স্বাস্থ্য
সব হাসপাতালে কোভিড শয্যা প্রস্তুতের নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

দেশে আবারও করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেশের সব সরকারি হাসপাতালে আলাদা করে কোভিড রোগীদের জন্য শয্যা প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. মো. মঈনুল আহসান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “করোনাভাইরাস প্রতিরোধ এবং আক্রান্ত রোগীদের জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আগামী শনিবারের (১৫ জুন) মধ্যে সব সরকারি হাসপাতালে আলাদা করে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য সার্বক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা ও শয্যা প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে যাতে প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা যায়।
এমএস

স্বাস্থ্য
আবারও বাড়ছে করোনা, সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭ পরামর্শ

বিশ্বজুড়ে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। বিভিন্ন দেশে শনাক্ত হচ্ছে ভাইরাসটির নতুন নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশেও সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও নৌবন্দরে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। একই সঙ্গে জনসাধারণের জন্য ৭টি স্বাস্থ্য নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর। তিনি বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসজনিত সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন কয়েকটি সাব ভ্যারিয়েন্টও শনাক্ত হয়েছে। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে দেশে ভাইরাসের বিস্তার রোধে সব বন্দরে আইএইচআর (আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধিমালা) ডেস্কগুলোতে নজরদারি এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
সাংবাদিকদের সামনে অধ্যাপক জাফর করোনা প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের জন্য নিচের ৭টি পরামর্শ তুলে ধরেন: জনসমাগম এড়িয়ে চলুন। একান্ত প্রয়োজন হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। শ্বাসতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত মাস্ক পরুন। হাঁচি বা কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখুন (টিস্যু বা কনুই দিয়ে)। ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ময়লার ঝুড়িতে ফেলুন। সাবান ও পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুয়ে নিন। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে অন্তত ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রস্তুতির বিষয়েও সংবাদ সম্মেলনে আলোচনা করা হয়। জানানো হয়, আবারও শুরু হচ্ছে আরটি-পিসিআর ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থা। প্রস্তুত রাখা হচ্ছে করোনার টিকা, প্রয়োজনীয় ওষুধ, অক্সিজেন, হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা, ভেন্টিলেটর এবং আইসিইউ ও এইচডিইউ সুবিধাসহ কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো।
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী কর্মীদের সুরক্ষায় কেএন-৯৫ মাস্ক, পিপিই এবং ফেস শিল্ড সরবরাহের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ জন্য দেশের প্রতিটি বন্দরে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধিমালার আওতায় পরিচালিত ডেস্কগুলোকে আরও সক্রিয় করা হয়েছে এবং কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সার্বিক প্রস্তুতি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এমএস
স্বাস্থ্য
আবারও চালু হচ্ছে করোনা পরীক্ষা, সতর্ক বার্তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় সীমিত পরিসরে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা পুনরায় চালু করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রথম ধাপে যেসব হাসপাতালে আরটি-পিসিআর ল্যাব রয়েছে, সেখানেই এই পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বক্তব্য ১১ জুন (বুধবার) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক হালিমুর রশীদ জানান: “আমরা পরীক্ষার কিট স্থানীয় কোম্পানি থেকে সংগ্রহ করছি এবং বিদেশ থেকেও আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ১০ দিনের মধ্যেই সীমিত পরিসরে পরীক্ষা শুরু করা যাবে।”
কারা পরীক্ষা করাতে পারবেন : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী, পরীক্ষার আওতায় আসবেন শুধুমাত্র তারা যাদের মধ্যে করোনা উপসর্গ দেখা দিয়েছে বা যাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসক পরীক্ষা করার পরামর্শ দেবেন। উপসর্গের মধ্যে রয়েছে: জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট সহ যাদের এই উপসর্গ নেই, তাদের আপাতত পরীক্ষার প্রয়োজন নেই বলে জানানো হয়েছে।
হঠাৎ করে কেন এই সিদ্ধান্ত : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০১টি নমুনার মধ্যে ১৩টিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা প্রায় ১৩% শনাক্ত হার নির্দেশ করে। এই হারকে ‘উচ্চ’ বিবেচনা করে পরীক্ষা পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৯ জুনের তথ্য অনুযায়ী, ৪১টি নমুনার মধ্যে ৫টি পজিটিভ আসে।
পরীক্ষার স্থানসমূহ : যেসব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল আরটি–পিসিআর সুবিধা রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য: ঢাকা মেডিকেল কলেজ, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ , রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। প্রথম পর্যায়ে এসব হাসপাতালে পরীক্ষার সুবিধা থাকবে। পর্যায়ক্রমে পরিধি বাড়ানো হতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জনগণকে মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত ধোয়া এবং উপসর্গ দেখা দিলে ঘরে অবস্থান করার আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষ করে বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তিদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
সার্বিক করোনা পরিস্থিতি (গত ২৪ ঘণ্টায়) : নমুনা পরীক্ষা ১০১, করোনা শনাক্ত ১৩, শনাক্তের হার ১২.৮৭%, সুস্থ হয়েছেন ২, মোট সুস্থ ২০,১৯,৩৭৮,নতুন মৃত্যু নেই, আক্রান্তদের সকলেই: ঢাকা মহানগরবাসী।
এমএস
স্বাস্থ্য
করোনার নতুন সংক্রমণ, বন্দরে সতর্কতা জারি

ভারতের বিভিন্ন স্থানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে দেখা দিয়েছে। জেনেটিক সিকুয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে, এসব স্থানে ওমিক্রন ধরনের (variant) LF.7, XFG, JN.I and NB.1.8.1 উপধরনের কারণে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবেশী দেশসমূহে সংক্রমণ বাড়লে বাংলাদেশেও সেই সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। এই সংক্রমণ এড়াতে দেশের সব নৌ, স্থল ও আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে স্ক্রিনিংসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মানার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। চলতি মাসের ৪ জুন রোগ নিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্য অধিদফতর মহাখালীর পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশ জারি করা হয়েছে।
এমতাবস্থায় ভারতসহ বিভিন্ন সংক্রমিত দেশ থেকে আগত সন্দেহজনক যাত্রীদের দেশের স্থল, নৌ বন্দর ও বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ও আইএইচআর হেলথ ডেস্কের সহায়তার বিষয়ে স্বাস্থ্য বার্তা প্রদান এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিবিড়ভাবে পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সরেজমিনে রবিবার (৮ জুন) সকাল ১০টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে দেখা গেছে, মেডিক্যাল ডেস্কে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের ভারত থেকে ফিরে আসা যাত্রীদের করোনার উপসর্গ আছে কি না তা যাচাই-বাছাই করতে দেখা গেছে।
ভারত ফেরত যাত্রী পরিতোষ মন্ডল জানান, দশ দিন আগে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলাম। আজ দেশে ফিরলাম। বাংলাদেশের মতো ভারতের কোথাও করোনা বা ওমিক্রনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেনি।
ভারত ফেরত যাত্রী সীমা রানি বলেন, একমাস চিকিৎসার পর আজ দেশে ফিরে আসলাম। ভারতের কোথাও নতুন করে করোনার প্রভাব ছড়িয়েছে শুনিনি। দেশে আসার পর দেখছি করোনার পরীক্ষা করছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের উপ-সহকারী মেডিক্যাল অফিসার আব্দুল মজিদ বলেন, ভারতে জেনেটিক সিকুয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে, ভারতের কিছু কিছু স্থানে ওমিক্রন ধরনের নতুন উপধরন সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে করোনার এ ধরনটি যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সতর্কতার জন্য ভারত ফেরত প্রত্যেক যাত্রীকে আমরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছি। আমাদেরকে পরিচালক স্যার নির্দেশনা দিয়েছেন, যদি কারও শরীরে করোনা বা ওমিক্রনের উপধারার উপসর্গ পাওয়া যায় তাহলে যেন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন করে।
স্বাস্থ্য
ঈদে জরুরি সেবা নিশ্চিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৬ নির্দেশনা

পবিত্র ঈদুল আজহা ঘিরে দেশবাসী যখন উৎসবে মাতোয়ারা, ঠিক তখনই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হাসপাতালে ছুটছেন অনেকে। রিকশা, অটো রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি চালিত রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকে। পশু কোরবানি ও মাংস কাটতে গিয়েও আহত হয়েছেন বহু মানুষ। এছাড়া, অন্যান্য বিভিন্ন দুর্ঘটনা ও রোগ-শোক তো আছেই। কিন্তু, বেশিরভাগ চিকিৎসকই সরকারি ছুটিতে থাকায় হাসপাতালে পৌঁছে সেবা পেতে বিলম্ব হচ্ছে রোগীদের। পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা না পেয়ে ঈদের আনন্দ রূপ নিচ্ছে বেদনায়।
তার ওপর এবার ঈদ উপলক্ষে ৫ জুন থেকে টানা ১০ দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় অন্যান্য বারের মতো এবারও চিকিৎসাসেবার সংকট গুরুত্ব বুঝতে পেরে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সরকারি হাসপাতাল্গুলোর জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান নির্দেশনাগুলো হলো:
১। জরুরি বিভাগে ডিউটিতে চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে, প্রয়োজনে অতিরিক্ত চিকিৎসক নিয়োগ দিতে হবে।
২। লেবার রুম, জরুরি অপারেশন থিয়েটার ও ডায়াগনস্টিক ল্যাব ২৪ ঘণ্টা চালু রাখতে হবে।
৩। ঈদের আগে-পরে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে পর্যাপ্ত জনবল বজায় থাকে।
৪। প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে জনস্বার্থ ও জরুরি সেবার ধারাবাহিকতা বিবেচনায় রেখে ছুটি অনুমোদন করতে হবে।
৫। জেলা পর্যায়ে কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে এবং সিভিল সার্জন বা বিভাগীয় পরিচালকদের আগেই জানাতে হবে।
৬। বিভাগীয় প্রধানদের প্রতিদিনের কার্যক্রম তদারকি করতে হবে এবং এক্স-রে ও ল্যাবসহ গুরুত্বপূর্ণ ডায়াগনস্টিক সেবাসমূহ সচল রাখতে হবে।
৭। জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, স্যালাইন, রিএজেন্ট ও সার্জিকাল সরঞ্জামের পর্যাপ্ত মজুত থাকতে হবে।
৮। অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সর্বদা সচল রাখতে হবে।
৯। হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় বাধ্যতামূলক।
১০। অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার কঠোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
১১। যদি প্রধান কর্মকর্তা ছুটিতে থাকেন, তাহলে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে এবং তার যোগাযোগ তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
১২। ঈদের দিন ভর্তি রোগীদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিজেরা উপস্থিত থেকে তা বিতরণ নিশ্চিত করবেন।
১৩। বহির্বিভাগ (ওপিডি) ৭২ ঘণ্টার বেশি বন্ধ রাখা যাবে না — কিছুটা নমনীয়তা রাখা হলেও মূল নিয়মটি বজায় থাকবে।
বেসরকারি হাসপাতালের জন্য নির্দেশনা:
১। নিবন্ধিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ২৪ ঘণ্টা জরুরি ও মাতৃত্বসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
২। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে প্রয়োজনে রেফারকৃত রোগীর জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩। কোনো জরুরি অবস্থা বা দুর্ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ডিজিএইচএসকে জানাতে হবে।
রাজধানী
৬ দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের ‘অবস্থান কর্মসূচি’

চাকরিতে ১৪তম গ্রেড ও ‘টেকনিক্যাল পদমর্যাদা’ দেওয়াসহ ছয় দাবিতে ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা।