রাজনীতি
বিদেশে বসে বিএনপির বিরুদ্ধে বদনাম করছেন ড. ইউনূস: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, খুব দুঃখের সঙ্গে এই কথা বলতে হচ্ছে, আজকে ড. ইউনূস সাহেব জাপানে বসে বিএনপির বিরুদ্ধে বদনাম করছেন। লজ্জা লাগলো না বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে বদনাম করতে।
শুক্রবার (৩০ মে) শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
মির্জা আব্বাস বলেন, সংস্কার সংস্কার করতে করতে বর্তমান সরকার আমদানি করেছেন বিদেশি লোকদের। জিয়া বহু সংস্কার করেছেন, কিন্তু কোনো বিদেশি পরামর্শক আনেননি, কাউকে আমদানি করেনি। কিন্তু বর্তমান সরকার কিছু বিদেশি পরামর্শক এনেছে। সংস্কার সংস্কার করতে করতে আজ এমন অবস্থায় চলে গেছে, তারা নির্বাচন দিতে চায় না।
ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের কথা বিএনপির আগে ড. ইউনূসই বলেছিলেন উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, এটা তারই (ড. ইউনূস) প্রস্তাব। পরবর্তীতে শিফট করে জুনে গেলেন ইউনূস। সুতরাং নির্বাচন করতে হলে ডিসেম্বরের মধ্যে করতে হবে। আর ডিসেম্বরে নির্বাচন না হলে দায়-দায়িত্ব সব ড. ইউনূসকে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। না হয় বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচন আদায় করবে। নির্বাচন না হলে এ দেশের ভৌগলিক অবস্থান ঠিক থাকবে না।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
কাফি

রাজনীতি
‘জাতীয় সমাবেশ’ দেশ ও জাতির জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ: ড. হেলাল উদ্দিন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, আগামী ১৯ জুলাই দেশ ও জাতির জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশ। সেই ঐতিহাসিক সমাবেশের মাধ্যমে জাতীয় জীবনের গতিপথ ও করণীয় নির্ধারিত হবে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর কাঁটাবনের একটি অডিটোরিয়ামে আয়োজিতে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সাত দাবিতে আগামী ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘জাতীয় সমাবেশ’ করবে জামায়াতে ইসলামী। সমাবেশ সফলে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে দলটি। এর অংশ হিসেবে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ, ঢাকার বিভিন্ন ইনিস্টিটিউটের দায়িত্বশীলবৃন্দ ও ১৫০ জন চিকিৎসকদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা করেছে দলটি।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) সেন্ট্রাল জয়েন সেক্রেটারি ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি ডা. মো: গোলাম ফারুক। সভা পরিচালনা করেন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারি ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ডা. মারুফ শাহরিয়ার।
অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, আগামী ১৯ তারিখে দেশ ও জাতির জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশ। সেই ঐতিহাসিক সমাবেশের মাধ্যমে জাতীয় জীবনের গতিপথ ও করণীয় নির্ধারিত হবে। আমরা ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ জাতীয় সমাবেশের ডাক দিয়েছি। দাবিগুলো আদায় হলে দেশে গণতন্ত্র,গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সুশাসন ফিরে আসবে এবং দুর্নীতিমুক্ত ইনসাফপূর্ণ সমাজ গঠনে সহায়ক হবে। আর জুলাই সনদ ঘোষণা ও তা বাস্তবায়ন করা গেলে রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে সকল গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান, প্রবাসীদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবিতে সোহরাওয়াদী উদ্যানে ঐতিহাসিক ‘জাতীয় সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।
কাফি
রাজনীতি
মিটফোর্ডের ঘটনা নির্বাচনকে বিলম্বিত করার অপচেষ্টাও হতে পারে: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিমূলক কি না, তা ভাবার যথেষ্ট কারণ আছে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আসন্ন নির্বাচনকে বিলম্বিত করার অপচেষ্টায় করা হয়েছে কি না, তা নিয়েও সন্দেহের অবকাশ রয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, মিটফোর্ডের মর্মান্তিক ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে। তীব্র নিন্দা জানাই এ ঘটনার।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির যারা জড়িত তাদের আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। ব্যক্তির অপকর্মের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। মামলায় যাদের নাম এসেছে ঘটনার সঙ্গে, তাদের সম্পৃক্ততা নেই বলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিটফোর্ডের ঘটনা একটি চিহ্নিত মহল দ্বারা বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে সন্দেহ হচ্ছে। এই ঘটনার বিচার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানাই।
রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে আবার ফ্যাসিবাদের ধারায় ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিটফোর্ডের ঘটনাটি যে পরিকল্পিত, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ইন্টারনেটে একটি সুনির্দিষ্ট সময় ভিডিও ছড়ানো হয়।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, এটি কোনো চাঁদাবাজির ঘটনা না, ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা; দলের চেয়ারপারসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। যারা জাতীয় নির্বাচনকে প্রতিহত করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চান, তাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানাই।
সুপরিকল্পিতভাবে দেশের শীর্ষ দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানাই। একইসঙ্গে অপরাজনীতি প্রতিহত করতে সরকারের উদাসীনতার বিরুদ্ধে নিন্দা জানাই। এসব অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে স্বাধীনতার পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো। সবাইকে সংঘাত সৃষ্টির উসকানিতে পা না দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল কম্পাউন্ডে চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও ইট-পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। এরপর তার মরদেহের ওপর চলে বর্বরতা।
