রাজনীতি
নির্বাচন কোনোভাবেই ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার কারণ নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার মতো একটিও কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, প্রায় সব দলেরই ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের প্রস্তাবনা আছে। অবশ্যই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব এবং এর মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারও করা সম্ভব।
সোমবার (২ জুন) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সালাহউদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। কমিশনের প্রধান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই আলোচনায় বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বিস্তারিত মতামত আমরা দিয়েছি। অনেকগুলো বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। কিছু কিছু বিষয়ে দ্বিমত থাকলেও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কোথাও নীতিগত, কোথাও আংশিক এবং কোথাও পূর্ণাঙ্গ ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছি। ’
‘সব রাজনৈতিক দল সব বিষয়ে একমত হবে- এমনটি প্রত্যাশা করি না। তবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আমরা ঐকমত্যের কাছাকাছি গিয়েছি। সব বিষয়ে হয়তোবা ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। তবে আমরা আলোচনা চালিয়ে যাব। এটি হচ্ছে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। আমরা সেটাই গ্রহণ করবো যেটি সিদ্ধান্ত নিলে একটি সুন্দর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। যেসব প্রস্তাব জাতির বৃহত্তর স্বার্থে উপকারী হবে, শুধু সেগুলোই গ্রহণ করবো। আমরা সেই পরিবেশ সৃষ্টির জন্য দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছি, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি। ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা এই যুদ্ধে জয়ী হয়েছি। আমরা আমাদের শহীদদের রক্তের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী একটি গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য সেসব সিদ্ধান্ত নেব যেটিতে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র কাঠামো গঠন করা সম্ভব। ’
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব এবং এর মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারও করা সম্ভব। বিশেষ করে নির্বাচনমুখী যে সংস্কার সেটিকে চিহ্নিত করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সেটি দ্রুত করা সম্ভব। এমন কোনো সংস্কার নেই যা এক মাসের মধ্যে করা সম্ভব নয়। অর্ডিন্যান্স, নির্বাহী আদেশ ও অফিস আদেশের মধ্যে এক মাসের মধ্যে সংস্কার করা সম্ভব। সুতরাং নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার মতো একটিও কারণ নেই। এই বিষয়টি আমরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি এবং আবারও বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আমরা যেটা প্রস্তাবনা করেছি, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সেটিকে সমর্থন করেছে। প্রায় সব দলেরই ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের প্রস্তাবনা আছে। ’
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা আশা করি, তিনি জাতীয় অভিভাবক হিসেবে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। কারও প্রতি ব্যক্তিগত রাগ বা অনুরাগ-অনিচ্ছা প্রকাশ করবেন না। ’
সালাহউদ্দিন আহমেদ আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ‘আলাপ-আলোচনার এই ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের সামনে একটি গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ সুগম হবে। ’
কাফি

রাজনীতি
বাইপাস সার্জারির জন্য হাসপাতালে ভর্তি জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বাইপাস সার্জারির জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় জামায়াত আমিরের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
সেখানে বলা হয়েছে জামায়াত আমিরের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর পেয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফোন করে তার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার সামগ্রিক খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি ডা. শফিকুর রহমানের আশু রোগমুক্তি কামনা করেন।
ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ না করলেও জানা গেছে, রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন জামায়াত আমির। আগামী সপ্তাহে তার বাইপাস সার্জারি হওয়ার কথা আছে।
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান সম্প্রতি সমাবেশে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে তার ফলোআপ চিকিৎসার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করা হয়।
চিকিৎসকরা তার হার্টে তিনটি প্রধান রক্তনালিতে ব্লক ধরা পড়ার কথা জানিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তার এ অবস্থায় বাইপাস সার্জারি করানোই সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।
রাজনীতি
হৃদরোগে আক্রান্ত জামায়াত আমির, বাইপাস সার্জারির পরামর্শ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সম্প্রতি সমাবেশে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। পরে তার ফলোআপ চিকিৎসার অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করা হয়।
চিকিৎসকরা তার হার্টে তিনটি প্রধান রক্তনালিতে ব্লক ধরা পড়ার কথা জানিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তার এ অবস্থায় বাইপাস সার্জারি করানোই সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে ‘রিং পরানো’র (স্টেন্টিং) ব্যবস্থার কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে।
