জাতীয়
সৌদি পৌঁছেছেন ৬৮ হাজার ২৮০ হজযাত্রী, মৃত্যু ১২

পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশে বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১৭৭ ফ্লাইটে ৬৮ হাজার ২৮০ বাংলাদেশি সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। আজ বুধবার (২৮ মে) হজ সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা ও সৌদি আরবের সূত্রে হজ বুলেটিনের আইটি হেল্প ডেস্ক জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৭ মে) দিবাগত রাত ৩টা নাগাদ সৌদি আরবে ৬৮ হাজার ২৮০ জন বাংলাদেশি পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৮৩ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৩ হাজার ৬৯৭ জন হজযাত্রী মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে পৌঁছেছেন।
আইটি হেল্প ডেস্ক জানিয়েছে, মঙ্গলবার মধ্যরাত নাগাদ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মোট ৯২টি ফ্লাইটে ৩৫ হাজার ২৪৬ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে সৌদি এয়ারলাইনসের ৬৪টি ফ্লাইটে ২৪ হাজার ৩৮৭ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসের ২১টি ফ্লাইটে ৮ হাজার ৬২৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।
অন্যদিকে, পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে এ পর্যন্ত মক্কা ও মদিনায় মোট ১২ জন হজযাত্রী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ ও একজন নারী। এর মধ্যে ছয়জন মক্কায় এবং বাকি ছয়জন মদিনায় মারা গেছেন বলে জানিয়েছে আইটি হেল্প ডেস্ক।
গত ২৮ এপ্রিল রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৫ সালের হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। এরপর একই দিন রাত ২টা ২০ মিনিটে চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে হজযাত্রীদের বহনকারী প্রথম বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজযাত্রী সৌদি আরব যাবেন। তিনটি এয়ারলাইনস ২৩২টি প্রাক্-হজ ফ্লাইটের মাধ্যমে এ হজযাত্রীদের পরিবহন করবে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১১৮টি প্রাক্-হজ ফ্লাইটে ৪৪ হাজার ৩০৭ জন, সাউদিয়া ৮০টি ফ্লাইটে ৩২ হাজার ৭৪০ জন ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ৩৪টি ফ্লাইটে ১৩ হাজার ৬৫ জন হজযাত্রী পরিবহন করবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে, শেষ হবে ১০ জুলাই।
কাফি

জাতীয়
৪৮তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, শূন্যপদ ৩০০০

৪৮তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বিশেষ এ বিসিএসে তিন হাজার শূন্যপদে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) দিলাওয়েজ দুরদানার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, বিশেষ এ বিসিএসে দুই হাজার ৭০০ জন সহকারী সার্জন এবং ৩০০ জন সহকারী ডেন্টাল সার্জন নিয়োগ দেওয়া হবে।
পিএসসির জানায়, ৪৮তম বিশেষ বিসিএসে মোট ৩০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে এমসিকিউ (বহুনির্বাচনি) পদ্ধতিতে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে। তাতে যারা উত্তীর্ণ হবেন, তাদের ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা দিতে হবে।
কোনো বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা থাকবে না। ফলে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এ বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে এবং নিয়োগের সুপারিশ করবে পিএসসি।
এদিকে, বিশেষ বিসিএসের জন্য বিধিমালা সংশোধন করে সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তাতে বলা হয়েছে, বিশেষ বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার জন্য সময় থাকবে দুই ঘণ্টা। ২০০ নম্বরের মধ্যে বাংলায় ২০, ইংরেজি ২০, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ২০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ২০, মানসিক দক্ষতা ১০ ও গাণিতিক যুক্তিতে ১০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।
বাকি ১০০ নম্বর থাকবে সংশ্লিষ্ট ক্যাডার ও পদের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক বিষয় থেকে। চিকিৎসক নিয়োগে এক্ষেত্রে মেডিকেল সায়েন্সের বিষয়ে ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি এমসিকিউর জন্য এক নম্বর থাকবে। আর প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ৫০ নম্বর কাটা যাবে।
আবেদন শুরু ১ জুন, পরীক্ষা হবে শুধু ঢাকায়
৪৮তম বিশেষ বিসিএসে অনলাইন আবেদন শুরু হবে আগামী ১ জুন। এদিন সকাল ১০টা থেকে আবেদন ও ফি জমা দেওয়া যাবে। আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ২৫ জুন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অর্থাৎ, ২৮ জুন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ফি জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা।
এদিকে, সাধারণ বিসিএসের পরীক্ষাগুলো সব বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হলেও বিশেষ এ বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে শুধু রাজধানী ঢাকায়। তবে প্রার্থী সংখ্যা ও পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনীয়তা প্রতীয়মান হলে ঢাকার বাইরেও অন্যান্য কেন্দ্রে পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে।
৪৮তম বিশেষ বিসিএসের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
জাতীয়
বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ শ্রমিক নেবে জাপান

জাপানি কোম্পানিগুলো হাজার হাজার দক্ষ শ্রমিক নিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এর ধারাবাহিকতায় আগামী পাঁচ বছরে এক লাখ বাংলাদেশিকে চাকরি দিতে চায় দেশটি।
আজ বৃহস্পতিবার জাপানের টোকিওতে এক সেমিনারে জাপানের ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কো-অপারেটিভসের (এনবিসিসি) চেয়ারম্যান মিকিও কেসাগায়ামা এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ সেমিনার অন হিউম্যান রিসোর্সেস, শীর্ষক এক সেমিনারে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ থেকে জাপানে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এটি আমার জীবনের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ এবং অনুপ্রেরণাদায়ক দিন। এ সুযোগ বাংলাদেশিদের জন্য শুধু কাজের দ্বার নয়, বরং জাপানকে জানারও দ্বার উন্মুক্ত করবে।
সেমিনারে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই সমাবেশ একটি দ্বার খোলার কথা বলছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৮ কোটির বেশি এবং এর অর্ধেকই ২৭ বছরের নিচে। সরকারের কাজ হলো তাদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া।
জাপানের শিজুওকা ওয়ার্কপ্লেস এনভায়রনমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট কো-অপারেটিভের প্রতিনিধি পরিচালক মিৎসুরু মাতসুশিতা বলেন, অনেক জাপানি কোম্পানি এরই মধ্যে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে এবং এ প্রবণতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি প্রতিভার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের দায়িত্ব হলো এ প্রতিভা লালন করা।
এনবিসিসি চেয়ারম্যান মিকিও কেসাগায়ামা স্মরণ করে বলেন, প্রায় ১৪ বছর আগে অধ্যাপক ইউনূস জাপানে এসেছিলেন এবং মাইক্রোক্রেডিটের মাধ্যমে নারীদের সহায়তার গল্প বলেছিলেন। প্রথম তিন দশকে আমরা মানসম্পন্ন শ্রমশক্তি গড়ার চেষ্টা করেছি। আমাদের ফেডারেশন বাংলাদেশ থেকে তরুণ ও সক্ষম শ্রমিকের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা বাংলাদেশের ও জাপানের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে। আগামী পাঁচ বছরে আমরা ১ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক গ্রহণের জন্য প্রস্তুত।
বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে ওয়াতামি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট মিকি ওয়াতানাবে বলেন, তারা বাংলাদেশে একটি স্কুল স্থাপন করেছেন যেখানে প্রতি বছর ১৫০০ শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এখন এই সংখ্যা ৩০০০-এ উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে টেকনিক্যাল শিক্ষা নিয়ে, প্রশিক্ষণ নিয়ে এলে তারা জাপানে কাজের সুযোগ পাবে।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেইনি অ্যান্ড স্কিলড ওয়ার্কার কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (জেআইটিসিও) চেয়ারম্যান হিরোআকি ইয়াগি বাংলাদেশি শ্রমিকদের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে মত বিনিময় করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনো জাপানি ভাষা শিক্ষকের সংখ্যা অপ্রতুল।
জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের (এম এইচএলডব্লিউ) প্রতিমন্ত্রী নিকি হিরোবুমি বলেন, জাপান জনসংখ্যা হ্রাসের মুখোমুখি। তাই বাংলাদেশের শ্রমিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, জাপানের জন্যও আশাপ্রদ হতে পারে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানে শ্রমিকের ঘাটতি ১ কোটি ১০ লাখে পৌঁছাতে পারে। আর বাংলাদেশ এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আরও বেশি দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে পারে।
জাতীয়
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস আজ, বাংলাদেশের প্রশংসা ইইউর

আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস আজ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় এ বছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এদিকে ১৯৮৮ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন উল্লেখ করে তাদের এই ভূমিকার প্রশংসা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) এক বার্তায় এ কথা জানিয়েছে ঢাকাস্থ ইইউ দূতাবাস।
বার্তায় বলা হয়, সংঘাতের অবসান ও প্রাণ রক্ষার এই প্রচেষ্টার স্বীকৃতি জানাই আমরা। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইইউ দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের এই কর্মকাণ্ড আমাদের নিরাপদ রাখে এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৩টি দেশ বা স্থানে ৬৩টি শান্তিরক্ষা মিশন বা কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ। এসব মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ২ লাখ ৫৫৮ জন শান্তিরক্ষী অংশ নিয়েছেন। বর্তমানে ১০টি দেশ বা স্থানে বাংলাদেশের মোট ৫ হাজার ৮১৮ জন শান্তিরক্ষী মোতায়েন রয়েছে। এদের মধ্যে ৪৪৪ জন নারী।
আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন (এএফডির) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ব শান্তিতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা (সেনা, নৌ ও বিমান) শান্তিরক্ষায় অভিযান চালাতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ১৪৪ জন জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদের মধ্যে ১৪১ জনই সেনাবাহিনীর সদস্য।
চলতি বছরের শান্তিরক্ষী দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘শান্তিরক্ষার ভবিষ্যৎ’। এটি দ্রুত পরিবর্তনশীল জটিল বিশ্বে শান্তিরক্ষা অভিযানের বিবর্তিত চরিত্রকে প্রতিফলিত করে।
ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শান্তিরক্ষা মিশনগুলো আধুনিক ও অভিযোজিত করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে জাতিসংঘ।
এবারের আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদযাপনে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ। সকালে শান্তিরক্ষীদের স্মরণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে ‘শান্তিরক্ষী দৌড়/রেলি-২০২৫’ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন। পরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আহত শান্তিরক্ষীদের জন্য সংবর্ধনা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ওপর বিশেষ আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। অন্যদের মধ্যে উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যরা, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী, তিন বাহিনী প্রধানগণ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশের মহাপরিদর্শক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়া, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস’ উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গত জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থান এবং পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অভিজ্ঞ সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের সদস্যগণ সংঘাত প্রতিরোধ, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা, মানবাধিকার নিশ্চিতকরণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। বাংলাদেশ শান্তির সংস্কৃতি, সহনশীলতা এবং মানবিকতার চর্চায় বিশ্বাসী। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের অব্যাহত অংশগ্রহণ বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতীক। আমি আশা করি, ভবিষ্যতেও আমাদের শান্তিরক্ষীরা তাদের পেশাগত দক্ষতা, সাহসিকতা, অনন্য সাধারণ মানবীয় গুণাবলি, আত্মত্যাগ ও নিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে সুপরিচিত করবেন।’
কাফি
জাতীয়
সচিবালয়ে এক ঘণ্টার কর্মবিরতিতে কর্মচারীরা

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেন সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা।
পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সকাল ১০টা থেকে তারা এই কর্মসূচি শুরু করেন। বেলা ১১টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সচিবালয়ের কর্মচারীরা সকাল ১০টা থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের লাইব্রেরির কক্ষে সমবেত হন। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়েও এক জায়গায় জমায়েত হয়ে কর্মবিরতি পালন করেন কর্মচারীরা।
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আজ থেকে প্রতিদিন এক ঘণ্টার কর্মবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম।
ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবীর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জাগো নিউজকে বলেন, ঘোষণা অনুযায়ী কর্মচারীরা সকাল ১০টা থেকে কর্মবিরতি পালন করেছেন। আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের লাইব্রেরিতে সমবেত হয়েছিলাম। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়েও গিয়েছি।
কাফি
জাতীয়
অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনই সরকারের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গত বছর বাংলাদেশে ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিবর্তন এসেছে। এর ফলেই আমাদের সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। এখন আমরা এমন একটি নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছি যা হবে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত “নিক্কেই ফোরাম: ৩০তম এশিয়ার ভবিষ্যৎ” সম্মেলনে মূল বক্তা হিসেবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলের ফুজি রুমে আয়োজিত সম্মেলনে অধ্যাপক ইউনূস বলেন,“বিশ্ব এখন এক অস্থির সময় পার করছে—যেখানে বৈশ্বিক সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং প্রযুক্তিগত সংকট আমাদের ভবিষ্যৎকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। এশিয়াকে এখন শান্তি, সহযোগিতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথ দেখাতে হবে।”
অধ্যাপক ইউনূস তাঁর বক্তব্যে ইউক্রেন, গাজা, মিয়ানমারসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংঘাতের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নেতাদের যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছি এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে বৈশ্বিক শান্তিতে ভূমিকা রাখছি।”
তিনি তাঁর ‘থ্রি জিরো’ ভিশনের কথা তুলে ধরেন—শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য নিট কার্বন নিঃসরণ—এবং বলেন, “মানুষ কষ্টের জন্য জন্মায় না। প্রতিটি মানুষের মধ্যে সীমাহীন সম্ভাবনা আছে। আমাদের দায়িত্ব সেই সম্ভাবনাকে উন্মোচনের সুযোগ করে দেওয়া।”
ড. ইউনূস আরও বলেন, “শুধু লাভের জন্য নয়, সমাজের সমস্যার সমাধানের জন্যও ব্যবসা করতে হবে। এজন্য ‘সোশ্যাল বিজনেস’-এর মতো উদ্যোগ দরকার, যেখানে মানুষের কল্যাণই মুখ্য।”
সম্মেলনে এশিয়ার টেকসই ও মানবিক ভবিষ্যতের জন্য তিনি সাতটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন: আন্তঃনির্ভরশীলতা থেকে সহযোগিতায় রূপান্তর, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা জোরদার, অন্তর্ভুক্তি, ক্ষমতায়ন ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত, মানুষের ওপর বিনিয়োগ বৃদ্ধি, সবুজ পরিবর্তনের পথে অগ্রসর হওয়া, তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা, নৈতিক নেতৃত্ব ও সমবেদনা ভিত্তিক দিকনির্দেশনা প্রদান।
তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “চাকরি খোঁজো না, চাকরি তৈরি করো। শুধু মজুরি নয়, একটি সমস্যার সমাধান তৈরি করো। পরিবর্তনের জন্য এগিয়ে এসো।”