রাজনীতি
রমজানের আগে নির্বাচন নিয়ে সব দলের মতৈক্য আছে: আমীর খসরু

আগামী রমজানের আগে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সব দলের মধ্যে ঐকমত্য আছে, কোথাও দ্বিমত আছে বলে মনে করেন না বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো ডায়াস ফেরেসের সাক্ষাতের পর আমীর খসরু এ কথা বলেন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আমীর খসরু জানান, ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাংলাদেশের কৃষি, প্রাণিসম্পদ, রাজনীতি ও ফুটবল খেলার উন্নয়ন-পরিকল্পনা নিয়ে দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়েছে। যেখানে দুই দেশের মধ্যে কিভাবে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পর্ক আরও উন্নত করা যায় সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নির্বাচনের ব্যাপারে (রমজানের আগে) একটা জাতীয় ঐকমত্য আছে। এটা সবারই মতামত, এ জায়গায় কোথাও দ্বিমত আছে বলে মনে করি না। এখানে সবাই একমত। কারণ বিভিন্ন কারণে এই জায়গাটায় আমরা এসেছি এবং জাতীয় ঐকমত্য পোষণ করছি।
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লন্ডন বৈঠকের পর জাতি কিন্তু অত্যন্ত আনন্দিত। সবার মধ্যে একটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। এই জায়গাটার মধ্যে কোনো অসুবিধা আমি দেখছি না। আর দিনক্ষণ যেটা, সেটা তো নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করবে। সেটা তো আর সরকার বলতে পারবে না, আমরাও বলতে পারবো না। নির্বাচনের তারিখ নির্বাচন কমিশন থেকে আসবে এবং আমরা সেটার জন্য অপেক্ষা করব। নিশ্চয়ই আগামী দিনে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একটা দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে। এটার জন্য একটু আমাদেরও ধৈর্য থাকতে হবে।
‘একদম অস্থিরতার মধ্যে সারাক্ষণ থাকলে তো হবে না। একটু তো ধৈর্য ধরতে হবে। একটু সহনশীল হতে হবে। আমাদের মধ্যে আস্থারও একটা ব্যাপার আছে। আমরা যদি একেবারে আস্থাহীন হয়ে যাই, একদম অস্থিরতার মধ্যে থাকলে তো সমস্যা। এটা কোনো জাতির জন্য কাম্য না। আমরা সঠিক পথে যাব, জাতি অবশ্যই একটা গণতান্ত্রিক পথে চলছে। আমরা সেটা সমাধান করতে পারব। একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরে আসবে, অতটুকু আস্থা আমাদের সবাইকে রাখতে হবে। ’
সরকারের তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনকে কোনো বার্তা দেওয়া যায় কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নিশ্চয়ই। এটা নিয়ে সরকারের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কথা হবে। এটা তো খুবই স্বাভাবিক। এটা তো রুটিন ব্যাপার। সুতরাং আমরা সবাই একটু ধৈর্য ধরে সময় দেই। লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে, এটা আমার মনে হয় জাতির জন্য একটা বড় ধরনের ইতিবাচক ঘটনা ঘটেছে। আমরা ওইটাকে সেভাবেই দেখি। এর মধ্যে কোনো ধরনের প্রশ্নবিদ্ধ করে আমাদের ভবিষ্যৎ, সামনে চলার পথ বিঘ্নিত করা ঠিক হবে না। আমি তো মনে করি খুবই সুষ্ঠু একটা বিবেচনাপ্রসূত আলোপ-আলোচনা, কথাবার্তা, সিদ্ধান্ত হয়েছে।
‘আমরা একটু ধৈর্য সহকারে এগুতে থাকি। সবকিছুর সমাধান আগামী দিনে হবে এবং সময়মত দেশে নির্বাচন হবে। দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। জনগণের যে ভোটাধিকার, মানবাধিকার, তার মালিকানা ফিরে পাওয়া, যার জন্য এত ত্যাগ স্বীকার করেছি আমরা, সময়মত হয়ে যাবে। দেশ সেদিকেই যাচ্ছে সেটা আমরা বিশ্বাস করি। ’
ডিএসসিসির মেয়র পদে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথ পড়ানো নিয়ে দলের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরামের এই সদস্য বলেন, আইনগতভাবে কোর্টের রায় হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও আসছে। সুতরাং সবাই অপেক্ষায় আছে। আমরা দেখি সরকার কী সিদ্ধান্ত দেয়। একটু অপেক্ষা করি, একটু ধৈর্য ধরি। নিশ্চিতভাবে সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। আমরা সবাই বিশ্বাস করি। সুতরাং আমরা একটু ধৈর্য ধরি।
আগামী দিনে বিএনপি বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে একটা বড় পরিবর্তন আনতে চায় উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, জাতীয় স্বার্থে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকা, জাতীয় স্বার্থের জায়গায় ঐকমত্যের ওপর জোর দিচ্ছে বিএনপি।
কাফি