তবে এ পর্যন্ত বাইপাস সার্জারি নাকি রিং পরানো হবে কিংবা দেশেই চিকিৎসা নেবেন, নাকি বিদেশে যাবেন— এসব বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দলের পক্ষ থেকে শিগগির বিস্তারিত জানানো হবে। জামায়াত আমির দেশে চিকিৎসা নেওয়ার পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন। মনোবলের কারণে তিনি বিভিন্ন কর্মসূচিতেও অংশ নিচ্ছেন। এমনকি গতকাল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সভায়ও যোগ দিয়ে বক্তব্য দেন।
হৃদরোগে আক্রান্ত জামায়াত আমিরকে বাইপাস সার্জারির পরামর্শজামায়াতের জাতীয় সমাবেশে মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েন জামায়াত আমির-ফাইল ছবি
গত ১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশে হঠাৎ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে জামায়াত আমিরকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতাল ত্যাগ করলেও ফলোআপে থাকেন। এনজিওগ্রাম ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার হার্টে গুরুতর ব্লক ধরা পড়ে।
আমিরের সুস্থতা কামনায় জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে তিনি বর্তমানে স্থিতিশীল। রীতিমতো বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে ইবনে সিনা ট্রাস্টের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) জাহিদুর রহমান বলেন, বাইপাস সার্জারির পরামর্শ দিয়েছেন এমনটা জানা নেই। গতকালও তো তিনি একটি সভায় যোগ দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।
রাজনীতি
মানুষের নিরাপত্তা ছাড়া সংস্কার কোনো কাজে আসবে না: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের মানুষের নিরাপত্তা দিতে না পারলে কোনো সংস্কারই কাজে আসবে না।
মঙ্গলবার সকালে আমরা বিএনপি পরিবার ও মায়ের ডাকের যৌথ আয়োজনে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই ভালো ভালো জায়গা দখল করেছেন। অনেকে মন্ত্রী হয়েছেন। আবার কেউ কেউ ব্যবসা-বাণিজ্য দখলে নিয়েছেন। কিন্তু যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন তাদের দিকে কেউ তাকায়নি।
তিনি বলেন, গুমের শিকারদের ফিরিয়ে দিতে না পারলেও সবাইকে তাদের সন্তানদের দায়িত্ব নিতে হবে। গুম কমিশনের আশানুরূপ কোনো অগ্রগতি হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে জয়ী হলে গুম পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করবে।
রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ মাঠে ‘আমরা বিএনপি পরিবার ও মায়ের ডাক’-এর উদ্যোগে ‘যৌথ গণতান্ত্রিক পদযাত্রায় শিশু’ কর্মসূচিতে যোগ দেন বিএনপি মহাসচিব। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।
রাজনীতি
এক বছরে বিএনপির আয় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ২০২৪ পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। ২০২৪ সালে দলটির আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা। আর ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২৩ টাকা। বর্তমানে দলটির ফান্ডে জমা আছে ১০ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ১৯ টাকা।
রোববার (২৭ জুলাই) সকালে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার পর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী এ তথ্য বলেন।
রিজভী বলেন, সদস্যদের মাসিক চাঁদা, বই-পুস্তক বিক্রয়, ব্যাংক সুদ, এককালীন অনুদান থেকে আয় হয়েছে। আর ব্যয় হয়েছে ব্যক্তিগত সহযোগিতা, দুর্যোগকালীন সহযোগিতা, কর্মসূচি বাস্তবায়ন, লিফলেট, পোস্টার ইত্যাদি ছাপানোয়।
তিনি বলেন, পূর্বে নির্বাচন কমিশন প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা হারিয়েছিল, নির্বাহী বিভাগের অধীনে ছিল, ফ্যাসিবাদের অস্ত্র হয়ে উঠেছিল, দিনের ভোট রাতে করেছিল। একটি লুটের নির্বাচন করে কমিশন বৈধতা দিয়েছিল। এছাড়া মেরুদণ্ডহীন, চাকরিলোভী লোক দিয়ে ইসি গঠন করা হয়েছিল।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার পদলেহী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি প্রত্যাশা, তারা দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে। নির্বাচন নিয়ে যে কোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। আস্থার প্রতিষ্ঠান হবে নির্বাচন কমিশন, বিএনপি এটি প্রত্যাশা করে।
কাফি
রাজনীতি
পুরোনো সিস্টেমে দেশকে আর চলতে দেব না: নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, পুরোনো সিস্টেমে পুরোনো আইনে এই বাংলাদেশকে আর চলতে দেব না। অভ্যুত্থানের পরে নানা শক্তি চেষ্টা করছে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার। বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করতে চাই।
শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে মৌলভীবাজারের বেরিরপাড়ে দেশে গড়তে জুলাই পথযাত্রা শেষে পথসভায় এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, পুলিশ হত্যাকে ডমিনেট করে এর দায় অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতাকে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা ৩ আগস্ট এক দফায় স্পষ্ট করেছি আমাদের লড়াই শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরক্ত পরিণত হয়েছে। আমাদের যে দমনপীড়ন করা হয়েছে আমরা বাধ্য হয়েছিলাম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। আমাদের লড়াই ছিলো ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ফ্যাসিস্ট বাহিনীর বিরোধী।
এর আগে শহরের শহীদ মিনার থেকে দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা বের হয়। শহরের কোর্ট রোড ও শাহ মোস্তফা সড়কে পথযাত্রা হয়। এতে যোগ দেন সর্বস্তরের কয়েক হাজার মানুষ।
পথসভায় মৌলভীবাজার জেলার প্রধান সমন্বয়কারী ফাহাদ আলমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী। উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার, জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মারুফ আল হামিদ, জাকারিয়া ইমন।