আন্তর্জাতিক
ইরান ও ইসরায়েলকে যে বার্তা দিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।
এই হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ ও ৬ জন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ অন্তত ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামে’ অভিযান শুরু করে ইরান। মিসাইল হামলা শুরু হতেই নিজের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান ও উচ্চপদস্থ মন্ত্রীদের সঙ্গে নিয়ে মাটির নিচে বাংকারে আশ্রয় নিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
চলমান এই সংঘাতের প্রেক্ষাপটে দুই পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক বার্তায় গুতেরেস লিখেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ, আর তেল আবিবে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা- যথেষ্ট হয়েছে। এবার থামার সময়। শান্তি ও কূটনীতির জয় হোক।
এদিকে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েনও এই সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজকের সঙ্গে কথা বলে তিনি ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করেছেন, তবে পাশাপাশি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার গুরুত্বও তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, আমি সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছি। উত্তেজনা হ্রাসে সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা রাখা জরুরি।
এদিকে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তিন ধাপে শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে ইরানের ছোড়া কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবে আঘাত হানে। এতে এক নারী নিহতসহ অন্তত ৪৮ জন আহত হয়েছেন।
সূত্র: এএফপি, আল জাজিরা

আন্তর্জাতিক
ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইরানের

ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলি বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক অভিযানের সময় কমপক্ষে ১৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সামরিক ঘাঁটিও রয়েছে।
শনিবার (১৪ জুন) ভোরে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে কথা বলার সময়, ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) এর প্রধান কমান্ডারের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ ওয়াহিদি বলেন, আইআরজিসি এরোস্পেস ডিভিশন কর্তৃক অপারেশন ট্রু প্রমিজ ৩ সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।
ওয়াহিদি বলেন, এই লক্ষ্যবস্তুগুলিতে একাধিক পর্যায়ে সফলভাবে আঘাত করা হয়েছে। কর্মকর্তা বলেন, নেভাতিম এবং ওভদা বিমানঘাঁটিতে হামলার কথা উল্লেখ করেছেন। তার কথায়, “এই ঘাঁটিগুলিতে কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক যুদ্ধ কেন্দ্র ছিল এবং যেখান থেকে ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালানো হয়েছিল।”
এছাড়া তেল আবিব শহরের কাছে সরকারের তেল নফ বিমানঘাঁটিতেও হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি ওই কর্মকর্তার। আইআরজিসি কমান্ডারের মতে, ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের প্রতিশোধের সময় সরকারের সামরিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সামরিক-শিল্প কেন্দ্রগুলিতেও আঘাত হানা হয়েছিল।
এদিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে, “গত রাতের সীমিত পদক্ষেপের মাধ্যমে এই সংঘর্ষ শেষ হবে না এবং ইরানের হামলা অব্যাহত থাকবে। এই পদক্ষেপ আক্রমণকারীদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক এবং দুঃখজনক হবে।”
অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ইরানে আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। সেনাবাহিনী রাতারাতি ইরানের কয়েক ডজন স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানোর কথা বলার পর এই ঘোষণা আসলো। যার মধ্যে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র অবকাঠামোও রয়েছে।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে যে তারা ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। টেলিগ্রামে পোস্ট করা একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে, আইডিএফ বলেছে যে “ইসরায়েলি বিমান বাহিনী ইরানের হুমকি দূর করার জন্য লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে”।
আন্তর্জাতিক
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম

ইসরায়েল ও ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলকে ভঙ্গুর করে তুলেছে। তেল আবিব, তেহরানসহ অঞ্চলের বিভিন্ন বিমানবন্দরে ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় তেল কোম্পানি, জাহাজ চলাচল সংস্থা ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে হরমুজ প্রণালীসহ গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক পথে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে।
বাণিজ্যিক জাহাজ এখনও হরমুজ প্রণালী দিয়ে চলাচল করছে। তবে এখন খুব বেশি সতর্কতার সঙ্গে তাদের চলতে হচ্ছে। ইরান আগে পশ্চিমাদের চাপের জবাবে এই গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছিল। এসব বিষয় বিশ্ববাজারে এক ধরনের শঙ্কার জন্ম দিয়েছে, যার ফলে তেলের দাম বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ভাষণও পরিস্থিতি শান্ত করতে পারছে না। তিনি বলেন, যদি ইরান কোনো চুক্তিতে না আসে, তাহলে আরও বেশি মৃত্যু ও ধ্বংস হতে পারে।
শিপিং সংগঠন বিমকোর নিরাপত্তা প্রধান জ্যাকব লার্সেন রয়টার্সকে বলেন, যদি সবাই মনে করে যুক্তরাষ্ট্র হামলায় যুক্ত, তাহলে পরিস্থিতি আরো বেশি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠবে।
নিউ ইয়র্ক সময় বিকেল ৪টার দিকে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম গতকালের বাজার বন্ধের দামের চেয়ে ৫ শতাংশ বেড়ে গেছে।
এক পর্যায়ে তেলের দাম ১৩ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়। এটি এখন পর্যন্ত এই বছরের জানুয়ারির পর থেকে সবচেয়ে বেশি দাম। সহজ কথায়, তেলের দাম হঠাৎ অনেক বেশি উঠেছিল।
আরব উপসাগর ও ওমান উপসাগরের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথ হল হরমুজ প্রণালী। বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ তেল এই পথে যায়। যদি এই পথটি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে তেলের দাম আরও বেশি বেড়ে যেতে পারে। এতে বিশ্বব্যাপী, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি বা দাম বৃদ্ধির চাপ বাড়বে।
এই দাম বেড়ে যাওয়ার খবর এসেছে এমন এক সময়ে, যখন সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (মৌলিক মূল্য সূচক) রিপোর্ট প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ছিল। ওই রিপোর্টে দেখা যায়, মাসে দাম মাত্র শূন্য দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছিল।
আমেরিকায় সাম্প্রতিক সময়ে দাম প্রায় বাড়েইনি, পেট্রোলের দামও কমেছিল। এজন্য মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিল। কিন্তু নতুন সংঘাতে এই স্বস্তি দ্রুত চলে যেতে পারে। অর্থাৎ দাম আবার বাড়তে পারে এবং মানুষকে কষ্ট করতে হতে পারে।
জেপি মরগ্যান চেজের বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি জ্বালানির দাম অনেক দিন ধরে বাড়তেই থাকে, তাহলে আমেরিকায় যেভাবে পণ্যের দাম কমছিল, সেটা আবার উল্টো দিকে যেতে পারে। অর্থাৎ, জিনিসপত্রের দাম আবার বাড়তে শুরু করতে পারে।
তারা আরও বলেন, ট্রাম্পের মূল লক্ষ্য হলো জ্বালানির দাম কম রাখা— এটি তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। তাই এমন কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা কম, যা তেলের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে এবং মূল্যস্ফীতি বাড়ায়।
সংঘাতের খবর প্রকাশ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে বড় ধস নামে। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ১ দশমিক ১ শতাংশ, ডাও জোন্স ১ দশমিক৭ শতাংশ এবং নাসডাক ১ দশমিক ৩ শতাংশ কমে গেছে।
আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক তৌফিক রহিম বলেন, আজকের বাজার দেখলে বোঝা যায়—এসঅ্যান্ডপি হোক বা বিটকয়েন—সবকিছুই মোটামুটি স্থিতিশীল বা কিছুটা নিচের দিকে। সবাই এখন অপেক্ষা করে দেখছে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়।
তিনি বলেন, তেলের বাজারে তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়েছে, কারণ ইরান বৈশ্বিক তেল সরবরাহের বড় অংশীদার। এখন পর্যন্ত ইসরায়েল ইরানের তেল অবকাঠামোয় বড় ধরনের হামলা করেনি। তবে যদি ভবিষ্যতে তেমন কিছু হয়, তাহলে এর প্রভাব হবে অনেক বেশি।
যদি গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক পথ, যেমন হরমুজ প্রণালী সাময়িকভাবেই বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) জরুরি পরিস্থিতির জন্য তাদের সংরক্ষিত তেল ছাড়ার প্রস্তুতি রাখে। তবে এতে সংরক্ষণ শেষ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
আইইএর স্ট্র্যাটেজিক রিজার্ভে প্রায় ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ব্যারেল তেল রয়েছে, যেখানে বিশ্ব দৈনিক প্রায় ১০০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল ব্যবহার করে।
ম্যাক্রোইকোনোমিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিসিএ রিসার্চের প্রধান ভূরাজনৈতিক কৌশলবিদ ম্যাট গার্টকেন আল জাজিরাকে বলেন, যদি হরমুজ প্রণালী বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে সেটাই হবে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় তেল সংকট।
আন্তর্জাতিক
বেঁচে ফেরার গল্প শোনালেন সেই যাত্রী

আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ফ্লাইট AI171 উড্ডয়নের ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়। এতে ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন একমাত্র যাত্রী, ব্রিটিশ নাগরিক বিশ্বাস কুমার রমেশ।
৪০ বছর বয়সী রমেশ জানান, হঠাৎ এক তীব্র ঝাঁকুনিতে তার আসন খুলে যায়, যা হয়তো তার প্রাণ বাঁচিয়েছে। ইকোনমি ক্লাসের ১১এ সিটে বসা রমেশ বলেন, “চোখ খুলে দেখি শুধু লাশ আর ধ্বংসস্তূপ, ভয় পেয়ে দৌড়ে বের হই।”
সংবাদমাধ্যমকে রমেশ বলেছেন, আমি যেদিকে পড়েছিলাম, সেখানে হোস্টেলের একতলার ফাঁকা জায়গা ছিল কিছুটা। সেখান দিয়ে আমি বেরিয়ে আসার চেষ্টা করি। কিন্তু উল্টোদিকে হোস্টেলের দেয়াল ছিল। সেদিক থেকে হয়তো কেউ বেরোতে পারেনি। আমার বাঁ হাত একটু পুড়ে গিয়েছে।
দুর্ঘটনায় তার ভাই নিখোঁজ। বিমানের ধাক্কায় পাশের মেডিকেল হোস্টেল ভেঙে পড়ে, যেখানে চিকিৎসক শিক্ষার্থীরা খাবার খাচ্ছিলেন। বহু দেহ ছিন্নভিন্ন, পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষা চলছে।
ফ্লাইটে ছিলেন ১৬৯ ভারতীয়, ৫২ ব্রিটিশ, ৭ পর্তুগিজ ও ১ কানাডিয়ান নাগরিক। নিহতদের মধ্যে গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীও রয়েছেন।
আন্তর্জাতিক
বিশ্বজুড়ে দূতাবাস বন্ধ করছে ইসরায়েল

ইরানে হামলার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইসরায়েল বিশ্বব্যাপী তার সব কূটনৈতিক মিশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে অবস্থিত ইসরায়েলি দূতাবাস এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে ইসরায়েল তার বৈদেশিক মিশনগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করছে এবং কনস্যুলার সেবাও আপাতত প্রদান করা হবে না।
তবে দূতাবাসগুলো কতদিন বন্ধ থাকবে—সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরানের বিরুদ্ধে বড় ধরনের হামলার জেরে মধ্যপ্রাচ্য ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কায় এই পদক্ষেপ নিয়েছে তেলআবিব। এছাড়া দূতাবাস ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তাও এর অন্যতম কারণ হতে পারে।
আন্তর্জাতিক
ইরান কর্তৃক ১০০টির বেশি ড্রোন নিক্ষেপের দাবি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে, ইরান ইসরায়েলি ভূখণ্ডের দিকে ১০০টিরও বেশি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং জ্যেষ্ঠ সামরিক নেতাদের লক্ষ্য করে নজিরবিহীন হামলা চালানোর পর এই ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। টাইমস অব ইসরায়েল এবং সিএনএন এর প্রতিবেদনে এই খবর বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মতে, এই হামলা অনেক দিন ধরে চলবে।
এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যকে নতুন অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যার ফলে আঞ্চলিক যুদ্ধের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এর মুখপাত্র এফি ডিফ্রিন বলেছেন, “সকল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হুমকি প্রতিহত করার জন্য কাজ করছে।” তিনি আরও বলেন, “এখন পর্যন্ত আমরা যা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, তার থেকে আলাদা একটি ঘটনা এটি এবং আমরা কঠিন সময়ের আশঙ্কা করছি।”
আইডিএফ জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলার জবাবে সাম্প্রতিক কয়েক ঘণ্টায় তেহরান ইসরায়েলের দিকে ১০০টিরও বেশি ইউএভি (আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকল) নিক্ষেপ করেছে। ইরান থেকে ইসরায়েলে পৌঁছাতে এই ড্রোনগুলোর কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে।
টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওতে ইরানি ড্রোনগুলিকে ইসরায়েলের দিকে যাত্রা করতে দেখা যাচ্ছে। একটি ফুটেজে স্পষ্টতই ইরাকের ওপর দিয়ে একটি ড্রোন উড়তে দেখা যাচ্ছে।