আন্তর্জাতিক
মে মাসে মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি আরও বেড়েছে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে এবং সরবরাহ চেইনে বিঘ্ন ঘটিয়েছে। ফলে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি মে মাসে মোট ৭১.৫ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড করেছে। এর আগে এপ্রিল মাসে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৬০.৩ বিলিয়ন ডলার।
দেশটির বাণিজ্য বিভাগের প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, মে মাসে আমদানি ও রপ্তানি উভয়ই কমে গেছে। মার্কিন আমদানি ০.১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫০.৫ বিলিয়ন ডলারে। ভোক্তা পণ্যের আমদানি ৪ বিলিয়ন ডলার কমেছে, বিশেষ করে পোশাক ও খেলনা আমদানিতে পতন দেখা গেছে। তবে গাড়ি ও যন্ত্রাংশের আমদানি বেড়েছে।
অন্যদিকে রপ্তানি ৪.০ শতাংশ কমে ২৭৯.০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। শিল্প কাঁচামাল এবং উপকরণ রপ্তানিতেই বেশি পতন দেখা গেছে।
যদিও ট্রাম্প এপ্রিল মাসে কিছু কঠোর শুল্ক থেকে সরে আসেন, তবে চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর দ্বিগুণ হারে শুল্ক আরোপ করেন।
ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ সেই সময় তীব্র রূপ নেয়। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনিশ্চয়তার কারণে পণ্য প্রেরণ বন্ধ রাখে। একে অনেকেই বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার মতো পরিস্থিতি হিসেবে দেখেছেন।
পরবর্তীতে মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন কিছুটা সমঝোতায় পৌঁছায় ও অস্থায়ীভাবে শুল্ক কমায়।

আন্তর্জাতিক
গাজায় একদিনে আরও ১১৮ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাছাড়া আহত হয়েছেন ৫৮১ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত ফ্রানচেস্কা আলবানিজ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ তুলে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং বাণিজ্য ও আর্থিক সম্পর্ক সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে হামাস জানিয়েছে, গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি নতুন প্রস্তাব তারা পর্যালোচনা করছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজাযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৭ হাজার ১৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন এক লাখ ৩৪ হাজার ৫৯২ জন।
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইসরায়েল সম্মতি জানিয়েছে এবং এখন তিনি হামাসকে এই প্রস্তাব গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানটারিয়ান ফাউন্ডেশন বা জিএইচএফ এর কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়েছে ১৩০টিরও বেশি সাহায্য সংস্থা ও আরও কিছু এনজিও। যেসব সংস্থা বিতর্কিত এই সংস্থাটির কার্যক্রম বন্ধের দাবি করেছে তার মধ্যে অক্সফাম, সেভ দ্য চিলড্রেন ও অ্যামনেস্টির মতো সংস্থাও রয়েছে।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাজ্যে ভিন্ন নামে ফ্ল্যাট কিনলেন নেতানিয়াহুর ছেলে

যুক্তরাজ্যে ভিন্ন নামে অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ছেলে আভনের নেতানিয়াহু।
বুধবার (২ জুলাই) প্রকাশিত ইসরায়েলের ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক পত্রিকা ‘ক্যালকালিস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে নেতানিয়াহুর পুত্র ‘আভি আভনের সেগাল’ নামে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড শহরে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন। যার মূল্য ছিল পাঁচ লাখ ইউরোরও বেশি।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওই অ্যাপার্টমেন্ট কেনার বিষয়ে ইসরায়েলের কর কর্তৃপক্ষকে কোনো ধরনের জবাবদিহি করেননি আভনের।
ইসরায়েলি আইনে বিদেশে স্থাবর সম্পত্তি থাকলে নির্ধারিত হারে কর পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু ক্যালকালিস্ট-এর অভিযোগ, আভনের নেতানিয়াহু সম্পদের প্রকৃত পরিমাণ গোপন রেখে সরকারের কাছে কম কর পরিশোধ করেছেন।
তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে আভনের বা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
নেতানিয়াহু পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এর আগেও নানা বিতর্ক ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে স্বচ্ছতা ও অর্থনৈতিক দায়বদ্ধতা নিয়ে তাদের কর্মকাণ্ড একাধিকবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের গোপন লেনদেন জনমনে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে এবং নেতানিয়াহুর নেতৃত্বের প্রতি আস্থাও দুর্বল করতে পারে।
আন্তর্জাতিক
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ফেরিডুবি, নিখোঁজ ৪৩

ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন দ্বীপ বালির কাছে যাত্রীবাহী একটি ফেরি ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফেরিটিতে থাকা ৬৫ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
স্থানীয় সময় বুধবার (২ জুলাই) রাতের দিকে পূর্ব জাভার কেটাপাং বন্দর থেকে ছাড়ার ৩০ মিনিট পরই ‘কেএমপি তুনু প্রত্যমা জয়া’ নামের ফেরিটি ডুবে যায়। এটি বালির গিলিমানুক বন্দরের দিকে যাচ্ছিল।
ফেরিটিতে ৫৩ জন যাত্রী, ১২ জন কর্মী এবং ২২টি যানবাহন ছিল। এদের মধ্যে ১৪টি ট্রাক ছিল বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় উদ্ধার সংস্থা।
দুর্ঘটনার পর ২০ জনকে জীবিত এবং ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধানে রাতভর উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। তবে উত্তাল সমুদ্রের কারণে উদ্ধার তৎপরতায় বিঘ্ন ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার অভিযান চালানোর সময় সমুদ্রে প্রায় দুই মিটার উচ্চতার ঢেউ ছিল। ৯টি নৌযান দিয়ে অনুসন্ধান চলছে, যার মধ্যে রয়েছে দুইটি টাগ বোট ও দুইটি রাবার বোট।
প্রসঙ্গত, ১৭ হাজারের বেশি দ্বীপ নিয়ে গঠিত ইন্দোনেশিয়ায় নৌপথই অন্যতম প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম। তবে নিরাপত্তার ঘাটতিতে প্রায়ই সেখানে নৌ দুর্ঘটনা ঘটে।
আন্তর্জাতিক
১০ টাকা ফেসভ্যালুর শেয়ার প্রথম দিনেই ৮৩৫ টাকায় লেনদেন

