রাজনীতি
প্রয়োজনে ইউনূস সাহেবের বিরুদ্ধে আন্দোলন ঘোষণা করব: ছাত্রদলের সভাপতি
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ছাত্রদলের ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না, ধৈর্যের বাধ ভেঙে গেলে কাউকে শান্তিতে থাকতে দেব না।
বুধবার (২৮ মে) বিকেল পৌনে চারটার দিকে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’–এর সূচনা বক্তব্যে ছাত্রদলের সভাপতি এ কথাগুলো বলেন।
আজকের সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার হত্যার ‘আরও সুষ্ঠু তদন্ত’ দাবি করেন রাকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, শাহরিয়ার হত্যার বিচারসহ ক্যাম্পাসে-ক্যাম্পাসে বিগত সাড়ে ১৫ বছরে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের গুম ও খুনের বিচার না হলে এবং ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিচার না হলে প্রয়োজনে ইউনূস সাহেবের (অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস) বিরুদ্ধে আন্দোলন ঘোষণা করব।

রাজনীতি
শিগগির গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা দেখতে পাবো: খালেদা জিয়া

শিগগির বাংলাদেশ গণতন্ত্রে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দলের আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বক্তব্যের শুরুতেই শহীদ জিয়ার স্মৃতিচারণ করে খালেদা জিয়া বলেন, প্রতি বছর মে মাসের এই দিন আমাদের কাছে আসে বেদনাবিধূর এক স্মৃতি নিয়ে। এই দিনে শুধু আমাদের পরিবার নয়, বরং সমগ্র দেশই হয়ে উঠেছিল বেদনার্ত অভিভাবকহীন। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে এক অবিচ্ছেদ্য নাম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। যে চট্টগ্রাম থেকে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে এ দেশের সঙ্গে তার নাম অবিচ্ছেদ্য করে রেখেছিলেন, সেই চট্টগ্রামেই এক সফল, সৎ, দূরদর্শী দেশপ্রেমিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
তিনি বলেন, এ দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্বনির্ভরতা, উন্নয়ন ও নিজস্ব জাতীয়তাবাদ সৃষ্টির অনন্য রূপকার শহীদ জিয়া। যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আর সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে তিনি শহীদ হয়েছেন, সেই গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন যাত্রা আজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রতি পদে পদে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, খুব শিগগির আমরা বাংলাদেশকে গণতন্ত্রে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত দেখতে পাবো। এই হোক শহীদ জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকীতে আমাদের অঙ্গীকার। এই লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমি বিএনপির সব পর্যায়ের নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
খালেদা জিয়া বলেন, মনে রাখবেন, সবার জন্য গণতন্ত্র ও উন্নয়নের মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধানের যে রাজনীতি শহীদ জিয়া রেখে গেছেন, তা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
বক্তব্যের শেষে শহীদ জিয়ার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়াও দলটির নেতারা আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।
রাজনীতি
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের কোনো ছাড় নয়: জামায়াত আমির

দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি, সিদ্ধান্ত ও শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করলে সংগঠন তার কোনো দায় নেবে না বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না—ব্যক্তি তিনি যেই হোন না কেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ফেসবুকে এক বার্তায় জামায়াতের আমির দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি এ সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন।
বার্তায় তিনি বলেন, সবাইকে দলীয় শৃঙ্খলা, সিদ্ধান্ত ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য বজায় রেখে কাজ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এর কোনো ভিন্নতা যেখানেই ঘটুক, সংগঠন অবশ্যই সিদ্ধান্ত নেবে।
কাফি
রাজনীতি
এনসিপি নেতাদের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বৈঠক

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারার সঙ্গে বুধবার বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
ব্রিটিশ হাইকমিশন জানিয়েছে, বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের অব্যাহত সমর্থন, একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার বিষয় নিয়ে এই বৈঠক হয়েছে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনের সম্পৃক্ততার বৃহত্তর উদ্যোগের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই বৈঠক হয়েছে।
যুক্তরাজ্য ধারাবাহিকভাবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রচার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
রাজনীতি
ক্ষমতায় গেলে পরিবারের নারীপ্রধানকে ফ্যামিলি কার্ড দেবে বিএনপি

