কর্পোরেট সংবাদ
বর্ষসেরা এসএমই ব্যাংকার অ্যাওয়ার্ড জিতলেন সৈয়দ আব্দুল মোমেন

ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন কোরাস এসএমই ব্যাংকিং অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫-এ বর্ষসেরা এসএমই ব্যাংকার-ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন।
ভিয়েনায় আয়োজিত কোরাস রিইনভেন্ট ফোরামে বিশ্বব্যাপী এসএমই ব্যাংকিংয়ে যারা উদ্ভাবন, ইমপ্যাক্ট এবং ট্রান্সফরমেশনের মাধ্যমে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন, তাঁদের সম্মান জানাতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
ব্র্যাক ব্যাংকের সৈয়দ আব্দুল মোমেনের সাথে এই পুরস্কার জিতেছেন কিউএনবি তুর্কিয়ের ওকে ইলদিরিম (গোল্ড) এবং অ্যালায়েন্স ব্যাংক মালয়েশিয়া বেরহাদের রেমন্ড চুই (সিলভার)-এর মতো স্বনামধ্যন্য গ্লোবাল লিডাররা। সৈয়দ আব্দুল মোমেনের এই অর্জন এসএমই ব্যাংকিংয়ে অগ্রগামী হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংকের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করেছে। বিজয়ীদের নির্বাচন করা হয়েছিল কঠোর মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, যেখানে ৪৭টি দেশের মানুষের দেওয়া ভোটের ফলাফল মূল্যায়নে ছিল একটি অভিজ্ঞ জুরি বোর্ড।
২০০৫ সালে ব্র্যাক ব্যাংকে যোগদানের পর সৈয়দ আব্দুল মোমেন ২০১৭ সালে ব্যাংকটির হেড অব এসএমই ব্যাংকিং হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০২৫ সালে পদোন্নতি পেয়ে তিনি ব্যাংকটির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে নিযুক্ত হন। তাঁর নেতৃত্বে দেশে অর্থায়নের সুযোগ বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের উন্নয়ন এবং ইমার্জিং বিজনেসে ব্যাংকিং খাতে বেঞ্চমার্ক স্থাপনের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিংয়ে অনবদ্য হয়ে উঠেছে।
এমন অর্জন সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, “এই বৈশ্বিক সম্মাননা কেবল সৈয়দ আব্দুল মোমেনের জন্যই নয়, বরং বাংলাদেশের জন্যও গর্বের ও আনন্দের। এটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এসএমই ব্যাংকিংয়ে আমাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন, যেখানে তিনি সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন। তাঁর কর্ম এই খাতের সেরাদের সাথে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্মানিত হতে দেখা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের।”
কোরাস হলো একটি শীর্ষস্থানীয় অলাভজনক সংস্থা, যারা বিশ্বব্যাপী ১,২০০টিরও বেশি সদস্য প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করে। ব্যাংকিং, বিমা ও আর্থিক খাতের লিডারদের নিয়ে এই খাতের রূপান্তর ঘটাতে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কাফি

কর্পোরেট সংবাদ
এবি ব্যাংকের উদ্যোগে মাসব্যাপী উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচীর উদ্বোধন

এবি ব্যাংক পিএলসির উদ্যেগে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের এসআইসিআইপি প্রকল্পের অধীনে বরিশালে মাসব্যাপী উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
মাসব্যাপী এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে, এবং তাদেরকে আনুষ্ঠানিক ব্যাংকিং সেবার আওতায় এনে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সহায়তা করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক মধুসুদন বনিক, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই এন্ড স্পেসাল প্রোগ্রার্মস ডিপার্টমেন্ট এর যুগ্ম পরিচালক এবং এসআইসিআইপি প্রকল্পের ডেপুটি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মো. আইয়ুব আলী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক মোল্লা আল মাহমুদ।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এবি ব্যাংকের হেড অব এসএমই ব্যাংকিং, ইফতেখার এনাম আওয়াল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি ব্যাংক ব্যাংকের ঊর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, ও বরিশাল অঞ্চলের সম্ভাবনাময় বাছাইকৃত ২৫ জন তরুণ উদ্যেক্তা।
কর্পোরেট সংবাদ
বিটিআই থেকে অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের এক্সক্লুসিভ হোম লোন সুবিধা

অ্যাপার্টমেন্ট ক্রেতাদের এক্সক্লুসিভ হোম লোন সুবিধা দিতে সম্প্রতি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার কোম্পানি বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াস লিমিটেডের (বিটিআই) সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
এই চুক্তির আওতায় বিটিআইয়ের নির্দিষ্ট প্রকল্প থেকে অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়ে ইচ্ছুক গ্রাহকরা ব্র্যাক ব্যাংকের আকর্ষণীয় হোম লোন সুবিধা উপভোগের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ফ্রি ইন্টেরিয়র সাপোর্ট উপভোগ করতে পারবেন।
এই উদ্যোগটি গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নত করার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। গ্রাহকদের জন্য সুবিধাজনক আবাসন অর্থায়ন ও ইন্টেরিয়র সল্যুশনের সুযোগ বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে।
গত ২৫ আগস্ট ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম এবং বিটিআইয়ের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এফ.আর. খান।
এসময় ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক শেখ মোহাম্মদ আশফাক, সিনিয়র জোনাল হেড (নর্থ জোন) এ.কে.এম. তারেক, রিজিওনাল হেড (ঢাকা সেন্ট্রাল ও নারায়ণগঞ্জ) সাজিয়া হোসেন এবং হেড অব রিটেইল সেলস মহবুবুল ফারুক খান।
অন্যদিকে, বিটিআইয়ের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মাশরুর হাসান মীমসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কর্পোরেট সংবাদ
ফোর্বস এশিয়ার ১০০ টু ওয়াচ-এ পাঠাও

ফোর্বস এশিয়ার ‘১০০ টু ওয়াচ ২০২৫’ তালিকায় জায়গা পেয়েছে পাঠাও। এই তালিকায় এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় এবং দ্রুত এগিয়ে চলা কোম্পানিগুলোকে বেছে নেওয়া হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
পাঠাও জানায়, আসন্ন অক্টোবরে পাঠাও-এর ১০ বছর পূর্তি হবে। আর সেটি উদযাপান হবে। সেটি প্রতিষ্ঠানটির জন্য অত্যন্ত গর্বের।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ২০১৫ সালে ছোট একটি ডেলিভারি সেবা দিয়ে পাঠাও এর যাত্রা শুরু হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ছিল মানুষকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এক দশক পরে, পাঠাও বাংলাদেশ ও নেপালের লাখ লাখ মানুষের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। রাইড, ফুড ডেলিভারি, কুরিয়ার সার্ভিস থেকে শুরু করে আর্থিক সেবা, সবকিছুই মানুষের জীবনকে সহজ ও স্বাধীন করতে সাহায্য করছে। এখন পর্যন্ত ১ কোটিরও বেশি মানুষ পাঠাও ব্যবহার করেছেন এবং প্রায় ৫ লাখ মানুষ পাঠাও-এর মাধ্যমে আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন।
পাঠাও বলছে, আমাদের কাছে প্রযুক্তি মানে শুধু অ্যাপ নয়, মানুষের জীবনকে বদলে দেওয়া। যারা প্রতিদিন পাঠাও ব্যবহার করেন, রাইডাররা যারা সম্মানজনক আয় করেন, ব্যবসায়ীরা যারা আমাদের সাথে ব্যবসা বড় করছেন, সবাই এই যাত্রার অংশ। ফোর্বসের এই স্বীকৃতি শুধু পাঠাও-এর জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের ভিশন, পরিশ্রম আর অগ্রগতির প্রতীক।
পাঠাও এর সিইও ফাহিম আহমেদ বলেছেন, ফোর্বস এশিয়ার ১০০ টু ওয়াচ তালিকায় জায়গা পাওয়া এবং পাঠাও-এর ১০ বছর পূর্তি এ দুটোই প্রমাণ করে আমরা কতটা দূর এগিয়েছি, কীভাবে মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনছি এবং একটি আরও কানেক্টেড ও শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি কতটা দৃঢ়।
তিনি বলেন, ফোর্বসের স্বীকৃতি আমাদের জন্য গর্বের বিষয়, তবে একই সঙ্গে এটি মনে করিয়ে দেয় যে আমাদের পথচলা এখনও অনেক বাকি। আমরা ১০ বছরের সাফল্য উদযাপন করছি কৃতজ্ঞতা নিয়ে, এবং সামনে আরও কোটি মানুষের জীবনে সেবা, সংযোগ ও উন্নতির সুযোগ তৈরি করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।
কর্পোরেট সংবাদ
বিডিবিএল সিকিউরিটিজের নতুন পরিচালক আনোয়ার হোসেনের যোগদান

বিডিবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের (বিএসএল) পরিচালনা পর্ষদের ১২২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন কোম্পানির নতুন পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। এসময় তাকে পর্ষদের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। তিনি শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজের সাবেক সিইও।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে বিএসএলের বোর্ড রুমে ১২২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসএলের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং সিইও মো. জসীম উদ্দিন।
সভায় কোম্পানির পরিচালক মো. রোকোনুজ্জামান, অর্থমন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি আফরোজা আক্তার রিবা, বিডিবিপিএলসির জিএম মো. আব্দুল মান্নান শেখ, কোম্পানির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এ.কে.এম শরীফ হোসেন এবং কোম্পানি সেক্রেটারি এস.এম. গোলাম রব্বানী উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
চলতি বছরের প্রথমার্ধে ব্র্যাক ব্যাংকের নিট মুনাফা বেড়েছে ৫৩ শতাংশ

ব্র্যাক ব্যাংক চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি–জুন) সমন্বিত কর-পরবর্তী নিট মুনাফায় (এনপিএটি) ৫৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের সমন্বিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত অঙ্গপ্রতিষ্ঠানসহ ব্যাংকটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৯০৬ কোটি টাকায়, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে অর্জিত ৫৯১ কোটি টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
সম্প্রতি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত আর্নিংস ডিসক্লোজার অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের এই আর্থিক তথ্যগুলো প্রকাশ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত এই ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন ব্যাংকটির স্থানীয় ও বিদেশি স্টেকহোল্ডার, বিনিয়োগ-বিশ্লেষক, পোর্টফোলিও ম্যানেজার ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞবৃন্দ।
এ সময়ে এককভাবে (স্ট্যান্ডঅ্যালন) ব্র্যাক ব্যাংকের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৬২০ কোটি টাকা, যা আগের বছরের ৫১৯ কোটি টাকার তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি। চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি সত্ত্বেও ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকটি মার্কেট অ্যাভারেজ প্রবৃদ্ধির চেয়ে অনেক বেশি হারে ব্যালেন্স শিট প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বার্ষিক ভিত্তিতে গ্রাহক আমানত বেড়েছে ২৮ শতাংশ এবং গ্রাহক ঋণ বেড়েছে ৭ শতাংশ।
আয়োজনে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যাংকটির আর্থিক ফলাফল, সাফল্য, সক্ষমতা উপস্থাপনের পাশাপাশি ব্যাংকের ভবিষ্যৎ কৌশল তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের শেষে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসের উল্লেখযোগ্য অর্জনসমূহ- সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৩.৫৬ টাকায় উন্নীত হয়েছে, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে ছিল ২.৬২ টাকা। ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪২.৬০ টাকা, যা ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ৩৯.৩৮ টাকা।
২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের একক (স্ট্যান্ডঅ্যালন) আমানত ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ব্যাংকটির দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি কৌশল ও গ্রাহক আস্থার প্রতিফলন। সমন্বিত রিটার্ন অন ইক্যুইটি (আরওই) এবং রিটার্ন অন অ্যাসেট (আরওএ) যথাক্রমে ১৭.৩৬ শতাংশ এবং ১.২৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
সমন্বিত মোট আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মধ্যে সুদ আয়ের পাশাপাশি নন-ফান্ডেড আয়ের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৩.৩৭ শতাংশ, যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ছিল ২.৬৩ শতাংশ।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন আর্থিক সাফল্য সম্পর্কে ব্যাংকটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “ব্র্যাক ব্যাংকের এ সাফল্য গ্রাহক, সমাজ ও দেশের প্রতি আমাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির উদাহরণ। গ্রাহক ও স্টেকহোল্ডারদের আস্থা ও বিশ্বাসকে সাথে নিয়ে আমরা উদ্ভাবন, ক্ষমতায়ন এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে অবদান অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর।”
তিনি আরও বলেন, “বছরের পর বছর ধরে ধারাবাহিক সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ সকল স্টেকহোল্ডারদের কাছে ব্র্যাক ব্যাংক এখন এক আস্থার নাম। কর্পোরেট সুশাসন, কমপ্লায়েন্স এবং মূল্যবোধ-নির্ভর ব্যাংকিংয়ে ব্র্যাক ব্যাংক রোল-মডেল হিসেবে স্বীকৃত। এমন অর্জনের জন্য আমি কৃতজ্ঞতা জানাই ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহকদের প্রতি— তাঁদের অবিচল আস্থার জন্য, আমাদের চেয়ারপারসন ও পরিচালনা পর্ষদের প্রতি— তাঁদের ধারাবাহিক দিকনির্দেশনার জন্য এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি তাঁদের দূরদর্শী রেগুলেটরি দিকনির্দেশনা ও নিরবচ্ছিন্ন সহায়তার জন্য।”
কাফি