কর্পোরেট সংবাদ
ইউসিবি ও ওমনিকেয়ার ডায়াগনস্টিকসের মধ্যে চুক্তি

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) এবং ওমনিকেয়ার ডায়াগনস্টিকস লিমিটেডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই কৌশলগত অংশীদারির মাধ্যমে ইউসিবির সকল ডেবিট, ক্রেডিট ও প্রিপেইড কার্ডধারীরা বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন, যা উন্নতমানের ডায়াগনস্টিক সেবার সহজলভ্যতা নিশ্চিত করবে।
সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন ইউসিবির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রিটেইল বিজনেস ডিভিশনের প্রধান মোহাম্মদ শফিকুর রহমান এবং ওমনিকেয়ার ডায়াগনস্টিকস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিদা হোসেন।
অনুষ্ঠানে ইউসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল আলম ফেরদৌস ওমনিকেয়ার ডায়াগনস্টিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আলতাফ হোসেন, জেনারেল ম্যানেজার ডা. মো. ইমতিয়াজ উদ্দিনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইউসিবি তার গ্রাহকদের জন্য সাশ্রয়ী, সহজপ্রাপ্য ও উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ- এই সহযোগিতার চুক্তি তারই একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।

কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশ অ্যাপে মিলবে জামানতবিহীন ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ

বিকাশ অ্যাপে সিটি ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ‘ডিজিটাল লোন’ নেয়ার সুযোগ তৈরি হলো বিকাশ গ্রাহকদের জন্য। এখন থেকে লোন নেয়ার যোগ্য বিকাশ গ্রাহকরা যেকোনো সময়, যেকোনো প্রয়োজনে অ্যাপ থেকেই নিতে পারছেন জামানতবিহীন এই ‘ডিজিটাল লোন’।
বিকাশ এবং সিটি ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে ২০২১ সালে চালু হওয়া এই ডিজিটাল লোন সেবা ইতোমধ্যেই অর্জন করেছে গ্রাহকের আস্থা ও নির্ভরতা।
এতোদিন এই ডিজিটাল ঋণের সর্বোচ্চ সীমা ৩০ হাজার টাকা থাকলেও, সম্প্রতি গ্রাহকদের চাহিদা, আস্থা ও দ্রুত ঋণ পাওয়ার সুবিধাকে মাথায় রেখে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসরণ করে এই ঋণের সীমা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে চালু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত বিকাশ অ্যাপে সিটি ব্যাংক থেকে ৫৫ লাখ বারের বেশি ডিজিটাল লোন নিয়েছেন প্রায় ১০ লাখ বিকাশ গ্রাহক, টাকার অংকে যার পরিমান প্রায় ২ হাজার ৮০০ কোটি।
গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাপের ‘লোন’ আইকনে ট্যাপ করে মাত্র কয়েক ক্লিকেই সিটি ব্যাংক থেকে তাৎক্ষণিক পেয়ে যাচ্ছেন ৫০০ টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ‘ডিজিটাল লোন’, যার সর্বোচ্চ মেয়াদ ৬ মাস। এজন্য যেতে হচ্ছে না ব্যাংকে, লাগছে না কোনো কাগজপত্র। কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা ও সফলতার ভিত্তিতে, এই ডিজিটাল লোন দেশের আর্থিক প্রযুক্তি সেবার একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হয়ে উঠেছে।
বিকাশ অ্যাকাউন্টে গ্রাহকের লেনদেন পর্যালোচনা এবং সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট নীতিমালা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রাহকের ঋণ গ্রহণযোগ্যতা ও ঋণের পরিমাণ নির্ধারিত হয়। আর যারা এখনো ডিজিটাল লোন সেবার আওতায় আসেননি তারা নিয়মিত বিকাশ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অ্যাড মানি, সেভিংস, পেমেন্টসহ বিভিন্ন সেবা ব্যবহার করার মাধ্যমে ঋণ পাওয়ার যোগ্য হয়ে উঠতে পারেন।
বিকাশ অ্যাপ থেকে সিটি ব্যাংক-এর লোন নেয়া এবং পরিশোধ পদ্ধতি:
বিকাশ অ্যাপের ‘লোন’ আইকনে ট্যাপ করে সিটি ব্যাংক অনুমোদিত সীমার মধ্যে কাঙ্ক্ষিত লোনের পরিমাণ লিখে পরের ধাপে গিয়ে শর্তাবলী ভালোভাবে পড়ে-বুঝে সম্মতি দিতে হবে। তারপর বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন দিয়ে ট্যাপ করে ধরে রাখলেই তাৎক্ষণিক অ্যাকাউন্টে লোন-এর টাকা যোগ হয়ে যাবে। লোনের ধরন অনুযায়ী গ্রাহককে ঋণ মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। নির্ধারিত তারিখে কিস্তির টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হবে। তবে গ্রাহক চাইলে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আংশিক বা সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ব্যবহারকৃত সময়ের জন্যই ইন্টারেস্ট দিতে হবে, এবং অগ্রিম পরিশোধের জন্য কোনো অতিরিক্ত চার্জ প্রযোজ্য হবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সোমবার (১৬ জুন) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।
এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুল কুদ্দুছ, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. সাইফুল আলম পিএইচডি, এফসিএমএ এবং অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. রাগিব আহসান এফসিএ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া। এতে ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ এতে শুভেচ্ছা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের সকল অঞ্চল প্রধান, শাখা ব্যবস্থাপক, উপশাখার ইনচার্জসহ অন্যান্য নির্বাহী কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করে পারষ্পরিক ঈদ শুভেচ্ছা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
কর্পোরেট সংবাদ
প্রাইম ব্যাংক ও সার্টো ও স্যুট এক্সপ্রেস’র মধ্যে চুক্তি

প্রাইম ব্যাংক পিএলসি ও সার্টো ও স্যুট এক্সপ্রেস’র মধ্যে একটি কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় প্রাইম ব্যাংকের প্রাইরিটি ব্যাংকিং গ্রাহক এবং কার্ডধারীরা সার্টো ও স্যুট এক্সপ্রেস থেকে বিশেষ ছাড়সহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
সম্প্রতি গুলশানে প্রাইম ব্যাংকের কর্পোরেট কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন প্রাইম ব্যাংক পিএলসির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. নাজিম এ. চৌধুরী এবং সার্টো ও স্যুট এক্সপ্রেস’র প্রতিষ্ঠাতা ও ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর শেহজাদ আকিব।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রাইম ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অব কার্ডস অ্যান্ড রিটেইল অ্যাসেট জোয়ারদার তানভীর ফয়সাল; জে.কে. গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাইসির খান এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
এই সহযোগিতা মূলত গ্রাহকদের উন্নতমানের লাইফস্ট্যাইল সুবিধা এবং উন্নত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে প্রাইম ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
কর্পোরেট সংবাদ
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ডিজিটাল অর্থায়নের সুবিধা দিতে ব্র্যাক ব্যাংক-প্রিয়শপের পার্টনারশিপ

গ্রামাঞ্চল ও মফস্বলের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্থায়নের সুবিধা দিতে ব্র্যাক ব্যাংক এবং প্রিয়শপ পার্টনারশিপ করেছে। এখন এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা
ন্যূনতম কাগজপত্র দিয়ে দ্রুততম সময়ে সহজ ঋণ সুবিধা পাবেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল লেন্ডিং প্ল্যাটফর্ম ‘সাফল্য’-কে প্রমোট করতে প্রিয়শপ ব্র্যাক ব্যাংকের সাথে পার্টনারশিপ করেছে। প্রিয়শপ একটি শীর্ষস্থানীয় প্ল্যাটফর্ম, যা সাধারণত ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলোকে ইনভেনটরি, লজিস্টিকস এবং ডিজিটাল টুলস সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে সাহায্য করে থাকে।
‘সাফল্য’-এর প্রমোটার হিসেবে প্রিয়শপ’র সঙ্গে সংযুক্ত অসংখ্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাঝে ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটালি প্রসেসড লোন সার্ভিস নিয়ে প্রচারণা চালাবে।
লোন পাওয়ার জন্য যোগ্য ব্যবসায়ীরা এখন ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল ঋণ সেবা ‘সাফল্য’ ও ‘জীবিকা’য় ন্যূনতম কাগজপত্রের সাহায্যে একটি এন্ড-টু-এন্ড পদ্ধতিতে সহজ অনবোর্ডিং, ডিজবার্সমেন্ট এবং রি-পেমেন্ট সুবিধার আরো সহজ সুবিধা পাবেন।
এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে এমএসএমই সেক্টরের প্রধান দুটো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে, যা হলো- বাজারের সীমিত প্রবেশ সুবিধা এবং ফরম্যাল ক্রেডিটের সীমিত সুযোগ। প্রিয়শপের বিস্তৃত মার্চেন্ট নেটওয়ার্ক এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল লেন্ডিং দক্ষতার মাধ্যমে এই সমস্যা দুটো নিরসন হবে।
ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন বলেন, এই পার্টনারশিপ, উদ্ভাবনের মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সম্প্রসারণের ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। প্রিয়শপের ইকোসিস্টেমে ডিজিটালি প্রক্রিয়াকৃত ঋণ সেবা যুক্ত করার মাধ্যমে আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য আনুষ্ঠানিক ঋণপ্রাপ্তির পথে প্রতিবন্ধকতা দূর করছি এবং সহজলভ্যতা বাড়াচ্ছি। এই মডেলটি গ্রামীণ উদ্যোক্তাবান্ধব ব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।
প্রিয়শপের প্রতিষ্ঠাতা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশিকুল আলম খান সুজন বলেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় টুলস সরবরাহ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। কাঠামোবদ্ধ অর্থায়ন আমাদের এই যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ‘সাফল্য’-এর প্রোমোটার হিসেবে আমরা আমাদের মার্চেন্টদের সঙ্গে ব্র্যাক ব্যাংকের লোন সল্যুশনের সংযোগ ঘটাতে পারছি, যা তাদের ব্যবসাকে আরও শক্তিশালী ও স্থিতিশীল করে তুলবে।।
প্রিয়শপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ মার্কেটিং অফিসার দীপ্তি মন্ডল এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
কর্পোরেট সংবাদ
দেশের প্রথম ওপেন এপিআই ব্যাংকিং সেবা চালু করলো ইউসিবি

