রাজনীতি
সালেহউদ্দিন আহমেদসহ তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি এনসিপির

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদসহ আইন, ও পরিকল্পনা উপদেষ্টার বিরুদ্ধে বিএনপিপন্থি আচরণের অভিযোগ তুলে তাদের পদত্যাগ দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বুধবার (২১ মে) দুপুরে রাজধানীর নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ের মূল ফটকে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি জানান এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী।
ইসি পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন দ্রুত আয়োজনের দাবিতে এনসিপির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা এ কর্মসূচির আয়োজন করে। বিক্ষোভে সভাপতিত্ব করেন নাসির উদ্দীন পাটওয়ারী এবং সূচনা বক্তব্য দেন কলাবাগান থানার প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ।
সমাবেশে বক্তৃতাকালে নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, উপদেষ্টারা বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন, তাদের পদত্যাগ করাতে বাধ্য হবো। বাংলাদেশের অর্থনীতি গুঁড়িয়ে দিতে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ কাজ করছেন। আইন মন্ত্রণালয় গুঁড়িয়ে দিতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল কাজ করছেন।
তিনি বলেন, আসিফ নজরুল, সালেহউদ্দিনের পদত্যাগ চাইতে বাধ্য হবো। জনগণ যেভাবে ছুড়ে ফেলেছে, আপনাদের ছুড়ে ফেলা হবে। ইসি পুনর্গঠন ছাড়া এনসিপি কোনো ভোট করতে দেবে না। ইসি বিএনপির দলীয় কার্যালয় হিসেবে কাজ করছে। রক্তের ম্যানডেট নিয়ে বিএনপির পক্ষে কাজ করতে পারেন না। ইসিকে আগে স্থানীয় নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় দালালচক্র দখল করছে। উপদেষ্টা প্যানেলে বিএনপিপন্থিদের বের করে দেন, আমরা দেখতে চাই।
আইন উপদেষ্টার উদ্দেশে নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আসিফ নজরুল জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে টালবাহানা করছেন। জনগণের রক্তের সঙ্গে তিনি বেইমানি করছেন। জুলাই ঘোষণাপত্র না দিলে আপনি দেশে থাকতে পারবেন না।
সমাবেশে বিএনপির উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতাকে অবহেলা করেছে, যার ফল তারা পেয়েছে। দিল্লিতে পালিয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা। বিএনপিও একই ভাষায় কথা বলছে। নিজেদের বড় ভেবে বসবেন না—রাস্তায় নামলে বোঝা যাবে, জনগণ কাকে চায়।
বিএনপি নেতা দুদুকে উদ্দেশ্য করে বক্তারা বলেন, আপনারা গত ১৬ বছরে কী করেছেন? আপনারা কি প্রস্রাব আটকে রেখেছিলেন, যে একটি বালুর ট্রাক পর্যন্ত সরাতে পারেননি। অথচ এখন বড় বড় কথা বলছেন। আপনাদের নেত্রী কিন্তু আমাদের আন্দোলনের কারণেই বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ পেয়েছেন।
এদিকে সমাবেশ ঘিরে নির্বাচন কমিশন ভবন এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সমাবেশ শেষ হলেও মোতায়েন রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব, কোস্ট গার্ড ও আনসার সদস্য। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় তারা সর্বোচ্চ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

চার দফা দাবিতে রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় বিক্ষোভ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা-কর্মীরা। জুমার নামাজের পর এই কর্মসূচি শুরু হয়, যা শেষ হলে একটি মিছিল বের করা হবে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২৩ মে) বাদ জুমা মসজিদের উত্তর পাশে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর শাখা এই আয়োজন করে।
সমাবেশ থেকে যে চারটি দাবি উত্থাপন করা হয়, সেগুলো হলো: নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল, শাপলা চত্বর ও জুলাইয়ের ঘটনাসহ সব গণহত্যার বিচার, হেফাজতের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিমদের ওপর গণহত্যা বন্ধ।
এদিকে, কাশ্মির, ফিলিস্তিন ও আরাকানের (রোহিঙ্গা) স্বাধীনতার দাবিতে পৃথক বিক্ষোভ ও মিছিল করেছে ‘জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন।
এমএস
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
জুলাইয়ের বিদ্রোহের পর গত রাতটি ছিল সবচেয়ে কঠিন: তাসনিম জারা

