পুঁজিবাজার
বিনিয়োগকারীদের নিঃস্ব করা রাশেদ মাকসুদের অপসারনের দাবিতে ‘কফিন মিছিল’

পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন ধরে টানা ধস, অব্যবস্থাপনা এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে এবার চরম প্রতীকী প্রতিবাদে নেমেছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অপসারনের দাবিতে রবিবার (১৮ মে) তার প্রতীকী কফিন নিয়ে মিছিল করেছেন বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর এসোসিয়েশনের ব্যানারে এই মিছিল করা হয়েছে।
এদিন দুপুর আড়াইটার দিকে মতিঝিলে শাপলা চত্বরে মাকসুদের প্রতীকী কফিন নিয়ে মিছিল করেন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা। এর আগে গত ৮ মে রাশেদ মাকসুদের অপসারনের দাবিতে ‘কাফন মিছিল’ করেছেন তারা।
বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর এসোসিয়েশনের নেতাদের দাবি, পুঁজিবাজারে প্রতিদিন যেভাবে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, তা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এভাবে চলতে থাকলে শেয়ারবাজার নামের খাতটি মাটির সাথে মিশে যাবে। এ খাতের সংশ্লিষ্টরা নিংশ্ব হয়ে যাবেন। শেয়ারবাজারের সাথে জড়িত মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোও অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এভাবে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে করে চাকরী হারিয়ে বেকার হয়ে পড়ছেন অনেকে।
মিছিলে বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অপসারনের দাবিতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারীদের এখন মূল দাবিই মাকসুদের পদত্যাগ। যার পদত্যাগেই শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে বিশ্বাস বিনিয়োগকারীদের।
বিনিয়োগকারীরা বলেন, মাকসুদ শেয়ারবাজার বুঝেন না। এটা শুধু সাধারন বিনিয়োগকারীদের কথা না। এই কথা এখন বিএসইসির সাবেক স্বনামধন্য চেয়ারম্যানসহ স্টেকহোল্ডারদের। তাই মাকসুদের অপসারন করা উচিত।
মিছিলে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারের শত্রু হিসেবে অর্থ উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি ড. আনিসুজ্জামান, খন্দকার মাকসুদ ও আবু আহমেদকে দায়ী করেন।
এসএম

পুঁজিবাজার
আর্থিক ভিত্তি শক্তিশালী করতেই বোনাস লভ্যাংশ দিচ্ছে রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। বিনিয়োগের স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা এবং আর্থিক ভিত্তি আরও শক্তিশালী করার কৌশলগত লক্ষ্যে বোনাস লভ্যাংশ বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুসারে, কোম্পানিটির মুনাফার একটি অংশ ইতোমধ্যে এফডিআর ও সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪.৫০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে এফডিআর ও সংশ্লিষ্ট সুদে এবং ৫০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ হয়েছে ট্রেজারি বন্ডে। এ ছাড়া, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সি/এ এলাকার এস.এফ. টাওয়ারে অধিগ্রহণকৃত ফ্লোর স্পেস সংস্কারেও বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।
জানা গেছে, ঘোষিত বোনাস শেয়ার সম্পূর্ণভাবে চলতি বছরের মুনাফা থেকে দেওয়া হচ্ছে। এটি কোনও মূলধন রিজার্ভ, পুনর্মূল্যায়ন রিজার্ভ বা কোম্পানির অন্তর্ভুক্তির পূর্বে অর্জিত অবাঞ্ছিত লাভের উপর ভিত্তি করে নয়। একইসঙ্গে পরিশোধিত মূলধন হ্রাস কিংবা এমন কিছু করা হয়নি যাতে লভ্যাংশ-পরবর্তী ধরে রাখা আয় ঋণাত্মক হয়ে যায় বা ব্যালেন্স শীটে ডেবিট হয়।
কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১১ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। এর মধ্যে ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, বাকী ৫ শতাংশ বোনাস।
নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ সালে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ২ টাকা ০৯ পয়সা আয় হয়েছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৩১ পয়সা আয় হয়েছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৯ টাকা ৩১ পয়সা।
কাফি
পুঁজিবাজার
টানা তিন দিন বন্ধ থাকবে পুঁজিবাজার

আগামী ৬ জুলাই (রোববার) পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সরকারি ছুটির ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগের দুই দিন অর্থাৎ ৪ জুলাই (শুক্রবার) ও ৫ জুলাই (শনিবার) সরকারি কর্মচারীদের নিয়মিত সাপ্তাহিক ছুটির দিন। ফলে, সাপ্তাহিক ছুটি এবং সরকারি ছুটির কারণে দেশের উভয় পুঁজিবাজারের লেনদেন টানা তিন দিন বন্ধ থাকবে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
টানা তিন দিনের ছুটি শেষে আগামী সোমবার (৭ জুলাই) থেকে আগের নিয়মে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৭ হিজরি সালের পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে, ২৭ জুন (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র মহরম মাস। সে অনুযায়ী, ৬ জুলাই (রবি) পবিত্র আশুরা পালন করা হবে।
কাফি
পুঁজিবাজার
শেয়ার বিক্রি করবে ব্যাংক এশিয়ার উদ্যোক্তা পরিচালক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের ব্যাংক এশিয়া পিএলসির এক উদ্যোক্তা পরিচালক শেয়ার বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক রুমী এ হোসেন ২০ লাখ শেয়ার বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। বর্তমানে এই উদ্যোক্তার কাছে ব্যাংকটির ৩ কোটি ৯৮ লাখ ৩৮ হাজার ২০৯ টি শেয়ার আছে।
আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ঘোষণাকৃত শেয়ার বর্তমান বাজার মূল্যে পাবলিক মার্কেটে বিক্রয় করবেন এই উদ্যোক্তা।
কাফি
পুঁজিবাজার
সূচক ঊর্ধ্বমুখী, দেড় ঘণ্টায় লেনদেন ১৬৩ কোটি টাকা

