Connect with us
৬৫২৬৫২৬৫২

প্রবাস

টোকাই যখন রক্ষক, আর সেনাবাহিনী হয়ে দাঁড়ায় দর্শক: একটি রাষ্ট্রদ্রোহের জবাব কোথায়?

Published

on

ডিএসই

বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি কি শুধু রাজনীতিবিদদের ক্যারিয়ার গড়ার জন্য জন্ম নিয়েছিল? এই প্রশ্নটি আজ কেবল বুদ্ধিবৃত্তিক নয়—এটি একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা ও জাতির অস্তিত্বঘন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে রয়েছে লুটপাট, অন্যদিকে রয়েছে নির্বিকারতা। একদিকে দুর্নীতিতে হাবুডুবু খাওয়া প্রশাসন, অন্যদিকে নিজের রক্ত দিয়ে, হাড়-মাংস দিয়ে এই রাষ্ট্রকে রক্ষা করে চলেছে যে জনগণ—বিশেষত সেই ‘টোকাই’ শ্রেণি—তারা আজও জানে না, রাষ্ট্রটা আদৌ তাদের জন্য কিনা।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

২০২৪ সালের জুলাইয়ে যখন এক নতুন ইতিহাস রচিত হয়—স্বৈরাচার পতনের জন্য গোটা জাতি রাস্তায় নামে, তখন সশস্ত্র বাহিনী কিংবা রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কাঠামো এক বিরাট প্রশ্নের মুখে পড়ে। দীর্ঘকাল ধরে যে বাহিনীর পিছনে জনগণের অর্থে রাষ্ট্রীয় বাজেটের বৃহত্তর অংশ ব্যয় হয়, যারা রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষার প্রতীক বলে বিবেচিত, তারা তখন কেন নীরব ছিল? শুধু নীরব নয়—প্রকৃতপক্ষে তারা একটি অবৈধ ও গণবিচ্ছিন্ন শাসনের রক্ষাকবচ হিসেবেই কাজ করেছে বছরের পর বছর। অথচ যাদের নামে আমরা একসময় ‘অনুন্নত’ বলতাম, যাদের কোনো রাজনৈতিক স্ট্যাম্প নেই, যাদের অস্ত্র কেবল রাগ আর ক্ষুধা—সেই ‘টোকাই’ শ্রেণির মানুষেরাই দেশের ভবিষ্যৎ বদলের প্রধান চালিকা হয়ে উঠেছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

তাহলে সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা কোথায়?

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এই প্রশ্নের উত্তর শুধু একটি বাহিনীর গায়ে কালি লাগানো নয়। এটি জাতির সামনে একটি মূল প্রশ্ন উপস্থাপন: রাষ্ট্র কার? রক্ষার দায়িত্ব কাদের? জনগণের পয়সায় যাদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র কিনে দেওয়া হয়, তারা বিপদের সময় কোন ভূমিকায় থাকে? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া না গেলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আর কোনো প্রতিষ্ঠানিক ন্যায়বিচার বা গঠনমূলক রাষ্ট্রচিন্তা টিকে থাকবে না।

স্বৈরতন্ত্রের দীর্ঘ যাত্রায় দেখা গেছে—সেনাবাহিনী কখনোই জনগণের পক্ষে অবস্থান নেয়নি। তারা শুধু রাষ্ট্রক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করতে চেয়েছে—এমনকি সেটা যদি স্বৈরাচারী ও বিদেশপন্থী শাসকদের পক্ষে হয় তবুও। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ মিশর, পাকিস্তান বা মিয়ানমারের চেয়ে কোনো আলাদা দেশ নয়। বরং বাংলাদেশের সেনাবাহিনী আরও দক্ষতায় স্বৈরতন্ত্রকে কাস্টমাইজড করে টিকিয়ে রেখেছে—সীমান্তে অস্ত্র নয়, কাঁধে বাণিজ্যের ব্যাগ নিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন হয়েছে।

অন্যদিকে, এই দেশের সবচেয়ে নিরস্ত্র ও নিরুপায় মানুষরাই যখন রাজপথে রক্ত দেয়, লাশ পড়ে, গুম-খুন সহ্য করে দেশ রক্ষা করে—তখন রাষ্ট্র তাদের কী দিয়েছে? রাষ্ট্র কখনো তাদের ‘নিরাপত্তা বাহিনী’ বলেছে? না, রাষ্ট্র তাদের ‘উসকানিদাতা’, ‘জঙ্গি’, ‘রাজাকার’ বা ‘বাম চরমপন্থী’ আখ্যা দিয়েছে। অথচ ইতিহাস সাক্ষী—বাংলাদেশের সবচেয়ে বিপ্লবী ও প্রতিরক্ষামূলক ভূমিকা পালন করেছে এই টোকাই শ্রেণির মানুষরাই, যারা প্রশাসন, কূটনীতি কিংবা বড় পুঁজির সুবিধা ছাড়াই দেশপ্রেমকে বাস্তবতার মাটিতে নামিয়ে এনেছে।

এই ভয়ানক বৈপরীত্যের জবাব কে দেবে?

রাজনীতিবিদরা? যাদের অধিকাংশের অস্তিত্বই জনগণের নামে অথচ জনগণবিরোধী অপকৌশলের ওপর দাঁড়িয়ে? যারা নিজের দলীয় পৃষ্ঠপোষকতাকে রাষ্ট্রের চেয়ে বড় করে দেখে? না, তারা পারবে না। কারণ তারা নিজেরাও সেনা-আধিপত্য, আমলাতন্ত্র আর বিদেশি অনুগ্রহের কাছে আত্মসমর্পণ করে নিজেদের রাজনৈতিক সুবিধা হাসিল করতে চায়। যারা রাজপথে রক্ত দেয় না, তাদের হাতে ‘নাগরিক চুক্তি’ স্বাক্ষরের নৈতিকতা নেই।

সেনাবাহিনী দেবে? তারা তো পেশাগতভাবে প্রশিক্ষিত, কিন্তু নৈতিকভাবে শূন্য। যদি সেনা কর্মকর্তা রাস্তায় পড়ে থাকা টোকাইদের জীবনের চেয়ে নিজের ব্যারাকের নিরাপত্তাকে বড় করে দেখে, তাহলে সেই সেনাবাহিনীর অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তোলা সময়ের দাবি।

রাষ্ট্রের মালিক কারা—জনগণ, সেনা, নাকি ধনিক চক্র? টোকাই জাতির বিচারের সময় এসেছে

বাংলাদেশের সংবিধান বলে, “এই প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ।” কিন্তু বাস্তবতা বলে ভিন্ন কিছু। যদি জনগণই রাষ্ট্রের মালিক হতো, তাহলে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের কণ্ঠস্বর আজ এভাবে নিষ্পেষিত হতো না। যদি এই দেশের আসল মালিক হতো কৃষক, মজুর, গার্মেন্ট শ্রমিক কিংবা রাস্তার টোকাই—তাহলে একতরফাভাবে জাতির উপর চেপে বসা সরকার কিংবা বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী আমলা-জেনারেল-পুঁজিপতিদের এমন রক্তচোষা শাসন চালানো সম্ভব হতো না।

আসলে বাংলাদেশ এখন আর কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়, বরং এটি একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন কর্পোরেট কোম্পানি, যেখানে রাজনীতি মানে ঠিকাদারি, প্রতিরক্ষা মানে সীমান্ত বাণিজ্য আর আমলাতন্ত্র মানে বিদেশি পরামর্শে জনগণকে কাবু করার কৌশল। এই কোম্পানির মালিকানা রয়েছে কিছু পরিবারের হাতে, যাদের নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনী, যাদের বিলাসিতার জন্য বাজেট, যাদের অপকর্ম ঢাকার জন্য আদালত ও মিডিয়া প্রস্তুত। আর এই ‘নতুন কোম্পানি রাষ্ট্রে’ সবচেয়ে অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে জনগণ—বিশেষ করে যাদের রক্ত ঘামে এই রাষ্ট্রের উৎপাদনশীলতা তৈরি হয়েছে।

এখন প্রশ্ন: যদি জনগণ রাস্তায় নামে, নির্বাচন চায়, অধিকার চায়—তাদের পিঠে গুলি চলে কেন? কেন সেনাবাহিনী তখন চুপ থাকে? কেন মিডিয়া তখন বলে ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’? এই প্রশ্নগুলো কোনো কবিতা বা চেতনার কথা নয়—এগুলো রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় স্বরূপ উন্মোচনের প্রশ্ন।

