ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
১৫ অগাস্ট পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করতে দেশের সব ধরনের কোচিং সেন্টার আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা উপলক্ষে প্রশ্নফাঁসের গুজব রোধ, নকলমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং তা চলবে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত।
এর আগে, চলতি মাসেই অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে পরীক্ষার সময় কঠোর নজরদারি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) থেকে ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন।
গত বছর এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৯৩ জন শিক্ষার্থী। সে হিসেবে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ৮১ হাজার ৮৮২ জন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, পরীক্ষার আগে কোচিং সেন্টার চালু থাকলে নানা অপপ্রচার এবং প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ায়। এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে এবার শুরু থেকেই কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার।
এছাড়া, পরীক্ষা চলাকালীন সব কেন্দ্রেই থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পাশাপাশি পরীক্ষার দিনগুলোতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও মনিটরিং বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকেও অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে— যেন তারা কোনো ধরনের গুজবে কান না দেন।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
রক্তাক্ত জুলাইয়ের সাথে বেঈমানি: কোটা প্রথা বাতিল চায় ইবি শিক্ষার্থীরা

গুচ্ছ ভর্তিতে কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। তবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী কোটা রাখার পক্ষে মতপোষণ করেছেন তারা।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকাল ৩টার দিকে বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক তানভীর মাহমুদ মণ্ডল সহ অন্যান্য কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘প্রশাসন কি আবারও রক্ত দেখতে চাই?’, ‘প্রশাসন তুমি কার?’, ‘কোটা বিলুপ্তিতে আবারও রক্ত দিবো?’, ‘কাদের স্বার্থ রক্ষায় এখনো কোটা?’, ‘কোটার জন্য আন্দোলন করে আবারও কোটা কেন?’ প্লেকার্ড দেখা যায়।
মানববন্ধনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সহ সমন্বয়ক তানভীর মাহমুদ মণ্ডল বলেন, “বিগত স্বৈরাচার সরকার কোটা সংস্কার করতে ব্যর্থ হয় এবং কোটা সংস্কারের তীব্র আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়, কিন্তু সেই কোটা এখনো বহাল আছে। প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বলতে চাই অচিরেই কোটা প্রথা বাতিল করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কোটার মাধ্যমে আসা শিক্ষার্থীদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যত অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। পতিত স্বৈরাচার সরকারের ইবি শাখা ছাত্রলীগের কুলাঙ্গার সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ও কোটার ফসল। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় কি করলো সেটা দেখার বিষয় নয়, আমাদের বিশ্বিবদ্যালয় চলবে আমাদের গতিতে, উপজাতি এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যতীত সকল কোটা বাতিল করতে হবে।
এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এসএম সুইট বলেন, “জুলাই বিল্পব হয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে, পরে সেটি এক দফায় রুপান্তরিত হয়, ফলে পতিত স্বৈরাচার সরকার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়, যদি প্রশাসন কোটাপ্রথা বন্ধ না করে তাহলে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় ব্লকেড করে দিতে বাধ্য হবো, প্রয়োজনে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আলোচনা করে কোটা প্রথা সমাধান করতে হবে।”
উল্লেখ্য, এবারের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা, প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কোটা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি/উপজাতি কোটা, জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সুবিধা, বিকেএসপি/খেলোয়ার কোটা, পোষ্য কোটা, হরিজন ও দলিত কোটায় ভর্তির বিষয়ে গুচ্ছের ওয়েবসাইটে জানানো হয়। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় স্নাতকে বিভিন্ন ইউনিটে বিভিন্ন কোটায় ভর্তির সুযোগপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সময়সূচির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জুলাই-৩৬ হল ডিবেটিং সোসাইটি’র নেতৃত্বে টিনা-সেতু

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ‘জুলাই-৩৬ হল ডিবেটিং সোসাইটি’র ২০২৫-২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটিতে সভাপতি হিসেবে অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা পারভীন টিনা এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিস সেতু খানম মনোনীত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে জুলাই-৩৬ হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল হক সিদ্দিকী এ কমিটি ঘোষণা করেন।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সহ-সভাপতি মিসেস জান্নাতুল তামান্না ও রহিমা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারিয়ম আক্তার চৈতি, কোষাধ্যক্ষ জারিন আক্তার মিম, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ জাকিয়া সুলতানা, সাংগঠনিক সম্পাদক নুসরাত জাহান, অফিস সম্পাদক শম্পা আক্তার, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক সুরাইয়া ইয়াসমিন, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রকাশনা সম্পাদক উম্মে হাবিবা সিগমা, লজিস্টিকস সেক্রেটারি নওশিন শর্মিলী এবং নির্বাহী সদস্য সাদিয়া সিদ্দিকা।
হল ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মিস সেতু খানম বলেন, “বিতর্ক বরাবরই আমার অত্যন্ত পছন্দের একটা প্লাটফর্ম। সময়ের পরিক্রমায় আজ অনেক বড় একটা দায়িত্ব কাধে এসে পড়েছে। বর্তমান কমিটির প্রতিটা মেম্বার অনেক বেশি এক্টিভ এবং ডেডিকেটেড। তাদের চোখে জুলাই-৩৬ হল ডিবেটিং সোসাইটির জন্য ভালো কিছু করার আকাঙ্ক্ষা দেখি। তাই সবাইকে নিয়ে যেন একসাথে হল ডিবেটিং সোসাইটির জন্য কাজ করতে পারি এবং ভবিষ্যতে দেশসেরা ডিবেট ফিস্ট গুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারি তার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থী।”
হল ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি আফসানা পারভিন টিনা বলেন, “জুলাই ৩৬ হল ডিবেটিং সোসাইটির সাথে আমার যাত্রা তিন বছরের বেশি। আমার কাছে এই ডিবেটিং সোসাইটি একটা আবেগের জায়গা। ক্লাস,পরীক্ষা,টিউটোরিয়াল এই সবকিছুর চাপে থেকেও ডিবেটের জন্য সময় কখনো কম পড়ে যায়নি। সময়ের পরিক্রমায় এতো গুরুদায়িত্ব কাঁধে এসে পড়েছে। আমার এই দায়িত্ব যেনো সম্মানের সাথে যথাযথভাবে পালন করতে পারি সেজন্য আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। পাশাপাশি জুলাই-৩৬ হল ডিবেটিং সোসাইটি পূর্বের অর্জন গুলো সাথে রেখে পরবর্তী প্রজন্ম যেনো সাফল্যের সাথে বিতর্কের অঙ্গনে বিচরণ করতে পারে এই প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করে যাবো”
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
গুচ্ছ ভর্তিতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিরসনের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের জন্য কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক সংস্কার, সনদ উত্তোলনে জটিলতা নিরসন এবং শিক্ষার্থীদের ভর্তি জটিলতায় ভোগান্তি দূরীকরণে উপাচার্য বারাবর দুই দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ইবি শাখা।
সোমবার (২৩ জুন) দুপুর ১টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ নিকট এ স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
স্মারকলিপি প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু দাউদ, সদস্য রাফিজ আহমেদ, নুরুদ্দিন-সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
স্মারকলিপি সূত্র দাবিসমূহ জানা যায়, অতিদ্রুত কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক সংস্কার করার জন্য সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ব্যবহৃত ফিটনেসবিহীন গাড়ি বাতিল করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে সনদপত্র, নম্বরপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উত্তোলনে শিক্ষার্থীরা বারবার হেনস্থার শিকার হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে একাডেমিক শাখায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিহীন সেবা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও একাডেমিক শাখায় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ভর্তি জটিলতা বা ভোগান্তি দূরীকরণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, আমরা উপাচার্য বরাবর দুইদফা দাবি আদায়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছি।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছেন তারা ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে কুষ্টিয়া এবং ঝিনাইদহের সড়ক কর্তৃপক্ষের সাথে বসবেন এবং দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ে শিক্ষার্থীরা যেন ভোগান্তির শিকার না হয় এজন্য প্রশাসন অতি দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন। যদি আমাদের এসব দাবি পালনে কোন প্রকার ব্যত্যয় ঘটে তাহলে পরবর্তীতে আমরা মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে যাবো।
স্মারকলিপি গ্রহণকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একমত পোষণ করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে কমেছে ধূমপায়ী, সিগারেট বিক্রি হ্রাস ৬০ শতাংশ

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা আগের তুলনায় অনেকটাই কমে গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দোকানিরা ও সিগারেট সরবরাহকারীরা। তাঁদের ভাষ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ক্যাম্পাসে মাসে গড়ে ১২ লাখ টাকার সিগারেট বিক্রি হয়, যা আগে ছিল প্রায় ২৪ লাখ টাকা। দিনে যেখানে আগে শিক্ষার্থীরা সিগারেটে ব্যয় করতেন প্রায় ১ লাখ টাকা, এখন তা নেমে এসেছে ৪০ হাজার টাকার কাছাকাছি। অর্থাৎ, আগের তুলনায় সিগারেট বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
