারসহ ৮ কর কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

এবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর বিভাগের পাঁচ যুগ্ম কর কমিশনার ও তিন উপ-কর কমিশনারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের থেকে ইস্যু করা পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- কর অঞ্চল-২ এর যুগ্ম কর কমিশনার মাসুমা খাতুন, কর অঞ্চল-১৫ এর মুরাদ আহমদ, কুষ্টিয়া কর অঞ্চলের মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন, নোয়াখালী কর অঞ্চলের মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা ও কক্সবাজারের কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশার আশরাফুল আলম প্রধান এবং উপ-কর কমিশনার শিহাবুল ইসলাম, রংপুরের নুশরাত জাহান শমী ও কমিল্লার উপ-কর কমিশনার ইমাম তৌহিদ হাসান শাকিল।

অর্থনীতি
৫৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কাতার থেকে কেনা হচ্ছে এক কার্গো এলএনজি

দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে আগস্ট মাসের জন্য এক কার্গো এলএনজি আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কাতার থেকে এই এলএনজি আনতে ব্যয় হবে ৫৫৬ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার ৯০৬ টাকা।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে ১ কার্গো (৪-৫ আগস্ট ২০২৫ সময়ে ৩৩তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি কমিটি।
জানা গেছে, পেট্রোবাংলা কর্তৃক ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) স্বাক্ষরকারী চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দাখিল করা ৩টি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান কাতার এনার্জি ট্রেডিং এলএলসি, কাতার থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতি এমএমবিটিইউ ১৩.২৪ মার্কিন ডলার হিসেবে এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৫৫৬ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার ৯০৬ টাকা।
অর্থনীতি
বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে স্বাক্ষরিত দেশি-বিদেশি সব ধরনের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগের সরকারের সময়ে কিছু পাওয়ার প্ল্যান্টের চুক্তি হয়, যেখানে বেশ কিছু অসম শর্ত রয়েছে। এসব চুক্তি পর্যালোচনার বিষয়ে হাইকোর্ট নির্দেশনা দিয়েছে। দেশি-বিদেশি সব ধরনের পাওয়ার প্ল্যান্ট চুক্তি পর্যালোচনায় আইনি সহায়তা গ্রহণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, খাদ্য মজুদ সন্তোষজনক। কী কী কেনা হবে সেটির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছি। সবচেয়ে বেশি বোরো ধান কেনা হয়, এরপর আমন। সবচেয়ে কম কেনা হয় আউশ। সরকার বাজারে মূল্য স্থিতিশীল চেষ্টা করছে, দামের উঠানামা খুব বেশি যেন না হয়।
এ সময় ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও জানান, জুলাই স্মৃতি জাদুঘর উদ্বোধন করা হবে আগামী ৫ আগস্ট। এর নির্মাণ ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কাফি
অর্থনীতি
ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের ব্যাংক হিসাব তলব

ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী পরিচালিত দেশের বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
সোমবার (১৪ জুলাই) দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঠানো এক চিঠিতে বিএফআইইউ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। সংস্থাটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, তার স্ত্রী মার্জিনা বেগম, দুই পুত্র—জুন্নুন সাফওয়ান ও জুনায়েদ জুলকার নাঈম এবং কন্যা তাসমিয়া তারান্নুম নাওমির নামে বা স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্য কোনো নামে চালু থাকা ব্যাংক হিসাব, হিসাব খোলার ফরম, হালনাগাদ বিবরণী, সঞ্চয়পত্র, বন্ড, লকার, ক্রেডিট কার্ড, স্টুডেন্ট ফাইল, প্রি-পেইড কার্ড, গিফট কার্ডসহ পাঁচ লাখ টাকা বা তার অধিক লেনদেনের যাবতীয় ভাউচার আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠাতে হবে।
বিএফআইইউর চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, লেনদেন তলবের এ নির্দেশ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালার সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী কার্যকর হবে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যও ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র বলছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী দেশ ছাড়লে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট ব্যাংকটির নতুন পর্ষদ গঠন করে পাঁচজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়। সেখানেই ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং তার আগে ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত রূপালী ব্যাংকের এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সোনালী ব্যাংক থেকে অবসরের পর দীর্ঘ বিরতি শেষে তিনি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তবে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিংয়ে তার অভিজ্ঞতা না থাকায় তিনি শুরু থেকেই সমালোচনার মুখে পড়েন। এ নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের ভেতরে দুটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে বলেও ব্যাংকসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে। তাদের মধ্যে একটি পক্ষ বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপকে বাঁচাতে কাজ করছে; তাদের সমর্থন দিচ্ছেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান।
অর্থনীতি
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হলেন আক্তার হোসেন

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ড. মোহাম্মদ আক্তার হোসেন। সোমবার (১৪ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
চুক্তিভিত্তিক এ নিয়োগের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে দুই বছর। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির শর্ত অনুযায়ী তার দায়িত্ব ও কর্মপরিধি নির্ধারিত হবে।
চিফ ইকোনমিস্ট বা প্রধান অর্থনীতিবিদ হিসেবে তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ও পরিচালনা পর্ষদকে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি, মুদ্রানীতি এবং ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা বিষয়ে নীতিগত পরামর্শ দেবেন। এই পদটি অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হয়।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে প্রধান অর্থনীতিবিদ পদ থেকে পদত্যাগ করেন ফয়সাল আহমেদ। এরপর গবেষণা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মো. হাবিবুর রহমানকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনিই ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তর থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রথম প্রধান অর্থনীতিবিদ।
পরবর্তীসময় ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি ডেপুটি গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলে প্রধান অর্থনীতিবিদের পদটি শূন্য হয়ে পড়ে।
অর্থনীতি
১৩ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের প্রথম ১৩ দিনে ১১৯ কোটি ৪০ লাখ (১ দশমিক ১৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশের মুদ্রায় এর পরিমাণ (১ ডলার ১২১ টাকা ধরে) প্রায় ১৪ হাজার ৪৪৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এর মধ্যে গতকাল রোববার (১৩ জুলাই) একদিনেই এসেছে ১২ কোটি ৩০ লাখ ডলার বা ১৪৪৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
সোমবার (১৪ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুলাইয়ের প্রথম ১৩ দিনে ১১৯ কোটি ৪০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। যা গত বছরের একই সময়ে (২০২৪ সালের জুলাইয়ের ১৩ দিন) ছিল ৯৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি এসেছে ২১ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা প্রায় ২ হাজার ৬০১ কোটি টাকা।
এর আগে সদ্যবিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে পাঠিয়েছেন প্রায় ২৮১ কোটি ৮০ লাখ (২ দশমিক ৮২ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩৪ হাজার ৪০৪ কোটি টাকার বেশি। প্রতিদিন গড়ে এসেছে ৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার ১১৪৭ কোটি টাকা। এটি একক মাস হিসেবে তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।
গত মে মাসে দেশে এসেছে ২ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার, যা ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তারও আগে গত মার্চে রেমিট্যান্স আসে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে, বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত পুরো সময়ে মোট ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স আসে। এরপর আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার, মে মাসে ২৯৭ কোটি ডলার এবং সবশেষ জুন মাসে রেমিট্যান্স আসে ২৮২ কোটি ডলারের।