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘণ্টায় ১৬৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) ডিএসইর লেনদেন শুরুর দেড় ঘণ্টা পর অর্থাৎ বেলা ১১টা ৩২মিনিট পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক বা ‘ডিএসইএক্স’ ১২ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৭৭ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে শরিয়াহ সূচক বা ‘ডিএসইএস’ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট বেড়ে আর ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৬ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১০৬৬ ও ১৮২৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে মোট ১৬৩ কোটি ১৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
এসময় লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮২ টির, কমেছে ১৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭১ কোম্পানির শেয়ারদর।
কাফি
পুঁজিবাজার
এনসিসি ব্যাংকের ১৩ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন

ন্যাশনাল ক্রেডিট এন্ড কমার্স ব্যাংক (এনসিসি) পিএলসির ৪০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০২৪ সালের জন্য ১৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়েছে। বুধবার (২ জুলাই) ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত সভায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব মো. নূরুন নেওয়াজ সভাপতিত্বে করেন।
সভায় ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, পরিচালক ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান আমজাদুল ফেরদৌস চৌধুরী, পরিচালক সৈয়দ আসিফ নিজাম উদ্দীন, প্রাক্তন ভাইস-চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চাকলাদার, পরিচালক মো. মঈনউদ্দিন, পরিচালক মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নেওয়াজ, স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মীর সাজেদ উল বাসার এবং স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম, এফসিএস ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংযুক্ত হন।
এসময়, ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারগণ অনলাইনে যোগ দেন এবং ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এছাড়া, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শামসুল আরেফিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. খোরশেদ আলম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব আলম, মো. জাকির আনাম, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও মো. মনিরুল আলম (কোম্পানী সচিব) সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় ২০২৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত হিসাব, পরিচালনা পর্ষদের প্রতিবেদন ও বহিঃ নিরীক্ষকদের প্রতিবেদন উত্থাপিত ও সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নূরুন নেওয়াজ সভাপতির বক্তব্যে ব্যাংকের ব্যবসায়িক অগ্রগতির মূল সূচকগুলো বর্ণনা দিয়ে বলেন, এনসিসি ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারস্ ইকুইটি ও মোট সম্পদ পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে যার ফলে আমাদের ক্রেডিট রেটিং ও ক্যামেলস রেটিং এ উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আগ্রাসী প্রবৃদ্ধি অর্জনের পরিবর্তে সম্পদের গুণগতমান বজায় রাখা, লো কষ্ট -নো কষ্ট তহবিল বৃদ্ধি, তহবিল খরচ হ্রাস, ফি কমিশন ভিত্তিক আয় বৃদ্ধিসহ আরও অন্যান্য বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেছি। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধির মাধ্যমে এনসিসি ব্যাংক ক্রমান্বয়ে সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শামসুল আরেফিন অনলাইনে প্রদত্ত সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারবৃন্দের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং বলেন, এনসিসি ব্যাংক ৩২ বছরের পথ চলায় আজ বিভিন্ন আর্থিক মানদন্ডে একটি ভালো ব্যাংক হিসেবে স্টেকহোল্ডারদের কাছে সমাদৃত হচ্ছে এবং গ্রাহকদের কাছে আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। ভবিষ্যতেও গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ডিজিটাল সম্প্রসারণ, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং টেকসই ব্যাংকিং এর উপর আমরা গুরুত্বারোপ করবো। আমাদের মূল ফোকাস হচ্ছে এসএমই এবং রিটেইল ব্যবসার সম্প্রসারণ, শরীয়াহ-সম্মত ইসলামিক ব্যাংকিং, ফি ও কমিশনভিত্তিক আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি রেমিট্যান্স এবং রপ্তানি বাড়িয়ে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধি। এছাড়াও, এআই-চালিত সলুশোনের উন্নয়ন, নগদবিহীন লেনদেন সম্প্রসারণ, টেকসই অর্থায়ন তথা পরিবেশবান্ধব ও সবুজ প্রকল্পে বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মাইক্রোফাইন্যান্সের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি জোরদার করছি, যাতে ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে কেউ না থাকে। স্ট্র্যাটেজী, ইনোভেশন এবং কাস্টমার সেন্ট্রিক সেবার মাধ্যমে আমরা স্টেকহোল্ডারদের আস্থা অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কাফি