জুলাইয়ের বিদ্রোহের পর গত রাতটি সবচেয়ে কঠিন ও উদ্বেগপূর্ণ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা।
শুক্রবার (২৩ মে) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তাসনিম জারা লেখেন, রাজনৈতিক শক্তিগুলোর স্বার্থের সংঘাত এবং পারস্পরিক অবিশ্বাস আমাদের গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে চরম ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। ক্ষণিকের লাভ-লোকসানের হিসাব কষতে গিয়ে আমরা যেন এমন একটি জাতির স্বপ্ন ভেঙে না ফেলি, যারা স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছে।
তিনি বলেন, গত রাত ছিল জুলাইয়ের ঘটনার পর থেকে সবচেয়ে কঠিন রাতগুলোর একটি। একটি ভাবনা সারারাত আমাকে ঘুমাতে দেয়নি। সেটিই আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি। এখন কারও দিকে আঙুল তোলার সময় নয়, বরং নিজেদের দিকে তাকানোর সময়— আত্মসমালোচনার সময়।
তার ভাষায়, ইতিহাস আমাদের শিক্ষা দেয়— যারা পরিবর্তনকে ভয় পায়, তারা প্রাচীন শাসনব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনতে বিভাজন ও মেরুকরণের আশ্রয় নেয়। আমরা যেন আমাদের সমাজে তা হতে না দিই।
তাসনিম জারা আরও বলেন, এই বিপ্লব ছিল সাধারণ মানুষের। তাই সেই জনগণের প্রতিই আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। এখন সময় সংযম দেখানোর, সংলাপে বসার এবং ঐক্য ধরে রাখার।
সবশেষ তিনি আহ্বান জানিয়ে লেখেন, আসুন, এটি হোক বিভাজনের নয়— ঐক্যের একটি মোড়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
জুলাইয়ের গাদ্দারদের আহ্বানে নয়, দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হোন: সাদিক কায়েম

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম বলেছেন, জুলাইয়ের গাদ্দারদের আহ্বানে নয় বরং নিজ নিজ তাগিদে দেশের স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) এক ফেসবুক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান—সব ধরনের মান, অভিমান ও ক্ষোভ পাশ কাটিয়ে, জাতীয় স্বার্থে এখনই দূরদর্শী ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করুন।
তিনি বলেন, জুলাইয়ের গাদ্দারদের বলতে চাই— ইতিহাস তোমাদের ক্ষমা করবে না। জুলাইয়ের প্রধান শক্তিগুলোর বিভাজন সৃষ্টির দায় তোমাদেরই। জুলাই বিপ্লবের শক্তিগুলোর পিঠে ছুরি মেরে তোমরা মূলতঃ দেশকে ছুরিকাঘাতে আহত ও রক্তাক্ত করেছো।
এই মুহূর্তে বলব, সবাই যার যার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করুন। দ্বিধা নয়—এই লড়াই দেশ ও জনগণের জন্য। আল্লাহ যেন এই জাতিকে সাহায্য করেন এবং সকল ধরনের ক্ষতি ও ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব: হাসনাত

অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা ছাত্র প্রতিনিধিদের দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করা স্বাভাবিক বিষয় নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। একই সঙ্গে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে আরেকটি ওয়ান-ইলেভেনের পথ তৈরি হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন হাসনাত।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে হাসনাত বলেন, ‘এনসিপিকে নির্বাচনবিরোধী আখ্যা দিয়ে সচেতনভাবেই এক ধরনের কলঙ্ক দেওয়ার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি ছাত্র উপদেষ্টারা দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে চায়—এমন গুজব ছড়িয়ে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি করার নানা কার্যক্রমও চলমান। এই চক্রান্ত কয়েকটি দিক থেকে পরিচালিত হচ্ছে।’
এরপর তিনি এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের নির্বাচন নিয়ে দেওয়া দুটি বক্তব্য তুলে ধরেন। তাদের দুজনের বক্তব্যে চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। হাসনাত আরো বলেন, ‘তার পরও দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করা কিভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে? অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা এবং ইন্টেরিম সরকারের অংশ হওয়া দুজন ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চাওয়া মোটেই স্বাভাবিক কোনো বিষয় বলে মনে করি না।’
এদিকে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাপ্রাঙ্গণে অফিসার্স অ্যাড্রেসের বরাত দিয়ে গত রাতে গণমাধ্যমে খবর ছাপা হয়। সেখানে দাবি করা হয়, সংস্কার প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, কী সংস্কার হচ্ছে, কিভাবে হচ্ছে, এ বিষয়ে তার কিছু জানা নেই।
এ বিষয়ে তার সঙ্গে কোনো পরামর্শ বা আলোচনা করা হয়নি। মানবিক করিডর বিষয়ে সিদ্ধান্ত একটি নির্বাচিত সরকার থেকেই আসতে হবে এবং তা বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই হতে হবে। এ ছাড়া আগামী ডিসম্বরের মধ্যে নির্বাচন হওয়া উচিত বলে সেনাপ্রধানের বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের সাব-কনশাস মাইন্ডে আর্মিকে রাজনৈতিক সালিসের ক্ষমতা দিয়ে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। অথচ বিএনপি ঐতিহাসিকভাবে সেনাবাহিনীর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ভুক্তভোগী একটা দল।
আমরা এখনো ওয়ান-ইলেভেনের ইতিহাস ভুলে যাইনি, এখনো তারেক রহমানের নির্যাতনের ঘটনা আমাদের স্মরণে রয়েছে। সেনাবাহিনী আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা সতর্ক পাহারাদার।দেশের প্রয়োজনে, সার্বভৌমত্বের প্রয়োজনে, আমরা প্রয়োজন হলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব। কিন্তু গণতান্ত্রিক অধিকার এবং সুষ্ঠু ক্ষমতা হস্তান্তরের যে আকাঙ্ক্ষা থেকে ২০২৪-এর অভ্যুত্থান ঘটেছে, সেখানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপকে আমরা মেনে নেব না। রাজনৈতিক সালিসের সুযোগ দিয়ে আরেকটি ওয়ান-ইলেভেনের পথ কেউ প্রশস্ত করছে কি না—তা নিয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।’
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার আন্দোলনে সঙ্গে থাকা সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে হাসনাত বলেন, ‘আমরা যাদের পাশে পেয়েছি, তাদের প্রতি আমাদের ঐতিহাসিক কৃতজ্ঞতা থাকবে। আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতেও সব পক্ষকে এক থাকতে হবে। এই দাবিতে বড় কোনো দলের নির্লিপ্ততা আমাদের হতাশ করে। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চা, আওয়ামী লীগের বিচার এবং রাষ্ট্রীয় সংস্কার নিশ্চিত করে দ্রুত নির্বাচনে যাওয়ার লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দলের একসঙ্গে কাজ করা জরুরি।’
তিনি আরো বলেন, ‘ক্ষণস্থায়ী ফায়দা লুটতে গিয়ে ২০২৪-এর অভ্যুত্থানের পর উদ্ভূত বিপুল সম্ভাবনার জন-আকাঙ্ক্ষাকে নষ্ট করা হলে, তা হবে একটি ঐতিহাসিক ব্যর্থতা। আমরা যেন নিজেরাই বিভাজনের পথ বেছে নিয়ে অন্য কাউকে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের সুযোগ না দিই। বাইরের কাউকে রাজনৈতিক মাতব্বরি করার সুযোগ দিয়ে দেশের শুদ্ধ গণতান্ত্রিক সম্ভাবনাকে হুমকির মুখে না ফেলি। বৈদেশিক হস্তক্ষেপ ও দেশীয় ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি স্থিতিশীল, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে আধিপত্যবাদবিরোধী এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে এক হতে হবে।’
এর আগে সেনাবাহিনী নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একবার পোস্ট করেছিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। যা দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
গণ-অভ্যুত্থানের সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছে বিএনপি: এনসিপি

বিএনপির অভ্যন্তরে অন্তর্কোন্দল থাকায় দলটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় না। দলটি গণ-অভ্যুত্থানের সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করার পাঁয়তারা করছে। এ জন্য জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। এমনটা করতে থাকলে জনগণই তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় এক বিক্ষোভ সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা এ কথা বলেন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে এনসিপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ (যাত্রাবাড়ী জোন) শাখা এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিন বলেন, নির্বাচন কমিশন শুরু থেকেই একটি রাজনৈতিক দলকে খুশি করতে পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। ফ্যাসিবাদী আমলের বিতর্কিত আইনে গঠিত সেই ইসির পুনর্গঠন করতে হবে। ইসিকে জবাবদিহিতে আনার জন্য স্বাধীন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করতে হবে।
বিএনপি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে নেমেছে বলে মন্তব্য করেন দলের যুগ্ম সদস্যসচিব মো. আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) বাংলাদেশে আরেকটি ওয়ান–ইলেভেন আনতে চায়। ওয়ান–ইলেভেনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অচল করার পেছনে যে বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশন, সেগুলো ঢেলে সাজাতে হবে।
এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আলী নাসের খান বলেন, বিএনপির মতো দায়িত্বশীল বড় দল জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের বিচার চায়নি; বরং কীভাবে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করা যায়, তা নিয়ে তারা সর্বদা ব্যতিব্যস্ত। তারা গণ-অভ্যুত্থানের সরকারকে হটিয়ে নোংরা কায়দায় ক্ষমতা দখল করার পাঁয়তারা করছে।
আলী নাসের খান বলেন, বিএনপি সংস্কার শুরু হওয়ার আগেই নির্বাচন কমিশনারদের বসিয়েছে, অ্যাটর্নি জেনারেলকে বসিয়েছে। একইভাবে উচ্চ ও নিম্ন আদালত, ব্যুরোক্রেসিসহ অন্য সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে নিজেদের লোক বসিয়েছে। নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা বলা হলেও তেমন কোনো পরিস্থিতি এখন নেই। তাই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।
দলের যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক এস এম শাহরিয়ার বলেন, ২০২২ সালের কালাকানুনের মাধ্যমে যে ইসি গঠিত হয়েছে, তারা নির্বাচন সংস্কারের প্রতিটি প্রস্তাবকে নাকচ করে দিয়েছে। অর্থাৎ, এই ইসি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চায় না। একই পদধারী খান মুহাম্মদ মুরসালিন বলেন, নির্বাচন কমিশন এখন বিএনপির পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র কারা চায় না, এটা সবাই জানে। সরকার ঘোষিত ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে আর ২১ কার্যদিবস বাকি আছে। এর মধ্যে ঘোষণাপত্র জারি না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন এনসিপির কদমতলী থানার প্রতিনিধি মো. সাদিকুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার প্রতিনিধি লাকি আক্তার, মিরাসাদ হোসেন হিমেল, ওয়ারী থানার প্রতিনিধি রিফাত খান, যাত্রাবাড়ী থানার প্রতিনিধি মো. রিয়াদ প্রমুখ।