জাতীয়
চীন-পাকিস্তানকে নিয়ে কোনো জোট করছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

চীন ও পাকিস্তানকে নিয়ে বাংলাদেশ কোনো জোট গঠন করছে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সম্প্রতী চীনের কুনমিংয়ে বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠককে কেন্দ্র করে ত্রিপক্ষীয় জোট গঠনের গুঞ্জন ছড়ালেও তা সঠিক নয়। বাংলাদেশ কোনো জোট গঠন করছে না।
তিনি বলেন, কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত একটি প্রদর্শনীর সাইডলাইনে তিন দেশের পররাষ্ট্রসচিব বসে আলাপ-আলোচনা করেছি। আলাপ-আলোচনা পুরোপুরি ছিল কানেক্টিভিটি, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি নিয়ে।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতের সাথে সম্পর্ক শীতল না হলেও এটা ‘রিআ্যাডজাস্টম্যান্ট’ বা পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের সাথে ভারতের যেরকম ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল, ভারত যেরকম সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছিল, আমাদের সাথে বর্তমান সম্পর্কটা ঠিক ওই রকম নাই। কাজেই এটাকে আমি রিঅ্যাডজাস্টমেন্ট বলছি।
মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, একমাত্র রোহিঙ্গা সমস্যা ছাড়া মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের সংঘাত নেই। রোহিঙ্গা ইস্যুর একমাত্র সমাধান হচ্ছে, তাদের দেশে ফিরে যাওয়া।
কাফি

জাতীয়
মালয়েশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

দ্বি-পাক্ষিক সফরে আগামী আগস্টে মালয়েশিয়া যাবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জুলাই মাসে এই সফরের কথা ছিল। কিন্তু ওই মাসে অনেক প্রোগাম থাকার কারণে সফরটি আগস্টে হবে।
এ সময় চীন ও পাকিস্তানকে নিয়ে বাংলাদেশ কোনো জোট গঠন করছে না বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, সম্প্রতী চীনের কুনমিংয়ে বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠককে কেন্দ্র করে ত্রিপক্ষীয় জোট গঠনের গুঞ্জন ছড়ালেও তা সঠিক নয়। বাংলাদেশ কোনো জোট গঠন করছে না।
তৌহিদ হোসেন বলেন, কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত একটি প্রদর্শনীর সাইডলাইনে তিন দেশের পররাষ্ট্রসচিব বসে আলাপ-আলোচনা করেছি। আলাপ-আলোচনা পুরোপুরি ছিল কানেক্টিভিটি, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি নিয়ে।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, ভারতের সাথে সম্পর্ক শীতল না হলেও এটা ‘রিআ্যাডজাস্টম্যান্ট’ বা পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, একমাত্র রোহিঙ্গা সমস্যা ছাড়া মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের সংঘাত নেই। রোহিঙ্গা ইস্যুর একমাত্র সমাধান হচ্ছে, তাদের দেশে ফিরে যাওয়া।
কাফি
জাতীয়
শেখ হাসিনা পালানোর ব্রেকিং নিউজ দিয়ে অ্যাওয়ার্ড পেলেন শফিকুল আলম

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ব্রেকিং নিউজ দেওয়ার সুবাদে আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সাংবাদিক শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি জানিয়েছেন শফিকুল আলম নিজেই।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, এটা আমার জন্য বড় খবর। “বাংলাদেশ বিপ্লব” এবং শেখ হাসিনার দেশত্যাগের ব্রেকিং নিউজ কাভার করার জন্য অনারেবল মেনশন (সম্মানজনক স্বীকৃতি) পেয়েছি।
পোস্টের সঙ্গে অ্যাওয়ার্ডের একটি ছবি যুক্ত করেন তিনি। ছবিতে দেখা যায়, দ্য সোসাইটি অব পাবলিশারস ইন এশিয়া ২০২৫ (এসওপিএ) অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় শফিকুল আলম আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপির (Agence France-Presse) ব্যুরো প্রধান ছিলেন।
জাতীয়
তিন জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে কমিটি গঠন

