রাজনীতি
আঞ্চলিক রাজনীতিতে চীনের উদ্যোগ ইতিবাচক: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আঞ্চলিক রাজনীতিতে চীনের নেতৃত্বের উদ্যোগ ইতিবাচক হিসেবে আখ্যায়িত হয়ে থাকবে। ইতিবাচক এই উদ্যোগের পরিধি বাড়িয়ে বহুপাক্ষিক করার আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
সোমবার (২৩ জুন) চীনের পিপলস গ্রেট হলে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল সোমবার চীন সফরে গেছেন।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, জহির উদ্দিন স্বপন, দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার।
সভার আগে দুপুর ২টার দিকে চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড পরিদর্শন করেন বিএনপি প্রতিনিধি দল।
কাফি

রাজনীতি
চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আরেকটি যুদ্ধ করতে হবে: ড. হেলাল উদ্দিন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর, ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আরেকটি যুদ্ধ করতে হবে। ৫ আগস্ট পরবর্তী যারা আওয়ামী লীগের শূন্যস্থান পূরণ করে আওয়ামী লীগের ভূমিকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, দখল, লুটপাট, পাথর দিয়ে মানুষ হত্যার মত ঘৃণ্য কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে, তারা জাতির দুশমন। জাতির দুশমনদের নিপাত করে একটি সুখি-সমৃদ্ধ, বৈষম্যহীন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দখলদ্বার, নৈরাজ্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতে ইসলামী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কার্যালয়ে অবস্থিত অডিটরিয়ামে , বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মতিঝিল অঞ্চলের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শ্রমিকদের অবদান অনস্বীকার্য । শহীদ এবং আহতদের মধ্যে সংখ্যায় শ্রমিকেরােই বেশি। স্বাধীনতা-সংগ্রাম থেকে এদেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে শ্রমিকদের অবদান চিরস্মরণীয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে অতীতের কোনো সরকারই কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। বরং শ্রমিকদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় বসেছে। শ্রমিকদের জীবন, রক্ত আর ঘাম লেগে আছে বাংলাদেশের মানচিত্রে। শ্রমিকদের আত্মত্যাগ স্বীকার না করলে জাতি হবে অভিশপ্ত। জামায়াতে ইসলামী শ্রমিকদের আত্মত্যাগ স্বীকার করে এবং শ্রদ্ধা করে। আগামীতে কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র-জনতা দাঁড়িপাল্লা প্রতিকে ভোট দিয়ে জামায়াতে ইসলামীকে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ করে দিলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কর্তৃক উপস্থাপিত শ্রমিকদের সকল ন্যায্য দাবি পূরণ করা হবে। বন্ধ সকল কলকারখানা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে। সকল শ্রেণি-পেশার ভাগ্য উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। এদেশের কোনো মানুষের বুকে চাপা কষ্ট থাকবে না। সুখি-সমৃদ্ধ নতুন বাংলাদেশের নাগকির হিসেবে সকলের মুখে হাসি ফুটে উঠবে। তাই নতুন বাংলাদেশ গড়তে তিনি, জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে এগিয়ে আসতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, একটি দল ব্যতিত দেশের প্রায় সব দল জনগণের দাবি পূরণে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাইলেও সরকার সেই দাবিকে উপেক্ষা করে একটিমাত্র দলকে খুঁশি করতে যেনতেন একটি নির্বাচন আয়োজনের পথে হাটছে। সরকার যদি জনগণের মুখের ভাষা, চোখের ভাষা বুঝতে চেষ্টা না করে, তবে জনগণ আবারও রাজপথে নেমে আসবে। জনগণ রাজপথে নামলে কারো জন্যই সুখকর হবে না। নির্বাচন কমিশন সরকারের সবুজ সংকেতে ঐ একটি দলকেই প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যেখানে বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নেই, সাংবাদিকদের জীবনের নিরাপত্তা নেই, সেখানে কিভাবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহনমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন হবে প্রশ্ন রেখে ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে সেটি নামমাত্র একটি নির্বাচন হবে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন হবে না। একদিকে নির্বাচনের পরিবেশ নেই, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হয়নি, অপরদিকে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনে দেশের ৭১ শতাংশ জনগণের দাবি উপক্ষো করে একটি প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করলে জনগণ সেই নির্বাচন বর্জন করবে। জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহন না করলে শুধুমাত্র একটি দল তাদের, মিত্রদের নিয়ে অংশগ্রহন করলে সেটি কখনো গ্রহনযোগ্য নির্বাচন হবে না। তিনি আরো বলেন, সরকার আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে, সেই সময়েই নির্বাচন হতে পারে এতে কোন সমস্যা নাই। তবে অবশ্যই সেই সময়ের আগেই জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চতকরণ, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এবং বাস্তবায়ন, গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। স্বদিচ্ছা, আন্তরিকতা, নৈতিকতা, দেশপ্রেম ও দায়িত্ব বোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে এসব দাবি ১ মাসের মধ্যেই নিশ্চিত করা যায়। তাই সরকারকে জুলাই চেতনা ধারণ করে দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে তিনি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এবং সহকারী সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমানের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মো. শামছুর রহমান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে মতিঝিল অঞ্চলের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রাজনীতি
ক্ষমতায় গেলে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র পরিচালনা করবে জামায়াত: ড. হেলাল উদ্দিন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর, ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জামায়াত যদি ক্ষমতায় যায় তাহলে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র পরিচালনা করবে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী। একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র পরিচালনা মানে এমন এক কল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যেখানে জনগণের সকল মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয়।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ, শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আয়োজিত ইউনিট দায়িত্বশীল শিক্ষা বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়, এবং ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, বয়স বা অন্য কোনো ভিত্তিতে বৈষম্য থাকে না। এর জন্য প্রয়োজন দেশের সর্বস্তরে বৈষম্যের উৎসগুলো নির্মূল করা, একটি স্বতন্ত্র ও শক্তিশালী বিচার বিভাগ নিশ্চিত করা, এবং শিক্ষা ও অন্যান্য নাগরিক সেবার উন্নয়ন ঘটানো। মা-বোনেরা ঘরেও সুরক্ষিত থাকবে, কর্মস্থলেও সুরক্ষিত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে নারীরা অনেক পিছিয়ে রয়েছে। বিশেষ করে বেকার নারীদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে মাধ্যমে কর্মমুখী করে তুলবে। নারীদের আলাদা কর্মক্ষেত্র তৈরী করলে দেশ যেভাবে এগোবে তেমনি পারিবারিকভাবে সুসংহতি গঠন হবে। সেই সঙ্গে রাজধানীতে যাতায়াতের জন্য নারীদের নিরাপদ পরিবহন ও মহিলা হোস্টেলের উন্নত পরিবেশ তৈরী করা হবে।
হেলাল উদ্দিন বলেন, জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে একটা ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। দল হিসেবে নারীদের সবচেয়ে বেশি সম্মানের চোখে দেখেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী। ‘আমরা চাই দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে। ইনসাফ কায়েম করতে। যেখানে মানুষ চাইলেও অধিকার পাবে, না চাইলেও অধিকার পাবে।’ ‘মহানবী (স.) সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কাজেও নারীদের যুক্ত করেছেন। যুদ্ধক্ষেত্রে নারীদের যুক্ত করেছেন। তাই আমরা তাদের আটকে রাখার কে! তারা সামর্থ্য অনুযায়ী দেশের জন্য আত্মনিয়োগ করবে।’
ইউনিট দায়িত্বশীল শিক্ষা বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন শাজাহানপুর পূর্ব থানার আমীর মওলানা শরিফুল ইসলাম। সঞ্চালনায় ছিলেন থানা সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে ইউনিট দায়ীত্বশীলগণও উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
রাজনীতি
ডাকসুতে ছাত্রদলের প্যানেলকে জিতিয়ে আনতে হবে: এ্যানি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেলকে জিতিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। সেজন্য এখন থেকে কাজ শুরু করতে হবে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
এ্যানি বলেন, ডাকসুতে আমি প্রতিনিধিত্ব করেছি। আজকে ডাকসুতে ভিপি হিসেবে যে মনোনীত হয়েছে আবিদ, দেখেন আন্দোলন সংগ্রামে তার ভূমিকা কী ছিল; প্রত্যেকটা বক্তব্য, প্রত্যেকটা মিছিল-মিটিং, নেতৃত্ব এবং আমার মনে হয় ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নতুন নেতৃত্ব পাওয়ার জন্য আল্লাহ আমাদের ছাত্র নেতৃত্ব তৈরি করে দিয়েছেন। তাকে ডাকসুর ভিপি পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এটা বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনে তারেক রহমান যেটা চাচ্ছেন, যেটা চেয়েছেন, ডাকসুর ভিপি সেটা দিতে সক্ষম বলে আমি বিশ্বাস করি। সারা বাংলাদেশ আজকে ডাকসুর দিকে তাকিয়ে আছে। ভিপি হিসেবে আবিদকে, জিএস হিসেবে তানভীর বারীকে, এজিএস হিসেবে মায়েদকে, ২৮ জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এ্যানি বলেন, ডাকসুতে আমাদের (প্যানেল) জিতিয়ে আনতে হবে, সেজন্য আমাদের এখন থেকে কাজ শুরু করতে হবে। সারা বাংলাদেশের যে যেখানে থাকি না কেন, আমরা যারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সৈনিক, জিয়ার সৈনিক এখন থেকে ছাত্রদের জন্য, ডাকসুর প্যানেলের জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নেতৃত্বের জন্য কাজ করতে হবে। আমরা করব, এখন থেকে শুরু করে দিয়েছি।
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি আরও বলেন, রাজনীতিতে গুণগত যে পরিবর্তন, তারেক রহমানের বক্তব্যে বোঝা যায়। তারেক রহমান যে কথাগুলো বলছেন, এ কথাগুলার মধ্যে দিয়ে জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, আজকে তারেক রহমান সে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। বিগত ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করার কারণে মানুষ আমাদের সমর্থন দেবে। এটা আমরা সবাই বিশ্বাস করি, কারণ আমরা সবাই ত্যাগী, আমরা সবাই নির্যাতিত, অত্যাচারিত। গণতন্ত্রের জন্য আমরা লড়াই করেছি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে। বেগম খালেদা জিয়া আজকে যত অসুস্থ হোক, এখনো তিনি আছেন। তার থেকে আমরা মনোবল পাই, সাহস পাই, হিম্মত পাই। এ কারণে আমরা বলতে পারি, আগামী দিনে যে নির্বাচনটা হবে, যে জনগণের সরকার গঠন হবে, ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সেই সরকারের নেতৃত্ব দেবে। তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন, নির্বাচন করবেন, করাবেন। বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে।
