কর্পোরেট সংবাদ
গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদনের প্রকৃত ঘটনা জানালো নগদ

সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি সংবাদপত্রে ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন নগদ-কে জড়িয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনগুলো নগদ কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। নগদ কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিবেদনগুলো বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্যে পরিপূর্ণ। নগদ মনে করে, সরকার সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠানকে আক্রমণ করে হীন স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যেই কাজটি করা হয়েছে।
উত্থাপিত অভিযোগগুলোর বিষয়ে নগদ কর্তৃপক্ষের হাতে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে। অভিযোগগুলো বিষয়ে নগদের বক্তব্য নিন্মরূপ:
ভুয়া বিল ভাউচারে টাকা উত্তোলন, ডেটা মুছে ফেলা, ইভেন্ট ও মেইনটেন্যান্স বিল দেখিয়ে টাকা সরানো অভিযোগ করা হলেও আমরা দৃঢ়ভাবে বলছি, এমন কোনো ঘটনা নগদে কখনোই ঘটেনি। এমন অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। নগদ প্রতিটি লেনদেন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে সম্পন্ন করে।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ২৮ মে ২০২৫ তারিখে ডাক বিভাগের একটি তত্ত্বাবধায়ক টিম নগদ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন এবং এ বিষয়গুলি তাদের পর্যালোচনাধীন রয়েছে।
নগদের এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ডেকে নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনাকেও অত্যন্ত নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। অযাচিতভাবে এখানে প্রধান উপদেষ্টার ‘একজন বিশেষ সহকারীর’কে যুক্ত করে বিষয়টির গুরুত্ব বৃদ্ধি করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। তবে প্রকৃত সত্য হল – নগদের সাম্প্রতিক অবস্থা সম্পর্কে তারা অবহিত হতে প্রতিষ্ঠানটির একজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে চান। এমনটা সাধারণভাবে যে কারো ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে। জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই কর্মকর্তাকে সসম্মানে ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি নগদে যাতে কোনো রকম কোনো অস্থিরতা না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও বিভিন্ন গণমাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে। এক্ষেত্রে নগদের বক্তব্য হল– যথাযথ বিধিবিধান প্রতিপালন করেই জাকিয়া সুলতানা জুঁইয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। নগদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট, যোগ্যতা, পূর্বের কাজের অভিজ্ঞতা – এগুলো বিবেচনা করা হয়। তারপরেও তার নিয়োগের বিষয়টি পূনঃযাচাই করা হবে।
শুক্রবার অফিস এবং ছুটির দিনে ডেটাবেজের তথ্য ধ্বংস করানোর কল্পিত গল্প কোনো কোনো গণমাধ্যমে এসেছে। হাস্যকর এই গল্পের বিপরীতে প্রকৃত ঘটনা হল– ঈদ উল আজহাকে সামনে রেখে বিশেষ কিছু ক্যাম্পেইন নিয়ে কাজ করা এবং সামনের লম্বা ছুটির সময় সেবাকে সচল রাখার কাজগুলোই শুক্রবার সর্বাধিক গুরুত্বসহকারে হয়েছে। এর আগেও বড় বড় ক্যাম্পেইনের আগে নগদের কর্মীদেরকে শুক্রবার-শনিবার কাজ করতে হয়েছে। কর্পোরেট খাতে এমনটা অনেক সময়েই হয়ে থাকে। এখানে আমরা নিশ্চিত করে বলছি, নগদের কোনো ডেটা নষ্ট করা হয়নি। বরং একাধিক জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন ডেটাবেজে এই ডেটা সম্পূর্ণ সুসংরক্ষিত আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও কেপিএমজিকে সহযোগিতা করার অভিযোগে কিছু সংখ্যক কর্মীকে বিনানোটিশে বিদায় করার অভিযোগ এসেছে কোনো কোনো গণমাধ্যমে। আমরা বরং বলতে পারি, ডিজিটাল ব্যাংকের জন্যে যারা নগদে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক নগদের ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স স্থগিত করার পরেও দেশের আর্থসামাজিক পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় তাদের কাউকে বাদ দেয়া হয়নি। ডাক বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করি, সেখানেই সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে।
কোনো কোনো কর্মকর্তার বকেয়া বেতন নেওয়ার একটি অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে নগদের অবস্থান খুবই পরিস্কার। যে কয়েক জনের এই সময়ে কয়েক মাসের বকেয়া বেতন একবারে হয়েছে তাদের বেতন সব সময়ই অনুমোদন নেওয়া হতো। কিন্তু বেতন ছাড় করা হতো না। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক থাকাকালীন সময়েই এ নিয়ম বিদ্যমান ছিল। পরে ওই কর্মকর্তাদের বেতন দেশের অন্যতম শীর্ষ একজন আইনজীবির পরামর্শ নিয়ে প্রচলিত শ্রম আইন অনুসারে ছাড় করা হয়। এখানে কোনো অবস্থায় আইন বা নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।

কর্পোরেট সংবাদ
সাস্টেইনেবিলিটি রেটিংয়ে আইপিডিসির শীর্ষস্থান অর্জন

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাস্টেইনেবিলিটি রেটিং ২০২৪-এ সেরা সাস্টেইনেবল আর্থিক কোম্পানি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি। এর মাধ্যমে, দায়িত্বশীল ও টেকসই ব্যাংকিংয়ে শীর্ষ স্থান সুদৃঢ় করলো প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সূচকের ভিত্তিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মূল্যায়ন করে, যার মধ্যে রয়েছে টেকসই ও সবুজ অর্থায়ন, গ্রিন রিফাইন্যান্স উদ্যোগ, কোর ব্যাংকিং সাসটেইনেবিলিটি, সিএসআর কার্যক্রম এবং ব্যাংকিং সেবার বিস্তৃতি। এসব সূচকে আইপিডিসির অসাধারণ পারফরম্যান্সই তাদের এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জনে সহায়ক হয়েছে।
এই অর্জন প্রসঙ্গে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ ধরনের মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি পেয়ে আমরা গভীরভাবে সম্মানিত। আর্থিক খাতে টেকসই সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য তাদের দিকনির্দেশনা, নেতৃত্ব এবং অটুট প্রতিশ্রুতির জন্য আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। এই স্বীকৃতি প্রমাণ করে, আমাদের প্রচেষ্টা শুধুমাত্র জাতীয় ও বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়নের অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, বরং বাস্তব ও ইতিবাচক প্রভাবও সৃষ্টি করছে। আইপিডিসির জন্য টেকসইতা কোনো বিচ্ছিন্ন উদ্যোগ নয়; এটি আমাদের ব্যবসার মূলভিত্তির সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত, যা আমাদের চিন্তাভাবনা, কার্যক্রম ও অংশীজনদের প্রতি দায়িত্ব পালনের প্রতিটি পর্যায়ে প্রভাব ফেলছে। আমরা পরিবেশ, অর্থনীতি এবং সমাজের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ও টেকসই মূল্য সৃষ্টির প্রতি আমাদের অঙ্গীকার অটুট রেখে সামনে এগিয়ে যেতে দৃঢ় প্রত্যয়ী।
এই স্বীকৃতি আইপিডিসির সুদূরদর্শী ও সুপরিকল্পিত কৌশলের উজ্জ্বল প্রতিফলন, যেখানে পরিবেশবান্ধব অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং সবুজ পুনঃঅর্থায়ন ও টেকসই অর্থায়নের বিস্তৃত কার্যক্রমের মাধ্যমে ভবিষ্যৎকে আরও সবুজ, স্থিতিশীল ও দায়িত্বশীল করে গড়ে তোলার শক্ত ভিত নির্মাণ করা হয়েছে। পরিবেশ, সমাজ ও অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষায় টেকসই নীতিমালাকে ব্যবসার প্রতিটি স্তরে অন্তর্ভুক্ত করে আইপিডিসি এগিয়ে চলেছে। পাশাপাশি আইপিডিসি ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে সিএমএসএমই খাতের বিকাশ, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সম্প্রসারণ, নারী উদ্যোক্তা ও নারী নেতৃত্বাধীন ব্যবসায়ের ক্ষমতায়ন, মূলধনের সুসংহত কাঠামো নিশ্চিতকরণ এবং দায়িত্বশীল ও টেকসই ঋণ প্রদানের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতসমূহে, যেন দেশের অর্থনীতির টেকসই প্রবৃদ্ধির ধারায় নিজেদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে পারে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব রাখে।
চলতি বছরের সাসটেইনেবিলিটি মূল্যায়নে ১০টি ব্যাংক এবং ২টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি পেয়েছে, যার মধ্যে আইপিডিসি তাদের দৃশ্যমান ও কার্যকর উদ্যোগের জন্য বিশেষভাবে স্বীকৃত হয়েছে।
এই অর্জন বাংলাদেশের আর্থিক খাতের জন্য আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের অবিচল প্রতিশ্রুতিকে দৃঢ়ভাবে প্রতিফলিত করে
কর্পোরেট সংবাদ
ঢাকার নর্থ গুলশান অ্যাভিনিউতে চালু হলো ব্র্যাক ব্যাংকের নতুন ‘ডিজিটাল ফার্স্ট’ ব্রাঞ্চ

নর্থ গুলশান অ্যাভিনিউতে ব্র্যাক ব্যাংক নতুন একটি শাখা উদ্বোধনের মাধ্যমে ঢাকায় এর ব্যাংকিং কার্যক্রমের পরিধি ও বিস্তৃতি আরও বাড়িয়েছে। এটি ব্যাংকের প্রথম ‘ডিজিটাল ফার্স্ট’ শাখা, যেখানে গ্রাহকরা প্রযুক্তি নির্ভর অত্যাধুনিক ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা উপভোগ করবেন।
ব্যাংকিং সার্ভিসকে দ্রুত ও কার্যকর করার লক্ষ্যে শাখাটিকে অনেকগুলো উদ্ভাবনী ডিজিটাল সার্ভিস দিয়ে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। এই সার্ভিসের মধ্যে আছে চেক ও কার্ডের নিরাপদ সংগ্রহের জন্য একটি ২৪/৭ ডিজিটাল ডেলিভারি সিস্টেম ডিজি বক্স, নির্বিঘ্নে স্থানান্তরের জন্য একটি সহজ ডিজিটাল ফাইল-শেয়ারিং সেবা।
গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নত করতে শাখাটি কিউআর কোডের একটি ম্যাট্রিক্স ব্যবহার করে, যা গ্রাহকদের অভিযোগ করার ও পরামর্শ দেওয়ার সুবিধা দেয়। গ্রাহকদের জন্য আছে কিউ ম্যানেজমেন্ট সলিউশন। ডিজিটাল অ্যাম্বাসেডরের তত্ত্বাবধানে একটি ডিজিটাল কর্নার, যা গ্রাহকদেরকে ব্যাংকের ডিজিটাল সার্ভিস সম্পর্কে জানতে ও হাতেনাতে ব্যবহার করতে সহায়তা করে। এর ফলে গ্রাহকরা সহজে আস্থা অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন।
এই বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নতুন শাখাটি উদ্বোধন ব্র্যাক ব্যাংকের অত্যাধুনিক ব্যাংকিং সেবা বৈচিত্র্যময় গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। শাখাটিতে এক্সক্লুসিভ প্রিমিয়াম লাউঞ্জ এবং লকার সুবিধাও আছে, যা ক্লায়েন্টদের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম. হাসান নর্থ গুলশান অ্যাভিনিউতে আনুষ্ঠানিকভাবে শাখাটি উদ্বোধন করেন। ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ; ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক শেখ মোহাম্মদ আশফাক ও ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন উপলক্ষে মেহেরিয়ার এম. হাসান বলেন, “দেশের প্রতিটি এলাকার গ্রাহকের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়ার কৌশলগত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আমরা সারাদেশে আমাদের ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছি। বড় পরিসর এবং ডিজিটাল ব্যাংকিং-সক্ষম ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা দেশের প্রতিটি কোণায় গ্রাহকদের জন্য সর্বাধুনিক এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে চাই।
উল্লেখ্য, ২৮৫টি শাখা ও উপ-শাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস এবং ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট নিয়ে বর্তমানে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম বিস্তৃত ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক-সমৃদ্ধ ব্যাংক।
কর্পোরেট সংবাদ
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ও বিকাশের মধ্যে রেমিট্যান্স সেবা চুক্তি

বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড ও বিকাশের মধ্যে রেমিট্যান্স সেবা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সম্প্রতি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান।
অন্যান্য পরিচালকগনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পর্ষদ নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মো. মহসিন মিয়া। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন এবং উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জহিরুল আলম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত অতিথিগণ গ্রাহক সেবার মান উন্নয়ন ও সর্বোপরি গ্রাহকের সন্তুষ্টির ব্যাপারে মূল্যবান মতামত প্রদান করেন।
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের পক্ষে মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এবং বিকাশের পক্ষে আলি আহাম্মেদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এসময় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান এবং বিকাশের রেমিট্যান্স ও ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ জাহিদুল আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ কর্মাস ব্যাংক সরাসরি নিজ ব্যাংকের গ্রাহক, বিকাশের গ্রাহক ও অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের রেমিটেন্স সেবা প্রদান করতে পারবে।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংক সিলেট জোনের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির সিলেট জোনের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি ব্যাংকের সিলেট জোনাল অফিসের কনফারেন্স হলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট জোনপ্রধান মো. রেজাউল ইসলাম।
ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মাহমুদুর রহমান। সম্মেলনে জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
কর্পোরেট সংবাদ
পদত্যাগ করলেন ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান

ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) তিনি পরিচালনা পর্ষদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। ইসলামী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২২ আগস্ট ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয় বিগত সরকারের সময়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানার সোনালী ও রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করা ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নরের সুপারিশে তাকে এ পদে বসানো হয়।
চেয়ারম্যান হওয়ার পর সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ৩ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি গভর্নর ড. মো. কবির আহাম্মদ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে জরুরি ভিত্তিতে ডেকে পাঠান। ওই সময় তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। ব্যাংকটির স্বতন্ত্র পরিচালক অধ্যাপক জোবায়দুর রহমানকে চেয়ারম্যান করা হবে এমন আলোচনা রয়েছে।
সূত্র জানায়, ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ পদত্যাগ না করে পদে থাকতে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে লবিং করতে শুরু করেন। এর মধ্যে গত ১৫ জুলাই ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব করে বিএফআইইউ। গত ১৬ জুলাই ইসলামী ব্যাংকে বিশেষ অভিযানে যায় সংস্থাটি। বিএফআইইউর বিশেষ অভিযানে গত আগস্টের পর ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ইসলামী ব্যাংক থেকে কী কী সুবিধা নিয়েছেন সে বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এক মাসের জন্য তার যুক্তরাষ্ট্র সফরে ব্যাংক থেকে কোনো খরচ নিয়েছেন কিনা, নিলে কোন খাতের নামে নিয়েছেন সে সম্পর্কিত তথ্যও নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ পরিচালনা পর্ষদ বা বাংলাদেশ ব্যাংকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত না করেই এক মাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান। এ বিষয়ে বোর্ডে কোনো মেমো উত্থাপন করেননি তিনি। কেবল মৌখিকভাবে অবহিত করে যান যে, ক্রেডিট লাইন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক একটি ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করবেন। যদিও বিশেষ আমন্ত্রণ ছাড়া কোনো ব্যাংকের চেয়ারম্যানের এ ধরনের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বৈঠকের সুযোগ নেই। ব্যাংকের পরিচালনাগত বিষয়ে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বৈঠক করবে। পর্ষদ কেবল নীতি প্রণয়নে ভূমিকা রাখবে।
কাফি