রাজনীতি
সংরক্ষিত নয়, সরাসরি ভোটে ১০০ নারী সংসদে যাবে: তাসনিম জারা

সংরক্ষিত নয়, সরাসরি ভোটে ১০০ নারী সংসদে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা।
রাজনীতি
জুলাই সনদকে রক্ষা করতে হলে গণভোট অথবা গণপরিষদের কোন বিকল্প নেই

জুলাই সনদকে রক্ষা করতে হলে গণভোট অথবা গণপরিষদের কোন বিকল্প নেই বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি)।
রাজনীতি
নাগরিক ঐক্যের প্রতীক কেটলিই থাকছে: ইসি

নাগরিক ঐক্যের প্রতীক কেটলিই থাকছে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যদিও কেটলি প্রতীকের পরিবর্তে শাপলা বা দোয়েল পাখি বরাদ্দ চেয়েছিল দলটি।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) ইসি সচিব আখতার আহমেদের কাছে এ সংক্রান্ত আবেদন দিয়েছিল দলটি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আবেদন নাকচ করে দেয় সংস্থাটি।
ইসি সচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের পর নাগরিক ঐক্যের নেত্রী ফেরদৌসী আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, নাগরিক ঐক্য পছন্দের প্রতীক পায়নি। ইসি আমাদের কেটলি প্রতীক দিয়েছে। আমরা দলীয় পছন্দ অনুযায়ী শাপলা বা দোয়েল পাখি প্রতীক চেয়ে আবেদন করেছি।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য ইসির নিবন্ধন পায়।
রাজনীতি
গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি: আমীর খসরু

বিএনপি গণতান্ত্রিক পথেই এগিয়ে যাবে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামে জনগণের যে ত্যাগ, সেই পথেই দেশ অগ্রসর হবে বলে জানিয়ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের মানুষ গত ২০ বছর ধরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি এবং নতুন প্রজন্মও ভোট দিতে পারেনি। তাই তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র উত্তরণ চান। এটিই ছিল আন্দোলনের মূল প্রত্যাশা।
তিনি মনে করেন, জাতির মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি তারা বাস্তবায়ন করতে পারবেন।
প্রধান উপদেষ্টার মতো বিএনপিও রোজার আগে বিচার ও সংস্কারের অগ্রগতি চায় কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, সংস্কারের বিষয়টি ঐকমত্যের ওপর নির্ভরশীল। এ বিষয়ে ড. ইউনূস, তারেক রহমান এবং বিএনপির সকল নেতৃবৃন্দ আগেই বলেছেন।
তিনি মনে করেন, ঐকমত্য হতে এক থেকে দেড় মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়।
বিচার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং বিচার বিভাগের ওপর নির্ভর করে। বিচার বিভাগ বিচার করবে এবং বিচারের আওতায় আনারও বিষয় আছে। যারা বিচারের আওতায় আসবে, তার জন্য আরও প্রায় ছয় মাস সময় আছে। আর যারা এর মধ্যে আসবে না, তাদের জন্য তো আগামী সরকার আছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী সরকারের অনেককেও বিচারের আওতায় আনতে হতে পারে। তাই এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং বিচার করবে বিচার বিভাগ। তিনি মনে করেন না যে এগুলো কোনো সমস্যা।
সরকারের কি এখন নির্বাচনমুখী কর্মকাণ্ডের দিকে এগিয়ে যাওয়া দরকার আছে, এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক এবং জনগণের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আর কোনো পথ নেই। এ বিষয়ে তাঁরা সবাই ঐকমত্য পোষণ করছেন।
জামায়াত ও এনসিপির অভিযোগ, একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকার বিশেষ সম্পর্ক করছে – বিএনপি বিষয়টি কীভাবে দেখছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একটা জিনিস মনে করি আমরা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি তাহলে এখানে সবার মতামত নেয়ার সুযোগ আছে। সুতরাং সবাই তার মতামত দিতে পারে। আমার মনে হয় এটাই আমাদের গণতন্ত্রের বড় পাওয়া, সবাই তার নিজের মতামত দেবে। এর মধ্য আমাদেরও এগিয়ে যেতে হবে।
বিএনপি এত দিন ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বললেও এখন কেন ফেব্রুয়ারিতে গেল, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনেক সময় এবং এতটুকু সময়ও লাগার কোনো কারণ নেই। বিএনপি আগেই ডিসেম্বরের মধ্যেই এসব সমস্যার সমাধান করে নির্বাচনের কথা বলেছেন। সুতরাং, ফেব্রুয়ারি আরও দীর্ঘ সময়। তবে যদি ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হয়, তাতেও কোনো সমস্যা নেই।
আমীর খসরু বলেন, আমি আগেও বলেছি যত বেশি ঐক্যমতের মাধ্যমে আমরা নিজেদের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে পারব সেটা জাতির জন্য তত ভালো। আমরা যে ঐক্যমতের মধ্যে এসেছি এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়।
তিনি আরো বলেন, ঐক্যবদ্ধ থাকার ফলেই আমরা স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট কে বিদায় করতে পেরেছি। সুতরাং আমরা চেষ্টা করব যেখানেই সম্ভব ঐক্যমতের ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠকে নির্বাচনের নিরপেক্ষতার বিষয়ে কোনো আলোচনা বা বার্তা আছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখনই নির্বাচন শুরু হবে, তখনই সরকার নিরপেক্ষতার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের ধারণা হলো একটি নিরপেক্ষ সরকার। সুতরাং, নির্বাচনে সেই নিরপেক্ষতা সরকার নিশ্চিত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বৈঠকে সংস্কারের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট আলোচনা হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান বলেছেন, এখানে যতটুকু ঐকমত্য হবে, সংস্কারও ততটুকুই হবে। বাকি অংশটা নির্বাচনের মাধ্যমে জাতির কাছে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না, নির্বাচনের পরেও এটি চলমান থাকবে।
কাফি
রাজনীতি
ফ্যাসিবাদী শক্তির হাত থেকে গণমাধ্যম এখনো পুরোপুরি মুক্ত নয়: তারেক রহমান

