পুঁজিবাজার
কোনো গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি থাকবে না পুঁজিবাজার: শফিকুল আলম
দেশের পুঁজিবাজার কোনো গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি থাকবে না উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, কোনো গোষ্ঠী যেন মনে না করেন যে, এখান থেকে আমি আমার মতো করে টাকা বানাব। বছরের পর বছর হয়েছে, আমরা দেখেছি, আমাদের আশেপাশে যারাই একটু শেয়ারমার্কেটে ইনফ্লুয়েনশিয়াল পিপলের আশেপাশে ছিলেন, তারা সবাই কোটিপতি হয়ে গেছেন। সেই জায়গাটা যাতে না হয়, অর্ডিনারি শেয়ারহোল্ডারের জন্য ইন্টারেস্টটা প্রটেক্ট হয়।
রোববার (২৫ মে) পুঁজিবাজার নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত সিএমজেএফ টকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব কথা বলেন। সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ডাকাতদের আড্ডা হয়ে গেছে। এখানে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা কেবল প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন, পুঁজি হারিয়েছেন। অতীতে যাঁরাই পুঁজিবাজারের সংস্কারে দায়িত্ব নিয়েছেন, তাঁরাই বিভিন্ন গোষ্ঠীর তাবেদারি করেছে বলে জানান শফিকুল আলম। তিনি বলেন, একটা বড় বিষয় হচ্ছে যে, ঐতিহাসিকভাবে বিএসইসিতে বা বাংলাদেশের ক্যাপিটাল মার্কেটের যে সংস্কারগুলো যারা করেছেন, তারা সবাই গোষ্ঠী স্বার্থের দিকে তাকিয়েছিলেন। এই গোষ্ঠীটা একটা পারপাস সার্ভ করছে, ওই গোষ্ঠীর প্রতিপক্ষ এসে আরেকটা পারপাস সার্ভ করেছে। ফলে দেখা গেছে যে, যারা বড় বড় প্লেয়ার, তারা সবসময় বেনিফিটেড হয়েছেন। জেনারেল, যারা খুব ছোট ট্রেডার, যারা সেভারস, বলা যায় শেয়ার মার্কেটে শেয়ার কিনে সেভিং করছেন, তারা সবসময় বেশিরভাগ সময় বেনিফিটেড হন নাই বা চিটেড হয়েছেন। ম্যানিপুলেশনের শিকার হয়েছেন।
পুঁজিবাজার নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের বিষয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই মিটিংয়ে এই ধরনের কথা, মানে এই ডিসকাশনটা খুবই জোরালোভাবে এসেছে যে, আসলে আমরা কেন ব্যবস্থা নিতে পারছি না। এটার কারণ হচ্ছে, পুরো শেয়ার মার্কেটটা হয়ে গেছে ডাকাতদের আড্ডা। পুঁজিবাজারে এই ডাকাত গেলে আরেকটা ডাকাত আসতেছে।
শফিকুল আলম বলেন, পুঁজিবাজার সংস্কারের জন্য আপনি যাকে নিয়ে আসতেছেন, সে আরেকটা ডাকাত। তো এই জায়গাতে রিফর্মের জায়গা প্রফেসর ইউনূস বলছেন, এখানে খুব স্ট্রং এবং খুব গভীর রিফর্ম করতে হবে। এই রিফর্মটা যে করবে, তারা হচ্ছে এই গোষ্ঠী স্বার্থের অনেক দূরের লোক। তারাই এসে করবে। তারা নির্মহভাবে রিফর্ম করবে। পুরো বিশ্বেই শেয়ার মার্কেটের খুব গভীর রিফর্ম হয়। ভালো জায়গায় যায়। কিন্তু তো বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে যে, যারা রিফর্ম করতে চান, তারা আসলে আরেকটা ধান্দাবাজ গ্রুপ।
তিনি যোগ করেন, এই জন্য প্রফেসর ইউনূস গত মিটিংয়ে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন যে, সেট অফ ফরেন এক্সপার্ট, যারা শেয়ার মার্কেট কীভাবে গ্লোবালি রিফর্ম করা যায়, গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডে আনা যায়, সেটাই যেন খুব দ্রুত হয়, তাদেরকে নিয়ে আসা হয়। এটার জন্য একটা তিন মাসের টাইমলাইন দেওয়া হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে তারা এসে শেয়ার মার্কেটের কী কী করণীয়, সেটা তারা বলবেন এবং সে অনুযায়ী খুব দ্রুত অ্যাকশন নেওয়া হবে।
ব্যাংকিং খাতকে গহ্বর থেকে টেনে তোলা হচ্ছে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থা একদম দুর্বল ছিল। স্যার (ড. ইউনূস) বলেন যে, ব্যাংকিংয়ের অবস্থা ভূমিকম্পের মতো। সবকিছু লন্ডভন্ড অবস্থা। সেইখান থেকে আমরা ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে একটা গহ্বর থেকে তুলে এনে পাহাড়ে উঠানোর চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ হলো কারেন্সি ফ্লোট করা হয়েছে। কিন্তু টাকার অবমূল্যায়ন হয়নি। এটার নির্দেশ করে যে, সংস্কার ভালো সংকেত দিচ্ছে।