সিগারেট বিক্রেতারা জানান, ধূমপান কমে যাওয়ার পেছনে সিগারেটের মূল্যবৃদ্ধি, দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধিই বড় কারণ। অনেকের মতে, বর্তমানে ক্যাম্পাসে ফল, শরবত ও ফাস্টফুড জাতীয় খাবারের চাহিদা বেড়েছে, যা শিক্ষার্থীদের ধূমপানের প্রতি নিরুৎসাহিত করেছে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন ও ক্যাফেটেরিয়াগুলোতে সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ এবং অনেক দোকানেই এটি বিক্রি হয় না।
আবাসিক হলগুলোতেও ধূমপান ও মাদকসেবন নিষিদ্ধ। হল কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত রুম কিংবা হল গেটের ভেতরে ধূমপান করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ক্যাম্পাসের দোকানগুলোতে দু’টি কোম্পানির প্রতিনিধিরা এসে এসব সিগারেট সরবরাহ করেন। এর মধ্যে ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি ছয় ব্র্যান্ডের এগারো ধরনের এবং জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল দুই ব্র্যান্ডের চার ধরনের সিগারেট বিক্রি করে থাকেন।
ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো কম্পানির বিপণন কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলাম ও জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল কম্পানির বিপণন কর্মকর্তা মো. মনির জানান, দুই কোম্পানি ক্যাম্পাসের দোকানে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ১২ লাখ টাকার সিগারেট সরবরাহ করে, যার খুচরা বিক্রয়মূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকার কাছাকাছি।
তারা আরও জানান, প্রতি মাসে সতেরো থেকে আঠারো হাজার শলাকা বিক্রয় করেন। যার ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মতো অর্থাৎ আগের থেকে বিক্রয় অর্ধেক কমে গেছে।
অপর একজন কোম্পানি কর্মকর্তা জানান, প্রতি ২ দিন অন্তর ক্যাম্পাসে প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকার সিগারেট সরবারহ করেন। বিক্রি কমে যাওয়ার কারণ সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি ও দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনক
ক্যাম্পাসের মুদি দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে শিক্ষার্থীরা সিগারেট তেমন ক্রয় করে না। সিগারেটের বিক্রির পরিমাণও পূর্বের তুলনায় অনেক কমে গেছে।
জিয়া মোড়ের এক মুদি দোকানি বলেন, ক্যাম্পাসে আগে অনেকে সিগারেট খেত যারা বিভিন্নভাবে নেশাগ্রস্ত ছিল। এখন তারা না থাকায় বিক্রি অনেক কমেছে। মাঝেমধ্যে সিগারেটের দাম কমবেশি হয় কিন্তু তা বিক্রি কমে যাওয়ায় তেমন কারন নয়।
সিগারেট বিক্রি কমে যাওয়ায় বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে ঝাল চত্বরের এক দোকানি বলেন, সিগারেট বিক্রি করলে আমাদের লাভ হয় খুব কম। তবে ইদানিং সিগারেট বিক্রি কমেছে এতে আমাদের ব্যবসার উপর প্রভাব পড়লেও ভালো লাগছে যে শিক্ষার্থীরা মাদক দ্রব্য গ্রহণে নিরুৎসাহিত হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারহানা বলেন, ‘‘অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষক, কর্মকর্তা, এমনকি শিক্ষার্থীরাও চলন্ত যানবাহনে কিংবা রাস্তার ধারে সিগারেট খাচ্ছেন। এটা দুঃখজনক এবং অনেকের জন্যই অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীরা সচেতন। যারা সচেতন ও প্রকৃত শিক্ষার্থী তারা কখনই এই মাদকের সাথে জড়িত না। আমরাও মাদকের ব্যপারে তৎপরতা বৃদ্ধি করব যাতে এই মাত্রা শূন্যের কোঠায় আনতে পারি।
শিক্ষার্থীর অভিযোগের ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, অভিযোগপত্র দিলে অবশ্যই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘‘মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের ক্যাম্পাসে চারিদিক থেকে প্রবেশ করা যায় এজন্য আমরা রাত দুইটার দিকেও শিক্ষার্থী এবং বহিরাগত মাদক সেবনরত অবস্থায়ও আটক করেছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানগত কারণে রাতে আনসার সহ পুলিশ গার্ড দিতেও ভয় পায়। আমাদের জনবলের অভাব আছে। আমরা অতিরিক্ত ২০ জন আনসার চেয়েছি যদি পেয়ে যায় এবং আমাদের প্রক্টরিয়াল সদস্য যদি ১৫ জনে করতে পারি তাহলে আশা করি রাতে নিরাপত্তা সহ মাদকের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হতে পারবো। দরকার হলে মাঝে মাঝে আমিও রাতে ঝটিকা অভিযান দিবো।
তিনি আরও বলেন, ‘‘যদি গুচ্ছ অন্তর্ভুক্ত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ডোপ টেস্ট করে তাহলে আমরাও প্রাথমিকভাবে নোটবুকের মাধ্যমে চেষ্টা করবো, ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করবো, প্রয়োজনে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিক ক্যাম্পেইন করবো যাতে করে সাধারণ শিক্ষার্থী মাদকাসক্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে না আসে।”
অর্থসংবাদ/সাবিক/কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
‘এমপিও না নিয়ে ঘরে ফিরে যাব না’

‘এমপিও না নিয়ে ঘরে ফিরে যাব না’ বলে জানিয়েছেন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা শিক্ষকরা।