রাজনীতি
দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানালানে ফখরুল

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো দেশবাসীর প্রতি দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি। মোবারকবাদ জানিয়ে তিনি বলেছেন, আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মুসলিমকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাই। কামনা করি তাদের অবিরাম সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, পরম ত্যাগের নির্দেশনা স্বরূপ কোরবানি বা ঈদুল আজহা পালন করা হয় আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। ঈদুল আজহার তাৎপর্য হচ্ছে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা। সেজন্য বিশ্ব মুসলিম ঈদুল আজহার উৎসবে মিলিত হয়। মনের অশুভ অন্ধকার দূর করে সহজ-সরল-অনাড়ম্বর জীবনযাপনের মাধ্যমে স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জনের মূল শিক্ষার উৎসই হচ্ছে পশু কোরবানি।
তিনি কোরবানির শিক্ষা স্মরণ করিয়ে বলেন, কোরবানির মহিমান্বিত শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করা এবং মানবকল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
বিগত দেড় দশকের রাজনৈতিক বাস্তবতা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন,দানবীয় দুঃশাসনের জাঁতাকল থেকে জনগণ খানিকটা স্বস্তি পেলেও চূড়ান্ত মুক্তি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদেরকে এখনও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। নানা ধরনের কুটিল চক্রান্তের আশ্রয় নিয়ে মহল বিশেষ কৌশলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে, এ বিষয়ে আমাদের সকলকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
ঈদুল আজহার ইতিহাস ও আত্মত্যাগের চেতনাকে সামনে টেনে তিনি বলেন,আত্মত্যাগের এক অবিস্মরণীয় ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তায়ালার কোরবানির বিধান মানবজাতির সৃষ্টিলগ্ন থেকেই কার্যকর হয়ে এসেছে। স্রষ্টার প্রতি নিঃস্বার্থ আত্মনিবেদন ও অনুপম আদর্শের প্রতীকী নিদর্শন হিসেবে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা প্রতিবছর পশু কোরবানি দেয়, এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাকের প্রতি নিবেদিত বান্দা হওয়ার প্রেরণা পায়।
ঈদের সামাজিক তাৎপর্য তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, কোরবানির ঈদ বিশ্ব মুসলিমের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। প্রতিটি উৎসবই ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের চিত্তবৃত্তি ও ঔদার্য প্রসারিত করে। উৎসব মানবজাতিকে সম্প্রীতির অটুট বন্ধনে আবদ্ধ করে। সামাজিক অন্ধকারের গহন থেকে মানবিক আলোর ভূমিতে সমবেত করে।
সবশেষে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান, ত্যাগের মহিমায় সব স্বার্থপরতা পরিহার করে মানবকল্যাণ এবং সমাজে শান্তি, ন্যায়, সুবিচার ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় আমাদেরকে সচেষ্ট হতে হবে। আসুন, আমরা অঙ্গীকার করি— কায়েমি স্বার্থকে এড়িয়ে ঈদুল আজহার এ আনন্দ, ত্যাগ ও উৎসবের দিনে অসহায়-নিরন্ন মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার।
বিএনপি মহাসচিবের প্রার্থনা, ঈদুল আজহা সবার জীবনকে করে তুলুক আনন্দময়, মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে আমি এ প্রার্থনা জানাই।

রাজনীতি
বিদেশে নির্বাচন নিয়ে বৈঠক গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থি: নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী

লন্ডনে নির্বাচন নিয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠককে ‘গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থি’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী।
শুক্রবার (১৩ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “লন্ডনে বসে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের মিটিং দেশবাসীর স্বার্থ ও গণআকাঙ্ক্ষার সঙ্গে প্রতারণা। শহীদদের রক্তকে অবমাননা করে বিদেশের মাটিতে মিটিং আয়োজন কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে দেশের জনগণের মাধ্যমে, বিদেশি আলোচনায় নয়।”
তিনি আরও বলেন, ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের পর একটি সামাজিক চুক্তি হয়েছিল, কিন্তু তা বাস্তবায়িত না হয়ে দেশকে ভুল পথে প্রবাহিত করা হয়েছে। এখন সময় এসেছে নতুন একটি জাতীয় বন্দোবস্ত গঠনের-যেটি জনগণের ইচ্ছার ভিত্তিতে হতে হবে, কোনো নির্দিষ্ট দলের সুবিধা দেখেই নয়।
নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “বর্তমান সরকার যদি সংস্কার, বিচার এবং সংবিধান প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় ব্যর্থ হয়, তাহলে এনসিপি দ্বিতীয় গণঅভ্যুত্থানের দিকে যেতে বাধ্য হবে। প্রয়োজনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণও করবে না।”
তার মতে, শুধু রাজার বদলে রাণী বসালেই হবে না- দরকার কাঠামোগত পরিবর্তন। এনসিপি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বপ্ন পূরণের পক্ষে। সরকারকে শহীদদের আত্মত্যাগের মূল্যায়ন করতে হবে এবং জনগণের পাশে গিয়ে জানতে হবে- তারা কী চায়।
বিএনপির অবস্থান নিয়ে প্রশ্নে নাসীরুদ্দীন বলেন, “ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবি করলেও এখন রোজার আগেই নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। কিন্তু তারা আজও বিচার, ঘোষণাপত্র কিংবা নতুন সংবিধান নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট প্রস্তাব দেয়নি। এতে বোঝা যাচ্ছে, তারা কেবল ক্ষমতার লোভে যুক্ত হয়েছে।”
তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়। এটি একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক শক্তির হয়ে কাজ করছে। তাই সঠিক বিচার, সাংবিধানিক সংস্কার এবং জাতীয় ঐকমতের ভিত্তিতে নির্বাচন না হলে দেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণ সম্ভব নয়।
কাফি
রাজনীতি
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জামায়াতের

ইরানের সামরিক ও পরমাণু স্থাপনায় ইসরায়েলের বিমান হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
শুক্রবার (১৩ জুন) এক বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ১৩ জুন (শুক্রবার) ভোর ৪টার দিকে ইরানের রাজধানী তেহরানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
বিবৃতিতে বলা হয়, হামলায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আরজিএস)-এর প্রধান হোসেইন সালামি, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মাদ বাঘেরি, খতম-আল আনবিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টারের কমান্ডার ঘোলামালি রশিদ এবং কয়েকজন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ ইরানের শীর্ষ উপদেষ্টা আলী শামখানি নিহত হয়েছেন।
জামায়াত নেতারা বলেন, আমরা এই বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তারা যেন শহীদের মর্যাদা লাভ করেন- এই প্রার্থনা করি।
তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, আল্লাহ তায়ালা তাদের জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা দিন এবং শোকাহত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তাওফিক দান করুন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা আশা করি ইরানের সরকার ও জনগণ এই শোক ও ক্ষয়ক্ষতির ঘোর কাটিয়ে উঠে শিগগিরই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে সক্ষম হবেন।
কাফি
রাজনীতি
ইউনূস-তারেক বৈঠক ‘টার্নিং পয়েন্ট’, অনিশ্চয়তা কাটছে: ফখরুল

লন্ডনে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যকার বৈঠকটিকে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বা মোড় ঘোরানো ঘটনা বলে আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, “চতুর্দিকে একটা অনিশ্চয়তা ছিল এবং অনেকে অনেক কথা বলছিলো। আজ এই দুই নেতা প্রমাণ করেছেন- বাংলাদেশের মানুষ প্রয়োজনের সময় ঐক্যবদ্ধ হতে পারে।”
শুক্রবার (১৩ জুন) যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা থেকে দেড় ঘণ্টার বৈঠক হয় অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে। ওই বৈঠকের পর প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, তারেক রহমানের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে (রমজান মাস শুরুর আগেই) নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। তবে তার জন্য জরুরি সংস্কার ও বিচারের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন।
এই ঘোষণার পর বিকেলে গুলশানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, “বৈঠকের যৌথ ঘোষণায় অন্তর্বর্তী সরকারের নির্ধারিত নির্বাচনের সময়সীমা উপযুক্ত নয় বলে সেটিকে এগিয়ে আনার বিষয়ে তারেক রহমানের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টা সম্মত হয়েছেন।”
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “এই মুহূর্তে সবচেয়ে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা এবং অতীতের দুঃখজনক অধ্যায় ভুলে গিয়ে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা।”
তিনি তারেক রহমানের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “এই বৈঠক সফল করার মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রনায়কোচিত গুণাবলির পরিচয় দিয়েছেন।”
রাজনীতি
ড. ইউনূসকে যে উপহার দিলেন তারেক রহমান

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান-এর মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত বহুল আলোচিত বৈঠকটি সম্পন্ন হয়েছে। এই বৈঠকে তারেক রহমান অধ্যাপক ইউনূসকে দুটি বই এবং একটি কলম উপহার দিয়েছেন।
শুক্রবার (১৩ জুন) যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা) বৈঠকটি শুরু হয় এবং সকাল সাড়ে ১০টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টা) শেষ হয়। বৈঠক শেষে তারেক রহমান ডরচেস্টার হোটেল ত্যাগ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে তারেক রহমানের দেওয়া উপহারের দুটি বই ও একটি কলমের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন।
উপহারের বই দুটি হলো:
১. ‘নো ওয়ান ইজ টু স্মল টু মেইক এ ডিফরেন্স’ (No One Is Too Small to Make a Difference): এটি বিশ্ববিখ্যাত জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের প্রথম ইংরেজি বই। এই বইটিতে গ্রেটা থুনবার্গের বিশ্বজুড়ে জলবায়ু সমাবেশ থেকে জাতিসংঘ, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে দেওয়া তার গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যগুলোর সংগ্রহ রয়েছে।
২. ‘নেচার ম্যাটারস: ভাইটাল পোয়েমস ফ্রম দ্য গ্লোবাল মেজরিটি’ (Nature Matters: Vital Poems from the Global Majority): এটি একটি নির্বাচিত কবিতা সংগ্রহ, যা প্রকৃতি এবং পরিবেশবিষয়ক কবিতাগুলোকে বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করে। এই সংগ্রহে বিভিন্ন জাতি ও সংস্কৃতির কবিদের লেখা কবিতা স্থান পেয়েছে।
জাতীয়
ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক সম্পন্ন

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান-এর মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি শেষ হয়েছে। বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হওয়া এই বৈঠক শেষ হয় ৩টা ৩৫ মিনিটে। মোট ১ ঘণ্টা ৩৫ মিনিটের এই বৈঠকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে তারেক রহমান ডরচেস্টার হোটেল ত্যাগ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম জানান, এটি তাদের মধ্যে একটি একান্ত বৈঠক ছিল। বৈঠক শেষে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে তিনি আগেই জানিয়েছিলেন।