পরিবারে নারীর আর্থিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিতে প্রতিটি পরিবারের নারীপ্রধানকে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ কার্ডের মাধ্যমে পরিবারগুলোকে মাসিকভাবে রাষ্ট্রীয় সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২৮ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পরিবারের নারীপ্রধানকে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ দেওয়া হবে। প্রতিমাসে তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এতে পরিবারগুলো কিছুটা হলেও স্বাবলম্বী হবে।
তরুণদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, তরুণ জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিয়ে বিএনপি সব কাজ করছে। তরুণদের কর্মপরিকল্পনা বোঝাতে গত এক মাসে বিভাগীয় শহরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন মতাদর্শের তরুণদের নিয়ে সেমিনারও করেছি।
তারেক রহমান বলেন, কৃষকদের জন্য ‘ফার্মার্স কার্ড’ চালু করা হবে। এক ফসলি চাষিদের জন্য থাকবে বিশেষ আর্থিক সহায়তা।
শিক্ষাকে প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানমুখী করার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, বাংলা ও ইংরেজির পাশাপাশি তৃতীয় এবং সম্ভব হলে চতুর্থ ভাষা শিখতে হবে। খেলাধুলাকে শিক্ষার অংশে পরিণত করার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
বিএনপির লক্ষ্য ই-কমার্স ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন, তরুণদের কারিগরি দক্ষতা অর্জনে সুযোগ সৃষ্টি এবং দেশের স্বাস্থ্যসেবাকে প্রযুক্তিনির্ভর করা। তিনি বলেন, এই লক্ষ্যেই এক থেকে তিন বছরের কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
খাল খনন ও বৃক্ষরোপণকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তারেক রহমান। প্রতি পাঁচ বছরে ২৫-৩০ কোটি গাছ লাগানোর উদ্যোগের কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন,উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি শুরু করেছেন জিয়াউর রহমান। আমরা সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। জনগণই বিএনপির মূলভিত্তি।
রাজনীতি
সালাউদ্দিন কাদেরকে স্মরণ করলেন জামায়াত নেতা এটিএম আজহার

সদ্য কারামুক্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম কারামুক্ত হওয়ার পরই স্মরণ করেন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে।
বুধবার (২৮ মে) মুক্ত হয়েই রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত শুকরানা সমাবেশে যোগ দেন তিনি। এসময় বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি শেখ হাসিনার হাতে হত্যার স্বীকার বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে স্মরণ করেন।
এই জামায়াত নেতা বলেন, আমি আমার নেতাদের স্মরণ করছি, যাদের অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে, জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে। আমি শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, কামারুজ্জামান, কাদের মোল্লা, গোলাম আজম ও মীর কাসেম আলী ভাইকে স্মরণ করছি।
তিনি বলেন, আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকেও বিনা চিকিৎসায় ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে। আমি বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকেও স্মরণ করছি। আমি জামায়াতের অন্যান্য নেতা যারা বন্দি অবস্থায় মারা গেছেন তাদের স্মরণ করছি। মাওলানা আবদুস সোবহানকে স্মরণ করছি। আমি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
এটিএম আজহার বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারাই, যেই পর্যায়ে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। না হলে এই খারাপ সংস্কৃতি চালু থাকবে। তাই এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, ভাইয়েরা আমার অপরাধ কী ছিল? আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, এটাই তো আমার অপরাধ? এছাড়া আমার কোনো অপরাধ নেই। আপনাদের দোয়া চাই। আপনাদের কারণে ফাঁসির কাষ্ঠ থেকে রশির বদলে জামায়াত আমিরের কাছ থেকে ফুলের মালা পাচ্ছি। আমার এক ফোটা রক্ত থাকতে আমি যেন আজীবন ইসলামী আন্দোলনের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে পারি, সেই দোয়া চাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, যাদের কারণে আজ আমি মুক্ত হয়েছি সেই ৩৬ জুলাই-আগস্টের বিপ্লবীদের। যাদের আত্মত্যাগ, অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে সরকার পালাতে বাধ্য হয়েছে।
আজহার বলেন, সবচেয়ে ধন্যবাদ জানাবো ছাত্রসমাজকে, এরপর দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে, যারা নারী ও শিশুসহ রাস্তায় নেমেছিলেন। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ভাইদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার মতো নগণ্য ব্যক্তির জন্য যারা রোজা রেখেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।