জাতীয়
ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান বাংলাদেশের

ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তুরস্কের ইস্তানবুলে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৫১তম সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তার বক্তব্যে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের বেআইনি ও আগ্রাসী সামরিক হামলার তীব্র নিন্দা জানান। এ আগ্রাসনকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও ইরানের সার্বভৌমত্বের মারাত্মক লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ইসরায়েলের এ ধরনের বেপরোয়া কর্মকাণ্ড এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার এবং বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করার হুমকি সৃষ্টি করেছে’।
তিনি অবিলম্বে এ ধরনের উসকানি বন্ধের আহ্বান জানান এবং কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধার মাধ্যমে শান্তি নিশ্চিত করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার সময় ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা অবিলম্বে ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে বন্ধেরও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে) ও আইসিসির মাধ্যমে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহির দাবিতে ওআইসিকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ ও সোচ্চার থাকতে হবে। আমাদের সংহতিকে অবশ্যই কৌশলগত ও টেকসই পদক্ষেপে রূপান্তরিত করতে হবে’।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তার বক্তব্যে রোহিঙ্গা সমস্যা তুলে ধরেন। আইসিজেতে ওআইসির আইনি উদ্যোগ এবং ওআইসি টেন ইয়ার প্রোগ্রাম অব অ্যাকশনে রোহিঙ্গা ইস্যুকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত লক্ষ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য ওআইসির প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য মিয়ানমারের ওপর কূটনৈতিক চাপ বাড়ানোর পাশাপাশি আইসিজেতে চলমান আইনি কার্যক্রমে অর্থায়নে সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি।
মুসলিম বিশ্বের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও ইসলামভীতি মোকাবিলায় আরও বিস্তৃত ও কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য ওআইসিকে আহ্বান জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের উচিত ওআইসির প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, জবাবদিহি ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করা’।
সম্মেলনের সাইডলাইনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো সেরি উটামা হাজি মোহাম্মদ বিন হাজি হাসান, ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হোসেন, উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইদভ বাখতিয়র ওদিলোভিচ এবং পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।
ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দুদিনব্যাপী সম্মেলন আজ (শনিবার) শুরু হয়েছে। সকালে এ সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। বিকেলে ইরানের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন ইস্যুতে বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয়
হাসিনাকে আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে ফিরিয়ে আনা হবে: প্রধান উপদেষ্টা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এ অবস্থায় তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে আন্তর্জাতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সফরের সময় বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমরা চাই তিনি (শেখ হাসিনা) বিচারের মুখোমুখি হোন। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্তর্জাতিক পদ্ধতি ব্যবহার করবো- যেভাবে একজন অভিযুক্তকে দেশে ফিরিয়ে আনা যায়, সেটাই করবো। তাকে ধরে আনার কোনো ক্ষমতা তো আমাদের নেই।
অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশ নিতে দেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা বহুবার এটা ব্যাখ্যা করেছি, আবারও বলছি। প্রথমত, আওয়ামী লীগ না থাকলেও নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে কি না- সম্প্রতি ঢাকায় জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর খুব ভালোভাবে এটা ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেছেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক মানে কোনো নির্দিষ্ট দল নয়, সব মানুষের অংশগ্রহণ। যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ ভোট দিতে পারছে, ততক্ষণ এটা অন্তর্ভুক্তিমূলক।
দেশের অনেক মানুষ এখনো আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে। তারা আওয়ামী লীগকে, আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে না?- জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তাদের সিদ্ধান্ত নিতে দিন তারা ভোট দিতে চায় কি না। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা ভোটার- তাদের ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা আছে।
শেখ হাসিনাকে ধরে আনতে তো পারবো না, আন্তর্জাতিক নিয়মে ফিরিয়ে আনবো
কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে নয়, যদি না আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়- প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা এখনো আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করিনি। আগে একটা বিষয় পরিষ্কার করি- আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। তাদের কার্যক্রম সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কার্যক্রম সাময়িক নিষিদ্ধের মধ্যে নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত?- এমন প্রশ্নে ড. ইউনূস বলেন, সাময়িকভাবে। নির্বাচনে তারা থাকবে কি না, সেটা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।
বিবিসির সাংবাদিক জানতে চান, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। আপনি দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি এখন ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তো আপনি তাকে ফেরত আনতে চান, তাই না? তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আছে, তা নিয়ে আপনি তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে চান?
জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিচার এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে, এটা চলমান একটা প্রক্রিয়া। পুরোপুরি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বিচার হবে। আমরা চাই তিনি বিচারের মুখোমুখি হোন। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্তর্জাতিক পদ্ধতি ব্যবহার করবো- যেভাবে একজন অভিযুক্তকে দেশে ফিরিয়ে আনা যায়, সেটাই করবো। এটা সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়া। তাকে ধরে আনার কোনো ক্ষমতা তো আমাদের নেই।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এতদিন তাবে ভারতে থাকতে দেওয়ায় আপনি কি নরেন্দ্র মোদির ওপর বিরক্ত নন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তার ভারতে থাকা বাংলাদেশিদের জন্য তেমন কোনো সমস্যা নয়। সমস্যা হচ্ছে তার কণ্ঠস্বর, তিনি নিয়মিত বাংলাদেশের মানুষের উদ্দেশে ভাষণ দেন, মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করেন।
জাতীয়
ইসিতে নতুন নিবন্ধন আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আজ

নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আজ রবিবার (২২ জুন)। এদিন বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন সহায়তা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ১০০টির মতো দল আবেদন করেছে। এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বেশ কিছু দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেড় মাসের মতো সময় বৃদ্ধি করে ইসি। এনসিপিসহ কয়েকটি দলের রোববার আবেদন করার কথা রয়েছে।
দল নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক-তৃতীয়াংশ জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি থাকতে হয়। এছাড়াও কোনো দলের কেউ পূর্বে সংসদ সদস্য থাকলে বা পূর্বের নির্বাচনের পাঁচ শতাংশ ভোট পেলেও নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়।
ইসিতে বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫০টি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), এবি পার্টি, নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), মাহমুদুর রহমানের নাগরিক ঐক্য এবং গণসংহতি আন্দোলন নামের দলগুলোকে নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এগুলোর প্রায় প্রতিটিই আবেদনের পাঁচ থেকে ছয় বছর পর আদালতের আদেশে নিবন্ধন পেয়েছে।
নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৫টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তী সময়ে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল করে ইসি। দলগুলো হলো- জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা।
সম্প্রতি আদালতের আদেশে জামায়াতে ইসলামী ও জাগপা নিবন্ধন ফিরে পেলেও ইসি এখনো প্রজ্ঞাপন জারি করেনি।
জাতীয়
রাজনীতিবিদ ও আমলারা দুর্নীতি বন্ধ করতে চান না: জ্বালানি উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, দেশের রাজনীতিবিদ ও আমলারা দুর্নীতি বন্ধ করতে চান না। শনিবার ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতির বাজেটবিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, অপচয়, দুর্নীতি ও অদক্ষতা অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। ব্যক্তিস্বার্থে পানি উৎস থেকে অনেক দূরে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ এবং অপ্রয়োজনীয় রাস্তা বানানোর মাধ্যমে বিপুল অর্থ অপচয় হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আত্মীয়করণ, স্বজনপ্রীতি ও সুবিধাবাদের পথে না হেঁটে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত রাখতে চায়।
বিদ্যুৎ খাত প্রসঙ্গে ফাওজুল কবির বলেন, নিজস্ব গ্যাসের মজুত কমে যাওয়ায় এলএনজি-নির্ভরতা বেড়েছে, যা সরকারের জন্য বড় অঙ্কের ভর্তুকির কারণ। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সরকারি ভবনে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন এবং ছাদে প্যানেল বসিয়ে বেসরকারি খাত থেকে প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অর্থনৈতিক সমিতির আহ্বায়ক মাহবুব উল্লাহ। সমিতির সদস্যসচিব হেলাল উদ্দিন বলেন, অর্থনৈতিক ইস্যুতে বিভিন্ন মতের যুক্তিপূর্ণ আলোচনার কেন্দ্র হিসেবে ভূমিকা রাখবে অর্থনৈতিক সমিতি।
কাফি
জাতীয়
আউটসোর্সিং শিল্প বিকাশে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে: শিল্প উপদেষ্টা

আউটসোর্সিং শিল্প বিকাশে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। তিনি বলেন, বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা বিপিও খাত এখন কেবল আউটসোর্সিং নয়—এটি মানবসম্পদ ও অর্থনৈতিক রূপান্তরের প্রতীক।
শনিবার (২১ জুন) দুই দিনব্যাপী ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৫’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর সেনাপ্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সামিট শুরু হয়।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বিএসিসিও)-এর আয়োজনে সামিটে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও আন্তর্জাতিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, একটি ল্যাপটপ, ইন্টারনেট সংযোগ ও সঠিক দক্ষতা—এই তিনের সমন্বয়েই আজ বাংলাদেশ থেকে উঠে আসছে বৈশ্বিক কর্মশক্তি। এই সামিট তাদের স্বপ্নের প্রতিচ্ছবি।
উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য রাখেন বিএসিসিও’র সভাপতি তানভীর ইব্রাহীম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু সাঈদ, বিএসিসিও’র সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আলিম।
উদ্বোধনী পর্বের পর দিনব্যাপী চলে সেমিনার ও ওয়ার্কশপ, যেখানে বিভিন্ন দেশের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, উদ্যোক্তা ও কূটনৈতিক প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এতে বৈশ্বিক বিপিও চাহিদা, বাংলাদেশের অবস্থান এবং তরুণদের ভবিষ্যৎ প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়।
সামিটে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ) এবং টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ (টিএমজিবি)।
জাতীয়
একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের চেষ্টা করছে সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন দেওয়ার চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সংস্কার বাস্তবায়ন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে।
শনিবার (২১ জুন) দুপুরে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা অগ্রগতি এবং গবেষণা পরিকল্পনা প্রণয়ন শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, মাছ আমিষের জোগানদাতা; প্রাণিজ আমিষ হিসেবে মাছ বাঙালির অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিভাগ, বিএফআরআই এবং মৎস্য অধিদপ্তরকে অভিন্ন লক্ষ্যে আন্তঃসমন্বয় করে কাজ করতে হবে; তবেই বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদের গুণগত পরিবর্তন সম্ভব।
বিজ্ঞানীদের জাতির মূল্যবান সম্পদ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, তারা যেন তাদের মেধা দিয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করতে পারে, গবেষণায় আরও মনোনিবেশ করতে পারে—সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে। বিজ্ঞানীদের এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে, যা সাধারণ মানুষের বোধগম্য হবে এবং যার উপকারিতা জনগণ সরাসরি বুঝতে পারবে। এসব প্রযুক্তি যদি মৎস্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে সম্প্রসারিত করা যায়, তাহলে দেশে মাছের সংকট থাকবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, কৃষি কার্যক্রমে ব্যবহৃত কীটনাশক হাওর এলাকার মাছের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কীটনাশক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এসব কমিটির কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে হাওরাঞ্চলে কীটনাশক ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে কমবে; ফলে জলজ প্রাণীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বিলুপ্তপ্রায় ও হুমকির মুখে থাকা মাছ শনাক্তে আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) প্রজাতিগুলোকে লাল (বিপন্ন), হলুদ (ঝুঁকিপূর্ণ) ও সাধারণ (নিরাপদ) শ্রেণিতে ভাগ করেছে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে মাছের সংকট নিরসনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় বিএফআরআই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। আর তা সফল হলে তা দেশের মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে একটি বড় মাইলফলক হবে।
বিএফআরআই মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে ময়মনসিংহ বিভাগের মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, বিএফআরআই-এর বিজ্ঞানীরা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ও মৎস্য খামারিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় স্বাদুপানি কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হারুন উর রশিদ গবেষণা পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।