অর্থনীতি
পদ্মা সেতুর ৩ বছরপূর্তি: আড়াই হাজার কোটির মাইলফলক টোল আদায়ে

পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের ৩ বছর পূর্তি আজ। তিন বছরে টোল আদায় ছাড়িয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকারও বেশি। ২০২২ সালের ২৬ জুনের এই দিনে বহু প্রতিক্ষিত পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এরপর এক মুহূর্তের জন্য সেতুতে যান চলাচল বন্ধ হয়নি।
পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, এই তিন বছরে গতকাল ২৫ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত পদ্মা সেতু দিয়ে মোট ১ কোটি ৯৪ লাখ ৭৩ হাজার ৬০৭টি যান পারাপার হয়েছে। এতে মোট টোল আদায় হয়েছে ২ হাজার ৫৭৯ কোটি ১ লাখ ৫২ হাজার ৬শ টাকা। পদ্মা সেতুর ২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধন হলেও পরদিন ২৬ জুন এই দিনে পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু হয়। পরের বছর ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতুর রেলপথ উদ্বোধন হয়। আর ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর রেল লিঙ্ক প্রকল্প পুরোপুরি চালু হয়। এদিন রাজধানী থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে ভাঙ্গা হয়ে নতুন পথে নড়াইল ও যশোর অতিক্রম করে খুলনা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। রাজধানী থেকে মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টায় খুলনা ও বেনাপোল পৌঁছানো যায়। তাই এখন দক্ষিণের মানুষ সড়ক ও ট্রেন পথের সুফল পাচ্ছে।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর উত্তাল নদী পারপারের ভোগান্তি থেকে শুধু মুক্তিই মেলেনি এই সেতু পাল্টে দিয়েছে দক্ষিণের আর্থ সামাজিক অবস্থাও। উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত, শিল্প কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্যেও যুগান্তকারী পরিবর্তন। খুলে গেছে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। সেতুর ওপর তলায় সড়ক পথ ও আর নিচ দিয়ে ছুটছে ট্রেন। রাতদিন দ্রুত বেগে পদ্মার ওপর দিয়ে চলছে ট্রেন ও সড়ক পথের যাত্রা।
পদ্মা সেতুর দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়েদ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে পদ্মা সেতুতে যানচলাচল ও টোল আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, মূল পদ্মা সেতু ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের দীর্ঘ। তবে অ্যাপ্রোচসহ প্রায় ১০ কিলোমিটার। সেতু নিরাপত্তাসহ ট্রাফিক আইন মেনে পদ্মা সেতুতে যানাবাহানের নির্বিঘ্নে চলাচলে সেতু এবং দুই প্রান্তের সড়ক জুড়ে অত্যাধুনিক ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

অর্থনীতি
চলমান আন্দোলনে রাজস্ব আদায়ে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে: এনবিআর চেয়ারম্যান

কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনে রাজস্ব আদায়ে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) অডিটোরিয়ামে ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা ও ভ্যাট’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
ইয়ুথ পলিসি নেটওয়ার্ক এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা।
এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে গত ২২ জুন থেকে আন্দোলন করছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এনবিআর সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকার যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে; এটা নিয়ে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে অনেক দ্বিমত এসেছে। সেগুলো অ্যাড্রেস করে জুলাই মাসের মধ্যে একটা এমান্ডেন্ট করার ঘোষণা আমাদের অর্থ উপদেষ্টা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আজ এনবিআর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে সরকার। এই আলোচনার মাধ্যমে একটা সিদ্ধান্ত আমরা পাবো বলে আশা করছি। এরপর এটা নিয়ে অনেক… যাচ্ছে।
আন্দোলনের কারণে রাজস্ব আদায়ে সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে মো. আবদুর রহমান খান বলেন, জুন মাসের আর দুদিন আছে। প্রতিমুহূর্তে আমি কর আদায়ের পরিস্থিতি দেখি। গতকাল পর্যন্ত তিন লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকার কর আদায় হয়েছে। এবার আমাদের জিডিপির গ্রোথটা কম। গতবারের চেয়ে সিগনিফিকেন্ট গ্রোথ হবে আশা করছি। আন্দোলনের কারণে কিছুটা তো হ্যাম্পার হচ্ছেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই দেশের স্বার্থে কাজ করি। আমাদের দেশের স্বার্থ নিয়ে চিন্তা করা উচিত। সংস্কার, যে কোনো আইন করি, আন্দোলন করি, যা কিছু করি প্রত্যেকটাই আমাদের নিজেদের জন্য না হয়ে যদি দেশের জন্য হয়। ছোট ভাইবোনেরা যারা জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে সে স্পিরিট আমাদের মধ্যে এনেছে তা ধরে রেখে সবাই মিলে কাজ করলে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের ট্যারিফ কমাতে হবে। এবার বাজেট প্রায় আট লাখ কোটি টাকার। এর ফলে তিন লাখ কোটি টাকা ঋণ যোগ হবে। দেনা আরও বাড়লো। পরবর্তী প্রজন্মকে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। আমাদের ট্যাক্স জিডিপি কম। আমরা অটোমেশন করছি।
তিনি বলেন, গরিব মানুষের ওপর চাপ বাড়ায় বিস্কুটে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে ছাড় দিয়েছি।
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার কমেছে। যাতে মানুষের ওপর চাপ না পড়ে। বাজেটের সাইজ যতটা ছোট করেছে ধরে নিতে হবে রাষ্ট্র ততটা সঞ্চয় করেছে, ততটা ঋণের চাপ থেকে কমেছে।
তিনি জানান, গতকাল পর্যন্ত অনলাইন রিটার্ন ১৭ লাখ পার হয়েছে। গত বছর এটা ৫ লাখ ছিল। জুলাই থেকে আগামী অর্থবছরের অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া যাবে। ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো ও বন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম আধুনিক করা হয়েছে। কর যেখান থেকে নেওয়ার কথা সেখান থেকে নিতে পারলে এসব ক্ষেত্রে করছাড় দেওয়া যায়। ভোক্তারা সবসময় করছাড়ের সুবিধা পায় না।
অনুষ্ঠানে ইয়ুথ পলিসি নেটওয়ার্ক জানায়, পাউরুটি, বিস্কুটে যাতে ভ্যাট না থাকে আমরা সেটি চাই। তরুণ প্রজন্ম তথা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পাউরুটি খেয়ে থাকে। তাই পাউরুটি ও বিস্কুট থেকে ভ্যাট উঠিয়ে দিতে হবে।
অর্থনীতি
ইন্দোনেশিয়া থেকে ২৫ হাজার টন অকটেন কিনছে সরকার

ইন্দোনেশিয়া থেকে ২৫ হাজার টন গ্যাসোলিন ৯৫ আনলেডেড (অকটেন) আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই অকটেন আনতে ব্যয় হবে ২০৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ২৪তম সভায় এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বৈঠকের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, হরমুজ প্রণালির কারণে কোনো প্রভাব পড়েনি। যুদ্ধের ভেতরেও জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে সাশ্রয় হয়েছে। যুদ্ধ শুরুর আগে যে প্রাইস ছিল সেটা, যুদ্ধ বন্ধের পর প্রাইস কমেছে। ইমিডিয়েটলি আমরা রিটেন্ডার করে ৫ থেকে ১০ ডলার কম পেয়েছি। সেখানে প্রায় ৭০-৮০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এটা এনার্জি মিনিস্ট্রির একটা ক্রেডিট। মরক্কো, তিউনিশিয়া থেকে আসা সারের দাম কিছুটা বেড়েছে। এখানে কোনো উপায় ছিল না।
বিজ্ঞাপন
এ বৈঠকে উপস্থাপন করা ৭টি প্রস্তাবই অনুমোদন দেওয়া হয়। এরমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৩টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে ৩টি এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব রয়েছে।
জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে জুন ২০২৫ মাসে ২৫ হাজার টন গ্যাসোলিন ৯৫ আনলেডেড (অকটেন) আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
ইন্দোনেশিয়ার পিটি বুমি সিয়াক পুসাকো জাপিন (বিএসপি) থেকে এই অকটেন আমদানিতে ব্যয় হবে ২০৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। প্রতি ব্যারেলের প্রিমিয়াম প্রাইস ৫.৯৩ মার্কিন ডলার এবং রেফারেন্স প্রাইস ৭৩.৬১০ মার্কিন ডলার।
এছাড়া জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে জিটুজি মেয়াদি চুক্তির আওতায় পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির লক্ষ্যে জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৫ সময়ের প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স প্রাইস অনুযায়ী ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
কাফি
অর্থনীতি
আরব আমিরাত থেকে ৫০ হাজার টন গম কিনবে সরকার

সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখাসহ খাদ্য নিরাপত্তা বলয় সুসংহত রাখার লক্ষ্যে জিটুজি ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার টন গম ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এই গম আনতে ব্যয় হবে ১৬৮ কোটি ৮২ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ২৪তম সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ক্রয় কমিটির বৈঠকে গম কেনা হয়েছে। ফরচুনেটলি গমের দাম কমে গেছে। এই কেনাকাটায় ১৮ থেকে ২০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। চাল গমের যে রিজার্ভ আছে সেটা এখনও সন্তোষজনক। তবুও আমরা বলেছি ৫০ হাজার টন গম এনে রাখার জন্য। যাতে খাদ্যের কোনো শর্টেজ না হয়।
তিনি বলেন, হরমুজ প্রণালীর কারণে কোনো প্রভাব পড়ে নাই। যুদ্ধের ভেতরেও জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে সাশ্রয় হয়েছে। যুদ্ধ শুরুর আগে যে প্রাইস ছিল সেটা, যুদ্ধ বন্ধের পর প্রাইস কমেছে। ইমিডিয়েটলি আমরা রিটেন্ডার করে ৫ থেকে ১০ ডলার কম পেয়েছি। সেখানে প্রায় ৭০/৮০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এটা এনার্জি মিনিস্ট্রির একটা ক্রেডিট। মরক্কো, তিউনিশিয়া থেকে আসা সারের দাম কিছুটা বেড়েছে। এখানে কোনো উপায় ছিল না।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে সর্বমোট ৭টি প্রস্তাব উপস্থাপিত হলে সবকয়টি প্রস্তাবই অনুমোদন দেওয়া হয়। এরমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৩টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে ৩টি এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব রয়েছে।
জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন ২০২৫-২৬ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ-১ এর আওতায় ৫০ হাজার টন গম ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মেসার্স সিরিয়াল ক্রপস ট্রেডিং এলএলসি থেকে এই গম ক্রয়ে ব্যয় হবে ১৬৮ কোটি ৮২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। প্রতি টন গমের দাম পড়বে ২৭৫.০০ মার্কিন ডলার।
এরআগর গত (২০ মে) অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখকে জিটুজি ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে গম আমদানি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জিটুজি ভিত্তিতে গম ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন এবং পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ৮৩ (১) (ক) মোতাবেক আন্তর্জাতিক দরপত্রে ক্রয় প্রক্রিয়ায় সময় হ্রাস করার প্রস্তাব দেওয়া হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা অনুমোদন দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখাসহ খাদ্য নিরাপত্তা বলয় সুসংহত রাখার লক্ষ্যে জিটুজি ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে গম আমদানি করা আবশ্যক।
এ অবস্থায়, রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে পিপিএ ২০০৬ এর ধারা ৬৮(১) এবং পিপিআর, ২০০৮ এর বিধি ৭৬(২) অনুসরণে রপ্তানিকারক দেশ থেকে জিটুজি ভিত্তিতে ৩ লাখ টন গম কেনা এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৪ লাখ টন গম আমদানির লক্ষ্যে পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ৮৩ এর (১) (ক) অনুযায়ী দরপত্র দাখিলের সময়সীমা পত্রিকা বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে ৪২ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিন নির্ধারণ করার জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৭ লাখ ২৫ হাজার টন এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ২৫ হাজার টন গম সংগ্রহের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কাফি
অর্থনীতি
৯ মাসের অভিযানে এনবিআরের রাজস্ব আদায় ৯৯৪ কোটি টাকা

