পুঁজিবাজার
আইন মানছে না সিকদার ইন্স্যুরেন্স, ঘোষণা ছাড়াই পরিচালকদের শেয়ার বিক্রয়

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির এক বছর যেতে না যেতেই আইনের তোয়াক্কা করছে না সিকদার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালকরা। নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিটির মোট শেয়ারের উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সমন্বিত ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা মানছে না কোম্পানিগুলোর পরিচালকরা। সেই সঙ্গে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই শেয়ার বিক্রয় করেছে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির উদ্যোক্তা-পরিচালকরা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার ক্রয় বা বিক্রয়ের জন্য পূর্ব ঘোষণা বাধ্যতামূলক করেছে। তবে এই আইনের তোয়াক্কা না করেই কোনো রকম ঘোষণা ছাড়াই শেয়ার বিক্রয় করেছে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিকদার ইন্স্যুরেন্সের উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা। উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা ২০ টাকা ৫০ পয়সা দরের শেয়ার বিভিন্ন পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা ৪০ পয়সা পর্যন্ত দর বাড়িয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করে দেয়। গোপনে সর্বোচ্চ দামে শেয়ার ধরিয়ে দেওয়ায় বড় ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এমন কান্ডকে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা বলছে বাজার সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৫০ দশমিক ৪০ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের নিকট রয়েছে।
সূত্র জানায়, গত এক মাসের সাধারণ বিমা খাতের কোম্পানি সিকদার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার ধারণে বিশাল পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের অংশের শেয়ার ০৯ দশমিক ৬০ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে, প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের পরিমাণ বেড়েছে। তবে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ারের পরিমাণ কমে যাওয়ার পেছনে কোনো তথ্য নেই দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে। কোনো রকম ঘোষণা ছাড়াই শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের কর্মকান্ডে উদ্বিগ্ন বিনিয়োগকারীরা।
এবিষয়ে জানতে সোমবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় সিকদার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের কোম্পানি সচিব আব্দুর রাজ্জাককে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ডিএসই সূত্র মতে, গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ছিলো ৬০ শতাংশ। আর ৩০ এপ্রিল,২০২৫ তারিখে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫০ দশমিক ৪০ শতাংশে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার কেমেছে ০৯ দশমিক ৬০ শতাংশ।
এছাড়া, ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে কোম্পনিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিলো ২ দশমিক ২১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিলো ৩৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ। আর গত ৩০ এপ্রিল,২০২৫ তারিখে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ দশমিক ১৭ শতাংশে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বেড়েছে ১ দশমিক ২২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বেড়েছে ০৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
এছাড়াও, বীমা আইন ২০১০ এর ২১ ধারা এবং তফসিল (১)(খ) অনুযায়ী বাংলাদেশে নিবন্ধিত নন-লাইফ বীমা কোম্পানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন হবে ৪০ কোটি টাকা। যার ৬০ শতাংশ হবে উদ্যোক্তাদের এবং বাকি ৪০ শতাংশ হবে জনসাধারনের। এ হিসাবে ৪০ কোটির ৬০ শতাংশ বা ২৪ কোটি টাকার মালিকানা হবে উদ্যোক্তাদের। তবে নন-লাইফ বীমা কোম্পানি সিকদার ইন্স্যুরেন্সের উদ্যোক্তা-পরিচালকরা গোপনে শেয়ার বিক্রয় করে দেওয়ায় পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশে তাদের মালিকানা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের মতে, যখন কোনো কোম্পানিতে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ারধারণের পরিমাণ কমে যায়, তখন তাঁরা ওই কোম্পানির ব্যবসায় মনোযোগ দেন না। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ওই কোম্পানির শেয়ার কিনে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তবে ন্যূনতম শেয়ার যদি উদ্যোক্তা এবং পরিচালকেরা কেনেন বা তাঁদের হাতে থাকে, তাহলে এটি বড় একটি ফান্ড রিলিজ করবে। এটি পুঁজিবাজারে চলমান তারল্য সংকট কমাতে সহায়তা করতে পারে।
উল্লেখ্য, বিএসইসির ৮৮২তম সভায় সিকদার ইন্স্যুরেন্সের আইপিও (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) অনুমোদন দেওয়া হয়। কোম্পানির প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে ১ কোটি ৬০ লাখ শেয়ার ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে ১৬ কোটি উত্তোলনের অনুমোদন পায়। এর আগে গত ২৬ এপ্রিল বিএসইসি কোম্পানির ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো বা সিআইবি প্রতিবেদন পরিচ্ছন্ন না পাওয়ায় আইপিওর আবেদন বাতিল করেছিল। আর গত বছরের (২০২৪) ২৪ জানুয়ারি উভয় পুঁজিবাজারে কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
বিনিয়োগকারী সহায়তা তহবিলের আকার বৃদ্ধিসহ বিএমবিএ’র ৯ দাবি

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর কাছে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী সহায়তা তহবিলের আকার ৩ হাজার কোটি টাকায় উন্নীতকরণসহ ৯ দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।
মঙ্গলবার (২৭ মে) রাজধানীর আগাঁরগাওয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর আমন্ত্রণে তার সাথে আলোচনায় বিএমবিএর পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সাক্ষাতে বিএমবিএ প্রতিনিধিগণ অন্যান্য বিষয়ের সাথে নিম্নোক্ত বিষয়ে তাদের মতামত ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেন:
১. দীর্ঘ মেয়াদে অর্থায়নের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারকে অগ্রাধিকার প্রদানে সরকারের কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ;
২. আইপিও রুলস যুক্তিসঙ্গত পরিবর্তনের মাধ্যমে আর্ন্তজাতিক মানে উন্নীতকরণ;
৩. পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন ধরে চলমান নেগেটিভ ইক্যুইটি সমস্যার সমাধানে সরকারি নীতিগত সহায়তা;
৪. তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করহারের ব্যবধান বৃদ্ধি করা;
৫. মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ;
৬. লভ্যাংশের উপর দ্বৈত কর প্রত্যাহার ও চূড়ান্ত কর নির্ধারণে অগ্রিম কর্তনকৃত কর সমন্বয়ের সুযোগ রাখা;
৭. বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় মার্জিন ঋণ ব্যবস্থার পরিবর্তন আনা;
৮. সরকারি/বহুজাতিক ভালো কোম্পানীসমূহকে তালিকাভুক্তিকরণে নীতিগত সহায়তা;
৯. ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী সহায়তা তহবিলের আকার ৩০০০ (তিন হাজার) কোটি টাকায় উন্নীতকরণ ও ঋণ পরিশোধের সময় ২০৩২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধিকরণ;
এসময় ড. আনিছুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পুঁজিবাজার অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। পুঁজিবাজার এর উন্নয়নে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। প্রধান উপদেষ্টার গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উদ্যোগগুলোর মধ্যে পুঁজিবাজার উন্নয়ন একটি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত। শক্তিশালী পুঁজিবাজার গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মার্চেন্ট ব্যাংকের ভূমিকা গুরুত্বর্পূণ। সরকার মার্চেন্ট ব্যাংকের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় প্রাসঙ্গিক নীতিগত সহায়তা প্রদানে ইতিবাচক। পুঁজিবাজার উন্নয়নের লক্ষ্যে বিএমবিএ কর্তৃক উত্থাপিত প্রস্তাবসমূহ বিবেচনার জন্য গ্রহণ করেন। পরিশেষে, সার্বিকভাবে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ন্যূনতম শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানিতে স্বতন্ত্র পরিচালক বসাবে বিএসইসি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘জেড’ ক্যাটাগরির ও উদ্যোক্তা-পরিচালকদের ন্যূনতম শেয়ার ধারণের ব্যর্থ কোম্পানিতে স্বতন্ত্র পরিচালক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৫৬তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও, সভায় আরও বেশকিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি এবং যেসকল কোম্পানিতে উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারনে ব্যর্থ, সেসব কোম্পানিতে ‘কর্পোরেট গভার্নেন্স কোড, ২০১৮’ পরিপালন করে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।
সিএসইর কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর অনুমোদন দিলো বিএসইসি
দেশের প্রথম কমোডিটি এক্সচেঞ্জ হিসেবে নিবন্ধন সনদ পাওয়া চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রস্তাবিত চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কমোডিটি ডেরিভেটিভ রেগুলেশন, ২০২৫ প্রবিধানমালা অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে কমোডিটি মার্কেট অপারেশন চালু করতে পারবে সিএসই।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিশন সভায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কমোডিটি ডেরিভেটিভ রেগুলেশন, ২০২৫ প্রবিধানমালা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রবিধানমালাটি অনুমোদনের ফলে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কমোডিটি মার্কেট অপারেশন চালু করতে পারবে। ফলশ্রুতিতে দেশের পুঁজিবাজারে কমোডিটি ডেরিভেটিভ পণ্য লেনদেন শুরু হবে বলে আশা করা যায়। যা পুঁজিবাজারের বৈচিত্রায়নকে অধিকতর ত্বরান্বিত করবে।
কমোডিটি মার্কেট অপারেশন চালুর মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজার ডেরিভেটিভ পণ্যের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে যা নিঃসন্দেহে দেশের পুঁজিবাজারের জন্য একটি অনন্য মাইলফলক বলে মনে করে বিএসইসি।
সিসিএ’র সুদের ২৫ শতাংশ অর্থ যাবে ইনভেস্টরস প্রটেকশন ফান্ডে
সমন্বিত গ্রাহক হিসাব (সিসিএ) থেকে অর্জিত সুদ আয়ের ২৫ শতাংশ ‘স্টক এক্সচেঞ্জ ইনভেস্টরস প্রটেকশন ফান্ডে’ জমা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী স্বার্থ সুরক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় সমন্বিত গ্রাহক হিসাব (সিসিএ) হতে অর্জিত সুদ আয়ের ২৫ শতাংশ স্টক এক্সচেঞ্জের ইনভেস্টরস প্রটেকশন ফান্ডে জমা দিয়ে বাকি অর্থ ব্রোকাররা ব্যবহার করতে পারবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
পুঁজিবাজারের ব্রোকারেজ হাউজগুলো বিনিয়োগকারীদের অর্থ সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে রেখে পরিচালনা করে। এই হিসাবে থাকা অব্যবহৃত বা বিনিয়োগ না হওয়া টাকার উপর ব্যাংক সুদ দিয়ে থাকে। এতদিন পর্যন্ত এই সুদ আয় পুরোপুরি ব্রোকাররা নিয়ে নিত। এখন সেই সুদ আয়ের ২৫ শতাংশ স্টক এক্সচেঞ্জের ইনভেস্টরস প্রটেকশন ফান্ডে জমা দিতে হবে। বাকি ৭৫ শতাংশ ব্রোকারদের কাছে থাকবে।
জিপিএইচ ইস্পাতের রাইট শেয়ার ইস্যুর আবেদন বাতিল
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের রাইট শেয়ার ইস্যুর আবেদন বাতিল করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোম্পানির পক্ষ থেকে জমা দেওয়া কাগজপত্রে সন্তুষ্ঠ হতে পারেনি কমিশন। ফলে তাদের রাইট সংক্রান্ত আবেদনটি বাতিল করা হয়।
কোম্পানিটি ১ অনুপাত ৩ হারে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সাথে ৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ রাইটস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে বাজার থেকে ২৪১ কোটি ৯৪ লাখ ১৭ হাজার ২৭৫ টাকা নিতে চেয়েছিলো। এর মাধ্যমে নতুন করে বাজার আরও নতুন ১৬ কোটি ১২ লাখ ৯৪ হাজার ৪৮৫ টি সাধারণ শেয়ার আসতো।
বার্জার পেইন্টসের রাইট শেয়ার অনুমোদন
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডকে রাইট শেয়ার ইস্যুর আবেদন অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ অনুপাত ১ হারে ১ হাজার ১০০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ২৭ লাখ ২৮ হাজার ১১১টি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে (উদ্যোক্তা, পরিচালক ও ৫ শতাংশ বা তার অধিক শেয়ারধারকগণ কর্তৃক রাইটস শেয়ার পরিত্যাগ করার পর) মোট ৩০২ কোটি ৮২ লাখ ৩ হাজার ২১০ টাকা মূলধন সংগ্রহ করবে।
বার্জার পেইন্টস রাইটস শেয়ার ইস্যু থেকে সংগৃহীত অর্থ ন্যাশনাল স্পেশাল ইকোনোমিক জোনে তৃতীয় কারখানা স্থাপন ও রাইট ইস্যু সংক্রান্ত খরচ মেটানোর জন্য ব্যবহার করবে। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করছে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।
বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি কমিয়ে ১৫০ টাকা করার সিদ্ধান্ত
পুঁজিবাজারে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স বা বিও একাউন্ট খুলতে মেইনটেইন্যান্স ফি ৪৫০ থেকে কমিয়ে ১৫০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলো হয়, বিও হিসাবের মেইনটেইন্যান্স ফি ৪৫০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৫০ টাকা করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনী প্রক্রিয়া শুরু করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পাবলিক ইস্যু ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সুপারিশের আইনি প্রক্রিয়া শুরু
মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালা এবং পাবলিক ইস্যু রুলস এর বিষয়ে পেশকৃত চূড়ান্ত সুপারিশমালার আইনী প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়টি অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বাজারের সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক গঠিত ‘পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স’ কর্তৃক সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ড) বিধিমালা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস এর বিষয়ে পেশকৃত চূড়ান্ত সুপারিশমালার আইনী প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়টি অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী দুটি সংস্কারের আইনী প্রক্রিয়া শুরু হলো। ফলশ্রুতিতে মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং আইপিও অনুমোদন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি পাবে এবং সর্বোপরি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে। এই সংস্কারের ফলে আগামীতে ভালো ও মৌল ভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিসমূহ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত হবে এবং দেশের মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পাবলিক ইস্যু ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সুপারিশের আইনি প্রক্রিয়া শুরু

মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালা এবং পাবলিক ইস্যু রুলস এর বিষয়ে পেশকৃত চূড়ান্ত সুপারিশমালার আইনী প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়টি অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৫৬তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বাজারের সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক গঠিত ‘পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স’ কর্তৃক সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ড) বিধিমালা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস এর বিষয়ে পেশকৃত চূড়ান্ত সুপারিশমালার আইনী প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়টি অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী দুটি সংস্কারের আইনী প্রক্রিয়া শুরু হলো। ফলশ্রুতিতে মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং আইপিও অনুমোদন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি পাবে এবং সর্বোপরি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে। এই সংস্কারের ফলে আগামীতে ভালো ও মৌল ভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিসমূহ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত হবে এবং দেশের মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি কমিয়ে ১৫০ টাকা করার সিদ্ধান্ত

পুঁজিবাজারে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স বা বিও একাউন্ট খুলতে মেইনটেইন্যান্স ফি ৪৫০ থেকে কমিয়ে ১৫০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৫৬তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলো হয়, বিও হিসাবের মেইনটেইন্যান্স ফি ৪৫০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৫০ টাকা করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনী প্রক্রিয়া শুরু করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বার্জার পেইন্টসের রাইট শেয়ার অনুমোদন

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডকে রাইট শেয়ার ইস্যুর আবেদন অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৫৬তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ অনুপাত ১ হারে ১ হাজার ১০০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ২৭ লাখ ২৮ হাজার ১১১টি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে (উদ্যোক্তা, পরিচালক ও ৫ শতাংশ বা তার অধিক শেয়ারধারকগণ কর্তৃক রাইটস শেয়ার পরিত্যাগ করার পর) মোট ৩০২ কোটি ৮২ লাখ ৩ হাজার ২১০ টাকা মূলধন সংগ্রহ করবে।
বার্জার পেইন্টস রাইটস শেয়ার ইস্যু থেকে সংগৃহীত অর্থ ন্যাশনাল স্পেশাল ইকোনোমিক জোনে তৃতীয় কারখানা স্থাপন ও রাইট ইস্যু সংক্রান্ত খরচ মেটানোর জন্য ব্যবহার করবে। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করছে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।
এসএম