বিগত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর গণমাধ্যম কিছুটা স্বাধীনতা ভোগ করলেও এখনও ফ্যাসিবাদী শক্তির হাত থেকে গণমাধ্যম পুরোপুরি মুক্ত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের মৌলিক উপাদান হলো সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। ফলে গণতন্ত্রের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব তৈরি হবে।
সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৬ জুন) সকালে এক ফেসবুক পোস্টে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।
ওই দীর্ঘ পোস্টে তারেক রহমান বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো দিবস। এদিনে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী সব দল বাতিল করে চরম কর্তৃত্ববাদী একদলীয় বাকশাল কায়েম করে তাদের অনুগত ৪টি সংবাদপত্র রেখে গোটা জাতিকে নির্বাক করে দিয়েছিল। ফলে বিভিন্ন সংবাদপত্রে কর্মরত অসংখ্য সংবাদকর্মী বেকার হয়ে পড়েছিল। তাদের রুজিরোজগার ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ চরম নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। ’
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনা ছিল বাংলাদেশের ভৌগোলিক স্বাধীনতা অর্জন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। চিরায়ত গণতন্ত্রে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হয় এবং যার মূল শর্ত হচ্ছে বাক, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা। সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকায় রাষ্ট্র ও সমাজ জবাবদিহিতার আওতায় আসে এবং দেশের সরকার গঠনে নাগরিক ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে। কিন্তু স্বাধীনতাত্তোর ক্ষমতাসীনরা স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলাকে স্তব্ধ করে দিয়ে একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা কায়েম করে। পরবর্তীকালে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এদেশের কাঙ্ক্ষিত বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেন। বাকশাল সরকারের সকল প্রকার অগণতান্ত্রিক কালাকানুন বাতিল করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন। ’
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ চিন্তা ও বিবেককে বন্দি রাখা মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমানের মতো তার মেয়ে শেখ হাসিনাও একই পথ ধরে তাদের প্রকৃত দর্শন একদলীয় ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন করেছিল নতুন আঙ্গিকে। নানা কালাকানুন প্রণয়ন করে সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের ওপর অব্যাহত জুলুম চালিয়েছে তারা। বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছিল। সত্য উচ্চারণ করলেই নেমে আসত নির্যাতনের খড়্গ। বাংলাদেশের গণমাধ্যম কর্মীসহ সকল পর্যায়ের মানুষকে সার্বক্ষণিক শঙ্কিত থাকতে হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো একের পর এক ‘ড্রাকোনিয়ান আইন’ প্রণয়ন করে সংবাদপত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ভয়াল দুর্গে বন্দি করা হয়েছিল। ’
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বহুদলীয় গণতন্ত্রের মৌলিক উপাদান বিশ্বাস করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব দিতে হলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
কাফি