কর্পোরেট সংবাদ
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন ইকবাল ইউ আহমেদ

বাংলাদেশ ফাইন্যান্স পিএলসির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির স্বতন্ত্র পরিচালক ইকবাল ইউ আহমেদ। প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান মানোয়ার হোসেনের সফল মেয়াদ শেষে তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সম্প্রতি কোম্পানির পর্ষদ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে এই দায়িত্ব হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কায়সার হামিদ, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এই নেতৃত্ব পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স তার অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদ্ভাবনী আর্থিক সমাধান প্রদানের অগ্রযাত্রাকে আরও শক্তিশালী করতে নতুন ভাবে যাত্রা শুরু করল।
বহু দশকের অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বগুণে সমৃদ্ধ ইকবাল ইউ আহমেদ দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে একজন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, নীতিনির্ধারণ ও প্রতিষ্ঠানিক উন্নয়নে তাঁর অবদান ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। বিশেষ করে, ২০০৩ সালে ‘ম্যানেজিং কোর রিস্ক ইন ব্যাংকিং’ প্রকল্পে তাঁর নেতৃত্বের জন্য তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ সম্মাননা অর্জন করেন।
এছাড়াও, ২০০৭ সালে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘ঢাকা পোস্ট’ কর্তৃক ‘ঢাকা পোস্ট গোল্ড মেডেল’ এবং ২০১৫ সালে গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন থেকে ‘মাদার তেরেসা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড’ প্রাপ্ত হন। এই সম্মাননাগুলো তাঁর পেশাগত উৎকর্ষতা, নৈতিক নেতৃত্ব এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার পরিচায়ক। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স আরও গতিশীল, গ্রাহককেন্দ্রিক এবং উদ্ভাবনী আর্থিক সমাধান প্রদানের পথে এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্স প্রাক্তন চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেনের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। যিনি তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও অবিচল অঙ্গীকারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কৌশলগত অগ্রগতি ও প্রতিষ্ঠানিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সকে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন।

কর্পোরেট সংবাদ
গৃহিণীদের জন্য এক্সক্লুসিভ সেভিংস অ্যাকাউন্ট আনলো ব্র্যাক ব্যাংক

গৃহিণীদের জন্য ‘তারা হোমমেকার্স’ অ্যাকাউন্ট সেবা চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। দেশে প্রথমবারের মতো চালু হওয়া এই সেভিংস অ্যাকাউন্ট ডিজাইন করা হয়েছে গৃহিণীদের এক্সক্লুসিভ সব ব্যাংকিং সুযোগ-সুবিধা উপহার দিতে।
এই অ্যাকাউন্ট খুলতে কোনো আয়ের প্রমাণপত্রের প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ, ফরমাল ওয়ার্কফোর্সের বাইরে থাকা যেসব নারীদের স্যালারি স্লিপ, নিয়োগপত্র বা অন্যান্য কাগজপত্র নেই, তাঁরা শুধুমাত্র একটি সেলফ-ডিক্লারেশনের মাধ্যমে সহজেই এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। এর ফলে দেশের গৃহিণীদের আনুষ্ঠানিক আর্থিক সেবার সাথে যুক্ত হওয়ার পথে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বাধা দূর করতে সক্ষম হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক।
ফরমাল ব্যাংকিংব্যবস্থার বাইরে থাকা এসব গৃহিণীরা পারিবারিক আর্থিক ব্যবস্থাপনায় প্রতিদিন যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, এই উদ্যোগ তার-ই স্বীকৃতি। তাঁদের দৈনন্দিন প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে অ্যাকাউন্টটিতে রাখা হয়েছে একাধিক সুযোগ-সুবিধা। এখানে ডেবিট কার্ডে নেই কোনো ফি, গ্রোসারি কেনাকাটায় থাকছে ক্যাশব্যাক এবং যেকোনো ব্যালেন্সের থাকছে ইন্টারেস্ট আয়ের সুযোগ।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক নারীদের আর্থিক ক্ষমতায়নের পথ সুগম করেছে। অ্যাকাউন্টটি ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল চ্যানেল ও দেশজুড়ে বিস্তৃত ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সহজেই খোলা যাবে।
