রাজনীতি
শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন সিইসির বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিএনপি।
রবিবার (২২ জুন) শেরেবাংলা নগর থানায় দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান (মামলা ও তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়ক) মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমাউল হক বলেন, পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে মো. সালাহ উদ্দিন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এসংক্রান্ত আবেদন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে জমা দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচনের পর ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও ভোটের আগের রাতেই আওয়ামী লীগের পক্ষে ব্যালটে সিল মারা হয়। ফলাফলও হয় একতরফা। নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট পায় ২৮৮টি আসন। অপরদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পায় মাত্র ৮টি আসন। তখনকার কে এম নূরুল হুদা কমিশন বিষয়টি জানার পরও ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো ধামাচাপা দেয়। ওই কমিশনের সিইসি ছিলেন কে এম নুরুল হুদা। ওই কমিশনের নির্বাচন কমিশনার ছিলেন মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। আরেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার মারা গেছেন।
আওয়ামী লীগের দলীয় ও একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচন করে ‘আমি-ডামি ভোট’ উপাধি পায় কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। ওই কমিশনের বেশিরভাগ কার্যক্রম নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ওই নির্বাচনে ভোটের হার নিয়ে বড় ধরনের বিতর্ক তৈরি হয়। ভোটের দিন বেলা ৩টা পর্যন্ত ২৭ দশমিক ১৫ ভাগ ভোট পড়ে বলে জানানো হলেও এক ঘণ্টার ব্যবধানে ভোটের হার ৪০ শতাংশ বলে উল্লেখ করা হয়। অবশ্য ভোটের হার ঘোষণার সময় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রথমে ২৮ শতাংশ ভোট পড়ার কথা বলে পরে তা সংশোধন করে ৪০ শতাংশের কথা বলেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হাবিবুল আউয়াল লোকচক্ষুর অন্তরালে অবস্থান করছেন। ওই কমিশনের নির্বাচন কমিশনার ছিলেন-ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, মো. আনিছুর রহমান, মো. আলমগীর ও বেগম রাশেদা সুলতানা।

রাজনীতি
শাপলা, কলম বা মোবাইল প্রতীক চাইল এনসিপি, নিবন্ধন পেতে আবেদন

শাপলা, কলম বা মোবাইল প্রতীক চাইল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি), নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছে দলটি। এসব তথ্য জানিয়েছে দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
রাজনীতি
নিবন্ধন পেতে ইসিতে এনসিপির আবেদন, প্রতীক চেয়েছে শাপলা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে রোববার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধনের আবেদন জমা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এসময় দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা চেয়েছে দলটি।
এনসিপির হয়ে আবেদন জমা দিতে এদিন নির্বাচন কমিশনে আসেন দলটির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারীসহ দলের অসংখ্য নেতাকর্মী।
রবিবার (২২ জুন) ইসিতে আবেদন জমা দেওয়ার পর দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, দেশবাসী আমাদের সঙ্গে আছে। ইসিতে শাপলা প্রতীক চেয়েছি। দেশের জনগণ এই প্রতীক চায়। স্বল্প সময়ে সারাদেশে কথা বলেছি। অনেক জায়গায় আমাদের বাধা দেওয়া হয়েছে। সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে এসেছি। শাপলা প্রতীকের জয়জয়কার হবে। এছাড়া কলম ও মোবাইল প্রতীক চেয়েছি। তবে জনগণ শাপলা প্রতীকে পাবে। আমরা সরকার গঠন করে ফ্যাসিবাদ সমাপ্ত করব।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত ৪০০ আসনের মধ্যে ৩০০ আসনে এনসিপি জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পারবে বলে দাবি করেন তিনি।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, দল নিবন্ধনের আবেদন দাখিল করেছি। ইসি তা রিসিভ করেছে। আমরা সব শর্ত পূরণ করেছি। জাতীয় নাগরিক পার্টি জননগণের। সারাদেশের জনগণ এনসিপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। দলের প্রতীক হিসেবে তিনটি আবেদন করেছি। শাপলা বরাদ্দ পাব বলে আশা করছি।
ইসিতে নিবন্ধনের জন্য কোনো দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সক্রিয় কেন্দ্রীয় অফিস থাকা, অনূর্ধ্ব এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় জেলা অফিস এবং অন্যূন ১০০টি উপজেলা বা ক্ষেত্রবিশেষে মেট্রোপলিটন থানায় অফিস (যার প্রতিটিতে সদস্য হিসেবে ন্যূনতম ২০০ ভোটার তালিকাভুক্ত হতে হবে) থাকার শর্ত পূরণ করতে হয়। পাশাপাশি দলের গঠনতন্ত্রে কিছু বিষয় উল্লেখ থাকতে হয়।
১ জুন ঢাকা মহানগর উত্তরে সমন্বয় কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে এনসিপির কমিটি গঠন শুরু হয়। বুধবার পর্যন্ত দেশের ৩৩টি জেলা ও ১২৭টি উপজেলায় সমন্বয় কমিটি করেছে এনসিপি। এই কমিটিগুলোর মাধ্যমে পরে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে দলটির আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হবে।
রাজনীতি
জীবদ্দশায় একজনের ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকা উচিত নয়: জামায়াত