সরকারের মেয়াদ শেষ হলে বিদেশি বিনিয়োগে প্রবৃদ্ধি হবে জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, এটার দুইটা কারণ আছে। একটা হচ্ছে, আমরা চিটাগাং পোর্টের আমরা ডিপ রিফর্ম করতে চাচ্ছি। চিটাগাং পোর্টটাকে আমরা চাচ্ছি যাতে ওয়ার্ল্ডের সবচাইতে বড় বড় কোম্পানিগুলো যাতে চিটাগাং পোর্টকে ম্যানেজ করতে পারে। আমরা চিটাগং টার্মিনাল কাউকে দিচ্ছি না। চিটাগাং টার্মিনাল যাতে তারা ইনভেস্ট করেন, ম্যানেজ করেন। এখন পর্যন্ত আমরা তাদের কাছ রেসপন্স পেয়েছি যে, তারা তিন বিলিয়ন ডলারের মতো ইনভেস্ট করবে। এবং এই চিটাগং পোর্টে যদি এফিশিয়েন্সি লেভেল দ্রুত যদি এগিয়ে নিতে পারি, সেটার একটা মাল্টিপ্লায়ার এফেক্ট হবে পুরো বাংলাদেশের ইকোনমিতে।
তিনি আরও বলেন, পুরো ওয়ার্ল্ডের এখন ট্রেডের যে একটা প্রটেকশনিজম চলছে গ্লোবাল ট্রেডে, সেই জায়গায় আমরা একটা বেনিফিটের জায়গায় আছি। আমরা খুব দ্রুত এটা থেকে বেনিফিট পেতে পারি। কী রকম? যেমন ধরেন, আপনারা বড় বড় দেশ একে অপরের বিপরীতে ট্যারিফ ইম্পোজ করছে। এই ট্যারিফ ইম্পোজ করার কারণে যেই ফ্যাক্টরিগুলো হচ্ছে লো কস্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাক্টরি, তারা আসলে খুঁজছে যে, তারা কোন দেশে গেলে তাদের এই ধরনের ট্যারিফ ফেস করতে হবে না। কোন দেশে গেলে লেবারটা লো কস্টে করতে পারবে। তো বাংলাদেশের চেয়ে বেটার ডেস্টিনেশন পুরো বিশ্বে এখন নাই। তো সেই আলোকেই আমাদের চিফ এডভাইজার চাচ্ছিলেন বাংলাদেশকে একটা ম্যানুফ্যাকচারিং হাব তৈরি করা।
তিনি যোগ করেন, ম্যানুফ্যাকচারিং হাব তৈরি করার মূল শর্ত হচ্ছে পোর্টকে এফিশিয়েন্ট করতে হবে। পোটের এফিশিয়েন্সি অন্যমাত্রায় নিতে হবে। তো এই অন্য মাত্রায় নেওয়ার টেকনোলজি আমাদের নাই। ওই ম্যানেজমেন্ট স্কিলটাও আমাদের তৈরি হয়নি। এটার জন্য আমরা বিদেশের সবচেয়ে বড় বড় কোম্পানির সাথে কথা বলছি। দুবাই পোর্ট ডিপি ওয়ার্ল্ডের সাথে কথা বলছি। এপি মূলার মার্কসের সাথে কথা বলছি এবং সিঙ্গাপুরের পোর্ট অফ সিঙ্গাপুর অথরিটির সাথে কথা বলছি। এর ফলে যেটা হবে, আমরা ওরা যদি ম্যানেজ করেন, তাহলে আমাদের পোর্ট এফিশিয়েন্সি বাড়বে। আর পোর্ট এফিশিয়েন্সির দিকে তাকিয়ে থাকে ওয়ার্ল্ডের বড় বড় কোম্পানিগুলো যারা ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে ইনভেস্ট করে, তারা তখন চিন্তা করবে যে, ওকে দিস ইজ হাই টাইম টু ইনভেস্ট ইন বাংলাদেশ।
বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে পারলে পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, এফডিআই আমরা যদি ঠিক করতে পারি, প্রচুর আনতে পারি, আর সামষ্টিক অর্থনীতি ঠিক থাকে, তাহলে আমরা মনে করছি যে এটার প্রভাব ক্যাপিটাল মার্কেটে পড়বে। ক্যাপিটাল মার্কেট গ্রো করতে বাধ্য।
তিনি বলেন, আরেকটা বিষয় হচ্ছে যে ইনফ্লেশনকে কমানো। এটা আমাদের একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা ইন্টারেস্ট রেটকে হাই করে করতে করতে এখন বোধহয় ১০ শতাংশের বেশি, ওটা করার পরে আমরা দেখছি যে, ইনফ্লেশন কমা শুরু হয়েছে। আমাদের আশা, যেটা আমাদের সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, এই বছরের শেষে মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশেরে নিচে আনবে।
তিনি বলেন, এফডিআই আসা শুরু হয়েছে। জুনে আপনি দেখবেন যে, চায়না থেকে আসছেন একজন কমার্স মিনিস্টারের নেতৃত্ব ১৫০ জনের মতো চাইনিজ ইনভেস্টর। চাইনিজরা যদি বাংলাদেশে আসেন, আমরা যেই জব গ্রোথটা চাচ্ছি, এটা খুব দ্রুত হবে।
এনবিআর দুই ভাগ করাটা সরকারের অগ্রাধিকার ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ট্যাক্স কালেকশনটা সবসময় কম ছিল। এটার কারণ আমরা প্রচুর ট্যাক্স এক্সেমশন দিয়েছি এবং ট্যাক্স কালেকশনের যে সিস্টেমটা, খুব ইনিফিশিয়েন্ট ছিল। সরকার এই জায়গাটায় খুব ফোকাস দিয়েছেন। সেই আলোকেই কিন্তু এনবিআরকে দুভাগ করা হয়েছে। এটার ফলে যেটা হয়েছে যে আমরা মনে করি যে ট্যাক্স কালেকশন বাড়বে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
বিনিয়োগকারী সহায়তা তহবিলের আকার বৃদ্ধিসহ বিএমবিএ’র ৯ দাবি

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর কাছে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী সহায়তা তহবিলের আকার ৩ হাজার কোটি টাকায় উন্নীতকরণসহ ৯ দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।
