জাতীয়
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ

প্রায় ৪০ বছর পর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বাংলাদেশ। এ মর্যাদাপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ পদে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি ২০২৬ সালের জুনে অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনের জন্য কূটনৈতিক কৌশল ও প্রচারণার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচিত হলে তৌহিদ হোসেন ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮১তম অধিবেশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আগামী বছরের জুনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, এ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ছাড়াও এ পদে প্রার্থী হয়েছেন জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং সাইপ্রাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পার্মানেন্ট সেক্রেটারি।
নির্বাচিত হলে তৌহিদ হোসেন তিনি দ্বিতীয় বাংলাদেশি হবেন, যিনি সাধারণ পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে ১৯৮০-এর দশকে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী এ পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
এবার শেখ হাসিনার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সম্প্রতি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর রবিবার (১৮মে) কমিশন থেকে অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। সংস্থাটির উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমানকে প্রধান করে গঠিত টিমকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
অনুসন্ধানকারী দল শেখ হাসিনার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব ও তার আয়কর নথির যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করবে।
এর আগে প্লট জালিয়াতি, বিদেশে অর্থ পাচার, প্রকল্পের অর্থ লুটপাটের একাধিক অনুসন্ধান দুদকে চলমান রয়েছে । ইতোমধ্যে পূর্বাচলে প্লট জালিয়াতির মামলায় চর্জশিট দাখিল করলে আদালত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
গত ১০ মার্চ পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার পরিবারে সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন এবং জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক ৬টি অভিযোগপত্র বা চার্জশিট দিয়েছে সংস্থাটি। যা আমলে নিয়েই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
অন্যদিকে বিগত ১৫ বছরে দেশের বিভিন্ন বিমান বন্দরের উন্নয়ন কাজের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং একই মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মোকাম্মেল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল দুদক। যদিও ওই তলবের বিপরীতে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা মেলেনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আলাপ-আলোচনার মধ্যেই ঐকমত্যের পথ: আলী রীয়াজের মন্তব্য

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব কেবল কমিশনের নয়, এটি রাজনৈতিক দল, সিভিল সোসাইটি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিগুলোরও সম্মিলিত দায়িত্ব।
রোববার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার সূচনাপর্বে তিনি এ কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, “বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমাদের একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, অনেক বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, আবার কিছু বিষয়ে মতানৈক্যও রয়ে গেছে। জামায়াতের পক্ষ থেকেও কিছু বিষয়ে নীতিনির্ধারক পর্যায়ে পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব এসেছে, যেগুলো ভবিষ্যতে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সুযোগ রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “যে কোনো রাজনৈতিক আলোচনার ক্ষেত্রে প্রতিনিধিদের প্রায়ই নিজ নিজ দলের নীতিনির্ধারকদের কাছে ফিরে যেতে হয়, কারণ আলোচনায় এমন কিছু বিষয় আসে যেগুলো পুনর্মূল্যায়নের দাবি রাখে। সেই ধারাবাহিকতায় আলোচনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।”
আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “আজকের আলোচনার পরও কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলোর সমাধান আজই সম্ভব নয়। যদি সম্ভব হতো, সেটি নিঃসন্দেহে আরও ইতিবাচক হতো। তবে আমরা দ্রুততার সঙ্গে একটি জাতীয় সনদের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।”
তিনি জানান, “প্রাথমিক আলোচনাগুলো আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে শেষ করতে পারলে আমরা দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু করব। মতবিরোধ থাকা সত্ত্বেও আমরা বিশ্বাস করি, ধীরে ধীরে সেসব দূর করা সম্ভব হবে।”
আলী রীয়াজ আরও বলেন, “আমরা দুই মাস ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করে চলেছি। এ আলোচনায় আন্তরিকতা রয়েছে। তবে এটাও মনে রাখা জরুরি—এই সংলাপের মঞ্চ তৈরি করতে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে, প্রাণহানি হয়েছে, রক্তপাত হয়েছে। সেই আত্মত্যাগ আমাদেরকে দায়বদ্ধ করে তোলে।”
তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার দায় শুধু কমিশনের নয়, এটি রাজনৈতিক দল, সিভিল সোসাইটি এবং সমাজের সকল সচেতন শক্তির সম্মিলিত দায়িত্ব। আমি বিশ্বাস করি, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই উদ্যোগ সফল হবে।”
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং ড. ইফতেখারুজ্জামান।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশ নেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে সেক্রেটারি (ভারপ্রাপ্ত) এ টি এম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ড. হামিদুর রহমান আযাদ, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ এবং বিশিষ্ট আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকার বাতাস আজ অস্বাস্থ্যকর

সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় দশম স্থানে বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা।
রবিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) আপডেটে বাতাসের মান ছিল ১১৬, যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে নির্দেশ করে।
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বাহরাইনের মানামা। ২৪৩ স্কোর নিয়ে তার অবস্থান শীর্ষে রয়েছে। এছাড়া ২৩০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতারের দোহা শহর। ২০৯ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর।
মূলত একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। অন্যদিকে ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্টের ওপর ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম-১০ ও পিএম-২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
বস্তুকণা পিএম-২.৫ হলো বাতাসে থাকা সব ধরনের কঠিন এবং তরল কণার সমষ্টি, যার বেশিরভাগই বিপজ্জনক। মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন— প্রাণঘাতী ক্যান্সার এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যা তৈরি করে পিএম-২.৫। এছাড়া বায়ু দূষণকারী এনও২ প্রধানত পুরোনো যানবাহন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শিল্প স্থাপনা, আবাসিক এলাকায় রান্না, তাপদাহ এবং জ্বালানি পোড়ানোর কারণে তৈরি হয়।
মূলত ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শুধুমাত্র বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সৌদি পৌঁছেছেন ৪৯ হাজার ১০৩ হজযাত্রী

চলতি বছর হজে গিয়ে সৌদি আরবে আরও একজন বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট সাতজন বাংলাদেশি হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন।
সর্বশেষ শনিবার (১৭ মে) মো. জয়নাল হোসেন (৬০) মদিনায় মারা গেছেন। তার বাড়ি গাজীপুর সদরে। তিনি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গিয়েছিলেন।
রোববার (১৮ মে) হজ পোর্টালে পবিত্র হজ-২০২৫ প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
অন্যদিকে, শনিবার দিনগত মধ্যরাত পর্যন্ত তিনটি এয়ারলাইন্সের মোট ১২৪টি ফ্লাইটে ৪৯ হাজার ১০৩ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।
এবার বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজযাত্রী হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন হজ পালন করবেন।
হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পরিবহনে এরইমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৬২টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ৪২টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ১৬টি।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় ২৯ এপ্রিল। সৌদি আরবে যাওয়ার শেষ ফ্লাইট ৩১ মে।
হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন। হজযাত্রীদের দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে ১০ জুলাই।
বুলেটিনে আরও জানানো হয়েছে, শনিবার সৌদি আরবের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় মক্কায় বাংলাদেশ হজ অফিসের কনফারেন্স কক্ষে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং প্রশাসনিক প্রথম দলের দলনেতা মো. মতিউল ইসলামের সভাপতিত্বে হজ প্রশাসনিক দলের নিয়মিত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সরকারি মাধ্যমে সর্বশেষ দুই ফ্লাইটের হজযাত্রীদের আগমন ও প্রস্তুতি গ্রহণ সম্পর্কে আলোচনা হয়। এছাড়াও বেসরকারি মাধ্যমে আগত হজযাত্রীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত হয়। সভায় কাউন্সিলর (হজ) মো. জহিরুল ইসলাম, প্রশাসনিক দলের সদস্য, চিকিৎসক এবং আইটি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সেনানিবাস ঘিরে ‘নাশকতার পরিকল্পনা’, বরখাস্ত সৈনিকসহ ৩ গ্রেপ্তার

নাশকতা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বরখাস্ত সৈনিক নাইমুল ইসলাম ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরখাস্ত সৈনিক নাইমুল ইসলাম গত ৫ আগস্টের পর থেকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বরখাস্ত কতিপয় সেনাসদস্যকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘উসকানিমূলক বক্তব্য’ দিয়ে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসের প্রবেশপথে বিক্ষোভ সমাবেশের নামে বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় এ-সংক্রান্ত উসকানিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তিনি।
আইএসপিআর আরও জানায়, এ ধরনের শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত করতে সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধিদল আজ শনিবার বেলা ২টায় খিলক্ষেত, বটতলা বাজার এলাকায় নাইমুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি সহযোগীদের নিয়ে উপস্থিত একজন সেনাসদস্যের ওপর অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালান। আশপাশের সেনাক্যাম্প থেকে একটি টহল দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাইমুল ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য, এর আগে সৈনিক নাইমুলকে স্ত্রীর কাছ থেকে যৌতুকের দাবি, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং বিভিন্ন সামরিক শৃঙ্খলাপরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তকৃত এই সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে আনুষঙ্গিক আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে, ঢাকা সেনানিবাস ঘিরে রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে আইএসপিআরের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। ‘সর্বসাধারণের চলাচল ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে’ আগামীকাল ১৮ মে (রোববার) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কচুক্ষেত সড়ক, বিজয় সরণি থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় হয়ে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ জাহাংগীর গেটসংলগ্ন এলাকা, বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে মহাখালী ফ্লাইওভার-সংলগ্ন এলাকা, সৈনিক ক্লাব মোড়, ভাষানটেক, মাটিকাটা, ইসিবি চত্বর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ‘সকল প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ’ করা হয়েছে।