আইন-আদালত
সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল ৩ দিনের রিমান্ডে

রাষ্ট্রদ্রোহ ও প্রহসনের নির্বাচন করার ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এ রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এদিন মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে কাজী হাবিবুল আউয়ালকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার এ আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ড মঞ্জুর চেয়ে শুনানি করেন পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী। অন্যদিকে আসামির রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর মগবাজার থেকে হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না করে উল্টো ভয়ভীতি দেখিয়ে জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে গত ২২ জুন একটি মামলা করে বিএনপি। সংগঠনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন খান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। পরে ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার মো. আব্দুল মোবারক, আবু হানিফ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী, শাহ নেওয়াজ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, তৎকালীন পুলিশের আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী, তৎকালীন ঢাকা মহানগরের পুলিশ কমিশনার, সাবেক ডিজি র্যাব ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক এসবি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিজিএফআই প্রধান (নাম অজ্ঞাত), সাবেক এনএসআই প্রধান ও সাবেক ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল আলম, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব, আলমগীর হোসেন, আনিছুর রহমান ও তৎকালীন নির্বাচন সচিব (নাম অজ্ঞাত)।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, ওই তিন নির্বাচনে গায়েবি মামলা, গণগ্রেফতার, অপহরণ, গুম খুন ও নির্যাতন চালিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়। সংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও সংবিধান লঙ্ঘন, সরকারি কর্মচারী হয়েও অবৈধভাবে ভোটে হস্তক্ষেপ, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটের কাজ সম্পন্ন করা ও জনগণের ভোট না পেলেও সংসদ সদস্য হিসেবে মিথ্যাভাবে বিজয়ী ঘোষণা করে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ করেন নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য আসামিরা।
এ ঘটনার সাক্ষী সকল ভোটকেন্দ্র এলাকার ভোটাররা এবং ভোটারদের মধ্যে যারা ভোট প্রদান করতে বঞ্চিত হয়েছেন তারাসহ ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য। এছাড়া ভোটকেন্দ্রে অনেক সৎ প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ কর্মকর্তাসহ স্থানীয় লোকজনসহ আরও অনেকে ঘটনার সাক্ষী হবে। এছাড়া ব্যালট পেপারে যে সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রকৃতভাবে তারা ভোট দিয়েছে কি না, সে বিষয়ে উল্লিখিত ঘটনার সঠিক রহস্য তদন্তে সত্য উদঘাটিত হবে।

আইন-আদালত
স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

সিলেটের বিশ্বনাথে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা মামলায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়াও আরও ১৭ জন আসামির ২ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলায় মোট ৩২ জন আসামির মধ্যে একজন পলাতক রয়েছেন। আদালতের এপিপি কামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফাঁসির আদেশপ্রাপ্তরা হলেন- সাইফুল, নজরুল, সদরুল, সিরাজ, জামাল, শাহিন, আব্দুল জলিল ও আনোয়ার। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশপ্রাপ্তরা হলেন- ইলিয়াছ, আব্দুন নুর, জয়নাল, আশিক, আছকির, ফরিদ ও আকবর।
জানা যায়, ২০২১ সালের ১ মে বিশ্বনাথের চৈতননগর গ্রামের নজির উদ্দিনের ক্ষেতের জমি থেকে জোর করে রাস্তায় মাটি তুলতে চান যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল আলম। এসময় তাকে বাধা দেন নজির উদ্দিন, তার চাচাতো ভাই মানিক মিয়া ও ভাতিজা ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া সুমেল মিয়া। এতে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে সাইফুল আলমের বন্দুকের গুলিতে সুমেল মিয়া নিহত হয়। এসময় সুমেলের বাবা ও চাচাসহ ৪ জন গুলিবিদ্ধ হন।
ঘটনার পর সুমেলের চাচা ইব্রাহিম আলী সিজিল বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। তৎকালীন বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত কর্মকর্তা রমা প্রসাদ চক্রবর্তী চাঞ্চল্যকর এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৩২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। মামলায় মোট ২৩ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
গত ১৩ জুলাই মামলাটি যুক্তিতর্ক শেষে বুধবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়। ওইদিন আদালত ৩০ জন আসামিকে কারাগারে পাঠান। মামলায় ৩২ জন আসামির মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি মামুনুর রশীদ পলাতক রয়েছেন। এছাড়া প্রধান আসামি সাইফুল আটকের পর থেকে প্রায় পৌনে ৪ বছর ধরে কারাগারে আছেন।
কাফি
আইন-আদালত
আবু সাঈদ হত্যা: ৬ আসামি ট্রাইব্যুনালে

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার এএসআই আমির হোসেনসহ ৬ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে আসামিদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।
অন্য আসামিরা হলেন- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরীসহ ছয়জন।
এর আগে সোমবার (২৮ জুলাই) জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ওপর রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ হয়। আসামিপক্ষের শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। অন্য দুই সদস্য হলেন– অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি এ মামলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগসহ বিস্তারিত তুলে ধরেন। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ মামলার অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি হয়।
সোমবার সকাল ১০টার পর কারাগার থেকে এ মামলায় গ্রেপ্তার এএসআই আমির হোসেনসহ চার আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। অন্য আসামিরা হলেন– বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী।
এর আগে গত ২২ জুলাই এ মামলায় বেরোবির সাবেক ভিসি, রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনারসহ পলাতক ২৪ আসামির পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। একইসঙ্গে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়।
ওইদিন আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মঈনুল করিম।
কাফি
আইন-আদালত
সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক গ্রেফতারে জাতি স্বস্তি পেয়েছে: ল’ইয়ার্স কাউন্সিল

সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জসিম উদ্দিন সরকার ও সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ড. মো. হেলাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, খায়রুল হককে গ্রেপ্তারে বিলম্ব হলেও এতদিন পরে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করায় জাতি স্বস্তি পেয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, খায়রুল হক ২০১০ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের ১৭ মে পর্যন্ত দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার দুইজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি- বিচারপতি এম এ মতিন ও বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমানকে ডিঙিয়ে খায়রুল হককে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল মামলার রায় প্রদানকারী হিসেবে খায়রুল হক রাজনৈতিকভাবে ব্যাপক সমালোচিত হন। আপিল বিভাগে থাকাকালে তিনি সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় দেন, যার মধ্য দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়।
দেশের গণতন্ত্র রক্ষার্থে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখতে দেশের বিশিষ্ট আইনবিদদের জোরালো আবেদন উপেক্ষা করে অবসরের এক সপ্তাহ আগে বিচারপতি খায়রুল হক এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে রায় দেন। যার ফলে দেশে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বিচার বিভাগের উচ্চপদে আসীন হয়ে এই রায়ের মাধ্যমে তিনি প্রধান বিচারপতির আসনকে কলঙ্কিত করেছেন।
এই রায়ের মাধ্যমে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদী শাসন, শোষণ এবং বিরোধীদল নির্যাতন ও নিপীড়নে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতি এবং মামলার রায় জালিয়াতির মতো অভিযোগে কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে।
বিবৃতিতে নেতাকর্মীরা বলেন, বিচারবিভাগ মানুষের সবচেয়ে বড় আস্থার জায়গা। আর এই আস্থার জায়গাটাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন খায়রুল হক, শুধুমাত্র তার রাজনৈতিক হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য।
জাতি এখন তার অপরাধের সুষ্ঠু বিচার এবং যথাযথ শাস্তি দেখতে চায় দাবি করে নেতাকর্মীরা বলেন, ‘আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি, যাতে ওই পদে বসে আর কেউ এ ধরনের কাজ করার সাহস না পায়।’
এসএম
আইন-আদালত
সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক গ্রেপ্তার

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৮টায় ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে।
কোন মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তা ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানাতে পারেননি।
দেশে ১৯তম প্রধান বিচারপতি সেবে এবিএম খায়রুল হক শপথ নেন ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। পরের বছর (২০১১ সাল) ১৭ মে ৬৭ বছরপূর্ণ হওয়ায় তিনি অবসর নেন।
বিচারাঙ্গনে তুমুলভাবে আলোচিত-সমালোচিত এ বিচারপতির বেশ কয়েকটি রায় চরম বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। তিনি নিজে আওয়ামী আমলে নানাভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাকে প্রধান বিচারপতি করা হয়েছিল কয়েকজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে ডিঙিয়ে।
আইন-আদালত
সাবেক মন্ত্রী-আমলাসহ ৩৯ আসামি ট্রাইব্যুনালে

জুলাই-আগস্টে হত্যা-গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক ৭ মামলায় ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, দীপু মনি, আমির হোসেন আমু, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ৩৯ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। এই ৩৯ জনের মধ্যে সাবেক আমলা ও পুলিশ কর্মকর্তারা রয়েছেন।
রবিবার (২০ জুলাই) কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১ এ এসব মামলার শুনানি হবে।
এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এই ৩৯ জনসহ মোট ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
সেদিন জুলাই-আগস্টে হত্যা-গণহত্যার ঘটনায় মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, জুনাইদ আহমেদ পলকসহ মোট ১৬ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
অন্য আসামিরা হলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ফারুক খান, দীপু মনি, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু , কামরুল ইসলাম, সাবেক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। এরপর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিলে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়।