জুলাই ২০২৪-এর গণজাগরণ তার সর্বোচ্চ সত্য দিয়ে আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে—সেখানে প্রতিরক্ষা বাহিনী নিষ্ক্রিয়, পুলিশ প্রশাসন দুর্নীতিপরায়ণ আর টোকাইদের হাতেই দেশ বাঁচে। অর্থাৎ, রাষ্ট্রপ্রতিরক্ষা ও রাষ্ট্রনির্মাণ—দুটোরই আসল মালিক এখন ‘অবৈধভাবে’ পথের মানুষ হয়ে উঠেছে।

এই বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে জনগণ এখন জবাব চায়:
•    যারা বেতন নেয় দেশের প্রতিরক্ষার নামে, তারা কোথায় ছিলেন?
•    যারা কথায় কথায় ‘জাতীয় নিরাপত্তা’র কথা বলেন, তারা কার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন—দেশের, না ক্ষমতাবানদের?
•    যারা বারবার নির্বাচন ছিনিয়ে নিয়েছে, তারা কী সত্যিই রাষ্ট্রকে ভালোবেসে ক্ষমতায় ছিল, নাকি এটা ছিল লুটপাটের লাইসেন্স?

এত বছরের রাষ্ট্রচক্র আর শোষণ যন্ত্রপাতির বিপরীতে যে টোকাই শ্রেণি রাজপথে দাঁড়িয়েছে, তার নৈতিক শক্তি কত বিশাল, তা বুঝতে হলে দেখতে হবে—তারা কোনো পদ, পদবী, ক্ষমতা বা বৈদেশিক অনুদানের জন্য রাজপথে নামেনি। তারা নেমেছে কেবল নিজের ভবিষ্যতের জন্য, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য। এই শক্তি যদি আজ অবধি গণ্য না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

সেনাবাহিনী, আমলাতন্ত্র এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব—এই ত্রয়ী যদি এই সংকটেও জবাব না দেয়, তাহলে সেই নীরবতা নিজেই রাষ্ট্রদ্রোহের প্রমাণ হয়ে থাকবে।

এই রাষ্ট্রের নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’—কিন্তু এখন এটি হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লুটপ্রজাতন্ত্রী কোম্পানি’। আর এই লুটের সাম্রাজ্যে যারা রক্ত দিয়ে দেয়, তারাই এখন ন্যায়বিচার চায়। এই চাওয়া কোনো আবেগ নয়, এটি ইতিহাসের দাবি।

টোকাই জনগণের রাষ্ট্র ফেরতের ঘোষণা—একটি নতুন রাষ্ট্রচেতনার রূপরেখা

যে রাষ্ট্রে শ্রমজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী, পথবাসী, ফুটপাতের ফেরিওয়ালা, ভ্যানচালক, ক্ষুধার্ত মা কিংবা বস্তির শিশু রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে একটুও ভূমিকা রাখতে পারে না, সেই রাষ্ট্র কোনোভাবেই গণপ্রজাতন্ত্রী হতে পারে না। এ এক নিছক প্রতারণা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণায় বলা হয়েছিল, “এই রাষ্ট্র হবে গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়ের ভিত্তিতে।” কিন্তু কী নির্মম ট্র্যাজেডি—আজ থেকে ৫৪ বছর পরও সেই রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় গালাগালি হলো ‘টোকাই’—মানে রাষ্ট্রহীন নাগরিক!

তাদের না আছে নাগরিক মর্যাদা, না আছে আইনি সুরক্ষা, না আছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা বা ভোটাধিকার। অথচ তারা শুধু বাঁচে না, দেশকেও বাঁচিয়ে রাখে। জুলাই অভ্যুত্থানে রাষ্ট্র যখন হোঁচট খাচ্ছিল, জেনারেলরা যখন মৌন, আমলারা যখন বিভ্রান্ত আর বড় রাজনৈতিক দলগুলো যখন চেয়ারে কে বসবে সেই হিসেব কষছিল—তখন এই ‘টোকাই’ জনগণই রাস্তায় নামল, রক্ষাকবচহীন, খাবার ছাড়া, আশ্রয়হীন, কিন্তু সাহসে ভরপুর। তারা না থাকলে এই রাষ্ট্র হয়তো আজও চোরের হাতেই পড়ে থাকত।

