জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নাহিদ ইসলাম

দিনভর নানা গুঞ্জন-আলোচনার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় তাদের এ সাক্ষাৎ হয়।
এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও রাজনৈতিক লিয়াজোঁ কমিটির প্রধান আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। সাক্ষাতে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা বর্তমান পরিস্থিতিতে তার কাজ করার বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করতে চান। আলোচনায় নাহিদ ইসলাম এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা, দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে ভেবে দেখার আহ্বান জানান।
একটি সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়াও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন।
বৃহস্পতিবার দিনভর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছে। এমনকি পত্রিকার কলামের সূত্রে প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের চিন্তা করছেন বলেও আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এখনো বিষয়টির কোনো সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নেওয়া সেই ৬২৬ জনের তালিকা প্রকাশ

জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নেওয়া সেই ৬২৬ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই-আগস্ট ২০২৪-এর ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিগত সরকারের পতনের পর কতিপয় কুচক্রী মহলের তৎপরতায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। ফলে সরকারি দপ্তর, থানাসমূহে হামলা, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর আক্রমণ ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মব জাস্টিস, চুরি, ডাকাতিসহ বিবিধ বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। এ ধরনের সংবেদনশীল ও নাজুক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিকদের মনে নিরাপত্তাহীনতার জন্ম নেয়।
এ অবস্থায় ঢাকাসহ দেশের প্রায় সব সেনানিবাসে প্রাণ রক্ষার্থে কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকরা আশ্রয় প্রার্থনা করেন। উদ্ভূত আকস্মিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থীদের পরিচয় যাচাই বাছাই করার চাইতে তাদের জীবন রক্ষা করা প্রাধান্য পেয়েছিল।
এ প্রেক্ষিতে ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন অসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ বিবিধ ১২ জন ও ৫১ জন পরিবার-পরিজন (স্ত্রী ও শিশু)-সহ সর্বমোট ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় প্রদান করা হয়েছিল। সে সময়ে শুধু মানবিক দায়বদ্ধতার কারণে আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে আশ্রয় প্রার্থীদের জীবন রক্ষা করাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। পরিস্থিতি উন্নয়ন সাপেক্ষে, আশ্রয় গ্রহণকারীদের বেশির ভাগই ১/২ দিনের মধ্যেই সেনানিবাস ত্যাগ করেন এবং এর মধ্যে ৫ জনকে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ/মামলার ভিত্তিতে, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয়।’
সেনানিবাসে অবস্থানকারী ও আশ্রয়প্রার্থীদের ব্যাপারে গত ১৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে আইএসপিআরের আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং একই দিনে ১৯৩ জন ব্যক্তিবর্গের একটি তালিকা (৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও ১ জন এনএসআই সদস্য ব্যতীত) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরন করা হয়- যা ছিল একটি মীমাংসিত বিষয়। সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থী এসব ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা ও জীবন রক্ষার্থে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সাময়িক আশ্রয় প্রদান করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, তৎকালীন বিরাজমান নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে আশ্রয়প্রার্থীদের জীবন বিপন্ন হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়িয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সেনানিবাসের অভ্যন্তরে প্রাণ রক্ষার্থে আশ্রয় গ্রহণকারী ৬২৬ জন ব্যক্তিবর্গের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা (৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও ১ জন এনএসআই সদস্যসহ) এই প্রেস বিজ্ঞপ্তির সাথে সংযুক্ত করা হলো।
এ অবস্থায়, সকলকে এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার আহবান জানানো হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও আস্থার সাথে জাতির পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নাহিদের সাক্ষাৎ, পদত্যাগ না করার অনুরোধ

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তিনি এ সাক্ষাৎ করেন। এ সময় নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগ না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যদিকে প্রধান উপদেষ্টা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার কথা পুনর্বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও রাজনৈতিক লিয়াজোঁ কমিটির প্রধান আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সক্ষাৎ করেছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। সাক্ষাতে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা, দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে ভেবে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে ড. ইউনূস দুই ছাত্র উপদেষ্টাকেও ডেকে সংযত না হলে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছিলেন। এ সময় তারা সংযত হবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকেও পদত্যাগে নিজের ইচ্ছের কথা জানান। তবে উপস্থিত উপদেষ্টারা এ ধরনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেন সরকারপ্রধানকে।
সূত্র: মানবজমিন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সেনানিবাসে ৬২৬ জনকে আশ্রয়, যা বলছে সেনাবাহিনী

জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সেনানিবাসের অভ্যন্তরে প্রাণ রক্ষার্থে আশ্রয়গ্রহণকারী ৬২৬ জনের প্রসঙ্গে সেনাবাহিনীর অবস্থান জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে আইএসপিআরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর জানায়, জুলাই-আগস্ট ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিগত সরকারের পতনের পর কতিপয় কুচক্রী মহলের তৎপরতায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়।
ফলশ্রুতিতে, সরকারি দপ্তর, থানায় হামলা, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর আক্রমণ ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মব জাস্টিস, চুরি, ডাকাতিসহ বিবিধ বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। এ ধরনের সংবেদনশীল ও নাজুক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিকদের মনে নিরাপত্তাহীনতার জন্ম নেয়।
এমতাবস্থায়, ঢাকাসহ দেশের প্রায় সব সেনানিবাসে প্রাণ রক্ষার্থে কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নাগরিকরা আশ্রয় প্রার্থনা করেন। উদ্ভূত আকস্মিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থীদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করার চাইতে তাদের জীবন রক্ষা করা প্রাধান্য পেয়েছিল।
আইএসপিআর জানায়, এ পরিপ্রেক্ষিতে, ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন অসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ বিবিধ ১২ জন ও ৫১ জন পরিবার পরিজনসহ (স্ত্রী ও শিশু) সর্বমোট ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল।
সে সময়ে শুধুমাত্র মানবিক দায়বদ্ধতার কারণে আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের জীবন রক্ষা করাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। পরিস্থিতি উন্নয়ন সাপেক্ষে, আশ্রয় গ্রহণকারীদের বেশিরভাগই ১/২ দিনের মধ্যেই সেনানিবাস ত্যাগ করেন এবং এর মধ্যে ৫ জনকে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ/মামলার ভিত্তিতে, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সেনানিবাসে অবস্থানকারী ও আশ্রয়প্রার্থীদের ব্যাপারে গত বছরের ১৮ আগস্ট আইএসপিআরের আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং একইদিনে ১৯৩ জন ব্যক্তির একটি তালিকা (৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও ১ জন এনএসআই সদস্য ব্যতীত) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়- যা ছিল একটি মীমাংসিত বিষয়।
সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থী এসব ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা ও জীবন রক্ষার্থে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সাময়িক আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল।
তৎকালীন বিরাজমান নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে আশ্রয়প্রার্থীদের জীবন বিপন্ন হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়িয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সেনানিবাসের অভ্যন্তরে প্রাণ রক্ষার্থে আশ্রয় গ্রহণকারী ৬২৬ জন ব্যক্তির একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা (৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও ১ জন এনএসআই সদস্যসহ) এই প্রেস বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে সংযুক্ত করা হলো।
এমতাবস্থায়, সবাইকে এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি পেশাদারত্ব, নিষ্ঠা ও আস্থার সঙ্গে জাতির পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে বলেও জানিয়েছে আইএসপিআর।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নতুন তিন অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহত ছাত্রজনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ সহ নতুন তিনটি অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা পরিষদের ২৯তম বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এদিন রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহত ছাত্রজনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ ছাড়াও সভায় ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।
সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক উপস্থাপিত সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নযোগ্য কিনা, বাস্তবায়নযোগ্য হলে বাস্তবায়নের সম্ভাব্য সময়সীমা এবং বাস্তবায়নের প্রভাব বা সংশ্লেষের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ দফাওয়ারী সুচিন্তিত মতামত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে উপস্থাপন করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবে।
এদিন বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস সরকারের মধ্যে নৌ-প্রতিরক্ষা সামগ্রী সংক্রান্ত সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। সেইসঙ্গে মৎস্য সুরক্ষা এবং সংরক্ষণ বিষয়ক একটি অধ্যাদেশও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রংপুরে হত্যাচেষ্টা মামলায় আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরবর্তী সময়ে দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় নেছার আহমেদ (৫৪) নামে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল পৌনে ১১টার দিকে নিজ কর্মস্থল কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিন দুপুরে তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম সরদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার নেছার আহমেদ রংপুর মহানগরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের হেডক্লার্ক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তার নামে আরপিএমপি, রংপুর তাজহাট থানায় ১৪৩/১৪৭/৩২৬/৩০৭/১১৪ ধারায় পেনাল কোডে মামলা রয়েছে। মামলা নং-১৭। যা গত বছর ২৪ অক্টোবর দায়ের করা হয়। অভিযান পরিচালনার সময় পুলিশের উপস্থিতি দেখে পালানোর চেষ্টাকালে নেছার আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়।
তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম সরদার জানান, গ্রেফতার নেছার আহমেদের নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন পরবর্তী সময়ে হত্যাচেষ্টার মামলা রয়েছে। তিনি এজাহারভুক্ত আসামি। তাকে আদালতে নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।