সেই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ও দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে এ ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কাফি
রাজনীতি
নির্বাচনে বাধাগ্রস্ত করা দল ‘রাজনৈতিক দল’ নয়: আমীর খসরু

যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করে গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চায়, দেশে অস্থিরতা তৈরি করে তাদের ‘রাজনৈতিক দল’ বলা যায় না, তাদের ভূমিকা রাজনৈতিক দল নয় বরং প্রেসার গ্রুপের মতো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, নির্বাচন ও গণতন্ত্রকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছেন, অস্থিতিরতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে একটা অশান্ত রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাচ্ছেন, তাদের তো আসলে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিবেচিত করা কঠিন! আপনি রাজনৈতিক দল হলে নির্বাচনে যেতে চাইবেন না, নির্বাচন করতে দেবেন না, নির্বাচন যেতে দিবেন না, তাহলে আপনি প্রেসার গ্রুপের কাজ করেন।
রোববার (১৩ জুলাই) বিকেলে নগরের মুরাদপুর শিক্ষা বোর্ড সংলগ্ন এলজিইডি ভবনে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে প্রয়াত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ঢাকা শহরে ১০ জন বসে মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে না। এখন অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার করছে, কিন্তু রাজনৈতিক সংস্কৃতির সংস্কার না হলে তার কোনো সুফল মিলবে না। কোনো কমিশন মানুষের মনের কথা বুঝবে না। সুতরাং দ্রুত নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর মানুষের মনোজগতে বিরাট পরিবর্তন হয়েছে। সেটা ধারণ করতে না পারলে কোনো দল রাজনীতি করতে পারবে না।
তিনি বলেন, এখন আমাদের সহনশীল রাজনীতি করতে হবে। আমাদের কাজ হচ্ছে, যার জন্য আমরা লড়েছি, ত্যাগ স্বীকার করেছি, গুম, খুন হয়েছি, পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুবরণ, চিকিৎসা ছাড়া মৃত্যুবরণ, লাখ লাখ মানুষ মিথ্যা মামলার শিকার, কি জন্য? একটা গণতান্ত্রিক দেশ দেখতে চাই বলে। একটা স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক দেশ দেখতে চাই বলে। যেই দেশে আমার ভোটাধিকার হবে, প্রতিনিধি নির্বাচন করবো, আমার প্রতিনিধি আমার কাছে জবাবদিহি থাকবে, সেই দেশ গড়ার জন্য আমরা ত্যাগ স্বীকার করেছি।
তিনি আরও বলেন, যাদের বক্তব্যের মধ্যে অশ্লীলতা আছে, সম্মানবোধ নেই, সহনশীলতা নেই, তার বিপরীতে বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে, সহনশীলতা, সম্মান, শান্তিপূর্ণ অবস্থান, দেশ গড়ার এবং মানুষের নতুন স্বপ্ন গড়ার প্রত্যয়ের রাজনীতি। যারা দেশের রাজনীতিকে আবার কলুষিত করতে চাচ্ছে, তাদের দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। আমাদের নতুন আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে দেশের নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রবর্তন করতে হবে। দেশের রাজনীতিতে যদি রাজনৈতিক চরিত্র সংস্কৃতি না বদলায় তাহলে কোনো সংস্কারে কাজ হবে না। সুতরাং বিএনপি সেই রাস্তা করছে। তারেক রহমান সেই রাস্তায় করছে, আমাদের সবাইকে সেই রাস্তায় করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব রহমান শামীম বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমানের হাত ধরেই আমরা রাজনীতি শুরু করেছি। বিএনপির রাজনীতিতে তিনি ছিলেন একজন কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী অনন্য এক নেতা। বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে দলকে সুসংগঠিত করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে গিয়ে তিনি কমিটি করে দিতেন।
বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের নির্বাচনকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। একটি দল তারেক রহমানকে নিয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। যারা নির্বাচনে পরাজিত হবে জানে তারাই এই নির্বাচন চায় না। তবে ওদের উসকানিতে আমাদের সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, দৈনিক আমার দেশের আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার ও বিএনপি চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।
রাজনীতি
সরকারের একটি অংশ স্থিতিশীলতা বিনষ্টের অপচেষ্টা চালাচ্ছে: যুবদল সভাপতি

দেশের রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করার জন্য বর্তমান ‘অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অংশ’ পরিকল্পিতভাবে অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। এ সময় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মোনায়েম মুন্না বলেন, রগ কাটার সংস্কৃতি কার? এটা জনগণ জানে। মিটফোর্ডের ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে যেভাবে অপদস্থ করা হয়েছে, তা রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি ছাড়া কিছুই নয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার পর এক এনসিপি নেতা আমাদের নেতা ইশরাক হোসেনকে উদ্দেশ্য করে তার ‘লাশ কুকুর দিয়ে খাওয়ানোর’ হুমকি দিয়েছেন। এসব ঘটনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা ছাড়া এর অন্য কোনো ব্যাখ্যা নেই।
সরকার ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে যুবদল সভাপতি বলেন, আমরা একটি রাজনৈতিক দল, আমাদের নিজস্ব সাংগঠনিক কাঠামো রয়েছে। আমরা কোনো অপরাধীকে আড়াল করি না। আমরা যা যা করণীয়, সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী তা গ্রহণ করছি। কিন্তু সরকার কী করছে?
তিনি বলেন, সরকারের দায়িত্ব ছিল-দেশের বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে আগে থেকেই পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। কিন্তু তা না করে সরকার এক ধরনের ‘দর্শকের’ ভূমিকা পালন করছে।
মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে পাথর দিয়ে যুবদল কর্মী সোহাগকে হত্যা করা হয়েছে, যা দেখে পুরো জাতি বিস্মিত। এমন নৃশংসতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি দাবি করেন, এই ঘটনায় যুবদল পাঁচজনকে আজীবনের জন্য সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে। তবে পুলিশ যাদের বিরুদ্ধে ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছে, তাদের মামলার প্রধান আসামি করা হয়নি এবং তারা এখনও গ্রেপ্তার হয়নি।
মোনায়েম মুন্না বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে সোহাগের মেয়ে জানিয়েছেন-মামলার এজাহারে তিনজন মূল খুনির নাম বাদ দিয়ে, নিরপরাধ তিনজনকে জড়ানো হয়েছে। এতে বোঝা যায়, কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মূল আসামিদের আড়াল করছে।
ঘটনাটি বুধবার (৯ জুলাই) ঘটলেও তা শুক্রবার (১১ জুলাই) ব্যাপক প্রচার পেল কেন? আগে কেন প্রচার হয়নি? এখানে কোনো উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা জরুরি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি জানান, গত এক বছরে বিএনপির কেউ কোনো অন্যায় করলে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতার জন্যও বলা হয়েছে।
তবে, প্রশাসন বরাবরের মতো এবারও নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই নিষ্ক্রিয়তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রয়োজনে তারা প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলেও জানান মোনায়েম মুন্না।
কাফি
রাজনীতি
গণসংস্কৃতি পরিষদের নতুন কমিটি ঘোষণা

গণসংস্কৃতি পরিষদের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি আগামী ৬ মাসের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে। এতে আহ্বায়ক আহসান হাবিব ও রোমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেলে সঙ্গে সেগুনবাগিচায় কচিকাঁচার মেলায় গণসংস্কৃতি পরিষদের কমিটি ঘোষণা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এই কমিটি ঘোষণা করেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুলহক নুর।
যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে রয়েছেন, সঙ্গীতা হক, এন এইচ কানন, ফয়সাল আহমেদ, জুবায়ের আহমেদ মো. আবদুল আজিজ, মাহফুজ নুসরাত মোনা, মো. মুসা মিয়া। যুগ্ম সদস্য সচিব করা হয় নিলয় হোসেন রবিন, তারেক হাসান, মাহবুবুর রহমান জসিম, মো. মাসুদ রানা সুমন, রবিউল ইসলাম শুভ, বনি আমিন সিফাত, আরবি আহমেদ শাওন।
কার্যকরী সদস্য করা হয় সুরাইয়া আক্তার আন্তা, নাঈম হোসেন সংগ্রাম, সারমিন জাহান, সাহেব আলী, হাসিব মল্লিক, জহিরুল ইসলাম, মো. নুরুজ্জামান, খান শাহরিয়ার ফয়সাল, নাঈম হোসেন, মুনিয়া মুন, রেশমা আক্তার, সুমন শেখ, অহিদুল ইসলাম, মো. শাহ-আলম।
এছাড়া, ৫ জনকে গণসংস্কৃতি পরিষদের উপদেষ্টা করা হয়। তারা হলেন- হাবিবুর রহমান রিজু, আরিফুর রহমান, হাবিবুর রহমান, আবু হানিফ, এড্যা সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী।
কাফি