জাতীয়
পৃথিবীর সর্বনাশের জন্য আমরা আসামি: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পৃথিবীর সর্বনাশের জন্য যারা দায়ী তারা আমরা সবাই এখানে হাজির। আমরা আসামি।
বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবস এবং পরিবেশ ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের পুরোনো কবিরা বলে গেছেন, সাগরের সব পানি যদি কালি হত, বনের সব গাছ যদি কলম হতো, তাহলে এই অপরাধের বর্ণনা শেষ করা যেত না। একই অপরাধ আমরা করে যাচ্ছি প্রতিদিন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজকের পৃথিবী বিভিন্ন ধরনের সংকটে জড়িত। যুদ্ধবিগ্রহ, প্রযুক্তির অপব্যবহার আমাদের সামনে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু যে চ্যালেঞ্জটা আমরা এখনো অনেকে উপলব্ধি করতে পারছি না, সেটা হলো প্রকৃতির বিধ্বংসী-রূপ। এটা প্রকৃতির দোষ না, আমাদের দোষ। আমরা মানুষ যারা এখানে বসবাস করি, প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার কথা। কিন্তু তাল মিলিয়ে না চলে উল্টো পথে চলি। দোষটা প্রকৃতির না, দোষটা হলো প্রকৃতি-বিধ্বংসী এক জীব, যার নাম মানুষ।
তিনি বলেন, আমাদের সামনে দৈত্যাকারে হাজির হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জলবায়ু সংকট। সে ক্রমাগত হুঙ্কার দিচ্ছে, হয় আমরা থাকবো, না হয় তোমরা থাকবে। দুইজন একসঙ্গে থাকতে পারবে না।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্লাস্টিকের ব্যবহার পৃথিবীতে তিন ধরনের সংকট বাড়িয়ে দিয়েছে। জলবায়ুগত সংকট, প্রকৃতিগত সংকট, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি। এটা শুধু প্লাস্টিকের জন্য। আরো বহু জিনিস আছে। প্লাস্টিক ক্রমাগত হুঙ্কার দিচ্ছে, হয় আমরা থাকবো, না হয় তোমরা থাকবে। দুইজন একসঙ্গে থাকতে পারবে না। তাদের জয়যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। তারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসছে আর আমাদের অসহায়ত্ব দেখছে। আমাদের উদ্যোগের অভাব দেখছে। আমরা সব জয় করে নিলাম তোমরা কিছুই করতে পারলে না। এই অসহায়ত্বের মধ্যে আমরা ২০২৫ সালে এই দিবস পালন করছি।
তিনি বলেন, প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা ঠিকঠাক না থাকায়, পৃথিবীর জলাশয়গুলো পলিথিন ও প্লাস্টিকে ছেয়ে গেছে। জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে পড়ছে। প্লাস্টিক এমন এক জিনিস, যার জন্ম আছে মৃত্যু নেই। পৃথিবীর সব কিছুর মৃত্যু আছে, তার মৃত্যু নেই। এসব ক্রমাগত বাড়ে, ফলে তা সবকিছু জয় করে ফেলে। আমরা দিবস উদযাপন করে ঘরে ফিরে যাব, যথারীতি প্লাস্টিক ব্যবহার করব।
আমরা যদি আমাদের লাইফস্টাইল পরিবর্তন না করি, এই যুদ্ধে সামগ্রিকভাবে মানুষের পরাজয় অবধারিত। সেজন্য এর থেকে কীভাবে আমরা বের হবো সেটা হলো আজকের আলোচ্য বিষয়, বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

জাতীয়
যাত্রা শুরু করলো ট্রাফিক সেফটি এডুকেশন সেন্টার

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এবং জাইকার যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ‘ট্রাফিক সেফটি এডুকেশন সেন্টার (টিএসইসি)’ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে।
রাজারবাগের ডিএমপি ট্রেনিং একাডেমিতে বুধবার (২৫ জুন) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টিএসইসির শুভ উদ্বোধন করেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার।
ট্রাফিক সেফটি এডুকেশন সেন্টারে (টিএসইসি) মূল লক্ষ্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও সিমুলেশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মো. সরওয়ার বলেন, ঢাকাজুড়ে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস এবং জননিরাপত্তা বাড়াতে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে ট্রাফিক সেফটি এডুকেশন সেন্টার (টিএসইসি) একটি ইন্টারেক্টিভ এবং শিক্ষামূলক কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। যেখানে শিক্ষার্থী, ডিএমপিতে কর্মরত সদস্য এবং অন্যরা গতিশীল ও আকর্ষণীয় উপায়ে সড়ক নিরাপত্তা সম্পর্কে শিখতে পারবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রেনিং) সুলতানা নাজমা হোসেন, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-অ্যাডমিন, প্লানিং অ্যান্ড রিসার্চ) মোহাম্মদ এনামুল হক, উপ-পুলিশ কমিশনার (প্ল্যানিং, রিসার্চ অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগ) মোহাম্মদ মাসুদ রানা এবং ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।
জাতীয়
দেশে ফিরেছেন ৫১ হাজার ৬১৫ জন হাজি

পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে বুধবার (২৫ জুন) রাত পর্যন্ত ৫১ হাজার ৬১৫ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৪৬ হাজার ৬০৮ জন দেশে ফিরেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) হজ সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ২২ হাজার ১হাজি৪৯ জন, সৌদি পতাকাবাহী সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ২১ হাজার ২৫ এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ৮ হাজার ৪৪১ জন দেশে ফিরেছেন। মোট ১৩৪টি ফিরতি ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে ৫৮টি ছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের, ৫৪টি সাউদিয়ার এবং ২২টি ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের।
সৌদি আরব বাংলাদেশি হাজিদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশটির মেডিকেল সেন্টারগুলো এখন পর্যন্ত ৬৬ হাজার ৩৪৮টি অটোমেটেড প্রেসক্রিপশন ইস্যু করেছে এবং আইটি হেল্পডেস্কগুলো ২৪ হাজার ৩৯৫টি সেবা প্রদান করেছে।
এখন পর্যন্ত ৩৮ জন বাংলাদেশি সৌদি আরবে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২৭ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী। এদের মধ্যে ২৫ জন মক্কায়, ১১ জন মদিনায় এবং জেদ্দা ও আরাফায় ১ জন করে মারা গেছেন।
সৌদি আরবের সরকারি হাসপাতালগুলো এ পর্যন্ত ৩০৮ জন বাংলাদেশিকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে। এদের মধ্যে এখনো ২৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হজযাত্রীদের শেষ ফিরতি ফ্লাইট আগামী ১০ জুলাই।
জাতীয়
ন্যায়ভিত্তিক সমাজে নির্যাতনের কোনো স্থান নেই: প্রধান উপদেষ্টা

ন্যায়ভিত্তিক সমাজে নির্যাতনের কোনো স্থান নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। জাতিসংঘ ঘোষিত ২৬ জুন আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস উপলক্ষে বুধবার (২৫ জুন) এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, নির্যাতন মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং মানুষের মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। এটি কোনো ন্যায়ভিত্তিক সমাজে স্থান পেতে পারে না এবং কোনো পরিস্থিতিতেই এটি বরদাশত করা উচিত নয়।
তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নির্যাতনের বীভৎসতার শিকার সাহসী ও দৃঢ় সারভাইভার্সদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার একনায়কতান্ত্রিক শাসনামলে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, ভিন্নমতাবলম্বী এবং দুর্বল জনগোষ্ঠীর ওপর দমন-পীড়নের হাতিয়ার হিসেবে নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকে ব্যবহৃত করা হয়। আইন ও বিচার ব্যবস্থার অপব্যবহার, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গ্রেফতার ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতন সেসময় ছিল নিয়মিত ঘটনা, যা বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা, রাজনীতি এবং সমাজের ভিত নষ্ট করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই অন্তর্বর্তী সরকার নির্যাতনের এ সংস্কৃতি চিরতরে বিলুপ্ত করার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে কাজ করছে। সরকারের তিনটি প্রধান লক্ষ্য—পূর্ববর্তী সরকারের অপরাধীদের বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—এই দুঃসহ অতীত থেকে দেশকে পুনর্গঠনের রূপরেখা।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে মানবাধিকার ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকার প্রথম যে আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর একটি স্বাক্ষর করেছে তা হলো সব ব্যক্তির জবরদস্তিমূলক গুম থেকে সুরক্ষা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সনদ (আইসিপিইডি)। এটি জোরপূর্বক গুম বা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গোপন আটকের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করে।
এ সনদের স্বাক্ষর ভবিষ্যতে জাতীয় আইন প্রণয়নের জন্য পথপ্রদর্শক এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমাদের আইনি অবস্থানকে সুদৃঢ় করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার জবরদস্তিমূলক গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন গঠন করেছে, যা নির্যাতন, গুম এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আটক সংক্রান্ত বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ তদন্তে স্বাধীনভাবে কাজ করবে। কমিশনের দায়িত্ব হলো সত্য উদঘাটন, দোষীদের শনাক্তকরণ এবং ক্ষতিপূরণের উপায় সুপারিশ করা।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, পুলিশ ও বিচার প্রশাসনে গভীর সংস্কার শুরু হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, কারা প্রশাসন এবং বিচারকদের জন্য মানবাধিকার, নৈতিকতা ও অহিংস তদন্ত পদ্ধতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ চালু হয়েছে। আটকের পরবর্তী বিচারিক তদারকি জোরদার করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতিটি হেফাজতে নেওয়া এবং জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনা নথিভুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, এই পদক্ষেপগুলো যাত্রার সূচনা মাত্র। আমাদের লক্ষ্য শুধু ভবিষ্যতের নির্যাতন রোধ করা নয়—মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা।
নির্যাতনের শিকার সব মানুষের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে তিনি বলেন, আমরা তাদের যন্ত্রণাকে স্বীকৃতি দিচ্ছি, বিচার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করছি এবং দৃঢ়ভাবে বলছি—আর কখনো নয়।
তিনি আরও বলেন, এই দিন হোক একটি বাঁকবদলের সূচনা—বাংলাদেশের জন্য এবং বিশ্বের প্রতিটি দেশের জন্য যারা ন্যায়, মর্যাদা ও মানবিকতার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনার সংকল্প নিয়েছে।
জাতীয়
গণঅভ্যুত্থান দিবস পালনে ৩৬ সদস্যের জাতীয় কমিটি গঠন

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবসগুলো পালনের জন্য ৩৬ সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার (২৫ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি, মুক্তিযুদ্ধ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম এই কমিটির সহসভাপতি এবং সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী কর্মসূচি সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা, পরিকল্পনা উপদেষ্টা, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা, শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা, খাদ্য এবং ভূমি উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা, যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা, নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা, সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা, ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা, বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক এবং ড. ইফতেখারুজ্জামান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব/ মুখ্য সচিব, সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, বিমানবাহিনী প্রধান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের (অর্থ বিভাগ) সচিব এবং পররাষ্ট্র সচিব।
আগামী ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩৬ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান পালিত হবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে।
পহেলা জুলাই মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ অন্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহীদের স্মরণে দোয়া ও প্রার্থনার মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানমালা শুরু হবে।
জাতীয়
নির্ভুল পাঠ্যবই দিতে সরকার বদ্ধপরিকর: শিক্ষা উপদেষ্টা

২০২৬ সালের পহেলা জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের হাতে নির্ভুল পাঠ্যবই তুলে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার।
তিনি বলেন, পাঠ্যবই ছাপানোর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যাতে অতীতের ভুলভ্রান্তিগুলো সংশোধন করে ছাত্রছাত্রীদের হাতে যথাসম্ভব নির্ভুল পাঠ্যবই তুলে দেওয়া যায়।
বুধবার (২৫ জুন) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সভাকক্ষে শিক্ষা উপদেষ্টার সভাপতিত্বে শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জন সংক্রান্ত এক বিশেষ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, এনসিটিবির সহায়তায় সংগ্রহকৃত ২০২৫ সালের পাঠ্যপুস্তকসমূহে বানান ও ব্যাকরণগত ভুল, ছাপার অসংগতি, তথ্যের বিভ্রাট পরিলক্ষিত হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষাক্রমে বিদ্যমান ১২৩টি পাঠ্যপুস্তক ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরে আলাদা আলাদা বিশেষজ্ঞদের প্যানেল দ্বারা সংশোধন ও পরিমার্জন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রাপ্ত মতামত এনসিটিবি কর্তৃক যাচাই-বাছাই ও সংশোধন করে ছাপানোর কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা হলো বৈষম্য দূর করার হাতিয়ার। এই কাজে জনসম্পৃক্ততা প্রয়োজন। সবার সুচিন্তিত মতামত ও বুদ্ধিবৃত্তিক অংশগ্রহণ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করতে পারে। সে লক্ষ্যে সারা দেশের সব শিক্ষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সম্পৃক্ত করার ব্যাপারেও সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে সারা দেশের সব শিক্ষকদের বিদ্যমান ২০২৫ সালের পাঠ্যপুস্তকের বানান ও ব্যাকরণগত ভুল, ছাপার অসংগতি, তথ্যের বিভ্রাট সম্পর্কে নির্ধারিত ফরমে, সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্ধারিত ই-মেইলে তাদের মতামত প্রদান করতে পারবেন। অনতিবিলম্বে এনসিটিবি শিক্ষকদের মতামত প্রদানের সুযোগ তৈরির বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করেন এমন শিক্ষকদের মতামত নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। সময় নিয়ে, লাইন বাই লাইন দেখে, আলোচনা করে এটি করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি গণিত ও রসায়নের ক্ষেত্রে সর্বাধুনিক ভার্সনের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান সভায় জানান, ইতোমধ্যে কিছু বই পরিবর্তন করা হয়েছে।
এসময় সভায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর গোলাম দস্তগীর কাজী উপস্থিত ছিলেন।