জাতীয়
রেফারির মতো কাজ করব, যারা খেলবে খেলুক: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আমরা রেফারির মতো কাজ করব। যারা খেলবে খেলুক, যারা জিতবে জিতুক।
আজ রবিবার (১৫ জুন) নির্বাচন ভবনে ঈদ পরবর্তী মতমিনিময় সভায় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ এগিয়ে নিতে ইসির ভূমিকা নিয়ে সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘অনেকগুলো আমরা এগিয়ে নিয়ে গেছি, যত কাজ বাকি আছে তা সবাইকে মিলে করতে হবে। আজকে মতবিনিময় সভায় আপনাদের হাজির করলাম- আমাদের শপথ হবে সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া। ’
এ সময়ে একটা ঐতিহাসিক নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে চান বলেও জানান সিইসি।
তিনি বলেন, লন্ডন, জাপানসহ বিশ্বনেতাদের বলে যাচ্ছেন, আমরা একটা ঐতিহাসিক নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে চাই। বিশ্বব্যাপী ওয়াদা দিচ্ছেন আমাদের ওপর আস্থা আছে বলে এমন ঘোষণা দিচ্ছেন।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘রমজানের সময়ও ওয়াদা করেছেন সুন্দরভাবে কাজ করবেন। আজকেও পুনর্ব্যক্ত করব দয়া করে, আজকের শপথ হবে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার, কোনো দলের জন্য লেজুড়বৃত্তি না করার, আইন অনুযায়ী কাজ করার ও ন্যয় সঙ্গভাবে কাজ করার। ’
সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন আরও বলেন, আমরা রেফারির ভূমিকায়, আমরা রেফারির মতো কাজ করব। যারা খেলবে খেলুক; যারা জিতবে জিতুক। কিন্তু আমাদের দায়িত্ব হবে একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে দেওয়া। সেটা করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।
মতমিনিময় সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়
ভোটের দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলের যে সময়েই নির্বাচন হোক না কেন প্রস্তুতি রয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। তফসিল ঘোষণার সময় ভোটার তালিকা তৈরি থাকতে হবে।
তিনি বলেন, যেদিন ইলেকশন ডেট হয় তার মাস দুয়েক আগে তফসিল হয়। মানে ৫০-৬০ দিন আগে হবে। তবে ভোটের আট-দশ মাস আগে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ এ মুহূর্তে ঘোষণা সম্ভব নয়। ভোটের সম্ভাব্য সময় নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে ধারণা পাওয়ার পরই সিদ্ধান্ত নেবে ইসি।
রোববার (১৫ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। সামনের কাজগুলোর বিষয়ে সিইসি বলেন, ভোটার তালিকা আইনে সংশোধন করা হবে, ভোটার তালিকা চূড়ান্ত প্রায়। দল নিবন্ধন ও সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের মতো বড় কাজ রয়েছে।
তফসিল কবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এতদিন তো সরকারই আলোচনা করেছে, আমরা করিনি। উনাদের পজিশনটা আমাদের বুঝতে হবে। বোঝার পরে যেদিন তারিখ ঠিক হবে, অ্যারাউন্ড দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা হবে। ঐতিহাসিকভাবে তা-ই, ৫৫ থেকে ৬০ দিন আগে তফসিল ঘোষণা করবো। সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর ভোটের সম্ভাব্য সময়সীমা নিয়ে ধারণা পেলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মধ্যে এপ্রিলের প্রথমার্ধে যে কোনোদিন ভোটের প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা এবং লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে ফেব্রুয়ারিতে ভোটের বিষয়ে যৌথ ঘোষণার মধ্যে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সিইসি।
ফেব্রুয়ারির ভোটের বিষয়ে যৌথ ঘোষণা এলেও অফিসিয়ালি কোনো কিছু না পাওয়ায় মন্তব্য করতে নারাজ তিনি। এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে হোক বা এপ্রিলে হোক- জাতীয় নির্বাচন যখনই হোক, আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আগে আমাদের বলা হয়েছিল ডিসেম্বর থেকে জুন, আমরা সে টাইম স্পেন মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছি ও এগিয়ে যাচ্ছি।’
এপ্রিলের ভোটের বিষয়ে জাতির উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ হলেও ফেব্রুয়ারিতে ভোটের বিষয়ে ‘অফিসিয়ালি’ কোনো কিছু পায়নি ইসি।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমরা এখনো প্রস্তুতির বাইরে কিছু চিন্তা করছি না। সরকারের সঙ্গে আমাদের যখন কথাবার্তা হবে, কি ধরনের চিন্তাভাবনা করছে, তখন সিদ্ধান্তে আসতে পারবো। তারিখ নিয়ে, অমুক দিন অমুক তারিখ ইলেকশন হবে এ মুহূর্তে আমি এমন ঘোষণা দিতে পারবো না।’
সরকারের কাছ থেকে যদি ধারণা পাই তাহলে সে অনুযায়ী ইলেকশন ডেলিভার করার জন্য প্রস্তুত আছি এবং প্রস্তুতি নিচ্ছি-যোগ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগে এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বললেও সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি হলে ফেব্রুয়ারিতে রোজা শুরুর আগেও ভোট হতে পারে বলে মত দেন।
লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পর নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেন যে তিনি আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরুর আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।
এখন আবার নতুন ডাইমেনশন এসেছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, লন্ডনে যে ঘোষণাটা এসেছে অন্যদের মতো মিডিয়া থেকে যেটুকু জানেছি, এর বাইরে কিছু নেই। এ নিয়ে আমি মন্তব্য করতে পারবো না। ভেতরে কি আলাপ হয়েছে। শুধু যৌথ বিবৃতি যেটা দিয়েছে সেটা তো আন-সাইনড; এটাই বা কতটুকু জেনুইন তাও তো জানি না। কারো স্বাক্ষর থাকলে বুঝতাম এটা সরকারের পক্ষ থেকে একজন সই করেছেন, রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে একজন সই করেছেন। তাহলে বুঝতাম এটা অফিসিয়াল ডকুমেন্ট।
‘অফিসিয়ালি কোনো কিছু না এলে কিছু করা যাবে না। ইতিহাসের পেছনেও ইতিহাস থাকে, আলাপের পেছনেও আলাপ থাকে। ঘোষণা একটা হয়েছে, নিশ্চয়ই ভেতরে অনেক আলাপ হয়েছে।…সেগুলোও আমাদের জানতে হবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।
নিরাপত্তা উপদেষ্টার প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ‘নিরাপত্তা উপদেষ্টা একটা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, ইসি হয়তো একটা তারিখ ঘোষণা করবেন। এটা একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে।
বিশেষ ধরনের সরকার, বিশেষ ধরনের পরিস্থিতি, একদিকে সরকার বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা করছে; সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করছে। বিচারটা বিচারকের হাতে ছেড়ে দিতে হবে, তবে ত্বরান্বিত করার বিষয় রয়েছে, এটি নিয়ে আলোচনা চলছে। সংস্কারের বিষয় রয়েছে। এসব নিয়ে সরকারই আলোচনা করছে। আমাদের ধারণা, সরকারের পক্ষ থেকে একটা তারিখ ঘোষণা হবে। কিন্তু লন্ডন সফরের পরে দায়-দায়িত্ব কিছুটা আমাদের ওপরই আসছে। সরকারের সঙ্গে আমাদের একটু কথাবার্তা না হলে, কোনো নির্দেশনা দেওয়া সম্ভব নয়।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘(ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন) এটা এখনো আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। নির্বাচনী আইন আরপিও অনুযায়ী ইসি গেজেটের মাধ্যমে ভোটের তারিখ ঘোষণা করবে। ছয় মাস/আট মাস আগে ওই তারিখে নির্বাচন হবে- এটা বলার বিধান আরপিও তে নেই। তফসিল ঘোষণার বিধান বলা রয়েছে।’
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ঐতিহাসিক নির্বাচন উপহার দেওয়ার কথা বলেছেন। এ নির্বাচনটা করবে ইসি। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সবাইকে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনটি করতে চাচ্ছেন।
‘আমাদের বুঝতে হবে, পরিস্থিতিটা বিশেষ পরিস্থিতি। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে। আমি তো একটা জয়েন্ট স্টেটমেন্ট দেখেছি, রমজানের আগেও ইলেকশন হতে পারে ‘যদি’। এটাকে ফরমাল বা অফিসিয়াল ওয়েতে ভাবতে পারছি না।’
সিইসি বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে আমাদের এখনো কথা হয়নি। আমরা এখন আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। যখনই হয় যেন আমরা নির্বাচনটা ডেলিভার করতে পারি। আমি এখন আমার প্রস্তুতির বাইরে কিছু চিন্তা করছি না। এখন আমাদের ধ্যানধারণা শয়নে-স্বপনে নিজেদের প্রস্তুতি।’