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) দেশে প্রথম ওপেন এপিআইভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করল। এর ফলে ব্যাংকটি একসঙ্গে আরো বেশি সংখ্যক গ্রাহককে আধুনিক, সহজ ও প্রযুক্তিনির্ভর সেবা দিতে পারবে।
ওপেন এপিআই অত্যাধুনিক একটি প্রযুক্তি। বাংলাদেশে এটা এখনও কোনো ব্যাংক চালু করেনি। বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি কোম্পানি ওরাকল মাত্র ২৫টি দেশে এই সেবা চালু করেছে। বাংলাদেশে ইউসিবিই প্রথম এবং বিশ্বের মধ্যে ষষ্ঠ বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই নতুন ভার্সন ১৪.৭ ব্যবহার শুরু করল।
রবিবার (১৫ জুন) ঢাকায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আমন্ত্রিত সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিষয়টি জানানো হয়। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে গ্রাহকরা যেকোনো ধরনের ব্যাংকিং সেবা — যেমন সাধারণ হিসাব খোলা থেকে শুরু করে ঋণের আবেদন বা নিরাপত্তা যাচাই— সব ধরনের সেবা আরও বেশি সংখ্যক গ্রাহক একই সঙ্গে দ্রুত ও সহজে পাবেন।
উল্লেখ্য, এ বছর ইউসিবিতে প্রায় ৩ লক্ষ নতুন গ্রাহক তৈরি হয়েছে। ওপেন এপিআই প্রযুক্তির ফলে এই বর্ধিতসংখ্যক গ্রাহকদের একসঙ্গে একইসময়ে সেবা দেওয়া যাবে; এবং এই সেবা হবে আরও দ্রুত ও উন্নত। এর পাশাপাশি ওপেন এপিআই প্রযুক্তির ফলে তৃতীয়পক্ষের যেকোনো ধরনের সেবা, যেমন অন্যান্য অ্যাপ, নতুন নতুন ফিনটেক বা স্টার্টআপের সঙ্গে খুব সহজে কিন্তু নিরাপদভাবে ব্যাংকের প্ল্যাটফরমের সঙ্গে যুক্ত করা যাবে। এতে গ্রাহকরা যেমন সহজে তাদের লেনদেন করতে পারবেন, একইসঙ্গে নিজের মতো করে আর্থিক সেবা নেওয়ার সুযোগ পাবেন। তৃণমূল পর্যায়ে যেসব প্রতিষ্ঠান পণ্য বিপণনের কাজ করে থাকেন, তাদের মধ্যে সংযোগ বা নেটওয়ার্ক তৈরি হবে এবং তারা তাৎক্ষণিকভাবে পণ্য খালাস করতে পারবেন। লেনদেনও এতে সহজ হবে।
ইউসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ বলেন, এটা শুধু প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নয়, বরং বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতকে নতুন স্তরে নিয়ে যাওয়ার প্রাথমিক উদ্যোগ। বর্তমান ডিজিটাল বিশ্বে ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের তৈরি করতে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী দিনে আরও বেশি ডিজিটাল সেবা আনার ক্ষেত্রে এটা আমাদের প্রাথমিক পদক্ষেপ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইউসিবির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ অপারেটিং অফিসার মো. আবদুল্লাহ আল মামুন এবং ডিজিটাল রূপান্তর প্রকল্পের কারিগরি সহযোগী প্রতিষ্ঠান ওরাকল-এর সিনিয়র প্রতিনিধি। এসময় উভয় প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।