রাজনীতি
খেলাধুলার উন্নয়নে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হবে: তারেক রহমান

খেলাধুলার মান উন্নয়নে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আন্তর্জাতিকভাবে যারা দেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে তাদের সম্পূর্ণ দায়িত্ব রাষ্ট্র বহন করবে। খেলোয়াড় তৈরির জন্য ভবিষ্যতে দেশে বিকেএসপির সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
স্থানীয় সময় রবিবার (১৮ মে) পশ্চিম লন্ডনের একটি ৫ তারকা হোটেলে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৫ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের সকল বিভাগে একটি করে ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রয়োজনে খেলোয়াড় তৈরি করতে সিলেবাসে পরিবর্তন আনা হবে।
তারেক রহমান বলেন, বর্তমানে দেশের ৪টি বিভাগে বিকেএসপি রয়েছে। আমরা সরকার গঠন করলে প্রথমে সকল বিভাগে একটি করে বিকেএসপি করব। যাতে ভালোমানের খেলোয়াড় তৈরি হয়। আর যারা খেলাধুলার মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে রি-প্রেজেন্ট করবে তাদের দায়-দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে।
তিনি বলেন, আমরা ঢাকা শহরে ওয়ার্ডভিত্তিক খেলার মাঠ গঠন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারি। অন্তত দুটি ওয়ার্ডের মাঝখানে যদি তিন থেকে চার বিঘা জমি বের করা যায় সেখানে মাঠ করা হবে। বাচ্চারা খেলবে, মুরব্বিরা হাঁটবে। অর্থাৎ মানুষ সেখানে বুক ভরে শ্বাস নিতে পারবে। ঠিক এমন একটি চিন্তা আমাদের আছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্কুলের সিলেবাস ঢেলে সাজাতে চাই। সেখানে খেলাধুলা ও দ্বিতীয় বা তৃতীয় ভাষা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এর জন্য পরীক্ষায় আলাদাভাবে নাম্বার থাকবে। তার মানে খেলাধুলা তাকে করতেই হবে। আমরা এটা অন্তর্ভুক্ত করে দেব।
তারেক রহমান বলেন, আমরা সরকারের কাছে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছি। এই নির্বাচনের জন্য আমাদের বহু নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে। গুম হয়েছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এটি মানুষের রাজনৈতিক অধিকার। আমরা এর মাধ্যমে এমন একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠান করতে চাই। যেই সরকার মানুষের রাজনৈতিক কল্যাণে কাজ করবে।
সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আজ একটি জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি। সকলে মিলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশটাকে গড়তে হবে। আমাদের মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে মতপ্রার্থক্য থাকতেই পারে। গণতন্ত্রে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে এগিয়ে নেওয়া, দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।
ছোট্ট ভাই আরাফাত রহমান কোকোকে স্মরণ করতে গিয়ে তারেক রহমান বলেন, বড় ভাই হিসেবে ছোট ভাইকে নিয়ে গর্ব করার জন্য যা যা থাকা দরকার কোকোর মধ্যে তার সবই উপস্থিত ছিল।
কাফি

রাজনীতি
এখন থেকে বাংলাদেশপন্থিরাই দেশ চালাবে: নাহিদ ইসলাম

সীমান্তে হত্যা ও পুশ-ইন বন্ধে আমরা কঠোর হুঁশিয়ারি দিচ্ছি। ভারতের তাবেদারী আর নয়, এখন থেকে বাংলাদেশপন্থিরাই দেশ চালাবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ডে ‘জুলাই পদযাত্রা’র চতুর্থ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘন করে নির্বিচারে বাঙালিদের গুলি করে হত্যা করে। সীমান্তে হত্যা ও পুশ-ইন বন্ধে আমরা কঠোর হুঁশিয়ারি দিচ্ছি। এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়, অভ্যুত্থান-পরবর্তী ছাত্র-জনতার বাংলাদেশ। যে কোনো মূল্যে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শহীদদের আত্মত্যাগ ও জুলাই আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছে এনসিপি। তাই জুলাই-আগস্টের মধ্যেই জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, দেশে এখনও ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়নি। তাই নতুন বাংলাদেশ গড়তে বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের জন্য লড়াই করতে হবে।
রাজনীতি
মৌলিক সংস্কার ছাড়া ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়: জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশে দীর্ঘদিন ধরে ‘মব কালচার’ চলছে, তবে এসব সহিংসতায় জামায়াতের কোনো কর্মী বা সমর্থক জড়িত নেই। ১৯৭২ সাল থেকেই দেশে মব পরিস্থিতি চলমান। আমরা মবের ঘোরবিরোধী। জামায়াতের কোনো কর্মী এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত নেই।
শুক্রবার (৪ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সাম্প্রতিক সহিংসতার উদাহরণ টেনে শফিকুর রহমান বলেন, দেশে এখন মব পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আগে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সেজন্যই আমরা সংস্কারের কথা বলছি। মৌলিক সংস্কার ছাড়া ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, যারা এসব ঘটনায় জড়িত, তাদের নিজ নিজ দলের নেতাদের উচিত কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে আনা। এরপর রাষ্ট্রের দায়িত্ব পরিস্থিতি সামাল দেওয়া।
জানা গেছে, বিকেল ৩টায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জামায়াতের বিভাগীয় জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। এটি রংপুরে জামায়াতের ১৭ বছর পর বড় ধরনের কোনো সমাবেশ।
জনসভায় যোগ দিতে ইতোমধ্যে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে রিকশা, অটোরিকশা, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে করে দলে দলে লোকজন আসছেন। বিকেলের অনুষ্ঠান ঘিরে শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এ জনসভায় রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
জামায়াত নেতারা বলছেন, এই জনসভার মাধ্যমে তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় জনগণকে উজ্জীবিত করতে চান। তাদের দাবি, গণমানুষের কাঙ্ক্ষিত নতুন বাংলাদেশ গড়তে একটি বৃহত্তর আন্দোলনের সূচনা করতে চায় দলটি।
রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শক্ত অবস্থান তৈরির লক্ষ্যেও আজকের জনসভাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতারা।
রাজনীতি
১৯ জুলাই ঐতিহাসিক ‘জাতীয় সমাবেশ’ সফল করার আহ্বান জামায়াতের

