জাতীয়
নোংরামি সত্ত্বেও ভদ্রতার সীমা লঙ্ঘন করিনি: আসিফ মাহমুদ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোটারদের আন্দোলন নিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
এর জবাবে নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে আসিফ মাহমুদ বলেন, “অকারণে আমার ছবিতে জুতা মারা, গুজব ছড়িয়ে পিতাকে ‘চালচোর’ বলা, নগর ভবন বন্ধ করে ১ কোটির বেশি নগরবাসীকে ভোগান্তিতে ফেলা এবং আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে জবাইয়ের শ্লোগান দেওয়ার জন্য কি তারা ক্ষমা চেয়েছে?” তিনি আরও বলেন, “অনেক নোংরামি করার পরও গত দেড় মাসে একবারও আমি ভদ্রতার সীমা লঙ্ঘন করিনি।”
উপদেষ্টা বলেন, যাদের প্ররোচনায় আন্দোলন হয়েছে এবং এর পেছনে থাকা রাজনীতির খেলা তারা ভালোই জানেন। তিনি ধৈর্য ধরেছেন, ব্যক্তিগতভাবে কাউকে আক্রমণ করেননি এবং এ ধরনের অন্যায় কখনোই জবাবহীন থাকে না — ইতিহাসই সবার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেবে।

জাতীয়
গণঅভ্যুত্থান দিবস পালনে ৩৬ সদস্যের জাতীয় কমিটি গঠন

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবসগুলো পালনের জন্য ৩৬ সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার (২৫ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি, মুক্তিযুদ্ধ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম এই কমিটির সহসভাপতি এবং সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী কর্মসূচি সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা, পরিকল্পনা উপদেষ্টা, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা, শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা, খাদ্য এবং ভূমি উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা, যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা, নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা, সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা, ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা, বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক এবং ড. ইফতেখারুজ্জামান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব/ মুখ্য সচিব, সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, বিমানবাহিনী প্রধান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের (অর্থ বিভাগ) সচিব এবং পররাষ্ট্র সচিব।
আগামী ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩৬ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান পালিত হবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে।
পহেলা জুলাই মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ অন্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহীদের স্মরণে দোয়া ও প্রার্থনার মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানমালা শুরু হবে।
জাতীয়
নির্ভুল পাঠ্যবই দিতে সরকার বদ্ধপরিকর: শিক্ষা উপদেষ্টা

২০২৬ সালের পহেলা জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের হাতে নির্ভুল পাঠ্যবই তুলে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার।
তিনি বলেন, পাঠ্যবই ছাপানোর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যাতে অতীতের ভুলভ্রান্তিগুলো সংশোধন করে ছাত্রছাত্রীদের হাতে যথাসম্ভব নির্ভুল পাঠ্যবই তুলে দেওয়া যায়।
বুধবার (২৫ জুন) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সভাকক্ষে শিক্ষা উপদেষ্টার সভাপতিত্বে শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জন সংক্রান্ত এক বিশেষ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, এনসিটিবির সহায়তায় সংগ্রহকৃত ২০২৫ সালের পাঠ্যপুস্তকসমূহে বানান ও ব্যাকরণগত ভুল, ছাপার অসংগতি, তথ্যের বিভ্রাট পরিলক্ষিত হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষাক্রমে বিদ্যমান ১২৩টি পাঠ্যপুস্তক ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরে আলাদা আলাদা বিশেষজ্ঞদের প্যানেল দ্বারা সংশোধন ও পরিমার্জন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রাপ্ত মতামত এনসিটিবি কর্তৃক যাচাই-বাছাই ও সংশোধন করে ছাপানোর কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা হলো বৈষম্য দূর করার হাতিয়ার। এই কাজে জনসম্পৃক্ততা প্রয়োজন। সবার সুচিন্তিত মতামত ও বুদ্ধিবৃত্তিক অংশগ্রহণ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করতে পারে। সে লক্ষ্যে সারা দেশের সব শিক্ষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সম্পৃক্ত করার ব্যাপারেও সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে সারা দেশের সব শিক্ষকদের বিদ্যমান ২০২৫ সালের পাঠ্যপুস্তকের বানান ও ব্যাকরণগত ভুল, ছাপার অসংগতি, তথ্যের বিভ্রাট সম্পর্কে নির্ধারিত ফরমে, সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্ধারিত ই-মেইলে তাদের মতামত প্রদান করতে পারবেন। অনতিবিলম্বে এনসিটিবি শিক্ষকদের মতামত প্রদানের সুযোগ তৈরির বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করেন এমন শিক্ষকদের মতামত নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। সময় নিয়ে, লাইন বাই লাইন দেখে, আলোচনা করে এটি করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি গণিত ও রসায়নের ক্ষেত্রে সর্বাধুনিক ভার্সনের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান সভায় জানান, ইতোমধ্যে কিছু বই পরিবর্তন করা হয়েছে।
এসময় সভায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর গোলাম দস্তগীর কাজী উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়
ডিএনসিসির ৬ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৬ হাজার ৬৯ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে। বুধবার (২৫ জুন) গুলশান নগর ভবনে অনুষ্ঠিত ডিএনসিসির ৭ম কর্পোরেশন সভায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন করা হয়।
এ বাজেটে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬,০৬৯ কোটি টাকা এবং ব্যয় প্রাক্কলনও ৬ হাজার ৬৯ কোটি টাকা।
২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩,৬৩৬ কোটি টাকা, যা মোট বাজেট আয়ের ৬০ শতাংশের সমপরিমাণ।
সভায় ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, রাজস্ব আদায়ের উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করাটা নিঃসন্দেহে একটি চ্যালেঞ্জ হবে। তবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন প্রস্তুত। ব্যয়ের ক্ষেত্রে নতুন সৃষ্ট ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
প্রস্তাবিত বাজেটে মোট বাজেটের প্রায় ৭৬ শতাংশ, অর্থাৎ ৪,৬২৪ কোটি টাকা উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়নে, যেখানে ২,০৩২.৫০ কোটি টাকা, অর্থাৎ বাজেটের ৩৩ শতাংশ বরাদ্দ রয়েছে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে, যা টাকার অঙ্কে ৪৩৬.৩০ কোটি টাকা এবং মোট বাজেটের ৮ শতাংশ।।মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ১৮৭.৭৫ কোটি টাকা, যা বাজেটের ৩ শতাংশ। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও পারিশ্রমিক বাবদ বরাদ্দ করা হয়েছে ২৫৭ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৪ শতাংশ।
২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের হোল্ডিং ট্যাক্স, পরিচ্ছন্নতা, লাইটিং ও স্বাস্থ্য খাত থেকে মোট রাজস্ব আয়ের ৪৫ শতাংশ আদায়ের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া সম্পত্তি হস্তান্তর খাত থেকে ১,০৮০ কোটি টাকা, অর্থাৎ প্রায় ৩০ শতাংশ আয়ের প্রাক্কলন করা হয়েছে।
অবশিষ্ট অর্থ সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা ও অনুদানের মাধ্যমে সংগ্রহের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সভায় ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডে কর্মরত “ওয়ার্ড সচিব” পদবির নাম পরিবর্তন করে “ওয়ার্ড সুপারভাইজার”, “ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর” অথবা “ওয়ার্ড অর্গানাইজার” নামকরণের প্রস্তাব প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য প্রেরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
কাফি
জাতীয়
আলোচনা প্রত্যাখ্যান, ২৮ জুন ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি ঘোষণা

অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আগামীকালের আলোচনার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। একই সঙ্গে ২৮ জুন কমপ্লিট শাটডাউনের পাশাপাশি ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর ঐক্য পরিষদের সভাপতি অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার ও অতিরিক্ত কর কমিশনার মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতাসহ আরও নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অর্থ উপদেষ্টা আগামীকাল (২৬ জুন) বিকেল ৫টায় বিসিএস (কর) ও সিসিএস (কাস্টমস ও এক্সাইজ) ক্যাডারের প্রতিনিধিদের তার সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা বরাবরই আলোচনার পক্ষে। আর আলোচনার পক্ষে ছিলাম বলেই ২০ মে উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় অংশগ্রহণ করি। সংস্কার ঐক্য পরিষদের ১৩ জন প্রতিনিধিসহ মোট ২৬ জন সভায় উপস্থিত ছিলেন। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের দুই জন প্রতিনিধিকে মোট ১০ মিনিট সময় দেওয়া হয়।
আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ার পরও আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে অর্থ উপদেষ্টা উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান। অর্থাৎ আমাদের আলোচনার অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। অন্যদিকে তিনি এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিদের আগামীকালের আলোচনার জন্য আহ্বান করেননি, চিঠিও পাঠাননি। সেহেতু এ আলোচনায় তারা অংশগ্রহণ করবে না।
আলোচনার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একজন বিতর্কিত সদস্যের স্বাক্ষরিত সভার নোটিশ এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ নোটিশের মাধ্যমে আগামীকাল অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে সভার প্রস্তুতি গ্রহণ করার লক্ষ্যে আজ (বুধবার) সকাল ১০টায় একটি সভা আহ্বান করা হয়েছে।
তবে নোটিশটি এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদকে পাঠানো হয়নি। কিন্তু মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি। ধরে নেওয়া যায়, একদিন আগের তারিখ দিয়ে জারিকৃত এই সভার নোটিশটি একটি আই-ওয়াশ ছাড়া কিছুই নয়। তদুপরি, ঐক্য পরিষদ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত কমিটির সঙ্গে আলোচনা করার কোনো সুযোগ নেই মর্মে ঐক্য পরিষদ মনে করে। এ অবস্থায় আমাদের দাবি অনতিবিলম্বে পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী ৪৪ আমলার তালিকায় তিন নম্বরে থাকা বর্তমান এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের মধ্য দিয়েই সরকারের রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কারের যাত্রা শুরু হবে। এর আগে কোনো আলোচনা নয়।
সংবাদ সম্মেলনে ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—
* আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রপ্তানি ব্যতীত আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের ঢাকার সব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজস্ব ভবনে অবস্থান কর্মসূচি ও কলম-বিরতি এবং ঢাকার বাইরে স্ব-স্ব দপ্তরে অবস্থান কর্মসূচি ও কলম-বিরতি চলবে। পাশাপাশি, চেয়ারম্যান ও তার দোসরদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ চলবে।
* এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যানকে ২৭ জুন তারিখের মধ্যে অপসারণ না করা হলে আগামী ২৮ জুন আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন চলবে। তবে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এই কমপ্লিট শাটডাউনের আওতা বহির্ভূত থাকবে। একই সঙ্গে সারাদেশের ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তর থেকে এনবিআর অভিমুখে ‘মার্চ টু এনবিআর’ পালিত হবে। এ কারণে ঢাকার বাইরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকিট কেটে রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদ উল্লেখ করেছে, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির সঙ্গে একাত্ম এনবিআরের কোনো সদস্য থেকে শুরু করে অফিস সহায়ক পর্যন্ত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অবসর প্রদান, বদলি/পদায়ন, প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক বদলি বা যে কোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ হলে আয়কর, কাস্টমস, ও ভ্যাট বিভাগের হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্মিলিতভাবে তা প্রতিহত করবে। আমরা মনে করি, জুলাই অভ্যুত্থানের টেকসই সংস্কারের স্পিরিট ও শিক্ষা থেকে আমরা যেন বিচ্যুত না হই। সার্বিক পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টার সানুগ্রহ হস্তক্ষেপ ছাড়া এই অচলাবস্থার নিরসন হবে না।
এদিকে আজ (বুধবার) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রপ্তানি ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে ঢাকার ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজস্ব ভবনে অবস্থান কর্মসূচি ও কলম-বিরতি এবং ঢাকার বাইরে স্ব-স্ব দপ্তরে অবস্থান কর্মসূচি ও কলম বিরতি পালন করা হয়। এ সময় দফা এক, দাবি এক, চেয়ারম্যানের পদত্যাগ— এমন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
অপরদিকে আজ এক বিবৃতিতে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আগামীকাল বিকেল ৫টায় বিসিএস (কর) এবং বিসিএস (কাস্টমস ও এক্সাইজ) ক্যাডারের প্রতিনিধিদের তার সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যার যার দপ্তরে অবস্থান করে অর্থবছরের শেষ কর্মদিবসগুলোতে রাজস্ব আহরণ কার্যক্রমে মনোনিবেশ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
জাতীয়
মূলনীতি নিয়ে ঐকমত্য তৈরি হয়নি: আলী রীয়াজ

রাষ্ট্রীয় মূলনীতি নিয়ে ঐকমত্য তৈরি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ।
বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ষষ্ঠ দিনের দ্বিতীয় দফার বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, কমিশন জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) প্রস্তাব পরিবর্তন করেছে। এর পরিবর্তে সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করে বলেন, এতে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা, দুই কক্ষের স্পিকার, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান বিচারপতির প্রতিনিধি সদস্য থাকবেন। এ বিষয়ে অধিকাংশ দল স্বাগত জানিয়েছে। কিছু দল আপত্তি জানিয়েছে। আরও কিছু পরামর্শও এসেছে। এ নিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব আগামী সপ্তাহে করা হবে।
ড. আলী রীয়াজ আরও বলেন, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি নিয়ে সিদ্ধান্তে না এলে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়েও সিদ্ধান্তে আসা যাচ্ছে না।
কাফি