নিম্ন থেকে মধ্যম আয়ের পরিবারের কথা বিবেচনা করে এই প্রোডাক্টটি ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে অনেক বেশিসংখ্যক নারীদের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া যায়। অ্যাকাউন্ট খোলার যোগ্যতা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে মাসিক পারিবারিক আয় ২ লাখ টাকার কম, প্রারম্ভিক জমা অনূর্ধ্ব ৫ লাখ টাকা এবং ছয় মাসে মোট জমা ১২ লাখ টাকার বেশি হতে পারবে না।
ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম এই উদ্যোগের বিষয়ে বলেন বলেন, গৃহিণীদের জন্য এই এক্সক্লুসিভ সেভিংস অ্যাকাউন্ট চালু করতে পেরে আমরা বেশ আনন্দিত ও গর্বিত। আমরা বিশ্বাস করি, এই অ্যাকাউন্ট তাঁদের ব্যাংকিং প্রয়োজন পূরণ করার পাশাপাশি তাঁদের আকর্ষণীয় অনেক সুবিধা দেবে। এটি গৃহিণীদের অমূল্যায়িত শ্রমের স্বীকৃতি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিংয়ের যাত্রায় ব্র্যাক ব্যাংকের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই অ্যাকাউন্ট সেবা চালুর মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক ‘তারা’ আর্থিক সেবা নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে সেসব নারীদের কাছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকিংব্যবস্থার বাইরে ছিলেন।
এই অ্যাকাউন্ট চালুর আগে দেশব্যাপী ২,৫০০-এরও বেশি ফ্রন্টলাইন কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ব্যাংকটি। এতে কর্মীরা অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন এবং গ্রাহকদের সঠিকভাবে গাইড করতে প্রস্তুত আছেন, যা গ্রাহক অভিজ্ঞতাকে করবে সহজ ও উপভোগ্য। ব্র্যাক ব্যাংকের উইমেন ব্যাংকিং সেগমেন্ট ‘তারা’-এর অধীনে চালু হওয়া এই অ্যাকাউন্ট উদ্ভাবন ও অন্তর্ভুক্তির পথে আরও একটি মাইলফলক। গৃহিণীদের জন্য এই সেভিংস অ্যাকাউন্ট সেবা চালুর মাধ্যমে সেই আর্থিক অন্তর্ভুক্তির দিগন্ত আরও প্রসারিত করলো ব্র্যাক ব্যাংক।
কর্পোরেট সংবাদ
নারী উদ্যোক্তাদের সম্মাননা ও ডিজিটাল ক্ষমতায়নে আইপিডিসির অনন্য উদ্যোগ

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় আয়োজিত ‘নারী উদ্যোক্তা প্রণোদনা কর্মসূচি ২০২৫’-এ নারী উদ্যোক্তাদের সম্মাননা প্রদান করেছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি। এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ব্যতিক্রমী নারী উদ্যোক্তাদের তাদের দৃঢ় মানসিকতা, সময়মতো ঋণ পরিশোধ এবং সিএমএসএমই খাতে উদ্যোক্তাগত উৎকর্ষের জন্য সম্মানিত করা হয়।
এ বছরের সম্মাননাপ্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তারা এসেছেন ঢাকা, যশোর, বগুড়া, বরিশাল, সিলেট, ফরিদপুর, রংপুর, চট্টগ্রাম এবং ময়মনসিংহ থেকে। তাদের নির্বাচিত করা হয়েছে উদ্যোক্তাগত দক্ষতা, ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতা, আর্থিক শৃঙ্খলা এবং নিজ নিজ কমিউনিটিতে ইতিবাচক প্রভাবের ভিত্তিতে। সম্মাননার পাশাপাশি প্রত্যেককে তাদের ব্যবসা আরও বিস্তৃত ও শক্তিশালী করার জন্য আর্থিক প্রণোদনাও প্রদান করা হয়েছে।
নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসির নিরলস প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় ‘নারী উদ্যোক্তা প্রণোদনা কর্মসূচি ২০২৫’ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। শুধুমাত্র আর্থিক সহায়তা নয়, ডিজিটাল মানি ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণের মতো দক্ষতা উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে এই উদ্যোগ নারী উদ্যোক্তাদের টেকসইভাবে এগিয়ে যেতে সহায়তা করছে। এর মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে আইপিডিসি। এ উদ্যোগ একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উদ্যোক্তা পরিবেশ গঠনের লক্ষ্যে সংগঠনের স্বপ্নকে প্রতিফলিত করে, যেখানে নারীরা উন্নতি করবে, নেতৃত্ব দেবে এবং অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে।
প্রণোদনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘ফ্রম ক্যাশ টু ক্যাশলেস; ডিজিটাল মানি ম্যানেজমেন্ট’ শিরোনামে একটি সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ সেশন আয়োজন করা হয়। এই সেশনে ডিজিটাল আর্থিক সরঞ্জাম, মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেম এবং টেকসই ব্যবসায়িক কৌশল নিয়ে বাস্তবভিত্তিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণে অংশ নেন সম্মাননাপ্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন খাতের আগ্রহী নারী উদ্যোক্তারা। সেখানে অভিজ্ঞতা বিনিময়, নেটওয়ার্ক গঠন এবং আর্থিক সচেতনতা বৃদ্ধির একটি বিশেষ প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়।
সম্মাননাপ্রাপ্তদের একজন এম/এস ঐশী স্টোরের মালিক লুৎফর নাহার বলেন, এই প্রণোদনা শুধু অর্থনৈতিক সহায়তা নয়, এটি আমাদের পথচলা ও সংগ্রামের একটি স্বীকৃতি। এটি আমাকে আরও বড় স্বপ্ন দেখাতে এবং নতুন আত্মবিশ্বাসে আমার দোকানটি সম্প্রসারণ করতে উৎসাহিত করেছে। এমন অসাধারণ সহায়তার জন্য আমি আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, আমরা শুধু সফলতাকেই নয়, সম্ভাবনাকেও স্বীকৃতি দিতে চাই। এই অসাধারণ নারীরাই আগামী বাংলাদেশের ভিত্তি গড়ে তুলছেন। তাদের এই যাত্রায় আমরা স্বীকৃতি ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে পাশে আছি। যাতে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি আর্থিক পরিবেশ তৈরি হয়।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে আইপিডিসি সারা দেশে নারীদের ক্ষমতায়ন ও একটি টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোক্তা পরিবেশ গড়তে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
কর্পোরেট সংবাদ
জাতীয় পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা

জাতীয় পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ পরিচালিত সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় রেজিস্ট্রেশন, চাঁদা সংগ্রহ এবং এপিআই কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দীন খান এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাফিউজ্জামান।
এই সমঝোতার মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে দেশের জনগণের অংশগ্রহণ আরও সহজতর হবে এবং এর প্রযুক্তিভিত্তিক কার্যক্রমের সম্প্রসারণ নিশ্চিত হবে। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি সর্বদা সরকারের উন্নয়নমুখী উদ্যোগসমূহে সহযোগিতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং এই চুক্তি তারই একটি প্রমাণ।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের ঢাকার জোন ও কর্পোরেট শাখার ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ঢাকা সেন্ট্রাল, নর্থ, সাউথ ও ইস্ট জোন এবং ঢাকার ৬টি কর্পোরেট শাখার অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৩ জুলাই) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ব্যাংকের অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান ও স্বতন্ত্র পরিচালক প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান।
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মো. ওমর ফারুক খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন এবং মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার। সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. মাহবুব আলম, মাহমুদুর রহমান, মো. রফিকুল ইসলাম, মুহাম্মদ সাঈদ উল্লাহ, কে.এম. মুনিরুল আলম আল-মামুন, ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম ও মোঃ মাকসুদুর রহমান। সম্মেলনে জোন ও কর্পোরেট শাখাসমূহের প্রধানগণ, জোনসমূহের অধীন শাখাপ্রধান, প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, সকল সংকট কাটিয়ে ইসলামী ব্যাংক শরী‘আহভিত্তিক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক ব্যাংকিংয়ের মূল মডেলে ফিরে এসেছে। মানুষের আস্থা ও অপরিসীম ভালোবাসার ফলশ্রুতিতে গত ১০ মাসে ইসলামী ব্যাংকে ২৪ লাখ ৩০ হাজার নতুন গ্রাহক এবং ২০ হাজার কোটি টাকার নিট আমানত বেড়েছে। তিনি বলেন প্রবাসীদের প্রথম পছন্দ ও নির্ভরতার ঠিকানা ইসলামী ব্যাংক। যার ফলে এ ব্যাংকের মাধ্যমে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১৬.৩২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। ইতোমধ্যে এজেন্ট ব্যাংকিং আমানত সংগ্রহে ২০ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করে দেশের এজেন্ট ব্যাংকিং সেক্টরে নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকের কর্মীদের কাজের গতিশীলতা ও নিরলস পরিশ্রমের ফলে শীঘ্রই ইসলামী ব্যাংক সকল খাতে দেশের অর্থনীতিতে যুগপৎ পরিবর্তন নিয়ে আসবে। তিনি সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে ব্যাংকের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।
কর্পোরেট সংবাদ
এসডিজি লক্ষ্যপূরণে আইপিডিসি পেলো দুটি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড

আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫ অনুষ্ঠানে দুটি স্বীকৃতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিএস) অর্জনে কর্পোরেট পর্যায়ে উদ্ভাবনী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ইতিবাচক প্রভাবসৃষ্টিকারী উদ্যোগগুলোর সম্মাননা প্রদান করা হয়।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসিকে তাদের ‘ফাইন্যান্স ফর দ্যা প্ল্যানেট অ্যান্ড পিপল; আইপিডিসি’স হলিস্টিক এসডিজি ড্রাইভেন স্ট্রাটেজি’ কৌশলের কারণে ‘সর্বাধিক টেকসই আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই)’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সারাদেশব্যাপী এই উদ্যোগের মাধ্যমে আইপিডিসি তাদের মূল আর্থিক কার্যক্রমে টেকসই উন্নয়নকে একীভূত করেছে। যার মধ্যে রয়েছে সবুজ ঋণ প্রদান, জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন। শুধু ২০২৪ সালেই, আইপিডিসি টেকসই ও এসডিজি-লিংকড ঋণ হিসেবে মোট ৩৮,৫৫২ মিলিয়ন টাকা বিতরণ করেছে, যা তাদের মোট ঋণ বিতরণের ৭৭.৭৫ শতাংশ এবং মোট লোনের ৪২.০৬ শতাংশ। এই অর্জন বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত ন্যূনতম সীমার অনেক ঊর্ধ্বে।
আইপিডিসির পোর্টফোলিওতে রয়েছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি দক্ষতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, আইসিটি অবকাঠামো, নারী নেতৃত্বাধীন উদ্যোক্তা এবং সবুজ ভবন নির্মাণে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ। ‘জয়ী’ ও ‘প্রীতি’ নামক উদ্ভাবনী পণ্য এবং ‘জয়ী ৩৬০’ এর মতো বিশেষায়িত শাখার মাধ্যমে আইপিডিসি শুধু আর্থিক সেবা প্রদানেই সীমাবদ্ধ নেই বরং বৃহত্তর পরিসরে লিঙ্গ সমতা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তুলছে।
এছাড়া ‘ইকুইটি, ডাইভারসিটি এবং ইনক্লুশন’ ক্যাটাগরিতে আইপিডিসি দ্বিতীয়বারের মতো ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডের সম্মাননা অর্জন করেছে। তাদের রূপান্তরমূলক প্রকল্প ‘উইমেন-ফোকাসড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার ফর দ্যা ভালনারেবল কমিউনিটিস’-এর জন্য এই স্বীকৃতি এসেছে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে অ্যাকশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সহযোগিতায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়নে এই উদ্যোগ চালু করা হয়। এর লক্ষ্য হলো উত্তরবঙ্গের ১০০ জন প্রান্তিক নারী কৃষককে ভূমি ব্যবহারের সুযোগ, পরিবেশবান্ধব কৃষি যন্ত্রপাতি, জলবায়ু সহনশীল বীজ, জৈব চাষ ও ভার্মি কম্পোস্টিং প্রশিক্ষণ, নারীনেতৃত্বাধীন বাজার কর্নার ও বীজ ব্যাংক স্থাপনের সহায়তা প্রদান করা। এই প্রকল্প এসডিজি ৫ (লিঙ্গ সমতা), এসডিজি ১০ (অসমতা হ্রাস), এসডিজি ১২ (দায়িত্বশীল উৎপাদন ও ব্যবহার) এবং এসডিজি ১৩ (জলবায়ু কার্যক্রম) এর সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। এটি প্রমাণ করে যে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা এবং নারীদের আর্থিক ক্ষমতায়ন একসাথে সম্ভব, যার ফলে স্থানীয় জনগণের নেতৃত্বে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়।
এই স্বীকৃতি প্রসঙ্গে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, এই পুরস্কারগুলো আমাদের বিশ্বাসের প্রতিফলন। অর্থনীতি শুধু সংখ্যার হিসাব নয়, এটি মানুষের ক্ষমতায়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথপ্রদর্শক হতে হবে। আমরা যখন গ্রামীণ নারীদের আধুনিক কৃষিকাজে সহায়তা করি বা প্রতিটি ঋণে টেকসই উন্নয়নের বিষয়গুলো যুক্ত করি, তখনও আমাদের উদ্দেশ্য একটাই—একটি ভালো, টেকসই বাংলাদেশ গড়া।
পরিবেশ সচেতনতা ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তিকে একসাথে নিয়ে আইপিডিসি যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা দেখায় বেসরকারি খাত কীভাবে এসডিজি অর্জনের পথে দেশের অগ্রগতিতে নেতৃত্ব দিতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের মতো দ্বৈত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ যখন লড়ছে, তখন আইপিডিসির লক্ষ্যভিত্তিক এই উদ্যোগ টেকসই ও বিস্তৃত প্রভাব তৈরির একটি শক্তিশালী উদাহরণ হয়ে উঠেছে। এই দুটি পুরস্কারের মাধ্যমে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি দেশের টেকসই অর্থায়নের ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক হিসেবে তাদের অবস্থান আরও দৃঢ় করলো এবং একইসাথে মানুষ, পরিবেশ এবং সমৃদ্ধির প্রতি তাদের অঙ্গীকার আরও শক্তিশালী হলো।