পুঁজিবাজার
কোনো গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি থাকবে না পুঁজিবাজার: শফিকুল আলম
দেশের পুঁজিবাজার কোনো গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি থাকবে না উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, কোনো গোষ্ঠী যেন মনে না করেন যে, এখান থেকে আমি আমার মতো করে টাকা বানাব। বছরের পর বছর হয়েছে, আমরা দেখেছি, আমাদের আশেপাশে যারাই একটু শেয়ারমার্কেটে ইনফ্লুয়েনশিয়াল পিপলের আশেপাশে ছিলেন, তারা সবাই কোটিপতি হয়ে গেছেন। সেই জায়গাটা যাতে না হয়, অর্ডিনারি শেয়ারহোল্ডারের জন্য ইন্টারেস্টটা প্রটেক্ট হয়।
রোববার (২৫ মে) পুঁজিবাজার নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত সিএমজেএফ টকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব কথা বলেন। সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ডাকাতদের আড্ডা হয়ে গেছে। এখানে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা কেবল প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন, পুঁজি হারিয়েছেন। অতীতে যাঁরাই পুঁজিবাজারের সংস্কারে দায়িত্ব নিয়েছেন, তাঁরাই বিভিন্ন গোষ্ঠীর তাবেদারি করেছে বলে জানান শফিকুল আলম। তিনি বলেন, একটা বড় বিষয় হচ্ছে যে, ঐতিহাসিকভাবে বিএসইসিতে বা বাংলাদেশের ক্যাপিটাল মার্কেটের যে সংস্কারগুলো যারা করেছেন, তারা সবাই গোষ্ঠী স্বার্থের দিকে তাকিয়েছিলেন। এই গোষ্ঠীটা একটা পারপাস সার্ভ করছে, ওই গোষ্ঠীর প্রতিপক্ষ এসে আরেকটা পারপাস সার্ভ করেছে। ফলে দেখা গেছে যে, যারা বড় বড় প্লেয়ার, তারা সবসময় বেনিফিটেড হয়েছেন। জেনারেল, যারা খুব ছোট ট্রেডার, যারা সেভারস, বলা যায় শেয়ার মার্কেটে শেয়ার কিনে সেভিং করছেন, তারা সবসময় বেশিরভাগ সময় বেনিফিটেড হন নাই বা চিটেড হয়েছেন। ম্যানিপুলেশনের শিকার হয়েছেন।
পুঁজিবাজার নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের বিষয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই মিটিংয়ে এই ধরনের কথা, মানে এই ডিসকাশনটা খুবই জোরালোভাবে এসেছে যে, আসলে আমরা কেন ব্যবস্থা নিতে পারছি না। এটার কারণ হচ্ছে, পুরো শেয়ার মার্কেটটা হয়ে গেছে ডাকাতদের আড্ডা। পুঁজিবাজারে এই ডাকাত গেলে আরেকটা ডাকাত আসতেছে।
শফিকুল আলম বলেন, পুঁজিবাজার সংস্কারের জন্য আপনি যাকে নিয়ে আসতেছেন, সে আরেকটা ডাকাত। তো এই জায়গাতে রিফর্মের জায়গা প্রফেসর ইউনূস বলছেন, এখানে খুব স্ট্রং এবং খুব গভীর রিফর্ম করতে হবে। এই রিফর্মটা যে করবে, তারা হচ্ছে এই গোষ্ঠী স্বার্থের অনেক দূরের লোক। তারাই এসে করবে। তারা নির্মহভাবে রিফর্ম করবে। পুরো বিশ্বেই শেয়ার মার্কেটের খুব গভীর রিফর্ম হয়। ভালো জায়গায় যায়। কিন্তু তো বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে যে, যারা রিফর্ম করতে চান, তারা আসলে আরেকটা ধান্দাবাজ গ্রুপ।
তিনি যোগ করেন, এই জন্য প্রফেসর ইউনূস গত মিটিংয়ে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন যে, সেট অফ ফরেন এক্সপার্ট, যারা শেয়ার মার্কেট কীভাবে গ্লোবালি রিফর্ম করা যায়, গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডে আনা যায়, সেটাই যেন খুব দ্রুত হয়, তাদেরকে নিয়ে আসা হয়। এটার জন্য একটা তিন মাসের টাইমলাইন দেওয়া হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে তারা এসে শেয়ার মার্কেটের কী কী করণীয়, সেটা তারা বলবেন এবং সে অনুযায়ী খুব দ্রুত অ্যাকশন নেওয়া হবে।
ব্যাংকিং খাতকে গহ্বর থেকে টেনে তোলা হচ্ছে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থা একদম দুর্বল ছিল। স্যার (ড. ইউনূস) বলেন যে, ব্যাংকিংয়ের অবস্থা ভূমিকম্পের মতো। সবকিছু লন্ডভন্ড অবস্থা। সেইখান থেকে আমরা ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে একটা গহ্বর থেকে তুলে এনে পাহাড়ে উঠানোর চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ হলো কারেন্সি ফ্লোট করা হয়েছে। কিন্তু টাকার অবমূল্যায়ন হয়নি। এটার নির্দেশ করে যে, সংস্কার ভালো সংকেত দিচ্ছে।
সরকারের মেয়াদ শেষ হলে বিদেশি বিনিয়োগে প্রবৃদ্ধি হবে জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, এটার দুইটা কারণ আছে। একটা হচ্ছে, আমরা চিটাগাং পোর্টের আমরা ডিপ রিফর্ম করতে চাচ্ছি। চিটাগাং পোর্টটাকে আমরা চাচ্ছি যাতে ওয়ার্ল্ডের সবচাইতে বড় বড় কোম্পানিগুলো যাতে চিটাগাং পোর্টকে ম্যানেজ করতে পারে। আমরা চিটাগং টার্মিনাল কাউকে দিচ্ছি না। চিটাগাং টার্মিনাল যাতে তারা ইনভেস্ট করেন, ম্যানেজ করেন। এখন পর্যন্ত আমরা তাদের কাছ রেসপন্স পেয়েছি যে, তারা তিন বিলিয়ন ডলারের মতো ইনভেস্ট করবে। এবং এই চিটাগং পোর্টে যদি এফিশিয়েন্সি লেভেল দ্রুত যদি এগিয়ে নিতে পারি, সেটার একটা মাল্টিপ্লায়ার এফেক্ট হবে পুরো বাংলাদেশের ইকোনমিতে।
তিনি আরও বলেন, পুরো ওয়ার্ল্ডের এখন ট্রেডের যে একটা প্রটেকশনিজম চলছে গ্লোবাল ট্রেডে, সেই জায়গায় আমরা একটা বেনিফিটের জায়গায় আছি। আমরা খুব দ্রুত এটা থেকে বেনিফিট পেতে পারি। কী রকম? যেমন ধরেন, আপনারা বড় বড় দেশ একে অপরের বিপরীতে ট্যারিফ ইম্পোজ করছে। এই ট্যারিফ ইম্পোজ করার কারণে যেই ফ্যাক্টরিগুলো হচ্ছে লো কস্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাক্টরি, তারা আসলে খুঁজছে যে, তারা কোন দেশে গেলে তাদের এই ধরনের ট্যারিফ ফেস করতে হবে না। কোন দেশে গেলে লেবারটা লো কস্টে করতে পারবে। তো বাংলাদেশের চেয়ে বেটার ডেস্টিনেশন পুরো বিশ্বে এখন নাই। তো সেই আলোকেই আমাদের চিফ এডভাইজার চাচ্ছিলেন বাংলাদেশকে একটা ম্যানুফ্যাকচারিং হাব তৈরি করা।
তিনি যোগ করেন, ম্যানুফ্যাকচারিং হাব তৈরি করার মূল শর্ত হচ্ছে পোর্টকে এফিশিয়েন্ট করতে হবে। পোটের এফিশিয়েন্সি অন্যমাত্রায় নিতে হবে। তো এই অন্য মাত্রায় নেওয়ার টেকনোলজি আমাদের নাই। ওই ম্যানেজমেন্ট স্কিলটাও আমাদের তৈরি হয়নি। এটার জন্য আমরা বিদেশের সবচেয়ে বড় বড় কোম্পানির সাথে কথা বলছি। দুবাই পোর্ট ডিপি ওয়ার্ল্ডের সাথে কথা বলছি। এপি মূলার মার্কসের সাথে কথা বলছি এবং সিঙ্গাপুরের পোর্ট অফ সিঙ্গাপুর অথরিটির সাথে কথা বলছি। এর ফলে যেটা হবে, আমরা ওরা যদি ম্যানেজ করেন, তাহলে আমাদের পোর্ট এফিশিয়েন্সি বাড়বে। আর পোর্ট এফিশিয়েন্সির দিকে তাকিয়ে থাকে ওয়ার্ল্ডের বড় বড় কোম্পানিগুলো যারা ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে ইনভেস্ট করে, তারা তখন চিন্তা করবে যে, ওকে দিস ইজ হাই টাইম টু ইনভেস্ট ইন বাংলাদেশ।
বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে পারলে পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, এফডিআই আমরা যদি ঠিক করতে পারি, প্রচুর আনতে পারি, আর সামষ্টিক অর্থনীতি ঠিক থাকে, তাহলে আমরা মনে করছি যে এটার প্রভাব ক্যাপিটাল মার্কেটে পড়বে। ক্যাপিটাল মার্কেট গ্রো করতে বাধ্য।
তিনি বলেন, আরেকটা বিষয় হচ্ছে যে ইনফ্লেশনকে কমানো। এটা আমাদের একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা ইন্টারেস্ট রেটকে হাই করে করতে করতে এখন বোধহয় ১০ শতাংশের বেশি, ওটা করার পরে আমরা দেখছি যে, ইনফ্লেশন কমা শুরু হয়েছে। আমাদের আশা, যেটা আমাদের সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, এই বছরের শেষে মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশেরে নিচে আনবে।
তিনি বলেন, এফডিআই আসা শুরু হয়েছে। জুনে আপনি দেখবেন যে, চায়না থেকে আসছেন একজন কমার্স মিনিস্টারের নেতৃত্ব ১৫০ জনের মতো চাইনিজ ইনভেস্টর। চাইনিজরা যদি বাংলাদেশে আসেন, আমরা যেই জব গ্রোথটা চাচ্ছি, এটা খুব দ্রুত হবে।
এনবিআর দুই ভাগ করাটা সরকারের অগ্রাধিকার ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ট্যাক্স কালেকশনটা সবসময় কম ছিল। এটার কারণ আমরা প্রচুর ট্যাক্স এক্সেমশন দিয়েছি এবং ট্যাক্স কালেকশনের যে সিস্টেমটা, খুব ইনিফিশিয়েন্ট ছিল। সরকার এই জায়গাটায় খুব ফোকাস দিয়েছেন। সেই আলোকেই কিন্তু এনবিআরকে দুভাগ করা হয়েছে। এটার ফলে যেটা হয়েছে যে আমরা মনে করি যে ট্যাক্স কালেকশন বাড়বে।
কাফি

পুঁজিবাজার
ইয়াকিন পলিমারের দর কমেছে ৮ শতাংশ

বিদায়ী সপ্তাহে (০৭ জুলাই-১০ জুলাই) প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর পতনের শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর কমেছে ইয়াকিন পলিমারের। সপ্তাহজুড়ে ইয়াকিন পলিমারের দর কমেছে ৮ দশমিক ০৫ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১৪ টাকা ৯০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৭০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ১ টাকা ২০ পয়সা।
সপ্তাহের পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শেফার্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১৯ টাকা ১০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ২০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ৯০ পয়সা বা ৪.৭১ শতাংশ।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ৩.৩০ শতাংশ পতন নিয়ে অবস্থান করছে সিএপিএমআইবিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ৯ টাকা ১০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৮০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৩০ পয়সা।
এছাড়া, সাপ্তাহিক পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে গ্লোবাল হেভির ২.৮৭ শতাংশ, আইসিবি অগ্রণী-১ ফান্ডের ২.৮২ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ২.৭৮ শতাংশ, নিউলাইন টেক্সটাইলের ২.৬৭ শতাংশ, আইবিবিএল বন্ডের ২.৫৯ শতাংশ এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের ২.৫৮ শতাংশ।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে রহিম টেক্সটাইল

বিদায়ী সপ্তাহে (০৭ জুলাই-১০ জুলাই) প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে রহিম টেক্সটাইল মিলস পিএলসির।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে রহিম টেক্সটাইলের দর বেড়েছে ৩৭.৫৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১১২ টাকা ১০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ১৫৪ টাকা ২০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৪০ টাকা ১০ পয়সা।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রিজেন্ট টেক্সটাইল। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ৩ টাকা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ১০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর বেড়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা বা ৩৬.৬৭ শতাংশ।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ২২.০১ শতাংশ দর বৃদ্ধি নিয়ে অবস্থান করছে রহিমা ফুড। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৮৩ টাকা ৬০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ১০২ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১৮ টাকা ৪০ পয়সা।
এছাড়া, সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে শার্প ইন্ডাষ্টিজের ২০.৩৭ শতাংশ, ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৭,৬৫ শতাংশ, তমিজ উদ্দিন টেক্সটাইলের ১৭.১৭ শতাংশ, জিকিউ বলপেনের ১৭.০১ শতাংশ, অ্যাপেক্স স্পিনিংয়ের ১৫.৯৮ শতাংশ, ফারইস্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের এবং জেমিনি সী ফুডের ১৪.৬১ শতাংশ।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ব্র্যাক ব্যাংক

বিদায়ী সপ্তাহে (০৭ জুলাই-১০ জুলাই) প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ব্র্যাক ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকার। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪.৪৯ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ছিল মিডল্যান্ড ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৪৯ শতাংশ।
লেনদেনের তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বিচ হ্যাচারি। সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে কোম্পানিটির ১৪ কোটি ০২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.২১ শতাংশ।
এছাড়া, সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে সী পার্ল রিসোর্টের ১২ কোটি ৬২ লাখ টাকা, লাভেলো আইসক্রীমের ১২ কোটি ১০ লাখ টাকা, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ১০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, বিএসসির ১০ কোটি ৬১ লাখ টাকা, অগ্নি সিস্টেমের ৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, সিটি ব্যাংকের ৯ ৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা এবং অরিয়ন ইনফিউশনের ৯ কোটি ১০ লাখ টাকার।
কাফি
পুঁজিবাজার
ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়লো সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে চলতি লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা বেশি।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সমাপ্ত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৬১ শতাংশ।
বিদায়ী সপ্তাহে বেড়েছে ডিএসইর সব কয়টি সূচকও। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৭৩ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ৭২ দশমিক ৫০ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
সূচকের উত্থানের পাশাপশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫৪৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৪৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ৬০০ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ১৫০ কোটি ৭ লাখ টাকা বা ৩০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬৩৬ কোটি ২১ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৪৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩২৪টি কোম্পানির, কমেছে ৩৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম
পুঁজিবাজার
উত্তরা ব্যাংকের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি উত্তরা ব্যাংক পিএলসি পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ১৬ জুলাই বিকাল ৩টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সভায় ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
এসএম