কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে দেয়া যাবে পেনশন স্কিমের কিস্তি

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের রেজিস্ট্রেশন ও মাসিক কিস্তির টাকা প্রদান করা যাবে।
সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংক ও জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে স্বাক্ষরিত হয়।
অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের উপস্থিতিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন ও জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দীন খান।
এসময় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. গোলাম মোস্তফা ও এ.ওয়াই.এম. জিয়াউদ্দীন আল-মামুন, উপসচিব সিরাজাম মুনিরাসহ বিভিন্ন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টরবৃন্দ ও জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কর্পোরেট সংবাদ
‘তারা’ গ্রাহকদের নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের বিশেষ আয়োজন

‘প্যারেন্টিং: আ শেয়ার্ড জার্নি অব পার্টনারশিপ’ শীর্ষক এক বিশেষ আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মা দিবস উদ্যাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। আয়োজনটি ছিল ব্র্যাক ব্যাংক ‘তারা’ গ্রাহক ও তাঁদের স্বামীদের নিয়ে। এই আয়োজনে আধুনিক প্যারেন্টিং-যাত্রায় প্যারেন্টিং, সম-অংশীদারিত্ব এবং সর্বোপরি সুস্থতা নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
গত শনিবার (১৭ মে) ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন পেশাদার ব্যক্তি, অভিভাবক এবং সমাজে পরিবর্তন নিয়ে আসা ব্যক্তিত্বরা, যারা কথা বলেছিলেন প্যারেন্টিং এবং পরিবার ব্যবস্থাপনা নিয়ে।
অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল ব্র্যাক ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েলবিং পার্টনার ‘মনের বন্ধু’র পরিচালনায় একটি ওয়েলনেস ওয়ার্কশপ। মনের বন্ধুর প্রতিষ্ঠাতা তৌহিদা শিরোপা এবং লিড সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলর কাজী রুমানা হকের নেতৃত্বে এই ওয়ার্কশপে মানসিক সুস্থতা, ইতিবাচক প্যারেন্টিং, আত্ম-পরিচর্যা এবং ব্যক্তিগত ও পেশাগত ক্ষেত্রে সাপোর্ট সিস্টেম গড়ে তোলার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে সেশন পরিচালনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে কাজী রুমানা হকের সঞ্চালনায় একটি প্যানেল আলোচনারও আয়োজন করা হয়। যেখানে প্যানেলিস্ট হিসেবে ছিলেন স্যার জন উইলসন স্কুলের অধ্যক্ষ সাবরিনা শহীদ, শেয়ারট্রিপের প্রতিষ্ঠাতা কাশেফ রহমান, ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব কার্ডস, বন্ডস অ্যান্ড কাস্টোডিয়াল অপারেশনস ইশরাত জাহান এবং ব্যাংকটির ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের সিনিয়র জোনাল হেড এ. কে. এম. তারেক। বাসায় পিতা-মাতার একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্যানেলিস্টরা ক্যারিয়ার ও অভিভাবকত্বের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা নিয়েও কথা বলেন।
এছাড়াও, অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব ‘তারা’, আগামী অ্যান্ড প্রিমিয়াম ব্যাংকিং মেহরুবা রেজা ফাইন্যান্সিয়াল ওয়েলনেসের ওপর একটি সেশন পরিচালনা করেন, যেখানে তিনি উপস্থিত মানুষদের কাছে ‘তারা’ প্রোডাক্টের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরেন। পাশাপাশি ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং ইনিশিয়েটিভস রাজিবুল আহসান ব্যাংকটির ডিজিটাল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম ‘আস্থা’ নিয়ে একটি সেশন পরিচালনা করেন।
এই প্রাণবন্ত সন্ধ্যার সমাপ্তি হয়েছিল অর্থী আহমেদ ড্যান্স অ্যাকাডেমির কর্মজীবী মায়েদের একটি সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। অনুষ্ঠান শেষে নেটওয়ার্কিংয়ের প্রসারে ডিনারের আয়োজন করে ব্র্যাক ব্যাংক ‘তারা ফোরাম’।
এই আয়োজনে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক শেখ মোহাম্মদ আশফাক, ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের রিজিওনাল হেড সাজিয়া হোসেন এবং মেহরুবা রেজা।
বক্তব্যে তাঁরা গ্রাহক এবং গ্রাহকদের পরিবারের সামগ্রিক ফাইন্যান্সিয়াল ওয়েলনেসে সহায়তার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
বান্দরবানে ইউসিবির কৃষি উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ

‘ব্যাংক শুধু টাকা রাখে—এই ধারণাটাই বদলে গেলো আজ। কীভাবে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়া যায়, সেই বিষয়ে কোনো ব্যাংক যে কৃষকদের ডেকে এনে প্রশিক্ষণ দিতে পারে, তা জীবনে এই প্রথম দেখলাম’—উথুয়াই মারমার কণ্ঠে কেবল বিস্ময় নয়, ছিল আত্মবিশ্বাসের নতুন দীপ্তিও। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ির একজন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা, আর এই প্রশিক্ষণ তাঁকে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে।
বান্দরবানের পাহাড়ি জনপদে কৃষি মানে এতদিন ছিলো জীবনধারণের সংগ্রাম। কিন্তু সেই কৃষিই এখন হয়ে উঠছে সম্ভাবনার অন্য নাম—বাজার, প্রযুক্তি আর উদ্যোক্তাবোধে মোড়ানো টেকসই জীবিকার নতুন দিগন্ত। আর এই রূপান্তরের যাত্রায় সঙ্গী হয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)।
‘ভরসার নতুন জানালা’ শীর্ষক এগ্রো-সিএসআর প্রকল্পের আওতায় ইউসিবি সম্প্রতি বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজন করে একটি দিনব্যাপী দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, যেখানে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ১৭০ জন কৃষি উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন।
রুমার কৃষক অংম্রা থুই মারমা প্রশিক্ষণ শেষে বলেন, আমি ভাবতেই পারিনি, কেউ একদিন বান্দরবানে এসে কাজু বাদাম আর কফি চাষ নিয়ে বলবে! এখন শুধু চাষ নয়, আমি কৃষিকে পুরোপুরি একটি ব্যবসা হিসেবে ভাবছি।’ এই প্রশিক্ষণ শুধু তথ্য দেওয়ার আয়োজন ছিল না, এটি ছিল আত্মবিশ্বাস গড়ার এক কর্মশালা। কৃষি উদ্যোক্তারা জেনেছেন—কীভাবে ব্যাংক থেকে কৃষি ঋণ নিতে হয়; আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারের কৌশল; প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য চাষে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি; এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, উৎপাদিত পণ্য কীভাবে প্রক্রিয়াজাত করে বাজারে তুলে ধরা যায়।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে কৃষির অপার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউসিবির মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তা থাকলে এখানকার কৃষকরা উদ্যোক্তায় পরিণত হতে পারেন।
সভাপতিত্ব করেন ইউসিবির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাবিল মুস্তাফিজুর রহমান। তাঁর মতে, এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যকে পুঁজি করে প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা এক নতুন ভবিষ্যতের দিকে এগোতে পারি। ইউসিবি এই রূপান্তরে পাশে আছে এবং থাকবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—বিটিভির ‘মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক রেজাউল করিম সিদ্দিক, বান্দরবানের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এম এম শাহ্ নেয়াজ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অভিজিৎ শীল, সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জুয়েল মজুমদার, এবং ইউসিবির চিফ কমিউনিকেশন অফিসার জীশান কিংশুক হক, এসএমই ও এগ্রি ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ সেলিম চৌধুরী।
রেজাউল করিম সিদ্দিক বলেন, আধুনিক কৃষি মানে শুধু জমিতে চাষ নয়—সঠিক পরিকল্পনা, বাজার বোঝা এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ মিলিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ দৃষ্টিভঙ্গি। বান্দরবানের পাহাড়ি জমিতে কাজু বাদাম, কফি, কমলা, আম কিংবা মাশরুম—সবই এখন সম্ভব।
এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬৪টি জেলায় পর্যায়ক্রমে এ ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। লক্ষ্য শুধু কৃষি বিষয়ে জ্ঞান দেওয়া নয়—গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের মাঝে আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করে তাঁদেরকে আর্থিক স্বাধীনতার পথে এগিয়ে দেওয়া।
অংশগ্রহণকারী অংম্রা থুই মারমা শেষে বলেন, আগে ভাবতাম শুধু উৎপাদন করলেই হলো, এখন বুঝছি ব্র্যান্ড তৈরি করাটাও আমার কাজ। একদিন আমার নিজের কাজু বাদামের একটা ব্র্যান্ড হবে—এই স্বপ্নটাই এখন আমার শক্তি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশে রেমিট্যান্স গ্রহণ করে প্রতিদিন হাইসেন্সের ফ্রিজ-টিভি জেতার সুযোগ

ঈদকে সামনে রেখে প্রতিদিন বিকাশ অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স গ্রহণকারী পাবেন একটি হাইসেন্স ডিপ ফ্রিজ এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গ্রহণকারী পাবেন একটি ৪৩ ইঞ্চি হাইসেন্স স্মার্ট টিভি। পাশাপাশি, ৫ জুন পর্যন্ত চলা এই ক্যাম্পেইনে ১০ হাজার (সরকারি ২.৫% প্রণোদনা ছাড়া) বা এর বেশি টাকার রেমিট্যান্স গ্রহণ করলেই প্রবাসীর স্বজনরা পাচ্ছেন ৫০০ টাকার নিশ্চিত ডিসকাউন্ট কুপন। প্রতিদিন ফ্রিজ ও টিভি বিজয়ীসহ সব বিজয়ীদের কুপনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে যুক্ত হয়ে যাবে।
একজন গ্রাহক ক্যাম্পেইন চলাকালে একবারই ফ্রিজ/টিভি ও ডিসকাউন্ট কুপন পেতে পারবেন।
দেশজুড়ে বিস্তৃত ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স স্মার্ট প্লাজা থেকে হাইসেন্সের ফ্রিজ-টিভি কেনার সময় বিকাশ-এর মাধ্যমে পেমেন্ট করে কুপনগুলো ব্যবহার করা যাবে। ক্যাম্পেইনটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে বিকাশের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজ এবং ওয়েবসাইটের এই https://www.bkash.com/page/rem-eid-anondo-june লিংকে।
ঈদকে সামনে রেখে ব্যাংকিং চ্যানেল হয়ে বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠানোকে আরো উদ্বুদ্ধ করতেই এই আয়োজন। বর্তমানে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদিআরব, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কুয়েত, ইতালি, কানাডা, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়াসহ ১৪০টিরও বেশি দেশ থেকে ১১০টি আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটর (এমটিও) এর মাধ্যমে প্রবাসীরা দেশে থাকা স্বজনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে যতবার প্রয়োজন ততবার রেমিট্যান্স পাঠাতে পারছেন।
সেই রেমিট্যান্স ২৫টি শীর্ষ বাণিজ্যিক ব্যাংকে সেটেলমেন্ট হয়ে হাজারে ২৫ টাকা সরকারি প্রণোদনাসহ নিমেষেই পৌঁছে যাচ্ছে দেশে থাকা প্রিয়জনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী প্রবাসীরা বিকাশে প্রতি লেনদেনে সর্বোচ্চ ২৫০,০০০ টাকা পাঠাতে পারছেন। এসব সুবিধার কারণে বিকাশে রেমিট্যান্স পাঠানোর এই সেবা দ্রুতই প্রবাসী ও তার স্বজনদের কাছে নির্ভরতা ও আস্থা অর্জন করেছে।
এদিকে, রেমিট্যান্সের টাকা এখন আরো কম খরচে ক্যাশ আউটের সুযোগ নিতে পারছেন দেশে থাকা প্রবাসীর স্বজনেরা।
দেশজুড়ে শীর্ষ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রায় ২,৫০০ এটিএম বুথ থেকে হাজারে মাত্র ৭ টাকা চার্জে বিকাশ অ্যাপ দিয়ে বা *২৪৭# ডায়াল করে গ্রাহকরা রেমিট্যান্সের টাকা ক্যাশ আউট করতে পারছেন। পাশাপাশি, বিকাশের এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ক্যাশ আউট করা এখন আরো সাশ্রয়ী, কারণ মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাজারে ১৪.৯০ টাকা খরচে দুটি প্রিয় এজেন্ট থেকে ক্যাশ আউট করতে পারছেন গ্রাহকরা।
এ ছাড়া, ক্যাশ আউট না করেও প্রবাসীর প্রিয়জনরা বিকাশের মাধ্যমেই বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির মতো ইউটিলিটি সেবার বিল পরিশোধ, টাকা পাঠানো, মোবাইল রিচার্জ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি সেবার ফি পরিশোধ, যাকাত-ফিতরা, অনুদান প্রদানসহ অসংখ্য সেবা নিতে পারছেন ঘরে বসেই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
চট্টগ্রামে আইএফআইসি ব্যাংকের ম্যানেজার্স মিট

চট্টগ্রামে “ম্যানেজার্স মিট” শীর্ষক ব্যবসায়িক সভার আয়োজন করেছে শাখা-উপশাখায় দেশের বৃহত্তম ব্যাংক আইএফআইসি ব্যাংক। সোমবার (১৯ মে) আগ্রাবাদের স্থানীয় একটি মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের চেয়রাম্যান মো. মেহমুদ হোসেন। এছাড়া মো. মেহমুদ হোসেন ব্যাংকের কর্মীদের আশানুরূপ পারফরমেন্সের জন্য ধনব্যাদ জ্ঞাপন করেন এবং গ্রাহকদের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করার পরামর্শ প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা। এ সময় তিনি উত্তরোত্তর সাফল্য অর্জন করায় শাখা ব্যবস্থাপক ও কর্মীদের সাধুবাদ জানান এবং ২০২৫ এও এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এর আগে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ অব ব্রাঞ্চ বিজনেস মো. রফিকুল ইসলাম। এ সময় বিভিন্ন ব্যবসায়িক পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ব্যাংকের চীফ ফাইন্যান্সসিয়াল অফিসার দিলিপ কুমার মন্ডল। পরিশেষে উপস্থিত ব্যাংকের কর্মীদের সঙ্গে প্রশ্ন-উত্তর পর্বের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দিনব্যাপী আয়োজিত এ সভার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
বর্ষসেরা এসএমই ব্যাংকার অ্যাওয়ার্ড জিতলেন সৈয়দ আব্দুল মোমেন

ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন কোরাস এসএমই ব্যাংকিং অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫-এ বর্ষসেরা এসএমই ব্যাংকার-ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন।
ভিয়েনায় আয়োজিত কোরাস রিইনভেন্ট ফোরামে বিশ্বব্যাপী এসএমই ব্যাংকিংয়ে যারা উদ্ভাবন, ইমপ্যাক্ট এবং ট্রান্সফরমেশনের মাধ্যমে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন, তাঁদের সম্মান জানাতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
ব্র্যাক ব্যাংকের সৈয়দ আব্দুল মোমেনের সাথে এই পুরস্কার জিতেছেন কিউএনবি তুর্কিয়ের ওকে ইলদিরিম (গোল্ড) এবং অ্যালায়েন্স ব্যাংক মালয়েশিয়া বেরহাদের রেমন্ড চুই (সিলভার)-এর মতো স্বনামধ্যন্য গ্লোবাল লিডাররা। সৈয়দ আব্দুল মোমেনের এই অর্জন এসএমই ব্যাংকিংয়ে অগ্রগামী হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংকের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করেছে। বিজয়ীদের নির্বাচন করা হয়েছিল কঠোর মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, যেখানে ৪৭টি দেশের মানুষের দেওয়া ভোটের ফলাফল মূল্যায়নে ছিল একটি অভিজ্ঞ জুরি বোর্ড।
২০০৫ সালে ব্র্যাক ব্যাংকে যোগদানের পর সৈয়দ আব্দুল মোমেন ২০১৭ সালে ব্যাংকটির হেড অব এসএমই ব্যাংকিং হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০২৫ সালে পদোন্নতি পেয়ে তিনি ব্যাংকটির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে নিযুক্ত হন। তাঁর নেতৃত্বে দেশে অর্থায়নের সুযোগ বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের উন্নয়ন এবং ইমার্জিং বিজনেসে ব্যাংকিং খাতে বেঞ্চমার্ক স্থাপনের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিংয়ে অনবদ্য হয়ে উঠেছে।
এমন অর্জন সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, “এই বৈশ্বিক সম্মাননা কেবল সৈয়দ আব্দুল মোমেনের জন্যই নয়, বরং বাংলাদেশের জন্যও গর্বের ও আনন্দের। এটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এসএমই ব্যাংকিংয়ে আমাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন, যেখানে তিনি সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন। তাঁর কর্ম এই খাতের সেরাদের সাথে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্মানিত হতে দেখা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের।”
কোরাস হলো একটি শীর্ষস্থানীয় অলাভজনক সংস্থা, যারা বিশ্বব্যাপী ১,২০০টিরও বেশি সদস্য প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করে। ব্যাংকিং, বিমা ও আর্থিক খাতের লিডারদের নিয়ে এই খাতের রূপান্তর ঘটাতে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কাফি