পূর্বঘোষিত সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডাকা ঐতিহাসিক জাতীয় সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির’ এক প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি ও দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে এ আহ্বান জানান জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। সমাবেশ সফল করতেই প্রস্তুতিমূলক বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
সভায় দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের সেক্রেটারি যথাক্রমে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও ড. রেজাউল করিমসহ কেন্দ্র ও মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আগামী ১৯ জুলাই শনিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জাতীয় সমাবেশ সফল করতে বিভিন্ন প্রস্তুতি, সাংগঠনিক ব্যবস্থা এবং জনমত গঠনের দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জুলাই-আগস্ট মাস বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের গৌরবময় স্মৃতির স্মারক। সেই সময়ে জাতীয় সমাবেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রক্তের বিনিময়ে যে স্বৈরাচারের পতন হয়েছিল, সেই চেতনার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমেই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পূর্ণতা পাবে। এ সমাবেশ সফল করতে সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি ও দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি সমাবেশ সফল করতে দেশবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন এবং জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
রাজনীতি
খুনি হাসিনা ও তার দোশরদের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে: ড. হেলাল

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী জুলাই-আগস্টকে শুধু স্মরণ করতে চায় না, জুলাই চেতনা লালন ও ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়।
জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূতি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পল্টন থানার বিভিন্ন স্থানে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করে জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের পল্টন থানা। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ড. হেলাল উদ্দিন।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের চেতনা ছিল বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। এই বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন করতে হলে রাষ্ট্রীয় সকল ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সদস্যদের দাবিই হচ্ছে আগে, গণহত্যার বিচার ও তারপর নির্বাচন। তাই ইন্টেরিম সরকারকে খুনি হাসিনাসহ তাদের দোশরদের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে। রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার না করে যেনতেনভাবে একটি নির্বাচন দিলে আবারও ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটবে। এ দেশের মানুষ আর কোনো ফ্যাসিবাদকে মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী জুলাই-আগস্টকে শুধু স্মরণ করতে চায় না, জুলাই চেতনা লালন ও ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়।
জামায়াত মনোনীত ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র মেরামতের জন্য সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংস্কারে সহযোগিতা করলেও একটি রাজনৈতিক দল ও তাদের মিত্ররা সহযোগিতার পরিবর্তে নিজেদের দলীয় স্বার্থে নিজেদের মতো করে সংস্কার চায়। জুলাই গণঅভ্যুত্থান কোনো একক ব্যক্তি বা দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য হয়নি। দেশ ও জাতির কল্যাণে বৈষম্যহীন একটি কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে রূপ দেওয়ার জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী শহিদদের চেতনাকে ধারণ করে এ দেশকে বৈষম্যহীন মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়তে ও জনগণের ৭ দফা দাবি আদায়ের জন্য আগামী ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ আহ্বান করেছে।
ভারতীয় আধিপত্যবাদকে রুখে দিতে, ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্রের নতুন বন্দোবস্ত বাস্তবায়ন করতে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে সেই সমাবেশে যোগদানের জন্য আহ্বান জানান তিনি
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও পল্টন থানা আমীর শাহীন আহমদ খানের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মারুফুল ইসলামের সঞ্চালনায় খাবার বিতরণে আরও উপস্থিত ছিলেন পল্টন থানার সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান শাহীন ও এনামুল হক, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী খন্দকার আব্দুর রব, থানা কর্মপরিষদ সদস্য যথাক্রমে ওমর ফারুক, আবুল ফারাহ মো. ইউসুফ, শামীম হাসনাইন ও মোহাম্মদ আল-আমীন রাসেল প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে শাহীন আহমদ খান বলেন, জুলাই বিপ্লবের জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে দ্রুত গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। চাঁদাবাজি ও দখলদার মুক্ত পল্টন গড়তে জামায়াত অঙ্গিকারবদ্ধ।
রাজনীতি
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না এনসিপি: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার হাতিখানা কবরস্থানে ‘জুলাই শহীদ’ সাজ্জাদ হোসেনের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা শুরু করেছি। উত্তরাঞ্চল থেকে শুরু হওয়া এ পদযাত্রায় মানুষের ব্যাপক সাড়া মিলছে। খুব শিগগির আমরা তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেব। শুধু ঢাকা নিয়ে উন্নয়ন নয়, উন্নয়ন চিন্তা থাকতে হবে গোটা দেশ নিয়ে। ছাত্র–জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও মাফিয়াতন্ত্র শেষ হয়নি। আমাদের লড়াই–সংগ্রামের ইতিহাস ধরে রাখতে হবে।’
এ সময় নাহিদ ইসলামের সঙ্গে ছিলেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা ও শহীদ সাজ্জাদ হোসেনের বাবা মো. আলমগীর। কবর জিয়ারতের সময় দোয়া পরিচালনা করেন নাহিদ ইসলাম।
এর আগে জুলাই পদযাত্রা সৈয়দপুরে পৌঁছালে রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাবের সামনে এনসিপির নীলফামারী জেলা আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবদুল মজিদ ও স্থানীয় নেতা তানজিমুল আলমসহ অন্য নেতারা দলীয় প্রতিনিধিদের স্বাগত জানান। পরে পদযাত্রাটি সৈয়দপুর শেষে নীলফামারীর উদ্দেশে যাত্রা করে।