তাই এখন আর সময় নেই ‘দায়’ এড়িয়ে যাওয়ার। এবার সময় এসেছে রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্গঠনের। পরিস্কার করে বলি—এটি কেবল ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন নয়। এটি রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার অনিবার্য ইতিহাস-প্রসূত প্রয়োজন।

একটি চারস্তর বিশিষ্ট ন্যায্য রাষ্ট্রকাঠামোর দাবি:

১. রাষ্ট্রক্ষমতার উৎস হবে সরাসরি জনগণ—মৌখিকভাবে নয়, কার্যকরভাবে। যার মানে, স্থানীয় সরকার থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত গণপর্যবেক্ষণ ও জনগণের প্রত্যাহার অধিকারে সাজানো প্রশাসনিক কাঠামো গড়া। আজ যারা ভোট দেয়, তারা পাঁচ বছর পরও তার প্রভাব ফেলতে পারে না—এটা গণতন্ত্র হতে পারে না।

২. দুই মেয়াদের প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতি চালু করা—যাতে এককেন্দ্রিকতা আর দলীয় ভাড়াটে ব্যবস্থার অবসান ঘটে। জনগণ যাতে সরকারপ্রধানকে সরাসরি নির্বাচনে ঠিক করতে পারে, এবং আবার প্রত্যাহার করতেও পারে, সেই অধিকার তাকে দিতে হবে। শেখ হাসিনা অথবা কোনো দলের হাতে অনির্দিষ্টকালের ক্ষমতা থাকা দেশের জন্য আত্মঘাতী।
৩. বিচার বিভাগ ও সেনাবাহিনীকে সাংবিধানিক জবাবদিহিতার আওতায় আনা—আমরা আর কোনো ‘অদৃশ্য শক্তি’র চোখ রাঙানিতে দেশ চালাতে চাই না। জনগণের অর্থে বেতন নেওয়া প্রতিরক্ষা বাহিনীকে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, লুটপাটকারীদের নিরাপত্তা নয়। বিচারপতি ও জেনারেলরা যদি জনগণের মুখোমুখি হন না, তাহলে তারা জনগণের নয়, ফ্যাসিবাদের হাতিয়ার।
৪. টোকাই জনগণের সমগ্রিক নাগরিকত্ব ঘোষণা—রাস্তার শিশু, বস্তির মা, ময়লা কুড়ানো কিশোরী, গার্মেন্টে কর্মরত কিশোরী—এই রাষ্ট্র তাদের নয় বলেই প্রতিদিন তাদের জীবন এমন বিপন্ন। এদের জন্য স্বতন্ত্র নাগরিক সুরক্ষা কমিশন, বিনা ব্যয়ে শিক্ষা ও চিকিৎসা, এবং রাজনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে নির্ধারিত সংরক্ষিত আসন চাই। শুধু ‘দয়া’র নামে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ নয়—রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এই জনগণের স্থান নিশ্চিত করতে হবে।

রাষ্ট্রের প্রশ্নে নতুন সংলাপ চাই—পুরাতন মুখ, পুরাতন দল নয়

বাংলাদেশের রাজনীতি এখন পুরাতনদের হাতে জিম্মি—তারা সবাই কোনো না কোনোভাবে এই লুটের কাঠামোর লাভভোগী। তারা যদি এই কাঠামো বদলাতে পারত, এত বছরেও পারত। তারা পারে না, কারণ তারা চায় না। কাজেই নতুন রাষ্ট্রচেতনা গড়তে হলে নতুন নেতৃত্ব চাই—যে নেতৃত্ব দলগত নয়, শ্রেণিগত; যে নেতৃত্ব ধানমণ্ডি থেকে নয়, পথঘাট থেকে উঠে এসেছে।

এবার নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে দরকার—
•    লজ্জাহীন সত্য বলার মত সাংবাদিকতা
•    বয়ানের আড়ালে না লুকিয়ে সরাসরি বাস্তব প্রশ্ন তোলার মতন বুদ্ধিজীবী
•    এক্সেলশিট নয়, হৃদয়ে রাষ্ট্রচিন্তা করার মত অর্থনীতিবিদ
•    ‘শত্রু নয় প্রতিবেশী’ ভিত্তিক স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি
•    এবং সবশেষে, এক অভূতপূর্ব জনআন্দোলনের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা একটি ন্যায়ভিত্তিক গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র।

শেষ কথাঃ এই রাষ্ট্র ‘টোকাই’দের ফিরিয়ে দেবে কি না, সেটাই এখন ইতিহাসের পরীক্ষা

আমরা যাদের টোকাই বলি, তাদের কাছে আজ ইতিহাসের পাসওয়ার্ড রয়েছে। তারা যদি আর একবার উঠে দাঁড়ায়—এইবার শুধু রাজপথে নয়, কাঠামোর ভিতরেও প্রবেশ করে—তবে এই রাষ্ট্র কেবল বদলাবে না, নতুন রাষ্ট্র হবে।

এই লেখায় আমি সেই তীব্র সত্যটি তুলে ধরলাম। এখন আপনারা বলুন—এই জনতার ঘাম আর রক্তের দাম কী হবে?
দরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা। শুধুমাত্র প্রশাসন নয়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবশ্যই জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে, তাদের দাসত্ব ত্যাগ করে নাগরিকদের সেবা দিতে হবে। আর রাজনীতির ময়দান থেকে সকল প্রকার দুর্নীতি, স্বার্থপরতা ও দলীয় ষড়যন্ত্র মুছে ফেলা ছাড়া এই কাজ অসম্ভব।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গর্বিত ইতিহাস, সংগ্রামের স্মৃতি এবং গণতন্ত্রের অটুট ভিত্তি ফিরিয়ে আনা ছাড়া ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য দেশকে নিরাপদ করা সম্ভব নয়। এ পথে সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে—চাই সেটি রাজনীতিবিদ হোক, প্রশাসক হোক, সেনাবাহিনী হোক বা সাধারণ মানুষই হোক।

এখন আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত—সৎ ও দৃঢ় নেতৃত্বের তলে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করা, সকলের অধিকার রক্ষা নিশ্চিত করা, প্রশাসনের জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা, এবং স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সুশাসন স্থাপন করা।

যখন এসব আদর্শের ভিত্তি দৃঢ় হবে, তখন টোকাই জনগণের সংগ্রাম সত্যিকার অর্থে সফল হবে, সেই সংগ্রাম দেশের ভবিষ্যতকে আলোকিত করবে, আর দীর্ঘদিন অবহেলিত এই দেশের নাগরিকরা তাদের অধিকার ফিরে পাবে।

লেখক, সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন

শেয়ার করুন:-

প্রবাস

মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে আটকে গেল ৯৮ বাংলাদেশি

Published

on

ডিএসই

মালয়েশিয়া কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে ৯৮ বাংলাদেশিকে। দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি পাননি তারা। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মালয়েশীয় বার্তাসংস্থা বার্নামা।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

প্রতিবেদন অনুযায়ী, মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং সুরক্ষা সংস্থা (একেপিএস) বিমানবন্দরের প্রথম টার্মিনালে রাত ১টা থেকে সকাল ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অভিযান চালায়। এ সময় ১৮১ জনের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। এদের মধ্যে ৯৮ বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় প্রবেশের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দেখাতে পারেননি। পরে তাদের ‘নো টু ল্যান্ড’ নোটিশ দেওয়া হয়।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

একেপিএস এক বিবৃতিতে বলেছে, যাদের আটকে দেওয়া হয়েছে তারা ঢাকা থেকে একটি ভোরের ফ্লাইটে এসেছেন। দিনের বেলা যেহেতু কঠোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়, সেটি এড়াতে খুব সম্ভবত তারা ভোরে আসেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ভুয়া হোটেল বুকিং, রিটার্ন টিকিট না থাকা এবং পর্যাপ্ত অর্থ থাকার প্রমাণ দিতে না পারায় ওই বাংলাদেশিদেরকে মালয়েশিয়ায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।

তারা বলেছে, যাদের আটকে দেওয়া হয়েছে তারা (পর্যটন ভিসায় এসে) খুব সম্ভবত মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করে ভিসার অপব্যবহার করত। তাদের অবৈধভাবে কাজ ও থাকার পরিকল্পনা ছিল।

