পুঁজিবাজার
রাশেদ মাকসুদ কমিশনের অযোগ্যতার ভয়াবহ তথ্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও

পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক দরপতন অব্যাহত আছে। এতে পুঁজি হারিয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। গত বছরের জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর পুঁজিবাজারে গতিশীলতা ফিরে আসার প্রত্যাশায় ফের সক্রিয় হন বিনিয়োগকারীরা। তবে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ দায়িত্ব নেওয়ার দীর্ঘ ৯ মাসেও তা দৃশ্যমান না হওয়া আশাহত বিনিয়োগকারীরা। ফলে কমিশনের ওপর আস্থাহীনতায় পুঁজিবাজার ছাড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। এছাড়াও, রাশেদ মাকসুদ দায়িত্ব নেওয়ার পর স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কমিশনের দূরত্ব হয়েছে। ফলে কমিশনের ওপর আস্থা হারিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কমিশনকে উৎখাত করতে আন্দোলন করেছে। যে কমিশনকে বাজারের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেই কমিশন নিজের শৃঙ্খলাই ফিরিয়ে আনতে পারেনি।
দীর্ঘদিন ধরে দেশের গণমাধ্যমগুলো রাশেদ মাকসুদ কমিশনের অযোগ্যতার এমন সব তথ্য তুলে ধরে আসছে। এবার জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলেতে এ ভয়াবহ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
২০১৬ সালের ২০ জুন পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ছিলো ৩২ লাখ ৭৬৬ জন। আর গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী ছিল ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৮৯৫ জন। তবে গত ২৫ মে এই সংখ্যা কমে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ২২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর তিন দিন দেশে কোনো সরকার ছিল না। নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হতে যাচ্ছে-এমন খবরে পুঁজিবাজারের সূচক বেড়েছিল। কিন্তু সরকার গঠনের পর থেকে আবার তা কমতে থাকে।
বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা ভাষাহীন হয়ে গেছে। গত ১৫ বছরের পুঁজিবাজারকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হয়েছে। মুহাম্মদ ইউনুস সরকার গঠনের পর মানুষ আশা করেছিল পুঁজিবাজার ভালো হবে। গত ৫ আগস্টের পর যখন কমিশনে চেয়ারম্যান ছিলেন না তখন ইনডেক্স ভালো বেড়েছিল। আমরা ধারণা করেছিলাম পুঁজিবাজার এভাবেই চলবে এবং বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজি ফিরে পাবেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সমালোচনা করে ইকবাল হোসেন বলেন, মার্কেটের ধারাবাহিক পতন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে পুঁজিবাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনার পরিবর্তে বিনিয়োগকারীরা আরও আস্থা হারিয়েছে। তিনি দায়িত্বে নেওয়ার পর পুঁজিবাজারের সূচক ১২০০ পড়ে গেছে। পুঁজিবাজার থেকে ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার মতো ক্যাপিটাল লস হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রোকারেজদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, কনফিডেন্সের অভাবে বিনিয়োগকারীদের ধরে রাখা যাচ্ছে না। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০ শতাংশ ইনডেক্স হারিয়েছি।
মোবারক হোসেন নামে এক সাধারণ বিনিয়োগকারী জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যমকে বলেন, দেড় বছর আগে একটি শেয়ার ৩৪৪ টাকায় কিনেছিলাম। ফ্লোর প্রাইজ তোলার আগেও দাম ছিল ২৩৭ টাকা। এখন এই শেয়ারের দাম নেমে এসেছে ৬৭ টাকায়। জিপিএইচ ইস্পাতের ফ্লোর প্রাইজ ৩৪ টাকা থাকলে এর দাম এখন ১৭ টাকা ৬০ পয়সায় নেমেছে। আমার কেনা সব শেয়ারের দাম তলানিতে নেমেছে। আমরা পরিচিত একজনের এক কোটি টাকার শেয়ার আছে, তিনি এখন ২০ লাখও পাবেন না। সবই লুটপাট হয়ে গেছে।
শরিফুল ইসলাম নামে আরেক বিনিয়োগকারী বলেন, সাইফ পাওয়ারের ৩০ টাকার শেয়ারের দাম এখন ৭ টাকা। ভালো-মন্দ সব শেয়ারের দামই কমেছে। আমার যতগুলো শেয়ার আছে সবগুলোর দাম কমেছে, আমি এখন অনেকটা নিঃস্ব। সামনে কি আছে তা কেউ বলতে পারবে না।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে ঢাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোতালেব হোসেন বলেন, আগের সরকার শেয়ারবাজারে লুটপাট করেছে। কিন্তু এই সরকারের যাওয়ার সময় ঘনিয়ে এলেও তারা শেয়ারবাজার ঠিক করেনি। কে ক্ষমতায় থাকবে আর কে ক্ষমতায় থাকবে না সেটি দেখে বড় বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করবে না, এটাই স্বাভাবিক। এই সরকার আর কতদিন ক্ষমতায় থাকবে তা কেউ বলতে পারছে না।
অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পুঁজিবাজারে নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্তিতে কারসাজি হলেও তখনকার নিয়ন্ত্রণ কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখন এসব কোম্পানির প্রকৃত অবস্থা সামনে আসার পর সেগুলোর শেয়ারের দাম পড়ে গেছে। অন্যদিকে ভালো কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দামও প্রতিনিয়ত কমছে।
কমিশন সূত্র জানায়, কোম্পানি তালিকাভুক্তি থেকে শুরু করে পুঁজিবাজারে বিভিন্ন কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিগত কমিশনের সময় অভিযোগ দাখিল করা হয়। কিন্তু ওই কমিশন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান কমিশন আগের অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ায় বাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। নতুন করে বড় বিনিয়োগকারীরা আর আসছে না। আগে যারা বিনিয়োগ করেছিলেন তারাও সরে যাচ্ছেন। বিনিয়োগকারীদের মনে ভয় ধরেছে। বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। আগে বাজার চাঙা করে নিয়ন্ত্রণ কমিশন এসবে হাত দিলে ভালো হতো।
এরআগে, রাশেদ মাকসুদের অপসারণ দাবিতে দীর্ঘদিন ঘরে আন্দোলন করে আসছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বহু বার প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। রাশেদ কমিশনে আস্থা না পেয়ে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কার্যালয়ের মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিনিয়োগকারীরা। এছাড়াও, তার অপসারণের দাবিতে কফিন ও কাফন মিছিল করেছে ক্ষতিগ্রস্ত বিক্ষুদ্ধ বিনিয়োগকারীরা।
এসএম

