ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে কমেছে ধূমপায়ী, সিগারেট বিক্রি হ্রাস ৬০ শতাংশ

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা আগের তুলনায় অনেকটাই কমে গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দোকানিরা ও সিগারেট সরবরাহকারীরা। তাঁদের ভাষ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ক্যাম্পাসে মাসে গড়ে ১২ লাখ টাকার সিগারেট বিক্রি হয়, যা আগে ছিল প্রায় ২৪ লাখ টাকা। দিনে যেখানে আগে শিক্ষার্থীরা সিগারেটে ব্যয় করতেন প্রায় ১ লাখ টাকা, এখন তা নেমে এসেছে ৪০ হাজার টাকার কাছাকাছি। অর্থাৎ, আগের তুলনায় সিগারেট বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
সিগারেট বিক্রেতারা জানান, ধূমপান কমে যাওয়ার পেছনে সিগারেটের মূল্যবৃদ্ধি, দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধিই বড় কারণ। অনেকের মতে, বর্তমানে ক্যাম্পাসে ফল, শরবত ও ফাস্টফুড জাতীয় খাবারের চাহিদা বেড়েছে, যা শিক্ষার্থীদের ধূমপানের প্রতি নিরুৎসাহিত করেছে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন ও ক্যাফেটেরিয়াগুলোতে সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ এবং অনেক দোকানেই এটি বিক্রি হয় না।
আবাসিক হলগুলোতেও ধূমপান ও মাদকসেবন নিষিদ্ধ। হল কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত রুম কিংবা হল গেটের ভেতরে ধূমপান করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ক্যাম্পাসের দোকানগুলোতে দু’টি কোম্পানির প্রতিনিধিরা এসে এসব সিগারেট সরবরাহ করেন। এর মধ্যে ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি ছয় ব্র্যান্ডের এগারো ধরনের এবং জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল দুই ব্র্যান্ডের চার ধরনের সিগারেট বিক্রি করে থাকেন।
ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো কম্পানির বিপণন কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলাম ও জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল কম্পানির বিপণন কর্মকর্তা মো. মনির জানান, দুই কোম্পানি ক্যাম্পাসের দোকানে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ১২ লাখ টাকার সিগারেট সরবরাহ করে, যার খুচরা বিক্রয়মূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকার কাছাকাছি।
তারা আরও জানান, প্রতি মাসে সতেরো থেকে আঠারো হাজার শলাকা বিক্রয় করেন। যার ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মতো অর্থাৎ আগের থেকে বিক্রয় অর্ধেক কমে গেছে।
অপর একজন কোম্পানি কর্মকর্তা জানান, প্রতি ২ দিন অন্তর ক্যাম্পাসে প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকার সিগারেট সরবারহ করেন। বিক্রি কমে যাওয়ার কারণ সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি ও দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনক
ক্যাম্পাসের মুদি দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে শিক্ষার্থীরা সিগারেট তেমন ক্রয় করে না। সিগারেটের বিক্রির পরিমাণও পূর্বের তুলনায় অনেক কমে গেছে।
জিয়া মোড়ের এক মুদি দোকানি বলেন, ক্যাম্পাসে আগে অনেকে সিগারেট খেত যারা বিভিন্নভাবে নেশাগ্রস্ত ছিল। এখন তারা না থাকায় বিক্রি অনেক কমেছে। মাঝেমধ্যে সিগারেটের দাম কমবেশি হয় কিন্তু তা বিক্রি কমে যাওয়ায় তেমন কারন নয়।
সিগারেট বিক্রি কমে যাওয়ায় বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে ঝাল চত্বরের এক দোকানি বলেন, সিগারেট বিক্রি করলে আমাদের লাভ হয় খুব কম। তবে ইদানিং সিগারেট বিক্রি কমেছে এতে আমাদের ব্যবসার উপর প্রভাব পড়লেও ভালো লাগছে যে শিক্ষার্থীরা মাদক দ্রব্য গ্রহণে নিরুৎসাহিত হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারহানা বলেন, ‘‘অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষক, কর্মকর্তা, এমনকি শিক্ষার্থীরাও চলন্ত যানবাহনে কিংবা রাস্তার ধারে সিগারেট খাচ্ছেন। এটা দুঃখজনক এবং অনেকের জন্যই অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীরা সচেতন। যারা সচেতন ও প্রকৃত শিক্ষার্থী তারা কখনই এই মাদকের সাথে জড়িত না। আমরাও মাদকের ব্যপারে তৎপরতা বৃদ্ধি করব যাতে এই মাত্রা শূন্যের কোঠায় আনতে পারি।
শিক্ষার্থীর অভিযোগের ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, অভিযোগপত্র দিলে অবশ্যই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘‘মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের ক্যাম্পাসে চারিদিক থেকে প্রবেশ করা যায় এজন্য আমরা রাত দুইটার দিকেও শিক্ষার্থী এবং বহিরাগত মাদক সেবনরত অবস্থায়ও আটক করেছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানগত কারণে রাতে আনসার সহ পুলিশ গার্ড দিতেও ভয় পায়। আমাদের জনবলের অভাব আছে। আমরা অতিরিক্ত ২০ জন আনসার চেয়েছি যদি পেয়ে যায় এবং আমাদের প্রক্টরিয়াল সদস্য যদি ১৫ জনে করতে পারি তাহলে আশা করি রাতে নিরাপত্তা সহ মাদকের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হতে পারবো। দরকার হলে মাঝে মাঝে আমিও রাতে ঝটিকা অভিযান দিবো।
তিনি আরও বলেন, ‘‘যদি গুচ্ছ অন্তর্ভুক্ত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ডোপ টেস্ট করে তাহলে আমরাও প্রাথমিকভাবে নোটবুকের মাধ্যমে চেষ্টা করবো, ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করবো, প্রয়োজনে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিক ক্যাম্পেইন করবো যাতে করে সাধারণ শিক্ষার্থী মাদকাসক্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে না আসে।”
অর্থসংবাদ/সাবিক/কাফি