ভারতের শেয়ারবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে তালিকাভুক্তিতে নতুন শেয়ারে বাজিমাত দেখা গেছে। শেয়ারবাজারে পা রাখার প্রথম দিনেই বিনিয়োগকারীদের পকেট ভরাল এইচডিএফসি ব্যাংকের শাখা কোম্পানি এইচডিবি ফাইন্যান্স।
বুধবার (০২ জুলাই) বম্বে এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয় এইচডিবি ফাইন্যান্সের। এদিন প্রতিটি শেয়ারের দাম ওঠে ৮৩৫ টাকা। শেয়ারটির অভিহিত মূল্য ১০ টাকা।
ভারতের ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দাবি, এক বছরের ফরোয়ার্ড প্রাইস-টু-বুকের নিরিখে এইচডিবি ফাইন্যান্সের শেয়ারে তালিকাভুক্তির মূল্য বেড়েছে ৩.৪ গুণ। এই সূচক আর্থিক কোম্পানির সমকক্ষ বাজাজ় ফিন্যান্স এবং চোলা ইনভেস্টমেন্টের চেয়ে কিছুটা কম। কিন্তু নিফটি-৫০র অন্তর্গত অন্যান্য আর্থিক কোম্পানির চেয়ে বেশি।
তালিকাভুক্তির পরে অধিকাংশ আর্থিক বিশ্লেষক এইচডিএফসি ব্যাংকের শাখা কোম্পানিটির শেয়ারকে বাই রেটিং দিয়েছেন। তাঁদের অনুমান, অচিরেই স্টকটির দাম ৯০০ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। অর্থাৎ এতে ২২ শতাংশের বৃদ্ধি দেখতে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাঁদের অনুমান, আগামী তিন বছরের মধ্যে ২০ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পাবে এইচডিবির অ্যাসেট আন্ডার ম্যানেজ়মেন্ট (এইউএম)। ফলে শেয়ারটির সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আইপিওর মূল্যসীমা (প্রাইস ব্যান্ড) ঘোষণা করে এইচডিবি ফিন্যান্স। এতে ১০ টাকা ফেসভ্যালুর স্টকে বিনিয়োগকারীদের দিতে হয়েছে ৭৩০ টাকা। আইপিওর মাধ্যমে এই কোম্পানিটি ৬৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা তুলেছে।
কাফি
আন্তর্জাতিক
গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্তে রাজি ইসরায়েল: ট্রাম্প

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ৬০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয় শর্তে রাজি হয়েছে দখলদার ইসরায়েল। বুধবার (২ জুলাই) ভোরে এ তথ্য জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চলাকালীন সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করে স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে ট্রাম্প লিখেছেন, “৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত করতে ইসরায়েল প্রয়োজনীয় শর্তে রাজি হয়েছে। এ সময়ে যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধে আমরা সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করব।”
তিনি লিখেছেন, “কাতারি ও মিসরীয়রা শান্তি আনয়নে অনেক কষ্ট করেছে। তারা এটির চূড়ান্ত প্রস্তাব দেবে৷ আমি আশা করি, মধ্যপ্রাচ্যের ভালোর জন্য, হামাস এ চুক্তি গ্রহণ করবে। কারণ এটি ভালো নয়, আরও খারাপ হবে।”
গত কয়েক মাস ধরেই দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের ৬০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে। যেটির প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফ৷ ট্রাম্প সম্ভবত ওই প্রস্তাবটিকেই ইঙ্গিত করেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।
তবে এ প্রস্তাবের আলোচনা থমকে ছিল দীর্ঘদিন। কারণ দখলদার ইসরায়েল এই অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির পর গাজায় আবারও হামলা চালানোর অধিকার রাখতে চায়। অপরদিকে হামাস জানিয়েছে, যতক্ষণ তাদের স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা না দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ তারা অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে না।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ট্রাম্প স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্ভবত দুইপক্ষকেই সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টা করছেন।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য যেসব বিষয়ে এখনো মতপার্থক্য রয়েছে, সেগুলো দূর করার চেষ্টা করছে আরব মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো।
এদিকে এর আগে পরশুদিন ট্রাম্প জানান, তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতি চান। এরপর হোয়াইট হাউসও জানায়, ট্রাম্প গাজায় আর হত্যাযজ্ঞ দেখতে চান না৷ এ কারণে যুদ্ধ বন্ধকে প্রাধান্য দিচ্ছেন তারা।
আগামী সোমবার দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের বৈঠক হবে। এর আগেই যুদ্ধ বন্ধের জন্য ইসরায়েলকে চাপ দিচ্ছে মার্কিনিরা।
কাফি