সীমান্তের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণে এই অভিযান চালানো হয়েছে। ভবিষ্যতেও এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংস্থাটি।

কাফি

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

প্রবাস

কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে চোরাচালানের দায়ে ৪ বাংলাদেশি আটক

Published

on

ডিএসই

কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলআইএ) থেকে প্রায় ১ লাখ ৮৭ হাজার রিঙ্গিত মূল্যের সোনাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চোরাচালানের অভিযোগে ৪ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে মালয়েশিয়ার বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রোটেকশন এজেন্সি (একেপিএস)।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

শুক্রবার (৮ আগস্ট) বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রোটেকশন এজেন্সির (একেপিএস) সহযোগিতায় বিমান নিরাপত্তা (এভিএসইসি) প্রাথমিক গোয়েন্দা তথ্য এবং প্রোফাইলিংয়ের ভিত্তিতে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪২.১০ রিঙ্গিত মূল্যের বিভিন্ন জিনিসপত্র জব্দ করা হয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

জব্দকৃত জিনিসপত্রের মধ্যে রয়েছে- ১ লাখ ৬০ হাজার রিঙ্গিত মূল্যের তিনটি সোনার গহনা, ২২ হাজার ৭০০ রিঙ্গিত মূল্যের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১২টি স্মার্টফোন, নগদ ৫ হাজার ৪২ রিঙ্গিত এবং বাংলাদেশি নাগরিকদের পাঁচটি আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট।

বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর অধীনে তদন্তের জন্য সব সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে তাদের পাসের শর্ত লঙ্ঘনের জন্য ১৯৬৩ এর ইমিগ্রেশন রেগুলেশনের নিয়ম ৩৯(খ) লঙ্ঘনের অভিযোগে সন্দেহ করা হচ্ছে, এবং অন্য একজনকে বৈধ পাস বা পারমিট ছাড়াই দেশে প্রবেশ এবং থাকার জন্য একই আইনের ধারা ৬(১) (গ) এর অধীনে তদন্ত করা হচ্ছে।

গ্রেপ্তারের পর একটি পুলিশ প্রতিবেদনও দাখিল করা হয় এবং জড়িত সব ব্যক্তিকে আরও তদন্ত এবং বিচারের জন্য সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশন বিভাগের (জেআইএম) এনফোর্সমেন্ট বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সূত্র : বারনামা

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

প্রবাস

মালয়েশিয়ায় বিমানবন্দরে ২৬ বাংলাদেশি আটক

Published

on

ডিএসই

মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টার সময় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কেএলআই-১ থেকে ২৬ বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা (একেপিএস)।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বুধবার মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা জানায়, মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ঢাকা থেকে দুটি পৃথক ফ্লাইটে দলটি এসেছিল। পরে ২৬ জনের দলটি তাদের কার্যক্রম দেখে সন্দেহ হলে, আন্তর্জাতিক আগমন গেটে নামার পর তাৎক্ষণিকভাবে তাদের একেপিএস আটক করেন এবং তল্লাশির জন্য এজেন্সি অপারেশন অফিসে নিয়ে যান।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এ সময় প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে, কোনো ভ্রমণ ভিসাধারী দেশে প্রবেশের জন্য যুক্তিসংগত প্রমাণ দেখাতে না পারায় তাদের মালয়েশিয়াতে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি সংস্থাটি। আটক ২৬ জনকে দ্রুত দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সংস্থাটি আরও জানায়, এভাবে অবৈধ অনুপ্রবেশ জাতীয় নিরাপত্তা এবং জনশৃঙ্খলার জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে। তাই গোয়েন্দা সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা সব সময় সজাগ রয়েছে। মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করার চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কেএলআই-১ ও ২ এর মতো প্রধান প্রবেশ পথগুলোতে সংস্থাটির অভিযান ও পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।

সংস্থাটি জানায়, মালয়েশিয়াতে ভ্রমণ ভিসার সুবিধা নিয়ে, কাজের সন্ধানে মালয়েশিয়াতে আসছে বহু বাংলাদেশি নাগরিকসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা। তাই মালয়েশিয়ায় অনুপ্রবেশের বাস্তবতা মাথায় রেখে এয়ারপোর্ট ও স্থলবন্দরগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি রাখা হয়েছে।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

প্রবাস

সৌদিতে এক সপ্তাহে ২২ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার

Published

on

ডিএসই

আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২২ হাজারের বেশি প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৪ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ওই প্রবাসীদের গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

রোববার সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম সৌদি গ্যাজেটের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবৈধ প্রবাসীদের বিরুদ্ধে সৌদিজুড়ে চলমান ধরপাকড় অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহে দেশজুড়ে অভিযান চালিয়ে ২২ হাজার ১৪৭ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আবাসন আইন লঙ্ঘনের ঘটনায় ১৩ হাজার ৮৩৫ জন, সীমান্ত নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনে ৪ হাজার ৭৭২ জন এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৩ হাজার ৫৪০ জন রয়েছেন। দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারি সংস্থা যৌথ অভিযান চালিয়ে এই প্রবাসীদের গ্রেপ্তার করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টার সময় গ্রেপ্তার হয়েছেন এক হাজার ৮১৬ জন। তাদের মধ্যে ইয়েমেনি ৩৬ শতাংশ, ইথিওপিয়ান ৬২ শতাংশ এবং বাকিরা অন্যান্য দেশের নাগরিক।

একই সময়ে আবাসন ও কর্মবিধি লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন এবং আশ্রয় দেওয়ায় সৌদিতে বসবাসরত ২০ ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে ২১ হাজার ১৪৩ জন প্রবাসীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাদের মধ্যে ১৮ হাজার ৩২৬ জন পুরুষ এবং দুই হাজার ৮১৭ জন নারী।

গ্রেপ্তারকৃত প্রবাসীদের মধ্যে ১৩ হাজার ৫৬৯ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আগে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও ৩ হাজার ৫৬৬ জনকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করার চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারকৃত ১০ হাজার ৮২০ জনকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।

প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের দেশ সৌদি আরব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের আটকের খবর প্রকাশ করছে। সূত্র: সৌদি গ্যাজেট।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

প্রবাস

চীনের রেশম পথের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি অন্বেষণে বিদেশী ভ্রমণকারীরা

Published

on

ডিএসই

বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের বিদেশী অতিথির অংশগ্রহণে চীনের গানসু প্রদেশে রেশম পথের ঐতিহ্য ও আধুনিক সংস্কৃতির মেলবন্ধন উপভোগ করতে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাতদিনব্যাপী ভ্রমণ ‘এক্সপ্লোর গানসু’।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এই ভ্রমণের মূল প্রতিপাদ্য হলো, প্রাচীন রেশম পথের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারকে আধুনিক যুগের সাথে সংযুক্ত করা, এবং প্রদেশটির বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক পরিচয়কে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সাত দিনব্যাপী ‘এক্সপ্লোর গানসু’ নামে ভ্রমণটি গানসু প্রদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও স্থানীয় সরকারের ব্যবস্থাপনায় চীনের প্রভাবশালী গণমাধ্যম চায়না ডেইলি আয়োজন করে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এই আয়োজনে ভ্রমণকারীরা ঘুরে দেখেছেন তিব্বতি সংস্কৃতি, প্রাচীন হান সাম্রাজ্যের নিদর্শন, মরুভূমির ভাস্কর্য এবং এমনকি ‘মঙ্গল গ্রহ’-এর মতো বৈজ্ঞানিক অভিজ্ঞতা।

রেশম পথের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি অন্বেষণের জন্য একটি অনন্য যাত্রায় বাংলাদেশে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইউক্রেন, পাকিস্তান, এবং ইয়েমেন সহ ১০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে।

এই ট্যুরের মাধ্যমে গানসু প্রদেশ শুধু তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক নিদর্শনই নয়, বরং আধুনিক উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলোকেও বিশ্বদরবারে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।

কাফি

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

ডিএসই ডিএসই
পুঁজিবাজার1 hour ago

ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ২ শতাংশ

বিদায়ী সপ্তাহে (১০ আগস্ট-১৪ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ২ শতাংশ কমেছে।  AdLink...

ডিএসই ডিএসই
পুঁজিবাজার2 hours ago

সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে এআইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড

বিদায়ী সপ্তাহে (১০ আগস্ট-১৪ আগস্ট) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬টি কোম্পানির মধ্যে ২৭৪ কোম্পানির...

