রাজনীতি
উচ্চ আদালতের রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে: ফখরুল

উচ্চ আদালতের রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট হাইকোর্ট খারিজ করে দেওয়ার পর থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসাধীন বিএনপি মহাসচিব গণমাধ্যমের কাছে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথ দিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি আশা করব যে, মন্ত্রণালয়ে আর কোনো সমস্যা তৈরি না করে দ্রুত তারা ইশরাক হোসেনের শপথের ব্যবস্থা করবেন এবং পরিস্থিতিকে সহজ করে তোলার চেষ্টা করবেন।
ইশরাক হোসেনের শপথ নেয়ার ইস্যুতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া নেতাকর্মীদেরকে সড়ক অবরোধ করে না রাখতে আহ্বানও জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মে চোখের অস্ত্রোপচারের জন্য বিএনপি মহাসচিব ব্যাংকক যান। পরদিন ব্যাংকক রুটনিন আই হসপিটালে তার বাম চোখে সফল অস্ত্রোপচার হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
এই অনির্বাচিত সরকার চাচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদী স্বৈরশাসন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগের দাবিতে অনড় ইশরাকে সমর্থকরা। কাকরাইল মোড়ে স্লোগানে-স্লোগানে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছিলেন তারা। এসময় এক ইশরাক সমর্থক বলেন, এই অনির্বাচিত সরকার চাচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদী স্বৈরশাসন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা রাজধানীর কাকরাইল মোড়, মৎস্য ভবন মোড় ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়ে ‘অবস্থান কর্মসূচি’ পালন করছিলেন। এক পর্যায়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন আপাতত স্থগিত করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত ইশরাকের

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন আপাতত স্থগিত করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে কাকরাইল মোড়ে আন্দোলনস্থলে এসে তিনি এ ঘোষণা করেন।
এর আগে বুধবার সকাল থেকে ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে কাকরাইলে অবস্থান নেন তার সমর্থকরা। তারা সারারাত সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, বিএনপি নেতাকর্মীরা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। একই সঙ্গে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগও দাবি করছেন তারা।
যমুনারে যমুনা আমরা কিন্তু যাব না, এই মাত্র খবর এলো ইশরাক ভাই মেয়র হলো, এই মুহূর্তে দরকার নির্বাচিত সরকার, দফা এক দাবি এক নির্বাচিত সরকার, যমুনারে যমুনা শপথ ছাড়া যাব না— বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
মাঠে নেমেই দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইলেন ইশরাক

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন অন্তর্বর্তী সরকারের সব দায়িত্ব থেকে দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার (২১ মে) রাতে রাজধানীর কাকরাইলে তিনি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে তিনি এ দাবি জানান।
তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বসানোর দাবিতে গত কয়েক দিন ধরেই সমর্থকেরা আন্দোলন করছেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, আসিফ-মাহফুজের পদত্যাগ চাই। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা নির্বাচনের রোডম্যাপ চাই। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থানের ঘোষণা দিচ্ছি।
তিনি বলেন, আমি মেয়র পদে শপথ নেওয়ার জন্য আন্দোলন করছি না। একটি গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতেই এই আন্দোলন।
গত কয়েক দিন ধরে নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ইশরাকের সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছিলেন। আজ তারা কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
সালেহউদ্দিন আহমেদসহ তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি এনসিপির

বিএনপিপন্থি আখ্যা দিয়ে আইন, পরিকল্পনা ও অর্থ উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
আজ বুধবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এনসিপির মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এই দাবি জানান।
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি মহানগর উত্তর এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে সমাপনী বক্তব্যে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ইসি পুনর্গঠন না হলে বর্তমান ইসির অধীনে নির্বাচনে যাবে না এনসিপি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ‘বিএনপির মুখপাত্র’ বলে অভিযোগ করেন এনসিপির এই নেতা।
সংস্কার সুপারিশ বাস্তবায়ন না হলে উপদেষ্টাদের মধ্যে যারা ‘বিএনপির মুখপাত্র’ তাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
এনসিপির এ মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘বাংলাদেশে এডুকেশন ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য ওয়াহিদউদ্দিন (পরিকল্পনা উপদেষ্টা) ভাই কাজ করছেন, দেশে ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টরকে ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য সালেহউদ্দিন (অর্থ উপদেষ্টা) ভাই কাজ করছেন। আইন মন্ত্রণালয় ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য আসিফ নজরুল কাজ করছেন। তাহলে কর্মসূচি নিয়ে তাদের পদত্যাগ করাতে বাধ্য হবো।’
এ মাঠে ‘কুসুম কুসুম খেলা’ চলবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। এনসিপি নেতারা যতদিন আছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হবে না বলে জানান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে অবশ্যই স্থানীয় নির্বাচন দিতে হবে। স্থানীয় নির্বাচনের আগে জাতীয় কোনো নির্বাচন হবে না।’
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়েছিলাম, নিষিদ্ধ হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নির্বাচন কমিশন ও সংবিধান নিষিদ্ধ হয়নি।’
এজন্য উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে অভিযোগ করেন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘(জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে) আমাদেরকে আসিফ নজরুল বলেছিলেন, ঘোষণাপত্র দেবে। একবার মূলা দেখিয়েছিলেন ছাত্র জনতাকে, ঘোষণাপত্র দেবেন বলেছিলেন, উনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। এবার যদি হেরফের হয় আসিফ নজরুল বাংলাদেশে থাকবে কিনা জানি না।’
জনগণের সঙ্গে অনেক বাটপারি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক। তিনি বলেন, ‘জনগণের সঙ্গে আপনি বেইমানি করেছেন। এ বেইমানি নিয়ে আপনি সরকারি অফিসে আসতে পারেন না। আমরা অপেক্ষা করছি, ঘোষণাপত্র হবে, ইসি পুনর্গঠন হবে, স্থানীয় নির্বাচন হবে, গণপরিষদ নির্বাচন হবে এবং সুন্দর বাংলাদেশ পাবো। এ প্রত্যাশায় বিক্ষোভ সমাপ্তি করছি।’
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নির্বাচন কমিশনারদের পদত্যাগ দাবি করেন এনসিপির নেতারা। তারা বলেন, তড়িঘড়ি করে এই বিতর্কিত কমিশন গঠিত হয়েছে। এই কমিশন পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ সমাবেশ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তারা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
সালেহউদ্দিন আহমেদসহ তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি এনসিপির

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদসহ আইন, ও পরিকল্পনা উপদেষ্টার বিরুদ্ধে বিএনপিপন্থি আচরণের অভিযোগ তুলে তাদের পদত্যাগ দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বুধবার (২১ মে) দুপুরে রাজধানীর নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ের মূল ফটকে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি জানান এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী।
ইসি পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন দ্রুত আয়োজনের দাবিতে এনসিপির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা এ কর্মসূচির আয়োজন করে। বিক্ষোভে সভাপতিত্ব করেন নাসির উদ্দীন পাটওয়ারী এবং সূচনা বক্তব্য দেন কলাবাগান থানার প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ।
সমাবেশে বক্তৃতাকালে নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, উপদেষ্টারা বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন, তাদের পদত্যাগ করাতে বাধ্য হবো। বাংলাদেশের অর্থনীতি গুঁড়িয়ে দিতে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ কাজ করছেন। আইন মন্ত্রণালয় গুঁড়িয়ে দিতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল কাজ করছেন।
তিনি বলেন, আসিফ নজরুল, সালেহউদ্দিনের পদত্যাগ চাইতে বাধ্য হবো। জনগণ যেভাবে ছুড়ে ফেলেছে, আপনাদের ছুড়ে ফেলা হবে। ইসি পুনর্গঠন ছাড়া এনসিপি কোনো ভোট করতে দেবে না। ইসি বিএনপির দলীয় কার্যালয় হিসেবে কাজ করছে। রক্তের ম্যানডেট নিয়ে বিএনপির পক্ষে কাজ করতে পারেন না। ইসিকে আগে স্থানীয় নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় দালালচক্র দখল করছে। উপদেষ্টা প্যানেলে বিএনপিপন্থিদের বের করে দেন, আমরা দেখতে চাই।
আইন উপদেষ্টার উদ্দেশে নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আসিফ নজরুল জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে টালবাহানা করছেন। জনগণের রক্তের সঙ্গে তিনি বেইমানি করছেন। জুলাই ঘোষণাপত্র না দিলে আপনি দেশে থাকতে পারবেন না।
সমাবেশে বিএনপির উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতাকে অবহেলা করেছে, যার ফল তারা পেয়েছে। দিল্লিতে পালিয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা। বিএনপিও একই ভাষায় কথা বলছে। নিজেদের বড় ভেবে বসবেন না—রাস্তায় নামলে বোঝা যাবে, জনগণ কাকে চায়।
বিএনপি নেতা দুদুকে উদ্দেশ্য করে বক্তারা বলেন, আপনারা গত ১৬ বছরে কী করেছেন? আপনারা কি প্রস্রাব আটকে রেখেছিলেন, যে একটি বালুর ট্রাক পর্যন্ত সরাতে পারেননি। অথচ এখন বড় বড় কথা বলছেন। আপনাদের নেত্রী কিন্তু আমাদের আন্দোলনের কারণেই বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ পেয়েছেন।
এদিকে সমাবেশ ঘিরে নির্বাচন কমিশন ভবন এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সমাবেশ শেষ হলেও মোতায়েন রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব, কোস্ট গার্ড ও আনসার সদস্য। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় তারা সর্বোচ্চ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা।