রাজনীতি
কারামুক্ত হলেন জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল

একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম দীর্ঘ ১৩ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের ভিত্তিতে বুধবার (২৮ মে) সকাল সোয়া ৯টার দিকে বাংলাদেশ মেডিকেলের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে। কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক জান্নাত-উল ফরহাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ সময় জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ শীর্ষ নেতারা তাকে স্বাগত জানান। এর পর তিনি শাহবাগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (২৭ মে) একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড থেকে খালাস পান জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম। গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ ও নির্যাতনের ছয় ঘটনায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় এদিন বাতিল করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে এই রায় দেন। ছয় বছরের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আজহারের আপিল শুনে এ রায় দেওয়া হয়। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো মামলায় রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিলে এই প্রথম কেউ খালাস পেলেন।
গত বছরের আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর আজহারুল মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা আপিল করেন। প্রথম দফায় ২০১৯ সালে তার মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছিলেন তৎকালীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। আজহারুলের খালাসের রায় ঘোষণার পরপরই গতকাল দুপুরে আপিল বিভাগ থেকে বিচারপতিদের স্বাক্ষর শেষে সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করা হয়। এরপর বিধি অনুযায়ী তার মুক্তির বিষয়ে আদেশ জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজহারুল ইসলাম রাজধানীর শাহবাগের বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে গত কয়েক মাস ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ২০১২ সালের ২২ আগস্ট মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন জামায়াতে ইসলামীর তখনকার এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল।

রাজনীতি
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের কোনো ছাড় নয়: জামায়াত আমির

দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি, সিদ্ধান্ত ও শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করলে সংগঠন তার কোনো দায় নেবে না বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না—ব্যক্তি তিনি যেই হোন না কেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ফেসবুকে এক বার্তায় জামায়াতের আমির দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি এ সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন।
বার্তায় তিনি বলেন, সবাইকে দলীয় শৃঙ্খলা, সিদ্ধান্ত ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য বজায় রেখে কাজ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এর কোনো ভিন্নতা যেখানেই ঘটুক, সংগঠন অবশ্যই সিদ্ধান্ত নেবে।
কাফি
রাজনীতি
এনসিপি নেতাদের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বৈঠক

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারার সঙ্গে বুধবার বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
ব্রিটিশ হাইকমিশন জানিয়েছে, বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের অব্যাহত সমর্থন, একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার বিষয় নিয়ে এই বৈঠক হয়েছে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনের সম্পৃক্ততার বৃহত্তর উদ্যোগের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই বৈঠক হয়েছে।
যুক্তরাজ্য ধারাবাহিকভাবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রচার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
রাজনীতি
ক্ষমতায় গেলে পরিবারের নারীপ্রধানকে ফ্যামিলি কার্ড দেবে বিএনপি

পরিবারে নারীর আর্থিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিতে প্রতিটি পরিবারের নারীপ্রধানকে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ কার্ডের মাধ্যমে পরিবারগুলোকে মাসিকভাবে রাষ্ট্রীয় সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২৮ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পরিবারের নারীপ্রধানকে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ দেওয়া হবে। প্রতিমাসে তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এতে পরিবারগুলো কিছুটা হলেও স্বাবলম্বী হবে।
তরুণদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, তরুণ জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিয়ে বিএনপি সব কাজ করছে। তরুণদের কর্মপরিকল্পনা বোঝাতে গত এক মাসে বিভাগীয় শহরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন মতাদর্শের তরুণদের নিয়ে সেমিনারও করেছি।
তারেক রহমান বলেন, কৃষকদের জন্য ‘ফার্মার্স কার্ড’ চালু করা হবে। এক ফসলি চাষিদের জন্য থাকবে বিশেষ আর্থিক সহায়তা।
শিক্ষাকে প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানমুখী করার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, বাংলা ও ইংরেজির পাশাপাশি তৃতীয় এবং সম্ভব হলে চতুর্থ ভাষা শিখতে হবে। খেলাধুলাকে শিক্ষার অংশে পরিণত করার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
বিএনপির লক্ষ্য ই-কমার্স ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন, তরুণদের কারিগরি দক্ষতা অর্জনে সুযোগ সৃষ্টি এবং দেশের স্বাস্থ্যসেবাকে প্রযুক্তিনির্ভর করা। তিনি বলেন, এই লক্ষ্যেই এক থেকে তিন বছরের কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
খাল খনন ও বৃক্ষরোপণকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তারেক রহমান। প্রতি পাঁচ বছরে ২৫-৩০ কোটি গাছ লাগানোর উদ্যোগের কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন,উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি শুরু করেছেন জিয়াউর রহমান। আমরা সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। জনগণই বিএনপির মূলভিত্তি।
রাজনীতি
সালাউদ্দিন কাদেরকে স্মরণ করলেন জামায়াত নেতা এটিএম আজহার

সদ্য কারামুক্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম কারামুক্ত হওয়ার পরই স্মরণ করেন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে।
বুধবার (২৮ মে) মুক্ত হয়েই রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত শুকরানা সমাবেশে যোগ দেন তিনি। এসময় বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি শেখ হাসিনার হাতে হত্যার স্বীকার বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে স্মরণ করেন।
এই জামায়াত নেতা বলেন, আমি আমার নেতাদের স্মরণ করছি, যাদের অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে, জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে। আমি শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, কামারুজ্জামান, কাদের মোল্লা, গোলাম আজম ও মীর কাসেম আলী ভাইকে স্মরণ করছি।
তিনি বলেন, আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকেও বিনা চিকিৎসায় ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে। আমি বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকেও স্মরণ করছি। আমি জামায়াতের অন্যান্য নেতা যারা বন্দি অবস্থায় মারা গেছেন তাদের স্মরণ করছি। মাওলানা আবদুস সোবহানকে স্মরণ করছি। আমি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
এটিএম আজহার বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারাই, যেই পর্যায়ে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। না হলে এই খারাপ সংস্কৃতি চালু থাকবে। তাই এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, ভাইয়েরা আমার অপরাধ কী ছিল? আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, এটাই তো আমার অপরাধ? এছাড়া আমার কোনো অপরাধ নেই। আপনাদের দোয়া চাই। আপনাদের কারণে ফাঁসির কাষ্ঠ থেকে রশির বদলে জামায়াত আমিরের কাছ থেকে ফুলের মালা পাচ্ছি। আমার এক ফোটা রক্ত থাকতে আমি যেন আজীবন ইসলামী আন্দোলনের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে পারি, সেই দোয়া চাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, যাদের কারণে আজ আমি মুক্ত হয়েছি সেই ৩৬ জুলাই-আগস্টের বিপ্লবীদের। যাদের আত্মত্যাগ, অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে সরকার পালাতে বাধ্য হয়েছে।
আজহার বলেন, সবচেয়ে ধন্যবাদ জানাবো ছাত্রসমাজকে, এরপর দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে, যারা নারী ও শিশুসহ রাস্তায় নেমেছিলেন। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ভাইদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার মতো নগণ্য ব্যক্তির জন্য যারা রোজা রেখেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।
রাজনীতি
নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছিলাম, পদত্যাগের নাটক নয়: সালাহউদ্দিন আহমেদ

আমরা ডিসেম্বরে নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ চেয়েছিলাম। আমরা কারও পদত্যাগ চাইনি। বাংলাদেশের মানুষ পদত্যাগের নাটক দেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
আজ বুধবার (২৮ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির তিন সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে’ বক্তব্যে এসব কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ।