কর্পোরেট সংবাদ
বাংলাদেশে সামাজিক উন্নয়নে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের ইতিবাচক প্রভাব

টেকসই উন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ। এ লক্ষ্য অর্জনে নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের কার্যক্রমের লক্ষ্য মূলত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করা, কৃষি খাতকে শক্তিশালী করা, শিক্ষা ও দক্ষতা প্রশিক্ষণের সুযোগ বাড়ানো, তরুণ উদ্যোক্তা গড়ে তোলা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
দুই দশকের বেশি সময় ধরে ব্যাংকটি দীর্ঘমেয়াদী কমিউনিটি উন্নয়ন কার্যক্রমে অব্যাহত রয়েছে। গত পাঁচ বছরে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় এসব উদ্যোগের মাধ্যমে ১ কোটি ৮০ লক্ষাধিক মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে প্রতিষ্ঠানটি।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় বলেন, “আমাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র ব্যাংকিংয়ে সীমাবদ্ধ নয়। ২০২৪ সালে আমাদের সমাজসেবা কার্যক্রমগুলো দেশের নানা অঞ্চলে প্রায় এক মিলিয়ন মানুষের জীবন স্পর্শ করেছে- কৃষক, যুবক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং সমাজের দুর্বল শ্রেণির মানুষের সহায়তায় কাজ করেছে। ম্যানগ্রোভ রোপণ থেকে শুরু করে কৃষি উদ্ভাবনে অর্থায়ন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে চোখের যত্ন নিশ্চিতকরণ, এবং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি। প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা।”
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ও ব্র্যান্ড ও মার্কেটিং, বিটপি দাস চৌধুরী বলেন, “আমাদের অংশীদার ও কমিউনিটিগুলো সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের চালক। এই যাত্রায় তাদের পাশে থেকে কাজ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এ বছরের প্রতিটি সাফল্য কেবল সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয়- প্রতিটি মাঠ, ঘর, পলিহাউস আর মৌচাকে গড়ে উঠেছে আশার গল্প, আত্মমর্যাদা আর টিকে থাকার অনুপ্রেরণা।“
বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে এই কার্যক্রমগুলো হচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-এর বিস্তৃত কৌশলের অংশ। ‘হেয়ার ফর গুড’ প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে ব্যাংকটি বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদার হিসেবে, ১২০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত আছে। এই দীর্ঘমেয়াদী অঙ্গীকার দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক উন্নয়ন এবং পরিবেশ রক্ষায় অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে, যা বাংলাদেশের স্থায়ী উন্নয়নের জন্য মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে আসছে।
কাফি

কর্পোরেট সংবাদ
এনআরবিসি ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা

এনআরবিসি ব্যাংকের ১২তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় গত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, লভ্যাংশ, ২০২৫ সালের জন্য নিরীক্ষক নিয়োগ ও তাদের সম্মানী অনুমোদন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) কুর্মিটোলা গল্ফ ক্লাবে ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক ও চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়ার সভাপতিত্বে হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত সভায় স্বশরীর ও অনলাইন প্লাটফর্মে স্বতন্ত্র পরিচালক, উদ্যোক্তা ও শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ অংশ নেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ, স্বতন্ত্র পরিচালক ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. নুরুল হক, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবুল বশর, মো. আনোয়ার হোসেন ও ব্যারিস্টার মো. শফিকুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান, ডিএমডি ও সিএফও হারুনুর রশীদ এবং কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আহসান হাবিব প্রমুখ।
এছাড়া সভায় শেয়ারহোল্ডারদের অনলাইন প্লাটফর্মে প্রদত্ত সর্বোচ্চ ভোটের মাধ্যমে ৪টি এজেন্ডা পাস করা হয়। এছাড়া অনলাইন এবং সশরীরে উপস্থিত বিনিয়োকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া।
এজিএমে অংশগ্রহণকারী সকল স্বতন্ত্র পরিচালক, শেয়ারহোল্ডার, গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া বলেন, আমানতকারী ও সাধারন বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনায় এনআরবিসি ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমরা ব্যাংকে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করার মাধ্যমে নতুন পরিচালনা পর্ষদ আমনতকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও শেয়ারহোল্ডারদের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।
তিনি আরও বলেন, ঋণশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে ব্যাংকের গুণগত সম্পদ ও মুনাফা বৃদ্ধি করাই এই পর্ষদের লক্ষ্য। এক্ষেত্রে, তিনি সবাইকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ বলেন, ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থার কারণে আমানতের পরিমান ২০ হাজার কোটি টাকার মাইলফলক অতিক্রম করেছে। সুবিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টেকসই ব্যবসায়িক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এই পরিকল্পনা সফল হলে শেয়ারহোল্ডারগণ তাদের বিনিয়োগের কাঙ্খিত সুফল পাবেন বলে আমরা আশাবাদী।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ড. মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, আমানতকারী ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এনআরবিসি ব্যাংকের প্রাণশক্তি। আমরা দক্ষ পরিচালনা পর্ষদের নেতৃত্বে ব্যাংকের স্বার্থ সংরক্ষণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। কমপ্লায়েন্স, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা আমানতকারী ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ নিশ্চিত করতে চাই।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে যাত্রা করা এনআরবিসি ব্যাংক পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত হয় ২০২১ সালে। বর্তমানে সারাদেশে ব্যাংকটির ১০৯টি শাখা এবং ৪১৫টি উপশাখার মাধ্যমে প্রথাগত ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি শরীয়াহভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং সেবাও প্রদান করছে।
কর্পোরেট সংবাদ
বিআইসিএম রিসার্চ সেমিনার

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) রিসার্চ সেমিনার-৪৭ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ইন্সটিটিউটের মাল্টিপারপাস হলে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে “অল্টারনেটিভ সুকুক স্ট্রাটার্স টু ফিনান্স ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টস ব্যতীত রাইসিং ডেবিট” শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মালয়েশিয়ার ইনসিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসরা ইন্সটিটিউটের রিসার্চ ফেলো মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।
ইন্সটিটিউটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুছ সালেহীনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক ইশতেকমাল হোসাইন ও ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ফিন্যান্স, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স (আইএফবিআই) প্রোগ্রামের পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুর রহমান।
আলোচকগণ রিসার্চ সেমিনারে উপস্থাপনার বিভিন্ন দিক নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খু আলোচনা করেন। রিসার্চ সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক (চলতি দায়িত্ব) ফয়সাল আহমেদ খান। মেজবাহ উদ্দিন আহমেদের সাথে আলোচ্য গবেষণা প্রবন্ধটির সহযোগী লেখক হিসেবে রয়েছেন ইনসিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ওবিয়াতুল্লাহ ইসমাত বাচা, ইসরা ইন্সটিটিউটের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট রিসার্চ ড. মারজান মুহাম্মাদ ও ইসরা ইন্সটিটিউটের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নূর সুহাইদা কাসরী।
ইন্সটিটিউটের অভ্যন্তরীণ গবেষকদের গবেষণার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বিআইসিএম নিয়মিতভাবে রিসার্চ সেমিনার আয়োজন করে থাকে। এরই অংশ হিসেবে রিসার্চ সেমিনার-৪৭ আয়োজন করা হয়। উক্ত রিসার্চ সেমিনারে ইন্সটিটিউটের সকল অনুষদ সদস্য ও কর্মকর্তাবৃন্দসহ সুকুক মার্কেট ডেভেলপমেন্টের জন্য সুকুক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
প্রাইম ব্যাংক ও বাংলামার্ক মোটরটেকের মধ্যে চুক্তি

বাংলামার্ক মোটরটেকের সাথে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। এ চুক্তির মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকরা বাংলামার্ক মোটরটেকের নানাবিধ বিশেষ ও এক্সক্লুসিভ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ব্যাংকের করপোরেট কার্যালয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকরা দেশের শীর্ষস্থানীয় অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠান বাংলামার্ক মোটরটেক থেকে আকর্ষণীয় ও কাস্টমাইজড সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রাইম ব্যাংকের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন মমুর আহমেদ এবং বাংলামার্ক মোটরটেকের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, প্রজেক্ট অ্যান্ড এক্সিকিউশন ধীমান পাল। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব অ্যাসেট সেলস আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং বাংলামার্ক মোটরটেকের জেনারেল ম্যানেজার, সি অ্যান্ড এ ইফতেখার মাহবুব।
এই চুক্তি প্রায়োরিটি গ্রাহকদের উন্নত লাইফস্টাইল সুবিধা ও কাস্টমাইজড অভিজ্ঞতা প্রদানে প্রইম ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির পতিফলন, যা তাদের সামগ্রীক ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা বাড়াবে।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
ব্র্যাক ব্যাংকের আস্থা অ্যাপে মিলবে মেটলাইফের বিমা সুবিধা

ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যাপ ‘আস্থা’র মাধ্যমে গ্রাহকদের ডিজিটাল জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা দিতে মেটলাইফ বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
সম্প্রতি ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং মেটলাইফ বাংলাদেশের সিইও আলা আহমদ। এ সময় অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই চুক্তির ফলে আস্থা অ্যাপ ব্যবহারকারীরা সম্পূর্ণ ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় মেটলাইফের সাশ্রয়ী বিমা পলিসি কিনতে পারবেন। পাশাপাশি এই অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকরা অনলাইনে বিমাদাবিরও আবেদন করতে পারবেন, যা বিমা সেবাকে করবে আরও সহজলভ্য, স্বচ্ছ ও সুবিধাজনক। এই উদ্যোগটি গ্রাহকদের ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা দেবে, যা দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির সম্প্রসারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এই সেবা ২০২৪ সালে চালু হওয়া ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যাংকাসুরেন্স কার্যক্রমের অংশ, যে সেবার মাধ্যমে গ্রাহকরা সরাসরি ব্যাংকের ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলের মাধ্যমে ইনস্যুরেন্স পলিসি নিতে পারেন। এই সহযোগিতা ব্যাংকিং ও বিমা সেবার সেতুবন্ধন তৈরি করেছে, যা গ্রাহকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এই খাতে গ্রাহকদের আস্থা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখছে।
এই চুক্তির বিষয়ে তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “এই সহযোগিতা আমাদের ডিজিটাল উদ্ভাবনের মাধ্যমে গ্রাহকদের পূর্ণাঙ্গ আর্থিক সল্যুশন দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। মেটলাইফের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে আমরা আমাদের আস্থা অ্যাপে বিমা সেবাকে যুক্ত করেছি, যা লক্ষ লক্ষ গ্রাহকদের কাছে এই বিমা সেবাকে করবে আরও সহজ, নিরাপদ ও সুবিধাজনক। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এ ধরনের পারস্পরিক সহযোগিতা দেশে বিমার প্রসার বাড়াবে, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি জোরদার করবে এবং গ্রাহকদের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।”
মেটলাইফের সিইও আলা আহমদ বলেন, “ব্র্যাক ব্যাংকের সঙ্গে অংশীদারিত্বকে মাধ্যমে বিমা সেবা আরও সম্প্রসারিত করতে পেরে আমরা বেশ আনন্দিত। দেশের দুই শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এই যৌথ উদ্যোগ দেশে বিমা সেবাকে সহজলভ্য করতে ভূমিকা রাখবে। ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি ব্র্যাক ব্যাংকের শক্তিশালী আস্থা অ্যাপ এখন গ্রাহকদের দেবে মেটলাইফের বিশ্বমানের ইনস্যুরেন্স সল্যুশন।”
অন্যান্যদের মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার এম মাসুদ রানা, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ অপারেশনস অফিসার সাব্বির হোসেন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অপারেশনস মো. মুনীরুজ্জামান মোল্যা।
মেটলাইফের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির এএমডি অ্যান্ড চিফ ডিস্ট্রিবিউশন অফিসার জাফর সাদেক চৌধুরী, ডিএমডি অ্যান্ড সিএফও আলা উদ্দিন, ডিএমডি অ্যান্ড চিফ ইনফরমেশন অফিসার ওয়াসি নোমান, এএমডি অ্যান্ড চিফ মার্কেটিং অফিসার নওফেল আনোয়ার এবং এএমডি অ্যান্ড চিফ কর্পোরেট বিজনেস অফিসার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
কর্পোরেট সংবাদ
প্রথমবারের মতো সেলফ-চেকআউট কাউন্টার চালু করলো স্বপ্ন

দেশে প্রথমবারের মতো সেলফ-চেকআউট কাউন্টার চালু করল দেশের বৃহত্তম রিটেইল চেইনশপ ‘স্বপ্ন’। প্রথাগত কেনাকাটায় এটি ক্রেতাবান্ধব ব্যতিক্রমী এক অগ্রণী পদক্ষেপ। এই মাইলফলকটি স্বপ্নর টিমের তৈরী করা অ্যাপ্লিকেশন এবং স্বপ্নর তরুণ টেক টিমের উদ্যোগে ডিজাইন করা হয়েছে। এই প্রজেক্টে কারিগরি সহায়তা দিয়েছে মাস্টারকার্ড, সানমি এবং ইষ্টার্ন ব্যাংক পিএলসি।
বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুর ২টায় ক্রেতাদের জন্য এ সেবা প্রাথমিকভাবে গুলশান-১ আউটলেটে উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্বপ্নের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাব্বির হাসান নাসির, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, স্বপ্নের প্রোডাক্ট ম্যানেজার রুকাইয়া রাফা, সুনমির কান্ট্রি হেড সানিউল জাদিদ, ইস্টার্ন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং রিটেইল ও এসএমই ব্যাংকিং প্রধান এম. খোরশেদ আনোয়ার, সফটওয়্যার ডেভলপার মিরাজ অনিক প্রমুখ।
সেলফ-চেকআউট কাউন্টারের মাধ্যমে, ক্রেতারা এখন নিজের সুবিধামত কেনাকাটা শেষে নিজেরাই পে করতে পারবেন। স্টোরে পণ্যগুলি স্ক্যান করে ভিসা ও মাস্টারকার্ড ব্যবহার করে এবং ক্যাশ কাউন্টারে লাইনে না দাঁড়িয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে এই সেবা নিতে পারবেন ক্রেতারা। মূল প্রযুক্তিটি স্বপ্ন’র তরুণ টিম তৈরী করেছে এবং শুরু থেকেই পার্টনার হিসেবে মাস্টারকার্ড এগিয়ে আসে: সুনমির সাথে সংযুক্ত করে উদ্যোগটি সহজ করেন তাঁরা। তাছাড়া ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি (ইবিএল) নিরাপদ পেমেন্ট গেটওয়ের সমাধান দেয়। উল্লেখ্য, গুলশানের পর সারা দেশে পর্যায়ক্রমে এটির সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে স্বপ্নর।
স্বপ্ন সেলফ-চেকআউট কাউন্টার উদ্বোধন উপলক্ষে, মাস্টারকার্ড কার্ডহোল্ডারদের জন্য বিশেষ পুরস্কার ঘোষণা করেছে। গুলশান ১ আউটলেটে ১ হাজার টাকা বা তার বেশি কেনাকাটায় মাস্টারকার্ড ব্যবহার করলে কার্ডহোল্ডাররা উপহার হিসেবে পাবেন পরিবেশবান্ধব শপিং ব্যাগ।
অনুষ্ঠানে স্বপ্নের প্রোডাক্ট ম্যানেজার রুকাইয়া রাফা বলেন, রিটেইলে বাংলাদেশের প্রথম সেলফ-চেকআউট সিস্টেম তৈরি করা দলের অংশ হতে পারাটা সম্মানের। এই প্রকল্প প্রমাণ করে যে তরুণ বাংলাদেশী প্রযুক্তবিদরা যে কোনও উন্নত দেশের সমতুল্য উদ্ভাবনে সক্ষম।
স্বপ্ন-এর এমডি সাব্বির হাসান নাসির বলেন, “স্বপ্ন সবসময়ই বাংলাদেশে রিটেইলে নতুন কিছু উদ্ভাবনের দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে। স্বপ্ন-এর তরুণ টিমের তৈরি সেলফ-চেকআউট কাউন্টার আমাদের গ্রাহকদের কাছে বিশ্বমানের সুবিধা আনার ক্ষেত্রে নতুন এক পদক্ষেপ। আমরা দেশের মধ্যে সুপারমার্কেট রিটেইলে প্রথম এই পরিসেবা চালু করতে পেরে আনন্দিত, এবং এটি সম্ভব করার জন্য মাস্টারকার্ড, সুনমি এবং ইবিএল-এর সহায়তার জন্য তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ।”
মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, “স্বপ্ন-কে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের গ্রোসারি রিটেইল খাতে প্রথম সেলফ-চেকআউট কাউন্টার চালু করতে সহায়তা করতে পেরে মাস্টারকার্ড অত্যন্ত আনন্দিত। এই মাইলফলক আমাদের ডিজিটাল উদ্ভাবনকে এগিয়ে নেওয়ার এবং দৈনন্দিন কেনাকাটাকে আরও সহজ করার প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্ন পেমেন্ট অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা গ্রাহকদের জন্য আরও সুবিধা তৈরি করছি এবং বাংলাদেশকে একটি আরও ডিজিটালভাবে সক্ষম অর্থনীতির পথে এগিয়ে যেতে সহায়তা করছি।’’
ইস্টার্ন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং রিটেইল ও এসএমই ব্যাংকিং প্রধান এম. খোরশেদ আনোয়ার বলেন, এই অগ্রণী উদ্যোগের প্রযুক্তিগত ভিত্তি প্রদান করতে পেরে আমরা গর্বিত। ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে ইবিএল সর্বদা অগ্রগামী। এই সহযোগিতার মাধ্যমে আধুনিক ও নির্বিঘ্ন পেমেন্ট সমাধান প্রদানে আমাদের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হয়েছে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে মার্কিন দূতাবাসের ইউএস কমার্শিয়াল সার্ভিসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর পল ফ্রস্ট উপস্থিত ছিলেন।
কাফি