স্বাস্থ্য
ঈদে জরুরি সেবা নিশ্চিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৬ নির্দেশনা

পবিত্র ঈদুল আজহা ঘিরে দেশবাসী যখন উৎসবে মাতোয়ারা, ঠিক তখনই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হাসপাতালে ছুটছেন অনেকে। রিকশা, অটো রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি চালিত রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকে। পশু কোরবানি ও মাংস কাটতে গিয়েও আহত হয়েছেন বহু মানুষ। এছাড়া, অন্যান্য বিভিন্ন দুর্ঘটনা ও রোগ-শোক তো আছেই। কিন্তু, বেশিরভাগ চিকিৎসকই সরকারি ছুটিতে থাকায় হাসপাতালে পৌঁছে সেবা পেতে বিলম্ব হচ্ছে রোগীদের। পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা না পেয়ে ঈদের আনন্দ রূপ নিচ্ছে বেদনায়।
তার ওপর এবার ঈদ উপলক্ষে ৫ জুন থেকে টানা ১০ দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় অন্যান্য বারের মতো এবারও চিকিৎসাসেবার সংকট গুরুত্ব বুঝতে পেরে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সরকারি হাসপাতাল্গুলোর জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান নির্দেশনাগুলো হলো:
১। জরুরি বিভাগে ডিউটিতে চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে, প্রয়োজনে অতিরিক্ত চিকিৎসক নিয়োগ দিতে হবে।
২। লেবার রুম, জরুরি অপারেশন থিয়েটার ও ডায়াগনস্টিক ল্যাব ২৪ ঘণ্টা চালু রাখতে হবে।
৩। ঈদের আগে-পরে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে পর্যাপ্ত জনবল বজায় থাকে।
৪। প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে জনস্বার্থ ও জরুরি সেবার ধারাবাহিকতা বিবেচনায় রেখে ছুটি অনুমোদন করতে হবে।
৫। জেলা পর্যায়ে কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে এবং সিভিল সার্জন বা বিভাগীয় পরিচালকদের আগেই জানাতে হবে।
৬। বিভাগীয় প্রধানদের প্রতিদিনের কার্যক্রম তদারকি করতে হবে এবং এক্স-রে ও ল্যাবসহ গুরুত্বপূর্ণ ডায়াগনস্টিক সেবাসমূহ সচল রাখতে হবে।
৭। জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, স্যালাইন, রিএজেন্ট ও সার্জিকাল সরঞ্জামের পর্যাপ্ত মজুত থাকতে হবে।
৮। অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সর্বদা সচল রাখতে হবে।
৯। হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় বাধ্যতামূলক।
১০। অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার কঠোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
১১। যদি প্রধান কর্মকর্তা ছুটিতে থাকেন, তাহলে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে এবং তার যোগাযোগ তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
১২। ঈদের দিন ভর্তি রোগীদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিজেরা উপস্থিত থেকে তা বিতরণ নিশ্চিত করবেন।
১৩। বহির্বিভাগ (ওপিডি) ৭২ ঘণ্টার বেশি বন্ধ রাখা যাবে না — কিছুটা নমনীয়তা রাখা হলেও মূল নিয়মটি বজায় থাকবে।
বেসরকারি হাসপাতালের জন্য নির্দেশনা:
১। নিবন্ধিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ২৪ ঘণ্টা জরুরি ও মাতৃত্বসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
২। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে প্রয়োজনে রেফারকৃত রোগীর জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩। কোনো জরুরি অবস্থা বা দুর্ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ডিজিএইচএসকে জানাতে হবে।

স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৮৩

শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৮৩ জন রোগী। এসব রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩৬ জন আক্রান্ত বরিশাল বিভাগে। একইসঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৫ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৮, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২৮, খুলনা বিভাগে ৪১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ৩৩ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ৩৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮ হাজার ৭২৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৯ হাজার ৮৬৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গু: নিয়ন্ত্রণের বাইরে দুই সিটির ১৩ ওয়ার্ড

রাজধানী ঢাকার দুই সিটির ১৩টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভার ঘনত্বের পরিমাণ নির্দিষ্ট মানদণ্ডের থেকেও বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার আওতাধীন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অধীন গত ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসে চালানো প্রাক-বর্ষা জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।
বুধবার (১৮ জুন) বিকেলে রাজধানীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত মৌসুম পূর্ব এডিস সার্ভে-২০২৫ এর ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক ‘ব্রুটো ইনডেক্স’ নামে পরিচিত। সাধারণত এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের স্বীকৃত পদ্ধতি ‘ব্রুটো ইনডেক্স’র মানদণ্ডে লার্ভার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি হওয়া মানেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
দুই সিটির ৯৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টিতে ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি। এর অর্থ হচ্ছে, এসব এলাকার ১০০টির মধ্যে ২০টির বেশি পাত্রে মশা বা লার্ভা পাওয়া গেছে। এই এলাকাগুলো ডেঙ্গুর বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ঝুঁকিতে থাকা ওয়ার্ডগুলো হলো- ১২, ২, ৮, ৩৪, ১৩, ২২ নং ওয়ার্ড। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো হলো- ৩১, ৪১, ৩, ৪৬, ৪৭, ৪, ২৩ নং ওয়ার্ড।
স্বাস্থ্য
২৪ ঘণ্টায় আরো ২৩৪ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত

রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরো ২৩৪ জন। তবে এই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।
সোমবার (১৬ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৯ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৩২ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৫ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২৮ জন, খুলনা বিভাগে ৫ জন রয়েছেন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৫ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে গত একদিনে সারাদেশে ১৯০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৮৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৬ হাজার ২২২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন একলাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৭৫ জনের। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয় ও হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
স্বাস্থ্য
২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪৯ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত

শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরো ২৪৯ জন। একইসঙ্গে এই সময়ে ভাইরাসটি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরো একজনের।
রবিবার (১৫ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তি হওয়াদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৯ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৯ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৮ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৩৫ জন, খুলনা বিভাগে ৮ জন রয়েছেন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৭ জন, রংপুর বিভাগে ৩ জন এবং সিলেট বিভাগে ১ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে, গত এক দিনে সারাদেশে ২২২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫ হাজার ২৯৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৫ হাজার ৯৮৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন একলাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মারা গেছেন ৫৭৫ জন। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয় ও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
স্বাস্থ্য
সব হাসপাতালে কোভিড শয্যা প্রস্তুতের নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

দেশে আবারও করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেশের সব সরকারি হাসপাতালে আলাদা করে কোভিড রোগীদের জন্য শয্যা প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. মো. মঈনুল আহসান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “করোনাভাইরাস প্রতিরোধ এবং আক্রান্ত রোগীদের জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আগামী শনিবারের (১৫ জুন) মধ্যে সব সরকারি হাসপাতালে আলাদা করে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য সার্বক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা ও শয্যা প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে যাতে প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা যায়।
এমএস