জাতীয়
কোরবানির জন্য পার্শ্ববর্তী দেশের গরু প্রয়োজন নেই: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

কোরবানির জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে গরু আমদানির প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠের পশুরহাট পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন ।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, দেশে পর্যাপ্ত পশু মজুদ রয়েছে। কোরবানির জন্য পার্শ্ববর্তী দেশের গরু প্রয়োজন নেই। সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে চোরাইপথে যেন প্রতিবেশী কোন রাষ্ট্রের গরু যাতে ঢুকতে না পারে সে জন্য কড়া নজরদারি রাখছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
তিনি বলেন, সারাদেশের হাটগুলোতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন। গরু মোটাতাজাকরণ থেকে ব্যবসায়ীদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে। রাজধানীর পশুর হাটগুলোর সার্বিক ব্যবস্থাপনা বেশ ভালো।
এর আগে সকালে খামারবাড়ির কেআইবি মিলনায়তনে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কর্তৃক চিকিৎসা প্রদান এবং মনিটরিং বাস্তবায়নে করণীয় শীর্ষক এক আলোচনায় সভায় অংশগ্রহণ করেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
সেখানে তিনি বলেন, কোরবানি বলতে আমরা গরু-ছাগল জবাই বুঝি। কিন্তু এর গভীরে হযরত ইব্রাহিম (আ:) ত্যাগের ঘটনা রয়েছে। কুরবানির ঈদে ত্যাগের মহিমা যেন আমরা না ভুলি।
কাফি

জাতীয়
নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়: চীনের রাষ্ট্রদূত

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বাংলাদেশে জাতীয় সরকার গঠন এবং জাতীয় নির্বাচন কখন হবে, তা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ডিক্যাব টকে এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।
ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে জাতীয় সরকার গঠন হওয়া না হওয়ার বিষয়টি অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের নির্বাচন কখন হবে এটিও অভ্যন্তরীণ বিষয়।
তিস্তা বহুমুখী প্রকল্প বাস্তবায়নের চীন পুরোপুরি প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত। তিনি জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন পুরোপুরি প্রস্তুত। এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী। আমাদের লক্ষ্য একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং সার্বভৌম প্রতিবেশী গড়ে তোলা। এই উদ্যোগ তৃতীয় কোনো পক্ষবিরোধী নয়। দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশ এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেনি।
ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিনের সভাপতিত্বে ডিক্যাব টকে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন।
কাফি
জাতীয়
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে স্বাগত জানাল বাংলাদেশ

চার দিনের বেশি সময় ধরে পাল্টাপাল্টি হামলার পর থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতিতে স্বাগত জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোনো শর্ত ছাড়া থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ায় বাংলাদেশ স্বাগত জানায়। সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনার মধ্যস্থতার জন্য আসিয়ান চেয়ার মালয়েশিয়ার প্রশংসা করছে বাংলাদেশ। এছাড়া, এ যুদ্ধবিরতিতে থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার অন্যান্য যেসব বন্ধুদের ভূমিকা রয়েছে তাদেরও প্রশংসা করছে বাংলাদেশ।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ আশাবাদী যে, থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া উভয়ই সংলাপ এবং কূটনীতির মাধ্যমে অসামান্য সীমান্ত নির্ধারণের নিষ্পত্তি অব্যাহত রাখবে এবং সীমান্তে উভয়পক্ষের জীবন ও জীবিকা নির্বাহের জন্য আক্রান্ত সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে শান্ত ও স্থিতিশীলতা বজায় রেখে প্রাথমিক পুনরুদ্ধারের কাজ করবে।
শত বছরের বেশি পুরোনো সীমান্ত বিরোধের জেরে গত বৃহস্পতিবার শুরু হয় থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সংঘাত। সংঘাত চলাকালে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৬ জন।
কাফি
জাতীয়
আওয়ামী লীগের হামলার আশঙ্কা, সারাদেশে বিশেষ সতর্কতা জারি

রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ গোপনে একত্র হয়ে সহিংসতা বা হামলার পরিকল্পনা করতে পারেন- এমনটাই আশঙ্কা করছেন পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)। সারাদেশে আগামী ১১ দিন ‘বিশেষ সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে।
এসবি জানায়, ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়কে কেন্দ্র করে অনলাইন ও অফলাইনে সংঘবদ্ধ প্রচারণার মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ। এ সময় দলটির কিছু নেতাকর্মী সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা, বিশৃঙ্খলা কিংবা ভাঙচুর চালাতে পারে বলেও ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এই প্রেক্ষাপটে সোমবার (২৮ জুলাই) পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে একটি বিশেষ সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখা। চিঠিটি পাঠানো হয়েছে ডিএমপি কমিশনার, সিটি এসবি, বিভাগীয় উপ-পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রাম ও খুলনার স্পেশাল পুলিশ সুপারসহ দেশের সব জেলা পুলিশ সুপারের কাছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ঘিরে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়কে ‘বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘এই সময়ে ফ্যাসিবাদী শক্তিগুলো দেশব্যাপী অনলাইন ও অফলাইনে উসকানিমূলক প্রচারণা চালিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি ফ্যাসিবাদবিরোধী কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে বা উসকানি সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টাও হতে পারে।’
এমন পরিস্থিতিতে দেশের সকল ইউনিটকে নিজ নিজ এলাকায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও যানবাহনের ওপর নজরদারি, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার এবং সাইবার গোয়েন্দা কার্যক্রম তীব্র করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি, আওয়ামী লীগের কিছু যুব ও ছাত্রসংগঠনের নেতারা মাঠে না থাকলেও অনলাইনে ভার্চুয়াল স্কোয়াড গড়ে তুলেছে। যারা ফেসবুক, টেলিগ্রাম ও ইউটিউবভিত্তিক চ্যানেল চালিয়ে সামাজিক অস্থিরতা ছড়ানোর কাজ করছে।
এ বিষয়ে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গণমাধ্যমে বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। দেশ থেকে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে এনে রাজনৈতিক নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে। তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। যারা দেশে-বিদেশে বসে পরিস্থিতি অশান্ত করার পরিকল্পনায় লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাফি
জাতীয়
জুলাই সনদের খসড়ায় রয়েছে যে ৭ অঙ্গীকার

‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ খসড়া প্রণয়ন করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপে উঠে আসা বিষয়গুলো নিয়ে খসড়াটি প্রস্তুত করা হয়।
সোমবার (২৮ জুলাই) রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সনদের খসড়া পাঠায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
খসড়াটি এসেছে মাসব্যাপী রাজনৈতিক সংলাপের পরিপ্রেক্ষিতে। এটি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।
এতে মোট সাতটি অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো এসব অঙ্গীকারে একমত হলে সই হতে পারে চূড়ান্ত সনদ।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে:
১. হাজারো মানুষের জীবন ও রক্ত এবং অগণিত মানুষের সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতি ও ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত সুযোগ এবং তৎপ্রেক্ষিতে জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে দীর্ঘ ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রণীত ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবো।
২. ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এ দেশের শাসনব্যবস্থা তথা সংবিধান, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশি ব্যবস্থা ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থার বিষয়ে যেসব প্রস্তাব/সুপারিশ এই সনদে লিপিবদ্ধ রয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন, লিখন ও পুনর্লিখন এবং বিদ্যমান আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন, পরিবর্তন, পরিমার্জন, লিখন, পুনর্লিখন বা নতুন আইন প্রণয়ন, প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন বা বিদ্যমান বিধি ও প্রবিধির পরিবর্তন বা সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
৩. ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এ দেশের শাসনব্যবস্থা তথা সংবিধান, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশি ব্যবস্থা ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থার বিষয়ে যেসব প্রস্তাব/সুপারিশ এই সনদে লিপিবদ্ধ রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন, লিখন ও পুনর্লিখন এবং বিদ্যমান আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন, পরিবর্তন, পরিমার্জন, লিখন, পুনর্লিখন বা নতুন আইন প্রণয়ন, প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন বা বিদ্যমান বিধি ও প্রবিধির পরিবর্তন বা সংশোধন এই সনদ গৃহীত হওয়ার পরে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের দুই বছরের মধ্যে সম্পন্ন করতে এবং এসব সংস্কার টেকসই করতে অঙ্গীকার করছি।
৪. এই সনদ গৃহীত হওয়ার পর এতে যেসব প্রস্তাব/সুপারিশ লিপিবদ্ধ রয়েছে সেগুলো পরবর্তী দুই (২) বছর মেয়াদকালের মধ্যে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
৫. ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষার পূর্ণ নিশ্চয়তা বিধান করবো।
৬. ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ বাস্তবায়নে এবং এর আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষা প্রদানে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
৭. ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক তাৎপর্যকে সংবিধানে যথাযোগ্য স্বীকৃতি দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবো।
কমিশনগুলো তাদের সুপারিশ ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সরকারের কাছে জমা দেয়। পরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সেই সুপারিশগুলো একত্র করে দুটি ধাপে রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে ঐকমত্য তৈরির কাজ চালায়।
জাতীয়
চার ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠালো সরকার

বাংলাদেশ পুলিশের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) পদের আরও চার কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।
সোমবার (২৮ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এতে সই করেছেন সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
অবসরে পাঠানো ডিআইজিরা হচ্ছে- ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত ডিআইজি আতিকা ইসলাম; রেলওয়ে পুলিশ ঢাকায় সংযুক্ত ডিআইজি মো. মাহবুব আলম; শিল্পাঞ্চল পুলিশে সংযুক্ত ডিআইজি মো. মনির হোসেন ও পুলিশ টেলিকম ঢাকায় সংযুক্ত ডিআইজি এ কে এম নাহিদুল ইসলাম।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইনের বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে তাদের অবসর পাঠানো হয়েছে। তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।
জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশের চার উপ-মহাপরিদর্শককে (ডিআইজি) বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।
ওইদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাদের অবসরে পাঠানো হয়।
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো ওই চার কর্মকর্তা হলেন- অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের ডিআইজি মো. নিশারুল আরিফ, নৌ পুলিশের ডিআইজি মো. আব্দুল কুদ্দুছ আমিন, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মো. আজাদ মিয়া ও আমেনা বেগম।
এরও আগে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার তিন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর পাঠায় সরকার। তারা হলেন-পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর মল্লিক ফখরুল ইসলাম, পুলিশ টেলিকমের প্রধান ওয়াই এম বেলালুর রহমান এবং পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি সেলিম মো. জাহাঙ্গীর।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে তাদের চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয়।
এছাড়াও সচিব, উপ-সচিব, জেলা প্রশাসক, বিচারক, পুলিশ সুপারসহ অনেক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।