মঙ্গলবার (২৭ মে) রাজধানীর আগাঁরগাওয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর আমন্ত্রণে তার সাথে আলোচনায় বিএমবিএর পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সাক্ষাতে বিএমবিএ প্রতিনিধিগণ অন্যান্য বিষয়ের সাথে নিম্নোক্ত বিষয়ে তাদের মতামত ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেন:
১. দীর্ঘ মেয়াদে অর্থায়নের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারকে অগ্রাধিকার প্রদানে সরকারের কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ;
২. আইপিও রুলস যুক্তিসঙ্গত পরিবর্তনের মাধ্যমে আর্ন্তজাতিক মানে উন্নীতকরণ;
৩. পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন ধরে চলমান নেগেটিভ ইক্যুইটি সমস্যার সমাধানে সরকারি নীতিগত সহায়তা;
৪. তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করহারের ব্যবধান বৃদ্ধি করা;
৫. মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ;
৬. লভ্যাংশের উপর দ্বৈত কর প্রত্যাহার ও চূড়ান্ত কর নির্ধারণে অগ্রিম কর্তনকৃত কর সমন্বয়ের সুযোগ রাখা;
৭. বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় মার্জিন ঋণ ব্যবস্থার পরিবর্তন আনা;
৮. সরকারি/বহুজাতিক ভালো কোম্পানীসমূহকে তালিকাভুক্তিকরণে নীতিগত সহায়তা;
৯. ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী সহায়তা তহবিলের আকার ৩০০০ (তিন হাজার) কোটি টাকায় উন্নীতকরণ ও ঋণ পরিশোধের সময় ২০৩২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধিকরণ;
এসময় ড. আনিছুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পুঁজিবাজার অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। পুঁজিবাজার এর উন্নয়নে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। প্রধান উপদেষ্টার গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উদ্যোগগুলোর মধ্যে পুঁজিবাজার উন্নয়ন একটি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত। শক্তিশালী পুঁজিবাজার গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মার্চেন্ট ব্যাংকের ভূমিকা গুরুত্বর্পূণ। সরকার মার্চেন্ট ব্যাংকের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় প্রাসঙ্গিক নীতিগত সহায়তা প্রদানে ইতিবাচক। পুঁজিবাজার উন্নয়নের লক্ষ্যে বিএমবিএ কর্তৃক উত্থাপিত প্রস্তাবসমূহ বিবেচনার জন্য গ্রহণ করেন। পরিশেষে, সার্বিকভাবে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ন্যূনতম শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানিতে স্বতন্ত্র পরিচালক বসাবে বিএসইসি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘জেড’ ক্যাটাগরির ও উদ্যোক্তা-পরিচালকদের ন্যূনতম শেয়ার ধারণের ব্যর্থ কোম্পানিতে স্বতন্ত্র পরিচালক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৫৬তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও, সভায় আরও বেশকিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি এবং যেসকল কোম্পানিতে উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারনে ব্যর্থ, সেসব কোম্পানিতে ‘কর্পোরেট গভার্নেন্স কোড, ২০১৮’ পরিপালন করে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।
সিএসইর কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর অনুমোদন দিলো বিএসইসি
দেশের প্রথম কমোডিটি এক্সচেঞ্জ হিসেবে নিবন্ধন সনদ পাওয়া চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রস্তাবিত চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কমোডিটি ডেরিভেটিভ রেগুলেশন, ২০২৫ প্রবিধানমালা অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে কমোডিটি মার্কেট অপারেশন চালু করতে পারবে সিএসই।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিশন সভায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কমোডিটি ডেরিভেটিভ রেগুলেশন, ২০২৫ প্রবিধানমালা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রবিধানমালাটি অনুমোদনের ফলে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কমোডিটি মার্কেট অপারেশন চালু করতে পারবে। ফলশ্রুতিতে দেশের পুঁজিবাজারে কমোডিটি ডেরিভেটিভ পণ্য লেনদেন শুরু হবে বলে আশা করা যায়। যা পুঁজিবাজারের বৈচিত্রায়নকে অধিকতর ত্বরান্বিত করবে।
