জাতীয়
ব্রিটেনের রাজার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক

লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ২০ মিনিটে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম জানান, এটি একটি ‘প্রাইভেট সাক্ষাৎ’ ছিল এবং সাক্ষাতের সময় শুধু রাজা তৃতীয় চার্লস ও অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত ছিলেন।
শফিকুল আলম আরও জানান, সাক্ষাতে বাংলাদেশের বর্তমান ‘ট্রানজিশন’ বা অবস্থার পরিবর্তন নিয়ে কথা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা রাজা চার্লসকে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে কী কী সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে অবহিত করেন।
এছাড়াও, যেহেতু রাজা চার্লস অধ্যাপক ইউনূসের দীর্ঘদিনের পরিচিত, তাই তাদের মধ্যে পুরনো দিনের নানা স্মৃতি নিয়েও কথাবার্তা হয়েছে। প্রেসসচিব জানান, রাজা চার্লসের সঙ্গে এই একান্ত সাক্ষাৎটি অধ্যাপক ইউনূসের যুক্তরাজ্য সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ছিল।

জাতীয়
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৯ কর্মকর্তাকে বদলি

পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৯ কর্মকর্তাকে বদলি করে নতুন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া একই পদমর্যাদার একজনের বদলির আদেশ বাতিল করা হয়েছে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পুলিশ অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ড. এলিজা শারমীনকে রাজশাহীর সারদায় পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়েছে। রাজারবাগের পুলিশ টেলিকমের পুলিশ সুপার আসমা বেগম রিটাকে নোয়াখালীর পিটিসিতে পুলিশ সুপার, নোয়াখালী পিটিসির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ ইমামকে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আব্দুর রশিদকে র্যাবে পুলিশ সুপার, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামারুম মুনিরাকে পুলিশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার রুহুল আমীনকে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী রুবাইয়াত রুমিকে টাঙ্গাইল পিটিসির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ও রাজশাহাীর সারদার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার যায়েদ শাহরীয়ারকে ঢাকার এসবিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
এদের মধ্যে আসাদুজ্জামান, কামারুম মুনিরা, রুহুল আমীন, কাজী রুবাইয়াত ও যায়েদ শাহরীয়ার হলেন সুপারনিউমারারি পুলিশ সুপার। এছাড়া মধ্যে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদকে সিলেটের এসএমপিতে বদলির আদেশ দেওয়া হলেও তা বাতিল করা হয়েছে।
জাতীয়
বেপজার নতুন নির্বাহী চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেনকে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) তাকে এ নিয়োগ দিয়ে তার চাকরির প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ন্যস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আরেক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মো. আইনুল হককে পুলিশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তার অভোগকৃত অবসর-উত্তর ছুটি ও তৎসংশ্লিষ্ট সুবিধাদি এবং অন্য যে কোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠন-এর সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে এক বছর মেয়াদে পুলিশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো। এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে।
জাতীয়
রাষ্ট্রদূত হলেন সেনাবাহিনীর দুই কর্মকর্তা

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুই কর্মকর্তা রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ পেয়েছেন। এজন্য তাদের বদলি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
নিয়োগ পাওয়া দুই কর্মকর্তা হলেন—সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ এবং বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রদূত পদে প্রেষণে নিয়োগের জন্য তাদের চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে।
এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
জাতীয়
ড. ইউনূসের সফরে জাতিসংঘে যাচ্ছেন দুই দলের আরো ২ নেতা

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ড. নকিবুর রহমান তারেক এবং এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা ত্যাগ করবেন।
ড. ইউনূসের সঙ্গে আরও যাবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের এবং এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
জামায়াত এবং এনসিপি সূত্র জানায়, প্রতিনিধি দলে বিএনপির দুই নেতা থাকায় তাদের দল থেকে দুইজন করে প্রতিনিধি নিতে সরকার অনুরোধ করা হয়। তবে অল্প সময়ের মধ্যে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন কঠিন হওয়ায়, আগে থেকে যাদের মার্কিন ভিসা রয়েছে তাদের বেছে নেওয়া হয় প্রতিনিধি দলে।
এ বিষয়ে ডা. তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ড. নকিবুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। সেখান থেকে তিনি প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি দলে যোগ দেবেন।
এনসিপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম-সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত জানিয়েছেন, তাসনিম জারা আজ রোববার রাতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন।
জাতীয়
সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের ৩০ গাড়ি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

নিলামে গ্রহণযোগ্য দর না পাওয়ায় বিগত আওয়ামী লীগ আমলের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের (এমপি) জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ৩০টি গাড়ি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গাড়িগুলো সরকারকে ব্যবহারের জন্য দিয়ে দেওয়া হবে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরে এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
চট্টগ্রাম বন্দর অডিটোরিয়ামে ‘কাস্টমস অ্যান্ড পোর্ট ম্যানেজমেন্ট: প্রবলেমস, প্রসপেক্টস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গাড়িগুলো শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করেছিলেন তৎকালীন সংসদ সদস্যরা, যাদের অধিকাংশই ছিলেন আওয়ামী লীগের। ওই বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পরদিন ৬ আগস্ট সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। ফলে সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত সুবিধাও বাতিল করে এনবিআর। এরপর শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা গাড়িগুলো আর ছাড় করেননি সাবেক সংসদ সদস্যরা।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা সরকারকে গাড়িগুলো দিয়ে দেবো। সরকার এগুলো ব্যবহার করবে। সরকারের পরিবহন পুলে যাবে। আমরা নিলাম ডাকলেও খুবই অল্প দাম উঠেছে। নিলামের টাকাটাও সরকারের কোষাগারে আসবে, আবার সরকারকেই এসব গাড়ি কিনতে হবে অনেক দাম দিয়ে। তাই, আমরা জাতীয় স্বার্থ চিন্তা করে এসব গাড়ি সরকারের পরিবহন পুলকে দিয়ে দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
জানা গেছে, সাবেক সংসদ সদস্যরা শুল্কমুক্ত সুবিধায় ৫১টি গাড়ি আমদানি করেছিলেন। এর মধ্যে সাতটি গাড়ি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগে-পরে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। বাকিগুলোর মধ্যে ২৪টি গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবার নিলামে তোলে চট্টগ্রাম কাস্টমস। সেই নিলামে অংশ নিয়ে আগ্রহীরা গাড়িভেদে সর্বোচ্চ ১ লাখ থেকে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দর দিয়েছেন। ১০টি গাড়ির জন্য কোনও দরই জমা পড়েনি। অথচ প্রতিটি গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য ছিল ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। ফলে নিলামে যে দর উঠেছে, তাতে একটি গাড়িও বিক্রি হয়নি। এখন সেগুলো সরকারের মালিকানায় যাচ্ছে।