কর্পোরেট সংবাদ
নকল সনি প্রতিরোধে ডিজিটাল ওয়ারেন্টি চালু করলো সনি-স্মার্ট

নকল বা রিফারবিশড পণ্যের বাজারজাত প্রতিরোধে এখন থেকে দেশেই জাপানের বিশ্বখ্যাত ‘সনি’ ব্র্যান্ডের ডিজিটাল ওয়ারেন্টি নিশ্চিত করছে বাংলাদেশে সনি’র প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশক স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড, যা সনি-স্মার্ট নামে পরিচিত। বাংলাদেশে সনি’র ডিজিটাল ওয়ারেন্টি সার্ভিস যৌথভাবে উদ্বোধন করেন আরএমডিসি সনি সাউথ-ইস্ট এশিয়া প্রেসিডেন্ট জি হুন বায় এবং স্মার্ট টেকনোলজি (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জহির স্মার্ট টাওয়ারের নীচ তলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সনি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ শাখার প্রধান রিকি লুকাস, সনি-স্মার্ট পরিচালক মো. তানভীর হোসাইন, হেড অব সেলস ও মহাব্যবস্থাপক মো. সারোয়ার জাহান চৌধুরী, হেড অব মার্কেটিং ও উপ-মহাব্যবস্থাপক আজাদ রহমান, সনি-স্মার্টের বিভিন্ন স্তরের কর্মী এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সনি’র ডিজিটাল ওয়ারেন্টি সার্ভিস চালুর ফলে গ্রাহকরা এখন থেকে সনি-স্মার্ট থেকে সনি পণ্য কেনার ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে পণ্যটির আসল নাকি নকল তা যাচাই করতে পারবেন, একইসঙ্গে করতে পারবেন ওয়ারেন্টি রেজিষ্ট্রেশন। এই ডিজিটাল ওয়ারেন্টির মাধ্যমে অনুমোদিত সনি সার্ভিস সেন্টারে সহজেই সেবা পাবেন ক্রেতারা। ওয়ারেন্টির প্রমাণ হিসেবে আলাদা কোনো কাগজপত্র সংরক্ষণ করার প্রয়োজন নেই। কী কী সেবা ওয়ারেন্টির আওতায় আছে এবং কোনগুলো নেই তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে এবং ডিজিটালভাবে লিপিবদ্ধ থাকায় মালিকানার প্রমাণ (নাম, ঠিকানা, ক্রয়ের তারিখ) সহজে উপস্থাপন করা যাবে, যা যেকোনো বিরোধ নিষ্পত্তিতে সহায়তা করবে।
অনুষ্ঠানে স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, সনি-স্মার্ট শুরু থেকেই দেশের মানুষের কাছে জেনুইন প্রোডাক্ট এবং জেনুইন পণ্য পৌঁছে দিতে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা ডিজিটাল ওয়ারেন্টি রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম চালু করলাম। এখন থেকে সনি’র পণ্য কিনে ঠকার আর কোনো সম্ভাবনা থাকলো না। তবে, এই সুবিধা পেতে হলে সনি-লাভারদের অবশ্যই সনি পণ্য কিনতে হবে সনি-স্মার্ট থেকে।
এসময় সনি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ শাখার প্রধান রিকি লুকাস বলেন, বাংলাদেশে সনি-স্মার্টের মাধ্যমে এখন ক্রেতারা নিশ্চিন্তে সনি’র আসল টেলিভিশনসহ অন্যান্য পণ্য নিশ্চিন্তে ক্রয় করতে পারবেন। ডিজিটাল ওয়ারেন্টি রেজিস্ট্রেশনের ফলে ক্রেতারা শুধু প্রযুক্তিগত সুবিধাই নয়, পাবেন পণ্যের নিরাপত্তা ও মানসিক প্রশান্তি।
এদিকে সনি’র ডিজিটাল ওয়ারেন্টি সার্ভিস উদ্বোধন উপলক্ষ্যে, সনি-স্মার্ট’র ৪৩ ইঞ্চি, ৫০ ইঞ্চি, ৫৫ ইঞ্চি, ৬৫ ইঞ্চি এবং ৮৫ ইঞ্চি সাইজের আটটি মডেলের সনি ব্রাভিয়া ২০২৫ লেটেস্ট ফোর-কে গুগল ও ওলেড ফোর-কে গুগল টিভিতে স্পেশাল মাইন্ডব্লোয়িং প্রাইস ঘোষণা দিয়েছে সনি-স্মার্ট, যা আজ থেকে কোরবানির ঈদের আগের দিন পর্যন্ত মিলবে দেশরুমে থাকা সনি-স্মার্টের সকল শোরুম এবং অনুমোদিত বিক্রয়কেন্দ্রে। এছাড়াও পণ্যের মডেলভেদে ফ্রিজ, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, এয়ার কুলার, রিচার্জেবল ফ্যানসহ নিশ্চিত উপহার জেতার সুযোগ তো থাকছেই।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আইসিটি পণ্য বাজারজাতকারী শীর্ষ প্রতিষ্ঠান স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড। দেশের বাজারে বিশ্বের প্রায় ১০০টিরও অধিক ব্র্যান্ডের আইসিটি পণ্য বাজারজাত করছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর জাপানের বহুজাতিক প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সনি’র ইলেকট্রনিক্স পণ্য এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পরিষেবা বাংলাদেশে বাজারজাত করতে প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশক হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয় স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড, দেশব্যাপী পরিচিতি সনি-স্মার্ট নামে।
সর্বদা জেনুইন প্রোডাক্ট, জেনুইন প্রাইস, জেনুইন সার্ভিস, সাথে জেনুইন কেয়ার আর জেনুইন প্যাশনের নিশ্চয়তা প্রদান করে ইতোমধ্যে দেশের ইলেকট্রনিকস ক্রেতাদের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ড হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে সনি-স্মার্ট। বর্তমানে সারা দেশে ৩০টি নিজস্ব শোরুম, ২১০টিরও বেশি পার্টনার শোরুম ও আড়াই হাজারের বেশি আইটি পার্টনারদের মাধ্যমে জি-ফাইভ নিশ্চয়তায় পণ্য সরবরাহ করছে সনি-স্মার্ট। দ্রুত সময়ের শোরুম সংখ্যা অর্ধশতকের মাইলফলক পেরুবে বলেও জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজের এজিএম

ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের (আইবিএসএল) ১৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম।
সভায় কোম্পানির পরিচালক মো. আবদুল জলিল, মো. ওমর ফারুক খান, মোহাম্মদ আলী এবং আইবিএসএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মশিউর রহমান, কোম্পানি সেক্রেটারিসহ অন্যান্য শেয়ারহোল্ডার এবং কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিগত বছরের ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয় এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও কৌশল নির্ধারণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এসএম
কর্পোরেট সংবাদ
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন ইকবাল ইউ আহমেদ

বাংলাদেশ ফাইন্যান্স পিএলসির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির স্বতন্ত্র পরিচালক ইকবাল ইউ আহমেদ। প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান মানোয়ার হোসেনের সফল মেয়াদ শেষে তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সম্প্রতি কোম্পানির পর্ষদ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে এই দায়িত্ব হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কায়সার হামিদ, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এই নেতৃত্ব পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স তার অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদ্ভাবনী আর্থিক সমাধান প্রদানের অগ্রযাত্রাকে আরও শক্তিশালী করতে নতুন ভাবে যাত্রা শুরু করল।
বহু দশকের অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বগুণে সমৃদ্ধ ইকবাল ইউ আহমেদ দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে একজন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, নীতিনির্ধারণ ও প্রতিষ্ঠানিক উন্নয়নে তাঁর অবদান ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। বিশেষ করে, ২০০৩ সালে ‘ম্যানেজিং কোর রিস্ক ইন ব্যাংকিং’ প্রকল্পে তাঁর নেতৃত্বের জন্য তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ সম্মাননা অর্জন করেন।
এছাড়াও, ২০০৭ সালে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘ঢাকা পোস্ট’ কর্তৃক ‘ঢাকা পোস্ট গোল্ড মেডেল’ এবং ২০১৫ সালে গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন থেকে ‘মাদার তেরেসা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড’ প্রাপ্ত হন। এই সম্মাননাগুলো তাঁর পেশাগত উৎকর্ষতা, নৈতিক নেতৃত্ব এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার পরিচায়ক। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স আরও গতিশীল, গ্রাহককেন্দ্রিক এবং উদ্ভাবনী আর্থিক সমাধান প্রদানের পথে এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্স প্রাক্তন চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেনের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। যিনি তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও অবিচল অঙ্গীকারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কৌশলগত অগ্রগতি ও প্রতিষ্ঠানিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সকে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন।
কর্পোরেট সংবাদ
চবিতে বিআইসিএম’র বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রাম ও এমওইউ স্বাক্ষর

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফিন্যান্স বিভাগের সহযোগিতায় বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন অনুষদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘ইনভেস্টমেন্ট ইন ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রাম আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম)। সেই সঙ্গে বিভাগের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে বিআইসিএম।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের এফবিএ অডিটোরিয়ামে এ বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।
বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো- ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মাদ হায়দার আরিফ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফিন্যান্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ নেছারুল করিম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. ফিরোজা আক্তার খানম।
এসময় আরো বক্তব্য দেন বিআইসিএম’র কোম্পানি সচিব এ এস এম সায়েম, ওয়ার্কশপ কনভেনর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ আক্তার হোসেন। এ সময় বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিআইসিএম’র সহকারী অধ্যাপক ফয়সাল আহমেদ খান, প্রভাষক ইমরান মাহমুদ ও প্রভাষক গৌরব রায় বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রামটির বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করেন।
বিআইসিএম নিয়মিতভাবে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজন করে থাকে।
এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের আগ্রহ সৃষ্টি ও বিনিয়োগে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যতে তাঁদের পেশাগত উৎকর্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিআইসিএম বিভাগের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। এমওইউ-তে বিআইসিএম’র পক্ষে কোম্পানি সচিব এ এস এম সায়েম এবং ফিন্যান্স বিভাগের পক্ষে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষর করেন। এসময় প্রো- ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, ফিন্যান্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ নেছারুল করিম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মাদ হায়দার আরিফ ও বিআইসিএম’র সহকারী অধ্যাপক ফয়সাল আহমেদ খানসহ ফিন্যান্স বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কর্পোরেট সংবাদ
সেরা শিক্ষার্থীদের সম্মাননা দিলো ব্র্যাক ব্যাংক ও ব্রিটিশ কাউন্সিল