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, কোনো এক ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা উচিত নয় বলে মনে করে জামায়াতে ইসলামী।
রোববার (২২ জুন) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বার ও মেয়াদ নিয়ে প্রস্তাব করেছিলাম-একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ দশ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রীর দায়্ত্বি পালন করতে পারবেন না। এ বিষয়ে সবাইকে একমত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জামায়াতের এ নেতা বলেন, বার ও মেয়াদের ব্যাখ্যায় যাওয়ার দরকার নেই। তিনটি দল ছাড়া সবাই এই প্রশ্নে এক জায়গায় এসেছি। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি তার জীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, সেটা যত বারই হোক। এটা জাতির আকাঙ্ক্ষা, আমি মনে করি। এটিই আমাদের সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে, বলেন জামায়াতের এই নায়েবে আমির।
এমন নজির বহুদেশে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা বাংলাদেশেও জরুরি বলে আমরা মনে করি। এ নিয়ে আমরা প্রায় ঐকমত্যে এসেছি। বিকালে আরও দুটো পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হবে।’
বৈঠকে আলী রীয়াজ ছাড়াও আরও উপস্থিত রয়েছেন, ঐকমত্য কমিশনের সদস্য জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।
এরআগে গেল ১৭ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের অসমাপ্ত আলোচনায় অংশ নেয়নি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে যোগাযোগের পর পরেরদিন অবশ্য অংশ নিয়েছিল তারা।
এদিকে সংসদের উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো এখনো কাছাকাছি আসতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনতেই এনসিসি গঠনের কথা বলা হচ্ছে।
রাজনীতি
মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল যাচ্ছেন চীন সফরে

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল চীন সফরে যাচ্ছেন। চীনের সরকারি দল কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে এই সফর করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
আজ শনিবার (২১ জুন) রাতে প্রতিনিধি দলটি চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবে বলে বিএনপির মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির খান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত লিউ ইউইনের আমন্ত্রণে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশটির ঢাকাস্থ দূতাবাসে বিএনপির এই প্রতিনিধিদল গিয়েছিল।
প্রতিনিধিদলে রয়েছেন:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, ইসমাঈল জবিউল্লাহ্, অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আহমেদ পাভেল, বিএনপি নেতারা জানান, এই সফরে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।
তারা আরও উল্লেখ করেন যে, এই সফরের মাধ্যমে বিএনপির আন্তর্জাতিক মিত্র চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে এবং চীন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে পাশে রয়েছে। ফলে দলগতভাবে এবং আগামী দিনে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে এই সফর কাজে লাগবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাজনীতি
সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা ছাত্রদলের

উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে জড়ানো শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীর নতুনবাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে অংশ নিয়েছেন ছাত্রদল।
বিস্তারিত ভিডিওতে….