কর্পোরেট সংবাদ
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে ডা. শ্রাবণী চক্রবর্তীর যোগদান

বন্দরনগরীর সর্ববৃহৎ এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং পেলভিক এন্ডোস্কোপিক সার্জন হিসেবে যোগ দিলেন ডা. শ্রাবণী চক্রবর্তী। নারীদের স্বাস্থ্যসেবায় ২৪ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি এভারকেয়ার টিমে যুক্ত হয়েছেন।
ডা. চক্রবর্তী ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেছেন এবং বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) থেকে গাইনী ও অবসে এফসিপিএস ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি, দেশে ও বিদেশে ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি, হিস্টেরোস্কোপি এবং আই.ভি.এফ বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন।
তিনি পেলভিক এন্ডোস্কোপিক সার্জারিতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে সুপরিচিত, বিশেষ করে টোটাল ল্যাপারোস্কোপিক হিস্টেরেকটমি, ফাইব্রয়েড ও এন্ডোমেট্রিওসিস অপারেশন, প্রোল্যাপ্স অপারেশন এবং প্রজনন সক্ষমতা চিকিৎসায় তিনি অভিজ্ঞ। হিস্টেরোস্কোপির মাধ্যমে মাসিকের সমস্যা নির্ণয় ও চিকিৎসায় তার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। ডা. চক্রবর্তী নিঃসন্তান দম্পতিদের জন্য আইভিএফ, আইইউআই, ল্যাপারোস্কোপিক পরীক্ষা ও প্রয়োজন হলে সার্জারির মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
ডা. চক্রবর্তী শুধু গাইনী চিকিৎসায় নয়, নারীদের ক্যানসারের (ডিম্বাশয়, জরায়ুমুখ ও জরায়ুর ভেতরের স্তর) স্ক্রিনিং ও অপারেশনেও অভিজ্ঞ। তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করে ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা, নিরাপদ প্রসব ও মাতৃস্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর নানা প্রকল্পেও কাজ করেছেন। তার যোগদানের মাধ্যমে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম এই অঞ্চলের নারীদের আরও উন্নত ও আধুনিক নারীস্বাস্থ্য সেবা প্রদান করবে বলে আশা করা যায়।
কাফি

কর্পোরেট সংবাদ
এসডিজি লক্ষ্যপূরণে আইপিডিসি পেলো দুটি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড

আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫ অনুষ্ঠানে দুটি স্বীকৃতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিএস) অর্জনে কর্পোরেট পর্যায়ে উদ্ভাবনী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ইতিবাচক প্রভাবসৃষ্টিকারী উদ্যোগগুলোর সম্মাননা প্রদান করা হয়।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসিকে তাদের ‘ফাইন্যান্স ফর দ্যা প্ল্যানেট অ্যান্ড পিপল; আইপিডিসি’স হলিস্টিক এসডিজি ড্রাইভেন স্ট্রাটেজি’ কৌশলের কারণে ‘সর্বাধিক টেকসই আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই)’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সারাদেশব্যাপী এই উদ্যোগের মাধ্যমে আইপিডিসি তাদের মূল আর্থিক কার্যক্রমে টেকসই উন্নয়নকে একীভূত করেছে। যার মধ্যে রয়েছে সবুজ ঋণ প্রদান, জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন। শুধু ২০২৪ সালেই, আইপিডিসি টেকসই ও এসডিজি-লিংকড ঋণ হিসেবে মোট ৩৮,৫৫২ মিলিয়ন টাকা বিতরণ করেছে, যা তাদের মোট ঋণ বিতরণের ৭৭.৭৫ শতাংশ এবং মোট লোনের ৪২.০৬ শতাংশ। এই অর্জন বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত ন্যূনতম সীমার অনেক ঊর্ধ্বে।
আইপিডিসির পোর্টফোলিওতে রয়েছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি দক্ষতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, আইসিটি অবকাঠামো, নারী নেতৃত্বাধীন উদ্যোক্তা এবং সবুজ ভবন নির্মাণে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ। ‘জয়ী’ ও ‘প্রীতি’ নামক উদ্ভাবনী পণ্য এবং ‘জয়ী ৩৬০’ এর মতো বিশেষায়িত শাখার মাধ্যমে আইপিডিসি শুধু আর্থিক সেবা প্রদানেই সীমাবদ্ধ নেই বরং বৃহত্তর পরিসরে লিঙ্গ সমতা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তুলছে।
এছাড়া ‘ইকুইটি, ডাইভারসিটি এবং ইনক্লুশন’ ক্যাটাগরিতে আইপিডিসি দ্বিতীয়বারের মতো ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডের সম্মাননা অর্জন করেছে। তাদের রূপান্তরমূলক প্রকল্প ‘উইমেন-ফোকাসড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার ফর দ্যা ভালনারেবল কমিউনিটিস’-এর জন্য এই স্বীকৃতি এসেছে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে অ্যাকশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সহযোগিতায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়নে এই উদ্যোগ চালু করা হয়। এর লক্ষ্য হলো উত্তরবঙ্গের ১০০ জন প্রান্তিক নারী কৃষককে ভূমি ব্যবহারের সুযোগ, পরিবেশবান্ধব কৃষি যন্ত্রপাতি, জলবায়ু সহনশীল বীজ, জৈব চাষ ও ভার্মি কম্পোস্টিং প্রশিক্ষণ, নারীনেতৃত্বাধীন বাজার কর্নার ও বীজ ব্যাংক স্থাপনের সহায়তা প্রদান করা। এই প্রকল্প এসডিজি ৫ (লিঙ্গ সমতা), এসডিজি ১০ (অসমতা হ্রাস), এসডিজি ১২ (দায়িত্বশীল উৎপাদন ও ব্যবহার) এবং এসডিজি ১৩ (জলবায়ু কার্যক্রম) এর সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। এটি প্রমাণ করে যে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা এবং নারীদের আর্থিক ক্ষমতায়ন একসাথে সম্ভব, যার ফলে স্থানীয় জনগণের নেতৃত্বে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়।
এই স্বীকৃতি প্রসঙ্গে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, এই পুরস্কারগুলো আমাদের বিশ্বাসের প্রতিফলন। অর্থনীতি শুধু সংখ্যার হিসাব নয়, এটি মানুষের ক্ষমতায়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথপ্রদর্শক হতে হবে। আমরা যখন গ্রামীণ নারীদের আধুনিক কৃষিকাজে সহায়তা করি বা প্রতিটি ঋণে টেকসই উন্নয়নের বিষয়গুলো যুক্ত করি, তখনও আমাদের উদ্দেশ্য একটাই—একটি ভালো, টেকসই বাংলাদেশ গড়া।
পরিবেশ সচেতনতা ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তিকে একসাথে নিয়ে আইপিডিসি যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা দেখায় বেসরকারি খাত কীভাবে এসডিজি অর্জনের পথে দেশের অগ্রগতিতে নেতৃত্ব দিতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের মতো দ্বৈত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ যখন লড়ছে, তখন আইপিডিসির লক্ষ্যভিত্তিক এই উদ্যোগ টেকসই ও বিস্তৃত প্রভাব তৈরির একটি শক্তিশালী উদাহরণ হয়ে উঠেছে। এই দুটি পুরস্কারের মাধ্যমে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি দেশের টেকসই অর্থায়নের ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক হিসেবে তাদের অবস্থান আরও দৃঢ় করলো এবং একইসাথে মানুষ, পরিবেশ এবং সমৃদ্ধির প্রতি তাদের অঙ্গীকার আরও শক্তিশালী হলো।
কর্পোরেট সংবাদ
উদ্যোক্তা ও ব্যবসা উন্নয়ন বিষয়ে সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম চালু করবে প্রাইম ব্যাংক-আইবিএ

দেশব্যাপী উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে যৌথভাবে ‘এন্টারপ্রেনারশিপ ও বিজনেস ডেভেলপমেন্ট’ বিষয়ে সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম চালু করবে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ)। রবিবার (১৩ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠান দুটি এ বিষয়ে একটি চুক্তি বিনিময় করে।
এই সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম চালুর মূল উদ্দেশ্য হলো- দেশব্যাপী টেকসই উদ্যোগ (এন্টারপ্রাইজ) গড়ে তুলতে উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক জ্ঞান সরবরাহ করা ও নেতৃত্ব বিষয়ক দক্ষতা উন্নয়ন করা। আট সপ্তাহব্যাপী এই কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের আর্থিক ব্যবস্থাপনা, বিপণন কৌশল, ব্যবসায়িক মডেল উন্নয়ন এবং ডিজিটাল সার্ভিসের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এই কার্যক্রমে থাকছে- খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ পরিচালিত বিভিন্ন সেশন, কেস স্ট্যাডি এবং ইন্টারঅ্যাকটিভ আলোচনা, যা অংশগ্রহণকারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা বাড়াবে এবং নতুন উদ্যোগ গ্রহণের মানসিকতা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। এই প্রোগ্রামটি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে, তবে অংশগ্রহণকারীদের একটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাছাই করা হবে।
এ সংক্রান্ত চুক্তিনামা হস্তান্তর করেন প্রাইম ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজিম এ. চৌধুরী এবং আইবিএ-এর অধ্যাপক শেখ মোর্শেদ জাহান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- আইবিএ’র ম্যানেজমেন্ট ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের কোঅর্ডিনেটর মো. রিদওয়ানুল হক-পিএইচপি; অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন-পিএইচডি; অধ্যাপক খালেদ মাহমুদ-পিএইচডি; অধ্যাপক ড. সুতাপা ভট্টাচার্য-জিপিএইচআর।
এই সহযোগীতা মূলত বাংলাদেশের উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রাইম ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। এছাড়া উদ্যোক্তা কমিউনিটির মধ্যে নেতৃত্ব গুণাবলী বৃদ্ধি এবং ব্যবসা উন্নয়ন দক্ষতা বাড়াতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে আইবিএ।
কর্পোরেট সংবাদ
মেটলাইফের বীমা সেবার আওতায় গুড নেইবারস বাংলাদেশ

বাংলাদেশে নিজেদের কর্মীদের বীমা সুবিধা প্রদানে সম্প্রতি মেটলাইফ বাংলাদেশের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে আন্তর্জাতিক মানবিক উন্নয়নমূলক এনজিও গুড নেইবারস বাংলাদেশ। এ চুক্তি অনুযায়ী, গুড নেইবারস বাংলাদেশের ২৪৮ জন কর্মী জীবনহানি ও চিকিৎসা ব্যয়ের ক্ষেত্রে বীমার কাভারেজ পাবেন।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন গুড নেইবারস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর এম মাইনুদ্দিন মাইনুল এবং মেটলাইফ বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ কর্পোরেট বিজনেস অফিসার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
বীমা দাবি নিষ্পত্তিতে ধারাবাহিক সাফল্য, কাস্টমাইজড বীমা সেবা, অত্যাধুনিক ড্যাশবোর্ড, ক্যাশলেস আউটপেশেন্ট ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা এবং বীমাদাবির দ্রুত পেমেন্ট ও ঝামেলামুক্ত দাবি নিষ্পত্তির আর্থিক সক্ষমতার কারণে নিজেদের কর্মীদের বীমা সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে মেটলাইফকে নির্বাচন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
গুড নেইবারস একটি আন্তর্জাতিক মানবিক ও উন্নয়ন সংস্থা, যা ৫০টি দেশে শিক্ষা, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন এবং দুর্যোগ ত্রাণ সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের, বিশেষ করে শিশুদের জীবন উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।
বাংলাদেশে, দেশজুড়ে ১০ লাখের বেশি গ্রাহক এবং ৯শ’র বেশি প্রতিষ্ঠানের ৩ লাখেরও বেশি কর্মী ও তাদের ওপর নির্ভরশীলদের বীমা সুরক্ষা প্রদান করে আসছে মেটলাইফ। ২০২৪ সালে মেটলাইফ বাংলাদেশ গ্রাহকদের ২,৮৯৫ কোটি টাকা এবং গত ৬ বছরে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি বীমা দাবি নিষ্পত্তি করেছে।
কর্পোরেট সংবাদ
শেরাটনে সি ফুড ব্যুফেতে বিকাশ পেমেন্টে ‘বাই ওয়ান গেট টু’ অফার

শেরাটন ঢাকায় ‘কোস্টাল কার্নিভাল’ শীর্ষক ১০ দিনব্যাপী সি ফুড ফেস্টিভ্যালে বিকাশ পেমেন্টে একটি ব্যুফে অর্ডার করে গ্রাহকরা পাচ্ছেন আরও ২টি ব্যুফে ফ্রি।
ফলে, কোনো স্পেশাল কার্ড ছাড়াই পাঁচ তারকা হোটেলে বন্ধু ও পরিবারের সাথে প্রিয় মুহূর্তগুলো উপভোগ করার পাশাপাশি দেশ বিদেশের এক্সক্লুসিভ ও এক্সোটিক ডিশগুলোর স্বাদ নিতে পারছেন বিকাশ গ্রাহকরা।
১৯ জুলাই পর্যন্ত চলা এই ফেস্টিভ্যালে গ্রাহকরা সি ফুড পায়েলা ভ্যালেন্সিয়া, স্মোকড হিলসা, জাম্বালায়া রাইস, চিতল ফিস কোফতা, ইলিশ ভর্তা, টুনা অ্যান্ড স্যামন তেরিয়াকি, ফিস সায়াদিয়েহ, বিটরুট স্যামন গ্র্যাভল্যাক্স সহ লাইভ সি ফুড এক্সপেরিয়েন্স কাউন্টারে নানা ধরনের দেশিও ও আন্তর্জাতিক ডিশগুলোর স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন এখন বিকাশ পেমেন্টেই।
গ্রাহকরা এসময় ৯ হাজার ৪৫০ টাকা বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে আকর্ষণীয় এই ‘বাই ওয়ান গেট টু’ অর্থাৎ ৩ জনের জন্য ব্যুফে অফারটি উপভোগ করতে পারবেন। ফেস্টিভ্যাল চলাকালীন একজন গ্রাহক এক বারই অফারটি নিতে পারবেন।
বিকাশ অ্যাপ, পেমেন্ট গেটওয়ে, *২৪৭# ডায়াল করে, বিকাশ অ্যাপ থেকে কিউআর স্ক্যান করে সরাসরি ভিসা কার্ড দিয়ে এবং বাংলা কিউআর ব্যবহার করে বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে অফারটি উপভোগ করা যাবে। অফারটি সম্বন্ধে বিস্তারিত জানা যাবে এই https://www.bkash.com/campaign/payment-sheraton-coastalcarnival-jul25 লিংকে।
কর্পোরেট সংবাদ
শ্রবণ-বাকপ্রতিবন্ধী নারীকে সেলাই প্রশিক্ষণ দেবে ব্র্যাক ব্যাংক-বিএনএফডি

শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী নারীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে ব্র্যাক ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফেডারেশন অব দ্য ডেফ (বিএনএফডি বা জাতীয় বধির সংস্থা) যৌথভাবে একটি সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করেছে।
চলতি বছরের মধ্যে প্রায় ১০০ নারীকে এই কেন্দ্রে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। গত ৩০ জুন ঢাকার বিজয়নগরে বিএনএফডি’র প্রধান কার্যালয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ব্র্যাক ব্যাংক ও বিএনএফডি। ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব কমিউনিকেশন, ইকরাম কবীর; এবং বিএনএফডি’র প্রশাসক, মো. মোশাররফ হোসেন চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের অন্যতম সিএসআর (সামাজিক দায়িত্ববোধ) উদ্যোগ ‘অপরাজেয় আমি’-এর অংশ হিসেবে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী নারীদের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে।
সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীরা প্রত্যেকে একটি করে সেলাই মেশিন পাবেন, যাতে তাঁরা ঘরে বসেই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ শুরু করতে পারেন অথবা পোশাক শিল্পে চাকরির সুযোগ পেতে পারেন। এর ফলে তাঁরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী ও সমাজে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “সত্যিকারের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি তখনই সম্ভব, যখন আমরা সমাজের সবচেয়ে উপেক্ষিত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে পারবো। আমাদের এই অংশীদারিত্ব শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী নারীদের দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। এতে করে তাঁরা নিজেরাই নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারবেন।”
বিএনএফডি’র প্রশাসক মো. মোশাররফ হোসেন এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “এতে করে আমাদের শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী কমিউনিটিকে বাস্তব দক্ষতা ও আয়ের সুযোগ পাবেন। ব্র্যাক ব্যাংককে ধন্যবাদ আমাদের সামর্থ্যকে বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। প্রকল্পটি দীর্ঘমেয়াদে এই কমিউনিটির ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করবে। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের প্রতি এটি আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি।”
ব্র্যাক ব্যাংক ও বিএনএফডি বিশ্বাস করে যে, তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য এই কর্মসূচিটি একটি দারুন উপলক্ষ হতে পারে। এর মাধ্যমে তৈরি পোশাক খাতে প্রশিক্ষিত শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী নারীদেরকে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ রয়েছে।
‘অপরাজেয় আমি’ উদ্যোগটি সামাজিক উন্নয়ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে ব্র্যাক ব্যাংকের অবিচল প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
একটি মূল্যবোধ-নির্ভর প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক নিজেদের সিএসআর উদ্যোগগুলোকে এমনভাবে সাজায়, যেন সামাজিক সংকীর্ণতা এবং আর্থিক বাধা দূর করে প্রতিটি মানুষ সম্ভাবনার সঠিক বিকাশ ঘটাতে পারেন এবং একটি অর্থবহ জীবনযাপনের সুযোগ পান।
কাফি