কমোডিটি মার্কেট অপারেশন চালুর মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজার ডেরিভেটিভ পণ্যের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে যা নিঃসন্দেহে দেশের পুঁজিবাজারের জন্য একটি অনন্য মাইলফলক বলে মনে করে বিএসইসি।
সিসিএ’র সুদের ২৫ শতাংশ অর্থ যাবে ইনভেস্টরস প্রটেকশন ফান্ডে
সমন্বিত গ্রাহক হিসাব (সিসিএ) থেকে অর্জিত সুদ আয়ের ২৫ শতাংশ ‘স্টক এক্সচেঞ্জ ইনভেস্টরস প্রটেকশন ফান্ডে’ জমা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী স্বার্থ সুরক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় সমন্বিত গ্রাহক হিসাব (সিসিএ) হতে অর্জিত সুদ আয়ের ২৫ শতাংশ স্টক এক্সচেঞ্জের ইনভেস্টরস প্রটেকশন ফান্ডে জমা দিয়ে বাকি অর্থ ব্রোকাররা ব্যবহার করতে পারবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
পুঁজিবাজারের ব্রোকারেজ হাউজগুলো বিনিয়োগকারীদের অর্থ সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে রেখে পরিচালনা করে। এই হিসাবে থাকা অব্যবহৃত বা বিনিয়োগ না হওয়া টাকার উপর ব্যাংক সুদ দিয়ে থাকে। এতদিন পর্যন্ত এই সুদ আয় পুরোপুরি ব্রোকাররা নিয়ে নিত। এখন সেই সুদ আয়ের ২৫ শতাংশ স্টক এক্সচেঞ্জের ইনভেস্টরস প্রটেকশন ফান্ডে জমা দিতে হবে। বাকি ৭৫ শতাংশ ব্রোকারদের কাছে থাকবে।
জিপিএইচ ইস্পাতের রাইট শেয়ার ইস্যুর আবেদন বাতিল
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের রাইট শেয়ার ইস্যুর আবেদন বাতিল করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোম্পানির পক্ষ থেকে জমা দেওয়া কাগজপত্রে সন্তুষ্ঠ হতে পারেনি কমিশন। ফলে তাদের রাইট সংক্রান্ত আবেদনটি বাতিল করা হয়।
কোম্পানিটি ১ অনুপাত ৩ হারে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সাথে ৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ রাইটস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে বাজার থেকে ২৪১ কোটি ৯৪ লাখ ১৭ হাজার ২৭৫ টাকা নিতে চেয়েছিলো। এর মাধ্যমে নতুন করে বাজার আরও নতুন ১৬ কোটি ১২ লাখ ৯৪ হাজার ৪৮৫ টি সাধারণ শেয়ার আসতো।
বার্জার পেইন্টসের রাইট শেয়ার অনুমোদন
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডকে রাইট শেয়ার ইস্যুর আবেদন অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ অনুপাত ১ হারে ১ হাজার ১০০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ২৭ লাখ ২৮ হাজার ১১১টি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে (উদ্যোক্তা, পরিচালক ও ৫ শতাংশ বা তার অধিক শেয়ারধারকগণ কর্তৃক রাইটস শেয়ার পরিত্যাগ করার পর) মোট ৩০২ কোটি ৮২ লাখ ৩ হাজার ২১০ টাকা মূলধন সংগ্রহ করবে।
বার্জার পেইন্টস রাইটস শেয়ার ইস্যু থেকে সংগৃহীত অর্থ ন্যাশনাল স্পেশাল ইকোনোমিক জোনে তৃতীয় কারখানা স্থাপন ও রাইট ইস্যু সংক্রান্ত খরচ মেটানোর জন্য ব্যবহার করবে। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করছে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।
বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি কমিয়ে ১৫০ টাকা করার সিদ্ধান্ত
পুঁজিবাজারে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স বা বিও একাউন্ট খুলতে মেইনটেইন্যান্স ফি ৪৫০ থেকে কমিয়ে ১৫০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলো হয়, বিও হিসাবের মেইনটেইন্যান্স ফি ৪৫০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৫০ টাকা করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনী প্রক্রিয়া শুরু করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পাবলিক ইস্যু ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সুপারিশের আইনি প্রক্রিয়া শুরু
মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালা এবং পাবলিক ইস্যু রুলস এর বিষয়ে পেশকৃত চূড়ান্ত সুপারিশমালার আইনী প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়টি অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বাজারের সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক গঠিত ‘পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স’ কর্তৃক সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ড) বিধিমালা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস এর বিষয়ে পেশকৃত চূড়ান্ত সুপারিশমালার আইনী প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়টি অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী দুটি সংস্কারের আইনী প্রক্রিয়া শুরু হলো। ফলশ্রুতিতে মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং আইপিও অনুমোদন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি পাবে এবং সর্বোপরি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে। এই সংস্কারের ফলে আগামীতে ভালো ও মৌল ভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিসমূহ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত হবে এবং দেশের মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পাবলিক ইস্যু ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সুপারিশের আইনি প্রক্রিয়া শুরু

মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালা এবং পাবলিক ইস্যু রুলস এর বিষয়ে পেশকৃত চূড়ান্ত সুপারিশমালার আইনী প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়টি অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৫৬তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বাজারের সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক গঠিত ‘পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স’ কর্তৃক সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ড) বিধিমালা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস এর বিষয়ে পেশকৃত চূড়ান্ত সুপারিশমালার আইনী প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়টি অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী দুটি সংস্কারের আইনী প্রক্রিয়া শুরু হলো। ফলশ্রুতিতে মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং আইপিও অনুমোদন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি পাবে এবং সর্বোপরি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে। এই সংস্কারের ফলে আগামীতে ভালো ও মৌল ভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিসমূহ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত হবে এবং দেশের মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি কমিয়ে ১৫০ টাকা করার সিদ্ধান্ত

পুঁজিবাজারে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স বা বিও একাউন্ট খুলতে মেইনটেইন্যান্স ফি ৪৫০ থেকে কমিয়ে ১৫০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৫৬তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলো হয়, বিও হিসাবের মেইনটেইন্যান্স ফি ৪৫০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৫০ টাকা করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনী প্রক্রিয়া শুরু করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বার্জার পেইন্টসের রাইট শেয়ার অনুমোদন

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডকে রাইট শেয়ার ইস্যুর আবেদন অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৫৬তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ অনুপাত ১ হারে ১ হাজার ১০০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ২৭ লাখ ২৮ হাজার ১১১টি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে (উদ্যোক্তা, পরিচালক ও ৫ শতাংশ বা তার অধিক শেয়ারধারকগণ কর্তৃক রাইটস শেয়ার পরিত্যাগ করার পর) মোট ৩০২ কোটি ৮২ লাখ ৩ হাজার ২১০ টাকা মূলধন সংগ্রহ করবে।
বার্জার পেইন্টস রাইটস শেয়ার ইস্যু থেকে সংগৃহীত অর্থ ন্যাশনাল স্পেশাল ইকোনোমিক জোনে তৃতীয় কারখানা স্থাপন ও রাইট ইস্যু সংক্রান্ত খরচ মেটানোর জন্য ব্যবহার করবে। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করছে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।
এসএম