জাতীয়
আশুরার তারিখ নির্ধারণে চাঁদ দেখা কমিটির সভা আগামীকাল

১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র মুহাররম মাসের চাঁদ দেখা এবং পবিত্র আশুরার তারিখ নির্ধারণে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র মুহাররম মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা নিম্নোক্ত টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
টেলিফোন নম্বর: ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬, ০২-৪১০৫০৯১৭

জাতীয়
এস আলমের দুই ছেলেসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রায় ৭৫ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের দুই ছেলেসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাইফুল আলমের ছেলে আশরাফুল আলম ও আসাদুল আলম মাহির, সাবেক উপ-কর কমিশনার আমিনুল ইসলাম, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. হেলাল উদ্দিন, শাখাপ্রধান মুহাম্মদ আমির হোসেন, প্রাক্তন এসএভিপি মো. আহসানুল হক, প্রাক্তন এসএভিপি রুহুল আবেদীন, কর্মকর্তা শামীমা আক্তার, মো. আনিস উদ্দিন এবং গাজী মুহাম্মদ ইয়াকুব।
দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আসামিরা একে অপরের সহায়তায় জাল-জালিয়াতি করে ভুয়া পে-অর্ডার ব্যবহার করেছেন। আশরাফুল আলম ও আসাদুল আলম মাহিরের ৫০০ কোটি টাকার অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার জন্য ১২৫ কোটি টাকা কর দেওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৫০ কোটি টাকা কর পরিশোধ করেন। ফলে বাকি ৭৫ কোটি টাকার কর সরকার পায়নি।
দুদক সূত্র জানায়, গত বছরের অক্টোবরে ব্যবসায়ী সাইফুল আলমের দুই ছেলের আয়কর নথিতে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে ও ঘুষ গ্রহণের ঘটনায় এনবিআর আয়কর বিভাগের তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। পরবর্তী সময়ে এ অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ১০ শতাংশ কর দেওয়ার মাধ্যমে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দেয়। এনবিআরের হিসাবে, ব্যক্তিগত পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ করের হার ধরলে আশরাফুল ও আসাদুলকে অপ্রদর্শিত ৫০০ কোটি টাকার বিপরীতে কমপক্ষে ১২৫ কোটি টাকা কর দিতে হতো। অথচ তাঁরা মাত্র ৫০ কোটি টাকা কর পরিশোধ করে ওই অর্থ বৈধ করেন।
জাতীয়
মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে নতুন শহরের জন্ম হবে: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শুধু গভীর সমুদ্র বন্দর নয়, আমাদের একটা ব্লু ইকোনমি গড়ে তোলার ভিশন নিয়ে কাজ করতে হবে। মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে নতুন শহরের জন্ম হবে। ওই এলাকা শুধু একটা ফ্যাসিলেটিং জোন হিসেবে না। সেখান থেকে আমাদের আন্তর্জাতিকভাবে কানেক্টিভিটি তৈরি হবে। সমুদ্রই হবে বিশ্বের পথে আমাদের মহাসড়ক।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নবগঠিত মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (মিডা) সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে এ কথা বলেন তিনি।
নবগঠিত মিডার নেতৃত্বে ছিলেন মিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। আরও উপস্থিত ছিলেন মিডার সদস্য কমোডর তানজিম ফারুক ও মো. সারোয়ার আলম এবং প্রধান উপদেষ্টার এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্না।
বৈঠকের বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি জানান, বৈঠকে মহেশখালী-মাতারবাড়ী প্রকল্পের ওপর একটি প্রেজেন্টেশন দেন মিডার চেয়ারম্যান। মিডার আগামী চার মাসের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন তিনি।
আশিক চৌধুরী জানান, প্রকল্পটি তিন ধাপে সম্পন্ন হবে— প্রথম ধাপ ২০২৫ থেকে ২০৩০, দ্বিতীয় ধাপ ২০৩০ থেকে ২০৪৫, এবং তৃতীয় ধাপ ২০৪৫ থেকে ২০৫৫ পর্যন্ত। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রায় ২৫ লাখ লোকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে এবং জিডিপিতে দেড়শ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যুক্ত হবে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা গভীর সমুদ্র নিয়ে গবেষণার ও মহেশখালী অঞ্চলে একটি আন্তর্জাতিক মানের ট্রেইনিং ফ্যাসিলিটি গড়ে তোলার ওপরেও জোর দেন তিনি। এক্ষেত্রে বিশ্বে যারা বিশেষজ্ঞ আছেন প্রয়োজনে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ ও সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘আমরা সমুদ্র জগতে কখনো প্রবেশ করিনি। ওটা নিয়ে চিন্তাও করিনি। এ বিষয়ে গবেষণা, ফাইন্ডিংস নেই। এর সম্পর্কিত কী কী গবেষণা আছে, অন্য দেশের গবেষণাপত্র যেটা আমাদের সঙ্গেও মিলবে ভালো সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে এবং নিজস্ব গবেষণা করতে হবে। এজন্য প্রতিষ্ঠান দরকার। একাডেমিয়া গড়ে তুলতে হবে, ওশান ইকনোমি নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স আয়োজন করতে হবে।’
এর পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণের ওপরেও জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেখানকার বনভূমি এখন কী অবস্থায় আছে, ভবিষ্যতে আমরা বনভূমিগুলোকে কী অবস্থায় দেখতে চাই সেই পরিকল্পনাও করতে হবে।
জাতীয়
দেশে ভোটার ও এজেন্টবিহীন নির্বাচন আর হবে না: ইসি সানাউল্লাহ

ভোটার ও এজেন্টবিহীন নির্বাচন যাতে বাংলাদেশে আর না হয় সেজন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
বুধবার ইসি ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার মো. সানাউল্লাহ বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তালিকায় সশস্ত্র বাহিনী যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া প্রিসাইডিং অফিসারকে সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র বন্ধ বা চালু রাখার। এছাড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ভোটকেন্দ্র স্থাপন করবেন। আর এবার অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান আরপিও থেকে বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নির্বাচনের প্রতীক বিষয়ে তিনি বলেন, কোনো দলের কার্যক্রম স্থগিত থাকলে তাদের প্রতীকও স্থগিত থাকবে। তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু প্রতীক ছাড়া স্বতন্ত্র দাঁড়াতে পারবে কি না সেটা সময় বলে দেবে। অন্যদিকে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করলেও নিজ নিজ দলের প্রার্থীরা তাদের দলের প্রতীকে নির্বাচন করবেন।
মিথ্যা তথ্য দিলে নির্বাচিত হয়েও সংসদ সদস্য পদ হারাতে হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, হলফনামায় তথ্য গোপন বা মিথ্যা তথ্য দিলে ইসি পরে ব্যবস্থা নিতে পারবে, দোষ প্রমাণ হলে সেই ব্যক্তি সংসদ সদস্য পদও হারাবেন। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা বিষয়ে তিনি জানান, আদালত কর্তৃক যারা ফেরারি ঘোষিত হবেন তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এছাড়া লাভজনক পদে যারা আছেন, যারা সরকারি ৫০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ার আছে এমন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তারাও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
ইভিএম এবং ভোটের জামানত বিষয়ে তিনি আরও বলেন, এবার ইভিএম সংক্রান্ত সকল বিধান বাতিল করা হয়েছে। পোস্টাল ব্যালট হবে প্রতীকের ব্যালট। আর জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে সেই আসনের ব্যালটে ‘না’ ভোট থাকবে বলেও জানান তিনি।
জাতীয়
আগস্টে সড়কে ঝরল ৫০২ প্রাণ

একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। আর এ কান্না যেন থামছেই না। গত আগস্ট মাসে সারা দেশে ৪৯৭টি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় ৫০২ জন নিহত ও ১ হাজার ২৩২ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত দুর্ঘটনা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, আগস্ট মাসে রেলপথে ৩৪টি দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে ২১টি দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত, ২২ জন আহত ও ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এ ছাড়া সড়ক, রেল ও নৌপথ মিলিয়ে সর্বমোট ৫৫২টি দুর্ঘটনায় ৫৬৩ জন নিহত এবং ১ হাজার ২৬১ জন আহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ সময়ে ১৬৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৭৬ জন নিহত ও ১৪৪ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৩ দশমিক ১৯ শতাংশ, নিহতের ৩৫ দশমিক ০৫ শতাংশ ও আহতের ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
এর মধ্যে আগস্টে সবচেয়ে বেশি ১৩২টি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এসব দুর্ঘটনায় ১২৮ জন নিহত ও ৩৩৩ জন আহত হয়েছেন। আর সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে বরিশাল বিভাগে। ১৫টি দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত ও ২২ জন আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১২ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ১৬২ জন চালক, ৮২ জন পথচারী, ১৯ জন পরিবহন শ্রমিক, ৯৭ জন শিক্ষার্থী, ১১ জন শিক্ষক, ৯৫ জন নারী, ৪২ জন শিশু, একজন মুক্তিযোদ্ধা, একজন আইনজীবী, তিনজন সাংবাদিক ও ২৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।
এদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য, একজন সেনাবাহিনী সদস্য, একজন ফায়ার সার্ভিস সদস্য, একজন মুক্তিযোদ্ধা, একজন আইনজীবী, ১৪২ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৮২ জন পথচারী, ৭৩ জন নারী, ৩৮ জন শিশু, ৫১ জন শিক্ষার্থী, সাতজন পরিবহন শ্রমিক, সাতজন শিক্ষক ও ১১ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য বলছে, বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দেশের সড়কের মাঝে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি, এসব গর্তের কারণে দুর্ঘটনা বেড়েছে; সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, নসিমন-করিমন অবাধে চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়ক বাতি না থাকায় হঠাৎ ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা; সড়কে মিডিয়ান বা রোড ডিভাইডার না থাকা, সড়কে গাছপালায় অন্ধ বাঁকের সৃষ্টি; মহাসড়কের নির্মাণ ক্রটি, যানবাহনের ক্রটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রীপরিবহন; অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রীবহন এবং বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং বিরামহীন ও বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালানো সদ্য সমাপ্ত আগস্ট মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণ।
জাতীয়
বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মনোনীত হলেন ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মনোনীত হয়েছেন অভিজ্ঞ কূটনীতিক ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন। হোয়াইট হাউসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা একটি ঘোষণা অনুযায়ী, ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা সিনিয়র ফরেন সার্ভিস সদস্য ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
একই ঘোষণায় আরও কিছু নতুন নিয়োগ ও মনোনীতদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বর্তমান স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুসকে জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত ও সের্গেই গোরকে ভারতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। মনোনয়নগুলো অনুমোদনের জন্য সিনেটে পাঠানো হয়েছে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে থাকা ক্রিস্টেনসেনের অফিসিয়াল প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, তিনি আগেও বাংলাদেশে কাজ করেছেন। ক্রিস্টেনসেন ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ক কাউন্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
কর্মজীবনের শুরুতে তিনি স্টেট ডিপার্টমেন্টে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ বিষয়ক কার্যালয়ে বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিসার হিসেবেও কাজ করেছেন। যদিও বর্তমানে এ নামে আর কোনো অফিস নেই।
ক্রিস্টেনসেনের অন্য অভিজ্ঞতার মধ্যে রয়েছে- স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো অব পলিটিক্যাল-মিলিটারি অ্যাফেয়ার্সের আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অস্ত্র স্থানান্তর কার্যালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর (২০১৬-২০১৯) এবং হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির এশিয়া ও প্যাসিফিক বিষয়ক উপ-কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ কর্মীদের একজন পিয়ারসন ফেলো (২০১৫-২০১৬)।
এছাড়াও তিনি উত্তর কোরিয়া নীতি বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধির বিশেষ সহকারী, ব্যুরো অব ইস্ট এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের সাইবার কো-অর্ডিনেটর, ম্যানিলায় মার্কিন দূতাবাসে অর্থনৈতিক বিষয়ক ডেপুটি কাউন্সিলর, সান সালভাদরে মার্কিন দূতাবাসে ডেপুটি ইকোনমিক কাউন্সিলর, রিয়াদে মার্কিন দূতাবাসে অর্থনৈতিক কর্মকর্তা এবং ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটিতে মার্কিন কনস্যুলেট জেনারেলের ভাইস কনসাল হিসেবে কাজ করেছেন।
পিটার হাস ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার দায়িত্ব শেষ করেন। এরপর থেকে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস রাষ্ট্রদূত ছাড়াই চলছে।
এরপর থেকে বেশ কয়েকজন চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স এই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমান চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স লিসা জ্যাকবসন গত জানুয়ারি থেকে এ দায়িত্ব পালন করছেন।