‘সিইসি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে তারিখ ঘোষণা করেন। দশ মাস আগে তারিখ ঘোষণা করে এমন দেখেছেন কখনো? আমরা এখনো কোনো টার্গেট ফিক্সড করিনি। সরকারের সঙ্গে যখন এক্সচেঞ্জ অব আইডিয়া হবে, তারিখ নিয়ে যত আলাপ-আলোচনা সরকারই করেছে। আমরা তো করিনি। সরকারের পরিবর্তিত কোনো চিন্তাভাবনা আছে কি না।’
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন কি না এমন প্রশ্নে সিইসি জানান, প্রয়োজন হলে দেখা করতে পারেন। সরকারের সঙ্গে আলোচনা হবে। সবকিছু বৈঠক করে হবে এমন নয়, বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমেও হয়ে থাকে। সরকারের সহযোগিতা লাগবে। সরকার আলোচনা করছে, আলোচনা অগ্রগতি, বেসিস কি, চিন্তাভাবনা আমাদের বুঝতে হবে। ভিডিও দেখে তো সিদ্ধান্তে আসতে পারছি না। আলোচনাটা সব সময় ওখানে করছে। ভেতরের অন্দরমহলের বিষয়টি বুঝতে হবে।’
ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কয়েকটি দল- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সিইসি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে দোয়া, আল্লাহ তাদের আস্থায় নিয়ে আসুক। আমার বিশ্বাস, আমাদের দলগুলো দেশের মঙ্গল চায়। রাজনৈতিকভাবে অনেক কথা বলতে হয়, আমি এটাকে রাজনৈতিকভাবে দেখি। রাজনৈতিক সচেতন থাকবেন, দলীয় রাজনীতিতে জড়াবেন না- এমন নির্দেশনা কর্মকর্তাদের দিয়েছি।’
ইসির বিরুদ্ধে বললে একদম আহত হন না দাবি করে তিনি বলেন, ‘সমালোচনাকে স্বাগত জানাই।’
একমত্য কমিশনের লিখিত কিছু না পাওয়া পর্যন্ত মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
নির্বাচনে কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করার বিষয়টি বারবার স্মরণ করে দেওয়ার কথা তুলে ধরেন সিইসি। আমরা কারো হুকুমে, কারো নির্দেশনায়, কারো পরিচালনায় আমরা কাজ করি না। কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে দলীয় স্বার্থরক্ষার জন্যে কাজ না করার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী কাজ করার জন্য বলা হয়েছে।
‘অতীতে যা হয়েছে, কেউ যদি মনে করে কেন্দ্র দখল, বাক্স লুট করবে তা দিবাস্বপ্ন। সে সুযোগ এবার আর পাবে না, এটা করতে দেবো না ইনশাহ আল্লাহ। সবাই সুন্দর নির্বাচন চায়।’
জাতীয়
নেপাল থেকে আসছে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ

বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করেছে নেপাল। গতকাল শনিবার রাত থেকে বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করেছে দেশটি।
আজ (রবিবার) নেপালের বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি সূত্র জানায়, নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে হওয়া ত্রিপক্ষীক চুক্তির আওতায় নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু হয়েছে। ভারতীয় ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে শনিবার রাত থেকে নেপাল বাংলাদেশে এই বিদ্যুৎ রপ্তানি করছে। ভারতের মুজাফফরপুর-বাহারামপুর হয়ে বাংলাদেশের ভেড়ামারা গ্রিড দিয়ে এই বিদ্যুৎ আসছে।
গত বছরের ৩ অক্টোবর নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে হওয়া ত্রিপক্ষীক চুক্তি অনুযায়ী নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানির সিদ্ধান্ত হয়।
চুক্তি অনুসারে, ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসের জন্য ভারতের ৪০০-কেভি ট্রান্সমিশন গ্রিড ব্যবহার করে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে নেপাল।
জাতীয়
ভালো ব্যবহার করায় পুলিশকে ‘নিষ্ক্রিয়’ ভাবছে মানুষ: উপদেষ্টা

দমন-পীড়নের জন্য পুলিশ একসময় ভাবমূর্তির সংকটে পড়লেও বাহিনীটি এখন মানবিক হয়ে উঠেছে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, “এখন পুলিশ হলো মানবিক পুলিশ, এজন্য লোকজন ভাবতেছে পুলিশ সচল হয় না। যেহেতু ভালো ব্যবহার করে, এজন্য ভাবতেছে পুলিশ (ইনঅ্যাকটিভ); কিন্তু আগের থেকে আরো বেশি অ্যাকটিভ।”
ঈদের ছুটি শেষে রোববার প্রথম কর্মদিবসে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
একজন সাংবাদিক জানতে চান, জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনের পর ভেঙে পড়া পুলিশ কি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় সচল হয়েছে?
জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এখন যদি আগের ১৫ বছরের মতো ভাবেন- দুটা পিট্টি মারলো, পুলিশ খুব সচল। আমরা সেই পুলিশ চাচ্ছি না। আমরা তো মানবিক পুলিশ চাচ্ছি। সবার সাথে ভালো ব্যবহার করবে।
“পুলিশের কাজ হবে- দুটা বাড়ি মারবা, দুটা লাথি মারবা; আমরা ওই পুলিশ চাচ্ছি না। আমরা চাচ্ছি মানবিক পুলিশ, এজন্য ভাবতেছে পুলিশ সচল হয় না। পুলিশ এখন আগের থেকে বেশি অ্যাক্টিভ।”
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীরের কাছে জানতে চাওয়া হয়, আগামী নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ প্রস্তুত কি না।
জবাবে তিনি বলেন, “নির্বাচনের ডেটটা তো ফিক্স করবে ইনফ্যাক্ট নির্বাচন কমিশন। উনারা যেই সময় ফিক্স করবে, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওই সময় তারা প্রস্তুত। যেকোনো অবস্থায় পুলিশ প্রস্তুত আছে।”
মাস খানেক ধরে ভারত থেকে নিয়মিত পুশ ইনের ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এ ব্যাপারে বহুবার বলা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ হয়েছে। ভারতীয় হাই কমিশনার আমাদের অফিসেও এসেছিলেন। কথা হয়েছে।
“বাংলাদেশের নাগরিক যদি ভারতে থেকে থাকে, তাহলে প্রোপার চ্যানেলে পাঠাও; আমরা নিয়ে নেব। জঙ্গলের ভেতরে ফেলে যাওয়া, নদীর উপরে ফেলে দেওয়া, লেইকের উপর ফেলে দেওয়া এটা কিন্তু সভ্য দেশের হওয়া উচিত না।”
শনিবার সকালে ঢাকার উত্তরায় কালো মাইক্রোবাসে চেপে র্যাবের পোশাক পরা কয়েকজন ‘নগদের’ এক পরিবেশকের এক কোটি আট লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর বলেন, “এটা নিয়ে আমরা খুবই কনসার্ন। আমরা সর্বোচ্চভাবে চেষ্টা করতেছি- এটার সাথে যেই জড়িত থাকুক, আমরা খুব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেন আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি।”
জাতীয়
রমজানের মতো স্বস্তির না হলেও খুব খারাপ ঈদযাত্রা হয়নি: ফাওজুল কবির

রমজানের মতো স্বস্তির না হলেও ঈদুল আজহার ঈদযাত্রা খুব খারাপ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
রোববার (১৫ জুন) টানা ১০ দিনের ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এ কথা জানান। ফাওজুল কবির একই সঙ্গে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়েরও উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, ঈদের আগে দুদিন ছুটি ছিল। সময় কম ছিল। তাই ঈদের আগে সড়কে চাপ ছিল। যাওয়ার সময় যানজটটা বেশি হয়েছে। রমজানের মতো স্বস্তির না হলেও খুব খারাপ যাত্রা হয়নি। তবে ফিটনেসবিহীন গাড়ি বিকল হওয়াতে রাস্তায় কিছু সমস্যা হয়েছে। তবে খুব বেশি নয়।
ফাওজুল কবির খান বলেন, যারা বেশি ভাড়া আদায় করেছে, তাদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করে যাত্রীদের দেওয়া হয়েছে। কমলাপুর রেল স্টেশনেও সবাই খুব খুশি ছিল। এত দূর পথের যাত্রা ম্যানেজ করা একটা চ্যালেঞ্জ।
আমরা ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি চলতে দেবো না, বলেন সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা।
গ্রামে অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, এখন গ্রামে ঘরে ঘরে এসএসসি ফ্রিজ। গ্রামে বিদুতের চাহিদা বাড়ছে। ফলে প্যাটার্ন বদলেছে। এটার ফলে কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা হয়েছে।
ছুটিতে ১২-১৩ হাজার মেগাওয়াট চহিদা ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রামে বিদুৎ পায়নি, এটা ভুল কথা।
উপদেষ্টা আরও বলেন, গরমে বিদ্যুতের প্রস্তুতি আমাদের আছে। চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনে তেলের বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাবো।
কাফি
জাতীয়
পুলিশের অতিরিক্ত ৪ ডিআইজিকে বদলি

পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) ও অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার ৪ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। আজ রোববার (১৫ জুন) এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
ঢাকার রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের (আরআরএফ) কমান্ড্যান্ট (অতিরিক্ত ডিআইজি) আলি আকবর খানকে সিআইডিতে বদলি করা হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা আরআরএফের কমান্ড্যান্ট নিয়োগ পেয়েছেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি রুমানা আক্তার।
চট্টগ্রাম ৯ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ শামসুল হক এবং ঢাকার এপিবিএনের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. নজরুল ইসলামকে সিআইডিতে বদলি করা হয়েছে।