রাজনীতি
মাঠে নেমেই দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইলেন ইশরাক

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন অন্তর্বর্তী সরকারের সব দায়িত্ব থেকে দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার (২১ মে) রাতে রাজধানীর কাকরাইলে তিনি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে তিনি এ দাবি জানান।
তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বসানোর দাবিতে গত কয়েক দিন ধরেই সমর্থকেরা আন্দোলন করছেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, আসিফ-মাহফুজের পদত্যাগ চাই। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা নির্বাচনের রোডম্যাপ চাই। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থানের ঘোষণা দিচ্ছি।
তিনি বলেন, আমি মেয়র পদে শপথ নেওয়ার জন্য আন্দোলন করছি না। একটি গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতেই এই আন্দোলন।
গত কয়েক দিন ধরে নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ইশরাকের সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছিলেন। আজ তারা কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
কাফি

রাজনীতি
যুগ যুগ ধরে জামায়াত জনগণের মনোভাব বুঝতে চায়নি: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যুগ যুগ ধরে জামায়াত জনগণের মনোভাব বুঝতে চায়নি। যদি বুঝতে চাইত, তাহলে একাত্তরের বিরোধিতা করত না।
রোববার (৬ জুলাই) দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একদিকে নির্বাচন পেছানোর কথা বলছে, আবার অন্যদিকে প্রার্থীদের মনোনয়ন দিচ্ছে। এটা হচ্ছে দ্বিচারিতা। পত্রিকা খুললেই দেখা যায়, বিভিন্ন সংসদীয় আসনে জামায়াতের অমুক নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে- এমনভাবে ৩৩ থেকে ৩৪টি আসনে প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
রিজভী বলেন, যুগ যুগ ধরে জামায়াত জনগণের মনোভাব বুঝতে চায়নি। যদি বুঝতে চাইত, তাহলে একাত্তরের বিরোধিতা করত না। ১৯৮৬ সালে শেখ হাসিনার সঙ্গে গিয়ে জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্বাচনে অংশ নিত না। গণতন্ত্রে জনগণের যে মূল্য আছে, তারা সেটা পাত্তা দিতে চায় না। নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে গিয়েই বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমনকি বর্তমানে মানুষের পালস বুঝতে না পেরে নির্বাচন পেছানোরও পাঁয়তারা করছে।
কারবালার ইতিহাসের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এই যুদ্ধ ছিল ন্যায় আর অন্যায়ের সংঘর্ষ। একদিকে ন্যায়ের পক্ষে ইমাম হুসাইন (রা.)-এর বাহিনী আর অন্যদিকে অন্যায়ের পক্ষে ইয়াজিদের বাহিনী। এই লড়াই ছিল একদিকে গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, আরেকদিকে স্বৈরাচারের শক্তি।
ইমাম হুসাইন (রা.)-এর বাহিনী ছিল গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি। তারা যে ধারাবাহিকতায় খলিফা নির্বাচিত হতেন- খোলাফায়ে রাশেদিন সেটা একেবারেই গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হতো। আর ইয়াজিদের বাহিনী সেই গণতন্ত্রকে পুরোপুরি ধ্বংস করে রাজতন্ত্র ও স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠা করে।
কাফি
রাজনীতি
জামায়াতের আমিরের সঙ্গে বিদেশি প্রতিনিধিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন কয়েকটি দেশের ৫সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল।
রোববার (৬ জুলাই) বেলা ১১টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি অত্যন্ত আন্তরিকতা ও হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন এশিয়ান ফোরাম ফর পিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর চেয়ারম্যান ড. সাইয়েদ আজমান বিন সাইয়েদ আহমাদ নভভি, ঢাকাস্থ মালয়েশিয়ান হাইকমিশনের মান্যবর হাইকমিশনার মুহাম্মাদ সুহাদা ওসমান, এশিয়ান ফোরাম ফর পিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফ্রন্ট-এর সেন্ট্রাল কমিটি মেম্বার ড. মাহমুদ এইভ আবিয়ারি, এশিয়ান ফোরাম ফর পিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের কো-অর্ডিনেটর মুহাম্মাদ ফাইয়েজ বিন মুহাম্মাদ নবী প্রমুখ।
আমীরে জামায়াতের সাথে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিুবর রহমান, সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের ও সাবেক এমপি মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এবং ইসলামিক দাওয়াহ সার্কেল মালয়েশিয়ার সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল্লাহ মানসুর।
কাফি
রাজনীতি
সংস্কারবিরোধী দেখানোর চেষ্টা চলছে পরিকল্পিতভাবে: মির্জা ফখরুল

একটি মহল পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী হিসেবে উপস্থাপন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (৬ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের পর আবারও নতুন প্রস্তাব দিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংস্কার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “কয়েকজন ব্যক্তি বা একটি গোষ্ঠী বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালালেই জনগণ তা বিশ্বাস করবে—এটা ভাবার কারণ নেই। শহুরে কিছু মানুষই দেশের সার্বিক জনমত নয়।”
ফখরুল আরও বলেন, “বিএনপির সংস্কারের প্রতি আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। তবে রাষ্ট্র পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে সংস্কারের নামে দুর্বল করার প্রস্তাবকে বিএনপি সমর্থন করে না।”
নিত্যনতুন প্রস্তাব নিয়ে তিনি বলেন, “যেসব প্রস্তাব সত্যিকারের জনস্বার্থে আসে, তা স্বাগত। কিন্তু বড় কোনো পরিবর্তন জনগণকে সম্পৃক্ত না করে নেয়া গণতান্ত্রিক নয়। যারা নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায়, তারা গণতন্ত্রের পক্ষে নয়, বরং অগণতান্ত্রিক শক্তির অংশ।”
এ সময় তিনি দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সংক্রান্ত ঐকমত্য কমিশনের বক্তব্য অস্পষ্ট। জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের ধারণার সঙ্গে বিএনপি একমত নয়।”
কাফি
রাজনীতি
পালানোর আগে স্বজনদের খুদে বার্তা পাঠিয়েছিলেন হাসিনা: আলাল

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তবে, তার দুইদিন আগেই আত্মীয়-স্বজনদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বলেন তিনি।
রবিবার (৬ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে এক প্রতিবাদী সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ২ আগস্ট তার আত্মীয়-স্বজনদেরকে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছিল। সেখানে তিনি বলেন, তোমরা যে যেভাবে পারো দেশ ছেড়ে চলে যাও। দেশ থেকে বিদেশে পালাও। যে কারণে তার কোনো আত্মীয়-স্বজন গ্রেপ্তার হয়নি। সবাই নিরাপদে দেশ থেকে পালিয়ে গেছে।
দেশে নতুন করে রাজনৈতিক জোট পাকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, যারা আন্দোলনের সঙ্গে ছিল এবং যে যুবকরা নতুন দল গঠন করেছে তাদের সংশোধন হওয়ার জন্য বলি এটা শুধু ছাত্রদের আন্দোলন ছিল না। এ আন্দোলনের সঙ্গে ছাত্রীরা ও তাদের মাও জড়িত ছিলেন। এটা হবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। শুধু ছাত্রদের আন্দোলন না। এবং এর পেছনে প্রেরণা ও শক্তি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বে যে জোট, সেই জোট ছিল এর পেছনের শক্তিদাতা।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, সবচেয়ে বেশি শহীদের সংখ্যা বিএনপিতে, সবচেয়ে বেশি আহত সংখ্যা বিএনপিতে, সবচেয়ে বেশি গুমের সংখ্যা বিএনপিতে কিন্তু আমরা এই কৃতিত্বের দাবি করি না। আমরা মনে করি বিএনপির এটা করা উচিত ছিল, করেছে।
তিনি বলেন, দেশে নতুন আরেকটা রঙ্গিলা বাক্স নিয়ে হাজির হয়েছে। এই রঙ্গিলা বাক্সটা হচ্ছে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। পিআর পদ্ধতি যেসব দেশে আছে সেই সব দেশগুলোতে কোনো একটি দেশেও স্থিতিশীল সরকার নেই। স্বাভাবিক গতির সরকার নেই।
রাজনীতি
মাওলানা রফিউদ্দিন আহমাদ আর নেই

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাবেক সদস্য, বৃহত্তর ফরিদপুর ও নোয়াখালী জেলার সাবেক আমীর মাওলানা রফিউদ্দিন আহমাদ ইন্তিকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন।
রবিবার (৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় বার্ধক্যজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তিকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮২ বছর।
মাওলানা রফিউদ্দিন আহমাদ স্ত্রী, ৪ পুত্র ও ২ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। ৬ জুলাই বাদ আসর কেন্দ্রীয় অফিস সংলগ্ন চাঁন জামে মসজিদে প্রথম জানাযা অননষ্ঠিত হবে। এছাড়া, আগামীকাল ৭ জুলাই সকাল ৯টায় নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গ্রামের নিজ বাড়িতে দ্বিতীয় জানাযা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
মাওলানা রফি উদ্দিন আহমাদের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক যুক্ত শোকবাণী প্রদান করেছেন।
শোকবাণীতে তারা বলেন, মাওলানা রফি উদ্দিন আহমাদ একজন উঁচু মানের সংগঠক ছিলেন। তিনি তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে বৃহত্তর নোয়াখালী ও ফরিদপুর অঞ্চলে ইসলামী আন্দোলনকে একটি মজবুত ভিত্তি লাভ করাতে সক্ষম হন। মূলত তিনি কৈশোর বয়স থেকেই কুরআন ও ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং ইসলামী আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। সংগঠনের কঠিন সময়গুলোতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের একজন সম্মানিত সদস্য হিসেবে তিনি তাঁর জীবনের বিপুল অভিজ্ঞতা দিয়ে সংগঠনকে অনন্যভাবে সহযোগিতা করেছেন। আমরা তাঁর ইন্তিকালে গভীরভাবে শোক প্রকাশ করছি।
প্রদত্ত শোকবাণীতে তারা আরও বলেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা তাঁকে ক্ষমা ও রহম করুন এবং তাঁর কবরকে প্রশস্ত করুন। এই দাঈ ইলাল্লাহর জীবনের গুনাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। চিরদিনের যে সফর শুরু হল, এ সফরে আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি রহম করুন, রহমতের ফেরেশতাদেরকে দিয়ে তাঁকে সাহায্য করুন। আল্লাহ তাআলা তাঁর বারযাখ ও জান্নাতের জিন্দেগি প্রশান্তিময় করুন। তাঁর এই গোলামকে প্রিয় গোলামদের মধ্যে শামিল করে জান্নাতের আলা দারাজা দান করুন। মরহুমের পরিবারের সদস্যবৃন্দ, আত্মীয়-স্বজন ও সহকর্মীদেরকে আল্লাহ তাআলা সবরে জামিল আতা করুন। আমিন।