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি

সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। পাশাপাশি শিক্ষার ওপর আরোপিত ১০ শতাংশ কর অবিলম্বে প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ (বুধবার) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির সভাপতি রাকিবুল হাসান সুজন ও সাধারণ সম্পাদক সুবহে সাদিক সন্ধি এ দাবি জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, ২০১৫ সালের ‘নো ভ্যাট অন এডুকেশন’, ২০১৮ সালের ‘নিরাপদ সড়ক’ এবং ২০২৪ সালের গণ-আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রমাণ করেছে তারা রাজনৈতিকভাবে সচেতন। তাই এখন সময় এসেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও গণতান্ত্রিক চর্চা ও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করার।
তারা আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের আর্থসামাজিক বাস্তবতায় অভিন্ন টিউশন ফি নির্ধারণ, অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি বাস্তবায়ন, গবেষণায় বাজেট বাড়ানো, শিক্ষকের সংকট নিরসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে ছাত্র প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ছাত্র সংসদই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যেসব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যে ছাত্র সংসদের তফসিল ঘোষণা হয়েছে, সে দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। না হলে ছাত্র ইউনিয়ন শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিজেরাই নির্বাচন আয়োজন করবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একদিকে শিক্ষার্থীদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করছে, অন্যদিকে সাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী গোপন সংগঠনের কার্যকলাপের বিষয়ে নীরব রয়েছে। এটা দ্বিচারিতা, যা আর চলতে দেওয়া যায় না। বিশ্বব্যাংকের সুপারিশে শিক্ষাকে বাণিজ্যিক পণ্যে পরিণত করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ১০ শতাংশ কর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি বৈষম্যমূলক। এই কর প্রত্যাহার ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ডাকসু নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা, ভোট ৯ সেপ্টেম্বর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে নির্বাচন কমিশনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম এ ঘোষণা দেন। এ সময় অন্যান্য রিটার্নিং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৯ সেপ্টেম্বর। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
নির্বাচন কমিশনের সময়সূচি অনুযায়ী, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৩০ জুলাই এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ১১ আগস্ট।
তপশিলে বলা হয়, ডাকসুর নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে ১২ থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৯ আগস্ট, বিকেল ৩টা। আর মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২০ আগস্ট। প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে ২১ আগস্ট।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আসন্ন ডাকসু নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ আগস্ট। এরপর ২৬ আগস্ট প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকা। ৯ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ শেষে রাতেই ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের ফলাফল।
জানা গেছে, এ বছর হল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলো ৬টি নিরপেক্ষ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে প্রথমবারের মতো হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র থাকবে।
কেন্দ্রগুলো হল- ১. কার্জন হল কেন্দ্রে (পরীক্ষার হল) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল, অমর একুশে হল ও ফজলুল হক হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন।
২. শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবে।
৩. ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ভোট দেবেন রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল ও কবি সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা।
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা।
৫. সিনেট ভবন কেন্দ্রে (অ্যালামনাই ফ্লোর, সেমিনার কক্ষ, ডাইনিং রুম) ভোট দিতে পারবেন স্যার এ এফ রহমান হল, হাজী মুহম্মদ মহসীন হল ও বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা।
৬। উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে সূর্য সেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কবি জসীম উদ্দীন হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে পারবেন।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ডাকসু নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা আজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের তপশিল আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ঘোষণা করা হবে।
সোমবার (২৮ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন–২০২৫-এর চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৯ জুলাই (মঙ্গলবার) বিকেল ৪টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের দ্বিতীয় তলার কনফারেন্স রুমে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫ এর নির্বাচনী তপশিল ঘোষণা করা হবে।
এর আগে, গত ২০ জুলাই তপশিল ঘোষণার তারিখ এবং ডাকসু নির্বাচনের সময় ঘোষণা দেওয়া হয়। সেদিনই ২৯ জুলাই তপশিল ঘোষণার কথা প্রথম জানানো হয়।
জানা গেছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হতে পারে। এ বছর হল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলো ৬টি নিরপেক্ষ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে প্রথমবারের মতো হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র থাকবে।
কেন্দ্রগুলো হল- ১. কার্জন হল কেন্দ্রে (পরীক্ষার হল) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল, অমর একুশে হল ও ফজলুল হক হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন।
২. শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবে।
৩. ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ভোট দেবেন রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল ও কবি সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা।
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা।
৫. সিনেট ভবন কেন্দ্রে (অ্যালামনাই ফ্লোর, সেমিনার কক্ষ, ডাইনিং রুম) ভোট দিতে পারবেন স্যার এ এফ রহমান হল, হাজী মুহম্মদ মহসীন হল ও বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা।
৬। উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে সূর্য সেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কবি জসীম উদ্দীন হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে পারবেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, প্রজ্ঞাপন জারি

দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে দেশের ৬৫ হাজার ৫০২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব প্রধান শিক্ষক দশম গ্রেড অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাবেন।
সোমবার (২৮ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষকরা জাতি গঠনের মূল কারিগর। তাদের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। সম্প্রতি ১২৪/২০২২ নম্বর সিভিল রিভিউ পিটিশনে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অনুসারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বিদ্যমান ১১তম থেকে দশম গ্রেড বেতন স্কেলে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
‘এর ধারাবাহিকতায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীতকরণ যৌক্তিক বিবেচিত হওয়ায় সরকার সারাদেশে ৬৫ হাজার ৫০২ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল বিদ্যমান ১১তম গ্রেড (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) ও ১২তম গ্রেড (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে দশম গ্রেডে উন্নীতকরণে সম্মতি দিয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়, যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করা হলো। গৃহীত উদ্যোগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তাদের সামাজিক মর্যাদা সুসংহত করবে। ফলে তারা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও সৃজনশীল ও উদ্দীপ্ত ভূমিকা পালন করবে। এতে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও উন্নত ও গতিশীল শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।
দশম গ্রেড দিয়ে সরকার প্রধান শিক্ষকদের প্রতি দায়বদ্ধতা ও সম্মান দেখিয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীত করার মাধ্যমে তাদের প্রতি তার দায়বদ্ধতা ও সম্মান প্রদর্শন করছে সরকার।
সরকারের এ পদক্ষেপ প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা অন্যান্য শিক্ষকমণ্ডলী, অভিভাবক ও সর্বস্তরের অংশীজনের সহায়তায় প্রাথমিক শিক্ষার মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত করবেন, এটি সরকারের প্রত্যাশা।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে সাজিদ স্মৃতি অ্যালবাম প্রদর্শনী

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ শিক্ষার্থী রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করা সাজিদ আব্দুল্লাহর স্মৃতিকে জাগ্রত রাখতে “ECHOES OF SAJID” শীর্ষক স্মৃতি অ্যালবাম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৭ জুলাই) রাত আটটার দিকে ইবি মেইন গেইটের সামনে ‘জাস্টিস ফর সাজিদ আব্দুল্লাহ’ প্লাটফর্মের আয়োজনে এ স্মৃতি প্রদর্শনী দেখানো হয়। এতে জুলাই অভ্যুত্থানে সাজিদের অংশগ্রহণ, সাজিদের কুরআন তেলাওয়াত ও কাওয়ালীর সুরেলা সঙ্গীত, সাজিদের মৃত্যুর পর বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং তদন্তে প্রশাসনের অবহেলার বিষয়টি তুলে আনা হয়।
প্রদর্শনী শেষে শিক্ষার্থীরা বলেন, সাজিদের মৃত্যুর প্রায় দশ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত আমরা কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। প্রশাসন বেশ আরামেই তাদের সময়গুলো পার করছে। ক্যাম্পাসে এমন একটি পরিস্থিতি বিরাজ করছে যে কিছুই হয়নি। অথচ সাজিদের জায়গায় আমরা যে কেউ-ই থাকতে পারতাম। আজ যারা সাজিদকে হত্যা করে পার পেয়ে যাচ্ছে, তারা সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। তারা ধরে নিচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি কোনো হত্যাকাণ্ড করা হয় তাহলে এর কোনো বিচার বা তদন্ত হয়না। তাই আমরা সকলেই সাজিদ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুরে সাজিদ আব্দুল্লাহর মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেল সাড়ে ৬ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও ইবি থানা পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে ক্যাম্পাসে নানা মহলে সৃষ্টি হয়েছে সন্দেহের। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রশাসন তদন্তে কমিটি গঠন করলেও তদন্ত কমিটির কাজের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট নয় শিক্ষার্থীরা। সাজিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলায়।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম