জাতীয়
অর্থ উপদেষ্টার অফিস কক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থান

সচিবালয় ভাতা ও রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের দপ্তরে অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।
আজ সোমবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিচে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে দিতে অর্থ উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এসে অবস্থান নেন কর্মচারীরা।
এ সময় কর্মচারীদের পক্ষে পরিষদের মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদ ও পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যান।
কর্মচারীরা জানান, আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা এ স্থান থেকে যাবো না। প্রয়োজনে সারারাত বসে থাকবো। এ সময় তারা স্লোগান দেন ‘আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে, সচিবালয় ভাতা ও রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
পরে তারা অর্থ মন্ত্রণালয়ে এসে তারা উপদেষ্টার অফিস কক্ষের সামনের করিডোরে বসে অবস্থান নেয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
কোরবানির পশু জবাইয়ে ইমামদের প্রশিক্ষণ দেবে ডিএনসিসি

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ধর্মীয় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানির পশু জবাই এবং মাংস প্রস্তুতের বিষয়ে ইমাম ও মাংস প্রস্তুতকারীদের প্রশিক্ষণ দেবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। সোমবার (১৯ মে) ডিএনসিসির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশুর চামড়া বিশেষ করে গরুর চামড়া একটি অন্যতম রপ্তানিযোগ্য জাতীয় সম্পদ। বছরে যে পরিমাণ পশুর চামড়া সংগৃহীত হয় তার বেশিরভাগই আসে কোরবানি করা পশু থেকে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ইমাম ও মাংস প্রস্তুতকারীদের কোরবানির পশুর চামড়া ছাড়ানোর সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকায় এই জাতীয় সম্পদের গুণগত মান বজায় থাকে না এবং রপ্তানিযোগ্যতা হারায়।
বিষয়টি মাথায় রেখে এ বছর ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলেই প্রশাসকের নির্দেশে ইমাম ও মাংস প্রস্তুতকারীদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।
ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের নির্দেশে এ বছর ডিএনসিসির আওতাধীন প্রত্যেক পশুর হাটে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল টিম থাকবে। এবং তারা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।
কোরবানির পশুর বর্জ্য সঠিক ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা মাথায় রেখে এলাকাভিত্তিক কোরবানির জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে এলাকাবাসীকে পশু কোরবানি দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে যাতে সহজে অল্প সময়ের মধ্যেই পশুর বর্জ্য সঠিক ভাবে অপসারণ করা যায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
১০ হাজারের বেশি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক ১০ হাজারের বেশি মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-১ শাখার কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সারাদেশে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৫০৬টি হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ফ্যাসিস্ট আমলে করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়। সেই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এসব মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্ব স্ব জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে পত্র মারফত মামলার নম্বর উল্লেখ করে জেলা পাবলিক প্রসিকিউটরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ৪৯৪ ধারার আওতায় উক্ত মামলাগুলো প্রত্যাহার করে না চালানোর জন্য সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক কারণে হওয়া হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে দুটি কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। এর মধ্যে একটি জেলা পর্যায়ের কমিটি এবং অন্যটি মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি।
জেলা পর্যায়ের কমিটির সভাপতি হিসেবে থাকবেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সদস্যসচিব অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং সদস্য পুলিশ সুপার (মহানগর এলাকার জন্য পুলিশের একজন ডেপুটি কমিশনার) ও পাবলিক প্রসিকিউটর (মহানগর এলাকার মামলাগুলোর জন্য মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর)।
জেলা কমিটির কাছে যদি মনে হয় মামলাটি রাজনৈতিক বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে হয়রানির জন্য করা হয়েছে, তাহলে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য কমিটি সরকারের কাছে সুপারিশ করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সেই সুপারিশ, মামলার এজাহার, অভিযোগপত্রসহ আবেদন পাওয়ার ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে নির্দিষ্ট ছক অনুযায়ী তথ্যাদিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। এ ছাড়া ব্যক্তি পর্যায়েও আবেদন করা যাবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব অথবা আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর বরাবরেও আবেদন নেওয়া হচ্ছে। তবে সেই আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তালিকা প্রস্তুত করে আইন উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে রেজল্যুশন আকারে অনুমোদন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়। পরে আবারও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। সেখান থেকে ফেরত আসার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্ব স্ব জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর চূড়ান্তভাবে চিঠি পাঠানো হয়।
জেলা পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে জারি করা একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জেলা কমিটির কাছ থেকে সুপারিশপ্রাপ্তির পর মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। প্রত্যাহারযোগ্য মামলা চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তত করবে এবং মামলা প্রত্যাহারের কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির সভাপতি হিসেবে আছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং সদস্যসচিব হিসাবে দায়িত্বপালন করছেন জননিরাপত্তা বিভাগের আইন-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব। আর কয়েকজন রয়েছেন সদস্য হিসেবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়ের হওয়া রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার শিকার যে কেউ এই সুযোগ পাবেন। তবে আবেদনপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মামলার এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিযোগপত্রের (চার্জশিট) সত্যায়িত অনুলিপি দাখিল করতে হবে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) ফয়সল হাসান বলেন, নিরপরাধ ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অনর্থক হয়রানি থেকে পরিত্রাণ দেওয়ার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে গৃহীত এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
১১শ কোটি টাকা আত্মসাৎ: দুই মামলায় আসামি এস আলমসহ ৬৮

নামসর্বস্ব ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণের নামে ১ হাজার ১০২ কোটি আত্মসাতের অভিযোগে আলোচিত শিল্পগ্রুপ এস আলমের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
প্রথম মামলায় ঋণের নামে ব্যাংক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাফরান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের নামে ৫৪৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। যেখানে সাইফুল আলমসহ ৩৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলায় একই কায়দায় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান মেসার্স হুদা এন্টারপ্রাইজের নামে ৫৫৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায়ও সাইফুল আলমসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রথম মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র সৃজন করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিনিয়োগ প্রস্তাব (ঋণ প্রস্তাব) শাখা হতে জোনাল অফিস ও পরে প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ ও ঋণ অনুমোদন করে নামসর্বস্ব কোম্পানি মেসার্স সাফরান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের নামে। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, জুবিলি রোড শাখায় বাই মুরাবাহা (হাইপো) বিনিয়োগ সীমা ৭২ কোটি এবং এলসি সীমা ৮০ কোটি টাকার বিনিয়োগ (ঋণ) সুবিধা প্রদান করা হয়। ওই ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ (ঋণ) গ্রাহকের হালনাগাদ সিআইবি না নেওয়া, গ্রাহকের ঠিকানা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা যাচাই না করা, হালনাগাদ বিমা পলিসি ও ট্রেড লাইসেন্স না নেওয়া, ল’ ইয়ার স্যাটিসফেকশন সার্টিফিকেট না নেওয়া, এনইসি গ্রহণ না করা, সহায়ক জামানতের অতিমূল্যায়নসহ যথাযথ রেকর্ডপত্র ছাড়া ঋণ প্রদানসহ অন্যান্য অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, ঋণের ক্ষেত্রে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের জুবিলি রোড শাখা থেকে বিনিয়োগ সীমার বিপরীতে ২০১২ সালের পরবর্তী বছরগুলোতে ঋণের কোনো টাকা পরিশোধ না করা সত্ত্বেও শাখা কর্তৃক ভুয়া ডকুমেন্ট প্রেরণ করে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ সীমা বৃদ্ধি করা হয় এবং সর্বশেষ ২০২৩ সালে বিনিয়োগ সীমা ১০০ কোটি টাকার বিপরীতে ৪৫০ কোটি টাকা সীমাতিরিক্ত বিতরণ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় মোট ৫৪৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিভিন্ন নামসর্বস্ব হিসাবে সমন্বয়ের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এই টাকা বিভিন্ন ডিলের মাধ্যমে সাফরান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের হিসাব থেকে মেসার্স শাহাজি ট্রেডার্স, জুপিটার ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, মেসার্স জিন্নাহ কর্পোরেশন, মুসা এন্টারপ্রাইজসহ বিভিন্ন কোম্পানির অনুকূলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। পরে ওই হিসাবসমূহ থেকে ৫টি ডিলের মাধ্যমে মোট ১৯ কোটি ২২ লাখ টাকা এস আলম গ্রুপ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাবে (এস আলম ভেজিটেবল অয়েল লি., এস আলম রিফাইন্ড সুগার লি.) স্থানান্তর করে মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ সংঘটনের প্রমাণ অনুসন্ধানকালে প্রতীয়মান হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৯/১০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলার এজাহারে বলা হয়, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং মেসার্স হুদা এন্টারপ্রাইজ নামক নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারীর সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও বিশ্বাসভঙ্গ করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র সৃজন করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিনিয়োগ প্রস্তাব (ঋণ প্রস্তাব) শাখা থেকে জোনাল অফিস ও পরে প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ ও ঋণ অনুমোদন করে।
এতে বলা হয়, নামসর্বস্ব কোম্পানি মেসার্স হুদা এন্টারপ্রাইজের নামে সর্বপ্রথম ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, আন্দরকিল্লা শাখায় বাই মুরাবাহা (হাইপো) বিনিয়োগ সীমা ৫০ কোটি এবং এলসি সীমা ৫৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান করা হয়। উক্ত ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ (ঋণ) গ্রাহকের হালনাগাদ সিআইবি না নেওয়া, গ্রাহকের ঠিকানা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা যাচাই না করা, হালনাগাদ বীমা পলিসি ও ট্রেড লাইসেন্স না নেওয়া, ল’ ইয়ার স্যাটিসফেকশন সার্টিফিকেট না নেওয়া, সহায়ক জামানতের অতিমূল্যায়নসহ যথাযথ রেকর্ডপত্র ছাড়া ঋণ প্রদানসহ অন্যান্য অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হয়।
এছাড়া ঋণ বিতরণের পর আন্দরকিল্লা শাখা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ইউনিয়ন ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় বিভিন্ন নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান যেমন- ভেনাস ট্রেডিংস লি., রিজেনেবল ট্রেডার্স লি., আব্দুল আওয়াল অ্যান্ড সন্স লি., ইউনিয়ন প্যাসিফিক সোর্স অ্যান্ড ট্রেডের অনুকূলে ঋণের টাকা স্থানান্তর করা হয়। উক্ত নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানসমূহের হিসাব থেকে পরবর্তীতে চেক ও ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে এস আলম গ্রুপ সংশ্লিষ্ট ২টি প্রতিষ্ঠানে মোট ১৩০ কোটি টাকা স্থানান্তর করার মাধ্যমে মানিলন্ডারিং অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
এতে বলা হয়, ঋণ প্রদানের পরবর্তী বছরগুলোতে অর্থাৎ, ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গ্রাহকের আবেদন, শাখা ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের সুপারিশ অনুযায়ী বিনিয়োগ হিসাব নিয়মিত রাখার জন্য মুনাফাসহ বছর বছর নবায়ন করা হতো। এই প্রক্রিয়ায় অনুমোদিত বিনিয়োগ সীমা (ঋণ সীমা) ৪৫ কোটি টাকা থাকলেও সময়ে সময়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত অর্থছাড় করে সীমাতিরিক্ত বিনিয়োগ করে মোট ৫৫৩ কোটি ২১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
‘সরকারের সহযোগিতার অভাবে আমরা পাওনা টাকা পাচ্ছি না’

সরকারের সহযোগিতার অভাবে আমরা পাওনা টাকা পাচ্ছি না বলে জানিয়েছেন বকেয়া বেতন আদায়ে বিক্ষোভ করা এক নারী শ্রমিক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মামলা থাকায় নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে মামলা থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (১৯ মে) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, ” ওনার বিরুদ্ধে ইনভেস্টিগেশন (তদন্ত) হচ্ছে।”
নুসরাত ফারিয়ার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা ছিল না উল্লেখ করে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। জানান, কারো বিরুদ্ধে মামলা থাকলে ছেড়ে দেয়া যায় না।
” তার নামে মামলা থাকলে কী করবেন। যদি ছাইড়া দিলে আপনিই বলবেন ছাইড়া দিছেন। বিদেশযাত্রায় নিষেধ আছে কিনা, একটা পলিসি আছে। ওই পলিসির মধ্যে যারা পড়েন তাদের….” বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
জুলাই গণহত্যায় যারা প্রকৃত অপরাধী তারাই যাতে গ্রেপ্তার হয়, কেউ যেন ভোগান্তির শিকার না হয়- এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
” কোনো একটা নিরীহ লোক যেন কোনো অবস্থায়ই শাস্তি ভোগ না করে এ ব্যবস্থা আমরা নেব ” বলেন তিনি।
এর আগে সকালে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তারের সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
সাংবাদিকরা ওই পোস্টের কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ওইটা যার যার ব্যক্তিগত মত। মতপ্রকাশের স্বাধীনতাতো সবার আছে।”
একইসাথে অযৌক্তিক দাবিতে রাস্তা বন্ধ করে মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি না করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।