ডিএসই ডিএসই
পুঁজিবাজার2 hours ago

সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক

বিদায়ী সপ্তাহে (১০ আগস্ট-১৪ আগস্ট) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন করা ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে ৯৯টির শেয়ারদর বেড়েছে।...

ডিএসই ডিএসই
পুঁজিবাজার2 hours ago

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন

বিদায়ী সপ্তাহে (১০ আগস্ট থেকে ১৪ আগস্ট) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ওরিয়ন ইনফিউশন...

ডিএসই ডিএসই
পুঁজিবাজার3 hours ago

লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানালো রিলায়েন্স ওয়ান ফান্ড

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রিলায়েন্স ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটধারীদের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফান্ডটির ট্রাস্টি কমিটি। সিদ্ধান্ত অনুসারে, গত ৩০জুন, ২০২৫...

ডিএসই ডিএসই
পুঁজিবাজার22 hours ago

লেনদেনের সঙ্গে বাজার মূলধন কমলো ৩ হাজার কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে (১০ আগস্ট থেকে ১৪ আগস্ট) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে।...

ডিএসই ডিএসই
পুঁজিবাজার2 days ago

ব্লকে ১৪ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে মোট ৩৩ টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৪০...

Advertisement
AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোশ্যাল মিডিয়া

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
৩১  
ডিএসই
আবহাওয়া50 minutes ago

দেশের তিন বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস

ডিএসই
জাতীয়1 hour ago

জনগণ নির্বাচনমুখী হলে কেউ তা বন্ধ করতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ডিএসই
পুঁজিবাজার1 hour ago

ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ২ শতাংশ

ডিএসই
পুঁজিবাজার2 hours ago

সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে এআইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড

ডিএসই
পুঁজিবাজার2 hours ago

সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক

ডিএসই
পুঁজিবাজার2 hours ago

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন

ডিএসই
পুঁজিবাজার3 hours ago

লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানালো রিলায়েন্স ওয়ান ফান্ড

ডিএসই
রাজধানী3 hours ago

ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’

ডিএসই
রাজধানী3 hours ago

রাজধানীর যেসব সড়ক এড়িয়ে চলবেন আজ

ডিএসই
অর্থনীতি4 hours ago

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিলিতে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

ডিএসই
আবহাওয়া50 minutes ago

দেশের তিন বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস

ডিএসই
জাতীয়1 hour ago

জনগণ নির্বাচনমুখী হলে কেউ তা বন্ধ করতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ডিএসই
পুঁজিবাজার1 hour ago

ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ২ শতাংশ

ডিএসই
পুঁজিবাজার2 hours ago

সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে এআইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড

ডিএসই
পুঁজিবাজার2 hours ago

সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক

ডিএসই
পুঁজিবাজার2 hours ago

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন

ডিএসই
পুঁজিবাজার3 hours ago

লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানালো রিলায়েন্স ওয়ান ফান্ড

ডিএসই
রাজধানী3 hours ago

ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’

ডিএসই
রাজধানী3 hours ago

রাজধানীর যেসব সড়ক এড়িয়ে চলবেন আজ

ডিএসই
অর্থনীতি4 hours ago

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিলিতে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

ডিএসই
আবহাওয়া50 minutes ago

দেশের তিন বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস

ডিএসই
জাতীয়1 hour ago

জনগণ নির্বাচনমুখী হলে কেউ তা বন্ধ করতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ডিএসই
পুঁজিবাজার1 hour ago

ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ২ শতাংশ

ডিএসই
পুঁজিবাজার2 hours ago

সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে এআইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড

ডিএসই
পুঁজিবাজার2 hours ago

সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক

ডিএসই
পুঁজিবাজার2 hours ago

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন

ডিএসই
পুঁজিবাজার3 hours ago

লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানালো রিলায়েন্স ওয়ান ফান্ড

ডিএসই
রাজধানী3 hours ago

ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’

ডিএসই
রাজধানী3 hours ago

রাজধানীর যেসব সড়ক এড়িয়ে চলবেন আজ

ডিএসই
অর্থনীতি4 hours ago

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিলিতে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