পুঁজিবাজার
পূবালী ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি পূবালী ব্যাংক পিএলসির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, ব্যাংকটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এএএ’ এবং স্বল্প মেয়াদে ‘এসটি-১’ রেটিং হয়েছে।
ব্যাংকটির ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখ পর্যন্ত নিরীক্ষিত এবং ৩১ মার্চ, ২০২৫ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
এসএম
পুঁজিবাজার
লভ্যাংশ পাঠিয়েছে দুই কোম্পানি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের ঘোষিত নগদ ও বোনাস লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রেরণ করেছে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে- রবি আজিয়াটা এবং উত্তরা ব্যাংক পিএলসি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত হিসাববছরের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) এবং বোনাস লভ্যাংশ সিডিবিএলের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে পাঠিয়েছে।
সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য রবি আজিয়াটা ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছিলো। আলোচ্য অর্থবছরে উত্তরা ব্যাংক ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। এরমধ্যে সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও ১৭ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ।
এসএম
পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে দেশ গার্মেন্টস

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৪০২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০৩টির দর বেড়েছে। আজ সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে দেশ গার্মেন্টস লিমিটেড।
রবিবার (০১ জুন) কোম্পানিটির দর আগের দিনের তুলনায় ৬ টাকা ৬০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেড়েছে। যার ফলে ডিএসইর দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় প্রথম স্থানে স্থান করে নিয়েছে কোম্পানিটির শেয়ার।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা শাশা ডেনিমসের শেয়ারদর বেড়েছে আগের দিনের তুলনায় ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আর ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ দর বৃদ্ধি হওয়ায় শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে জায়গা নিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক।
এছাড়া, আজ ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এগ্রো ডেনিমস, এসবিএসি ব্যাংক, এআরবি ব্যাংক, মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং, ঢাকা ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এবং কেডিএস এক্সেসরিজ লিমিটেড।
এসএম
পুঁজিবাজার
রূপালী ইন্স্যুরেন্সের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৪০২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১২টির দর কমেছে। আজ সবচেয়ে বেশি দর কমেছে রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের।
রোববার (০১ জুন) কোম্পানিটির শেয়ার দর আগের দিনের তুলনায় ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ কমেছে। যার ফলে ডিএসইর দর পতনের শীর্ষ তালিকায় প্রথম স্থানে স্থান নিয়েছে এই কোম্পানির শেয়ার।
দর পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংকের দর কমেছে আগের দিনের তুলনায় ২০ পয়সা বা ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ। আর ২০ পয়সা বা ৫ দশমিক ০৪ শতাংশ দর কমে যাওয়ায় পতনের শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে জায়গা নিয়েছে শ্যামপুর সুগার মিলস।
এছাড়া, আজ ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স পিএলসি, সাউথইস্ট ব্যাংক, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, এসআইবিএল, এস আলম কোল্ড রোল্ড, হাইডেলবার্গ মেটেরিয়ালস এবং উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
কাফি
পুঁজিবাজার
লেনদেনের শীর্ষে বিএসসি

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি)। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, রবিবার (০১ জুন) কোম্পানিটির ১০ কোটি ৩০ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় রয়েছে কেডিএস এক্সেসরিজ। কোম্পানিটির লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ২০ লাখ ৬৫ হাজার টাকার। আর ৭ কোটি ৯৮ লাখ ২৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন নিয়ে শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে লাভেলো আইসক্রিম।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ওরিয়ন ইনফিউশন, ব্র্যাক ব্যাংক, শাশা ডেনিমস, মিডল্যান্ড ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, শাইনপুকুর সিরামিক এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি।
এসএম