এ্যানি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে আমাদের কঠিন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে হবে। ৫ তারিখ যদি না হতো, হাসিনা যদি এখনো থাকতো, আমি আপনি স্বাভাবিকভাবে এখানে থাকতে পারতাম না। জীবন-যাপন করতে পারতাম না। মিছিল-মিটিং করতে পারতাম না, বসবাস করতে পারতাম না। পালিয়েছিলাম, জেলে ছিলাম, আমাদের নেতাকর্মী গুমের শিকার হয়েছে, খুনের শিকার হয়েছে। ঢাকাতে আমাদের অনেক ছাত্রকে, সাধারণ মানুষকে, আমাদের কর্মীকে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে হত্যা করেছে। হত্যা করেও সে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছে। কিন্তু আল্লাহতালা তাকে ক্ষমতায় রাখে নাই। আমাদের চেষ্টা ছিল, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট চলে গেছে, ফ্যাসিস্ট দূর হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশটাকে আমাদের নতুন করে গড়তে হবে।
রাজনীতি
একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল

দেশে একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার বিকালে জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আজকে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের কথা বার বার স্মরণ করতে চাই। এজন্য চাই যে, ১৯৭১ সাল আমাকে একটা স্বাধীন দেশ দেওয়া হয়, ভূখণ্ড দেওয়া হয়, আমাকে একটা স্বাধীন সত্ত্বা দেওয়া হয় এবং সেজন্য আজকে আমার অস্তিত্ব আছে, আমি টিকে আছি। আমি স্মরণ করতে চাই চব্বিশের জুলাই-আগস্টের শহীদদের কারণ আমাদের একটা গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দিয়েছি।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি কয়েকদিন আগে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে গিয়েছিলাম। ব্যাংককে গিয়ে আমি আমার বন্ধুদের কাছে শুনলাম- ওখানে এখন ব্যাংককে সবচাইতে যেগুলো আপনার অভিজাত এলাকা সেই অভিজাত এলাকাগুলোতে বাড়ি ভাড়ার ধুম পড়ে গেছে। সেই বাড়িগুলো ভাড়া করছেন সমস্ত আওয়ামী লীগের বিতাড়িত নেতারা। তারা একটা যে গাড়ি কিনছেন সেই গাড়িগুলো কোনোটাই আপনার ২ কোটি ৩ কোটি টাকার কমে নয়। এসব টাকা কোথা থেকে গেল? এ দেশের সম্পদকে তারা প্রচার করেছেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ দুইটা জিনিসই আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আজকে একটা প্রচ্ছন্ন প্রচেষ্টা আছে একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার। এটার বিরুদ্ধে কিন্তু আমাদের সমস্ত বাংলাদেশের নাগরিককে তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। চব্বিশের জুলাই-আগস্ট যেভাবে সত্য ঠিক একইভাবে সত্য কিন্তু একাত্তরের নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ। সেই মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন কে? শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে একটা নতুন করে কথা উঠছে ষড়যন্ত্র চলছে- আপনার বাংলাদেশে এখানে এক ধরনের উগ্রবাদ মাথা চালা দিয়ে উঠছে। এ উগ্রবাদকে মাথা চালা দিয়ে উঠতে দেওয়া যাবে না। এ উগ্রবাদকে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া যাবে না। তাহলে আমাদের বাংলাদেশের যে আত্মা, যে সোল সেই অস্তিত্ব আমাদের রক্ষা পাবে না। এই কথাটা আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আমি কথাটা আজকে এজন্য আরও বেশি করে বলছি- এইখানে আপনাদের সবাইকে বিভক্তি বিভাজনের রাজনীতি কেউ করবেন না। অতীতে যা হয়েছে হয়েছে। এখন বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য, বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখার জন্য, বাংলাদেশের সামনে নেওয়ার জন্য, বাংলাদেশ আরও আরও উন্নত করবার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সম্মানে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠান হয়। বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হলে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা উলুধ্বনি এবং ঢাক-ঢোল বাজিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানায় এবং তারেক রহমান হাত নেড়ে এ অভিবাদনের জবাব দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর যারা আমাদের ভুল বুঝিয়ে আমাদের ভোট নিয়ে আমাদের শাসন করেছেন তারা ১৫ বছর আমাদের বন্ধু হিসেবে মনে করেননি। তারা মনে করেছেন প্রজা হিসেবে। আমাদের ওপর অত্যাচার করেছে নির্যাতন করেছে, আমাদের সমস্ত দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি কয়েকদিন আগে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে গিয়েছিলাম। ব্যাংককে গিয়ে আমি আমার বন্ধুদের কাছে শুনলাম- ওখানে এখন ব্যাংককে সবচাইতে যেগুলো আপনার অভিজাত এলাকা সেই অভিজাত এলাকাগুলোতে বাড়ি ভাড়ার ধুম পড়ে গেছে। সেই বাড়িগুলো ভাড়া করছেন সমস্ত আওয়ামী লীগের বিতাড়িত নেতারা। তারা একটা যে গাড়ি কিনছেন সেই গাড়িগুলো কোনোটাই আপনার ২ কোটি ৩ কোটি টাকার কমে নয়। এসব টাকা কোথা থেকে গেল? এ দেশের সম্পদকে তারা প্রচার করেছেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা সবাই জানেন এটা নতুন করে বলার কিছু বলতে চাই না। শুধু এইটুকু বলতে চাই যে, আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সমস্ত গণতান্ত্রিক যে কাঠামো সে কাঠামো ভেঙে ধ্বংস করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ এদেশের সম্পদকে লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। প্রায় 88 লাখ কোটি টাকা তারা বিদেশে পাচার করেছে।
তিনি বলেন, আর আমাদের সম্পদ বলতে আর কিছু নেই সব পাচার হয়ে গেছে। আমাকে একজন অর্থনীতিবিদ জিজ্ঞেস করছিলেন- দেখে শুনে তো মনে হচ্ছে এর পরে তোমরাই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আসবে জনগণ তোমাদের ওপরে আস্থা রাখবে। তো তোমরা দেশ চালাবে কোথা থেকে? কারণ টাকা তো সব পাচার হয়ে গেছে অর্থাৎ আমাদের দেশের অর্থনীতির অবস্থা কী করুণ করেছে সেই জিনিসটাই শুধু আমি আপনাদেরকে বললাম।
অসাম্প্রদায়িক একটি ‘রেইনবো রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠাই বিএনপি তথা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লক্ষ্য উল্লেখ করে ‘আগামীর বাংলাদেশ হবে’ গঠনে সকলকে ঐক্য হওয়ার আহ্বানও জানান বিএনপি মহাসচিব।
রাজনীতি
আমাদের দাবি এনসিওর করে নির্বাচন দিতে হবে: জামায়াত

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে কোনো সমস্যা নেই। তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়নি। আমাদের দাবি এনসিওর করে নির্বাচন দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানানা জামায়াতের এ নেতা। হামিদুর রহমান আযাদের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুর রহমান মূসা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে সবার বক্তব্য আমলে নিতে সিইসিকে আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। নির্বাচনে সন্ত্রাস-অনিয়ম বন্ধ করতে হলে পিআর পদ্ধতিতে ভোট করতে হবে। সবাই সবকিছু নাও চাইতে পারে, তত্ত্বাবধায়কও অনেকে চায়নি। জাতির জন্য কল্যাণকর পিআর পদ্ধতির নির্বাচন। জনগণ চাইলে অবশ্যই পিআর পদ্ধতি মানতে হবে। এই দাবি নিয়ে মাঠে থাকবে জামায়াত, পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতিও নেবে।
নিজের আসন ছাড়া আর কোনো আসনে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন কি-না, এমন প্রশ্নে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে আমরা কথা বলেছি।’
পিআর (সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি) ছাড়া জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে যাবে কি-না, এমন প্রশ্নে হামিদুর রহমান আযাদ সুস্পষ্ট করে কিছু বলেননি। তিনি বলেন, ‘ফেয়ার ইলেকশন ব্যাপারে অলওয়েজ আমরা সিনসিয়ার ছিলাম। এই পদ্ধতিটাও আমরা সিনসিয়ারলি মনে করি যে দেশের জন্য কল্যাণকর হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক হবে একটা বেস্ট পদ্ধতি।’ পিআর পদ্ধতিতে ভোটারদের যথাযথ মূল্যায়ন হবে বলেও জানান তিনি।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, আমরা গ্রহণযোগ্য সব নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করেছি। সেই হিসেবে আমরা তিনশ আসনের প্রার্থী দিয়ে মাঠে-ময়দানে জনগণের কাছে যাচ্ছি। আমরা জনমত গঠনের কাজ করছি।
এর আগে গত রোববার নির্বাচনী প্রস্তুতির সার্বিক অগ্রগতি জানতে ইসির সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল বিএনপি প্রতিনিধি দলের।