২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং প্রশাসনের ভূমিকা খতিয়ে দেখা এবং ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামীম হাসনাইনকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের এ কমিটিতে রয়েছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব শামীম আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক (সুপণ), জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার তাজরিয়ান আকরাম হোসাইন এবং নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশে-বিদেশে এ তিনটি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা, অনিয়ম, দুর্নীতি এবং ভোটাধিকার খর্ব করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ভূমিকা এবং সম্ভাব্য আর্থিক অনিয়মও তদন্ত করা হবে।
কমিটিকে বলা হয়েছে নির্বাচনে অনিয়মের দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ এবং ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইন, বিধি-বিধান, কমিশন ও প্রশাসনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের সুপারিশ প্রস্তুত করতে। কমিটি আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরকারকে প্রতিবেদন দেবে এবং প্রয়োজনমতো যেকোনো দপ্তর থেকে নথি তলব ও ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করার ক্ষমতা রাখবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সাচিবিক এবং কমিশন লজিস্টিক সহায়তা দেবে এবং এ তদন্ত কার্যক্রম তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।
জাতীয়
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বাস্তবতা, প্রস্তুতির বিকল্প নেই: রিজওয়ানা হাসান

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি এখন আর কেবল ভবিষ্যতের আশঙ্কা নয়, এটি এক অবশ্যম্ভাবী বাস্তবতা।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর শুক্রাবাদের দৃকপথ ভবনে আয়োজিত ‘ডিসকাশন, বুক লঞ্চিং অ্যান্ড ফটো এক্সিবিশন অন ‘লাইভস অন দ্য এজ অব ক্লাইমেট চেঞ্জ: স্ট্রাগল, হোপ অ্যান্ড দ্য ফিউচার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের জাতীয় পর্যায়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। অভিযোজনকেই এখন প্রধান কৌশল হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো এখন সময়ের দাবি। অথচ উন্নত বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন রোধে নিজেদের স্বার্থে কোনো ছাড় দিতে রাজি নয়।
তিনি আরও জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সরকার জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় ৪২টি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে ১০০টি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন করা হবে, যেখানে কৃষকরা বিনামূল্যে ফসল সংরক্ষণের সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি, বেসরকারি সংস্থাগুলোর জন্য জলবায়ু ফান্ডে আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করতে সরকার নীতিগত সহায়তা দেবে। উপকূলীয় জনগণের সুরক্ষায় বেড়িবাঁধ মেরামতের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে, যা জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স-এর চেয়ারপারসন ও দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অক্সফাম বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশীষ দামলে, দৃক পিকচার লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম, উপপ্রধান বন সংরক্ষক মো. রকিবুল হাসান মুকুল এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠান শেষে ‘লাইভস অন দ্য এজ অব ক্লাইমেট চেঞ্জ: স্ট্রাগল, হোপ অ্যান্ড দ্য ফিউচার’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এবং ফটো এক্সিবিশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান।
কাফি
জাতীয়
শেখ পরিবারের নামে থাকা ৮০৮ স্থাপনার নাম পরিবর্তন

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে নামকরণ করা ৮০৮টি স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিগত সরকারের ১৬ বছরে দেশের ৯৭৭টি অবকাঠামো ও প্রতিষ্ঠানের নাম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবার ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদদের নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরমধ্যে রয়েছে সেনানিবাস, বিমানঘাঁটি, নৌ-বাহিনীর জাহাজ, মেগাসেতু, সড়ক, স্থাপনা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, গবেষণাকেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
ইতোমধ্যেই এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশের নাম (৮০৮) পরিবর্তন করা হয়েছে। অবশিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম পরিবর্তনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে নামকরণ করা আরও ১৬৯টি স্থাপনার নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া চলছে। ৮০৮টি স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
কাফি