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের মে মাস অর্থাৎ ৯ মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অভিযান চালিয়ে ৯৯৪ কোটি টাকা রাজস্ব/কর আদায় করেছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল-আমিন শেখ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দুই অনুবিভাগের (কাস্টমস ও আয়কর) মাঠ পর্যায়ের দপ্তর এবং গোয়েন্দা সংস্থা ১৬ হাজার ৫৭২টি কর/রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটনে অভিযান চালিয়েছে। এসব ঘটনায় ৬ হাজার ২৪৬ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে ৯৯৪ কোটি টাকা আদায় করা গেছে।
তিনি আরও বলেন, এই সময়ে বিভিন্ন কাস্টম হাউজ মোট ২ হাজার ২১৫টি অভিযান পরিচালনা করে; যাতে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ ছিল ১৮৩ কোটি টাকা। এর পুরোটাই আদায় করা হয়েছে।
এনবিআরের এই কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট মোট ৬৮০৩ টি রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটনের অভিযান পরিচালনা করেছে যাতে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ ছিল ৫১৩ কোটি এবং আদায় হয়েছে মোট ৮৯ কোটি টাকা। নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, এছাড়া মূল্য সংযোজন কর, ঢাকা (ভ্যাট গোয়েন্দা) ২৩১টি রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটনের অভিযান পরিচালনা করেছে। এতে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ ছিল ১৬৩৯ কোটি এবং আদায় হয়েছে মোট ২৪০ কোটি টাকা। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এ সময়ে রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটনের অভিযান পরিচালনা করে মোট ৭৩ কোটি টাকা আদায় করেছে।
অপরদিকে, সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) ১৮১টি কর ফাঁকি উদঘাটনে অভিযান পরিচালনা করেছে। এতে রাজস্বের পরিমাণ ছিল ৩৬৬ কোটি টাকা এবং আদায়কৃত রাজস্বের পরিমাণ ১৯৪ কোটি টাকা। আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট মোট ১৭০টি কর ফাঁকি উদঘাটনে অভিযান পরিচালনা করেছে। এতে রাজস্বের পরিমাণ ছিল ১,৮৭৪ কোটি টাকা এবং আদায়কৃত রাজস্বের পরিমাণ ১১০ কোটি টাকা। এছাড়া, বিভিন্ন কর অঞ্চল মোট ৬, ৯৭২ টি কর ফাঁকি উদঘাটনে অভিযান পরিচালনা করেছে। এতে রাজস্বের পরিমাণ ছিল ১, ৫৮৮ কোটি টাকা এবং আদায়কৃত রাজস্বের পরিমাণ ১০৫ কোটি টাকা।
বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
অর্থনীতি
নতুন দামে সোনা বিক্রি শুরু

দেশের বাজারে নতুন করে সোনার দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
বুধবার (২৫ জুন) থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হচ্ছে। নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ৭২ হাজার ৮৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আজ থেকে। এ হিসেবে ভরি প্রতি ১ হাজার ৬৬৮ টাকা কমেছে সোনার দাম।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, গত ১৪ জুন, ৬ জুন, ২২ মে ও ১৮ মে দেশের বাজারে চার দফা বেড়েছিল সোনার দাম। এর মধ্যে সবশেষ ১৪ জুন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ২ হাজার ১৮২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫২৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ২ হাজার ১০০ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৮০৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ৮০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতনী প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৫২৮ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১৮ হাজার ১৬৮ টাকা। গতকাল (মঙ্গলবার) পর্যন্ত এই দামেই সোনা বিক্রি হয়েছে দেশের বাজারে।
তবে, এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৬৮ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ৮৬০ টাকা। আর ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৫৯৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৯৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৩৭৬ টাকা কমিয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৪১ হাজার ৪২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতনী প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ২ টাকা।
এদিকে সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত আছে রূপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রূপা এখন দেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮১১ টাকায়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতনী এক ভরি রূপার দাম ১ হাজার ৭২৬ টাকা।