জাতীয় পাঠ্যক্রমের আওতাভিত্তিক বাংলা মিডিয়ামের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইংরেজি বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ এবং ব্র্যাক ব্যাংক। টোস্টমাস্টার্স ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালেতে সেরা শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা হয়েছে।
গত ২৫ মে ব্র্যাক ব্যাংকের স্টুডেন্ট ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম ‘আগামী’-এর পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিযোগিতাটি ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের হেডকোয়ার্টার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের পাবলিক স্পিকিং, ক্রিটিক্যাল চিন্তাভাবনা এবং ইংরেজি যোগাযোগ দক্ষতা প্রদর্শনের এক জাতীয় মঞ্চের ভূমিকা পালন করে। পাঁচটি বিভাগের ৩৩টিরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে। যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক, আঞ্চলিক এবং ফাইনাল রাউন্ডে প্রতিযোগিতার সুযোগ পেয়েছিল।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হওয়া এই প্রতিযোগিতায় নেভি অ্যাঙ্কারেজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের লাইবা মুনতাহা গ্রুপ-এ (গ্রেড ৯-১০) থেকে এবং হালিশহর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অ্যারন নাফি গ্রুপ বি (গ্রেড ১১-১২) থেকে বিজয়ী হন। চূড়ান্ত প্রতিযোগীদের তাঁদের বিষয়বস্তু, পরিবেশনা এবং ভাষা দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করা হয়। একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল দর্শকদের সামনে সরাসরি এই মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
আয়োজনে ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম এবং উইমেন্ট ব্যাংকিং সেগমেন্ট ‘তারা’ অ্যান্ড স্টুডেন্ট ব্যাংকিং সেগমেন্ট ‘আগামী’-এর সিনিয়র ম্যানেজার নাতাশা কাদের-সহ ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কান্ট্রি এক্সামস ডিরেক্টর ম্যাক্সিম রায়ম্যান, এক্সামসের ডিরেক্টর অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট সারওয়াত রেজা এবং বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এক্সামসের মাস্টার ট্রেইনার সানা শহীদ।
টোস্টমাস্টার্স ইন্টারন্যাশনালের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ক্লাব গ্রোথ ডিরেক্টর মো. গোলাম দস্তগীর, ডিটিএম, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রাম কোয়্যালিটি ডিরেক্টর ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ঢাকা বাংলাদেশ টোস্টমাস্টার্স ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি মো. তাহমিদুল ইসলাম।
এই আয়োজন নিয়ে মো. মাহীয়ুল ইসলাম বলেন, এই প্রতিযোগিতার আয়োজন শুধু পাবলিক স্পিকিং দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই নয়, বরং এটি সারাদেশের শিক্ষার্থীদের প্রতিভা, আত্মবিশ্বাস এবং অপার সম্ভাবনা উদ্যাপনের একটি মঞ্চও। ব্র্যাক ব্যাংকে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, তরুণরাই হলো আগামী দিনের কারিগর। এই কারণেই আমরা এমন সব উদ্যোগে বিনিয়োগ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা তরুণদের স্বপ্নকে লালন করে এবং তাঁদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের প্রানশক্তি হিসেবে গড়ে উঠতে ক্ষমতায়িত করে।
ম্যাক্সিম রায়ম্যান বলেন, এই প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি তাঁদের কোনো বিষয় নিয়ে গভীর চিন্তায় সহায়তা করতে এবং যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। ইংরেজি বক্তৃতা প্রতিযোগিতার এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমরা পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে থট লিডার এবং বিশ্ব নাগরিক তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাবো।
‘আগামী’ সেগমেন্টের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক ব্যাংকিংয়ের বাইরেও শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব, যোগাযোগ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে তাঁদের আত্মন্নোয়নে ভূমিকা রাখছে, যাতে তাঁরা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
কর্পোরেট সংবাদ
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও গ্র্যান্ড প্যালেস হোটেল ঢাকা’র মধ্যে চুক্তি

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এবং গ্র্যান্ড প্যালেস হোটেল ঢাকা’র মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বুধবার (২৮ মে) দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
ব্যাংকের কার্ড ডিভিশনের প্রধান মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান ও গ্র্যান্ড প্যালেস হোটেল ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার মশিউর রহমান চৌধুরী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এসময় উপস্থিতি ছিলেন সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুস সায়াদাত।
চুক্তির ফলে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডহোল্ডারগণ গ্র্যান্ড প্যালেস হোটেল ঢাকা’র বিভিন্ন সেবায় ১০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট সুবিধা পাবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ও গ্র্যান্ড প্যালেস হোটেল ঢাকার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসএম